Categories
জিজ্ঞাসা

Moving Averages আসলে কি এবং কিভাবে আপনি আপনার Trade-এ Moving Averagesব্যাবহার করবেন ?

✅ Moving Average কাকে বলে?

Moving Average এর Definition দিতে গেলে Statistics এর সাহায্য নিতে হয় যেখান থেকে এটার উৎপত্তি। যখন অনেকগুলো সংখ্যার Series থেকে অল্প কতকগুলো সংখ্যাকে নিয়ে পরপর গড় করা হয় তখন তাকে Moving Average বলা হয়।

আবার অন্য ভাবে বলতে গেলে, Stock Market এর ক্ষেত্রে Moving Average হল একটি গাণিতিক পদ্ধতি যার সাহায্যে একটি কোম্পানীর বা কোনো প্রোডাক্টের (Currency, Commodity etc) অতীতের কিছু নির্দিষ্ট দিন সংখ্যার গড় দামের চলমান হিসেব।

শুনতে একটু জটিল মনে হলেও এটা একটি খুব সহজ অঙ্কের মাধ্যমে বের করা যায় বা বোঝা যায়। তবে এটা বোঝার জন্য আপনাকে খুব একটা শিক্ষিত হতে হবে না, বা অঙ্কেও ভালো হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। আপনি যদি বাজারে সব্জি কিনে বা মুদির দোকানে গিয়ে ঠিক মত পয়সার হিসাব বুঝে নিতে পারেন তাহলেই যথেষ্ট। শুধু অল্প একটু যোগ আর ভাগ জানা দরকার।

✅ কিভাবে Moving Average বের করবেন?

আমি আশা করি আপনি গড় হিসাব করা জানেন। যদি নাও জানেন তাহলে দেখুন কিভাবে কয়েকটা সংখ্যার গড় হিসাব করা হয়।

মনে করুন 5 টি ছাত্রের বয়স হল যথাক্রমে

11, 17, 13, 16, 9 বছর।

তাহলে তাদের মোট বয়স

= 10+17+13+16+9 = 65 বছর

তাহলে বুঝতে পারছেন যে মোট বয়স বের করা খুব সহজ। শুধু সব গুলো যোগ করে দিতে হবে।

এবার আমরা ওই 5 জন ছাত্রের গড় বয়স বের করব। কিভাবে সেটা দেখুন।

গড় বয়স = মোট বয়স / ছাত্রের সংখ্যা

= 65 / 5 = 13 বছর

এখন গড় বলতে হল Average. তাহলে একই রকম ভাবে একটি কোম্পানির কয়েক দিনের গড় দাম বের করাটা খুব সহজ।

মনে করুন গত 15 দিনে ITC এর শেয়ারের দাম হল যথাক্রমে

223, 222, 220, 218, 217, 211, 214, 214, 217, 220, 227, 232, 234, 234, 233

তাহলে ওপরের 15 দিনের দামের তালিকা থেকে আমি যদি প্রথম 3 দিনের গড় দাম বের করি তাহলে হিসাবটি দেখুন-

প্রথম 3 দিনের দামের যোগফল

= 223 + 222 + 220

= 665

তাহলে আগের মতোই যদি 3 দিনের গড় হিসাব করি তাহলে হিসেবটা হবে

প্রথম 3 দিনের গড় দাম

= মোট দাম / 3

= 665 / 3

= 221.66 টাকা

তাহলে প্রথম 3 দিনের গড় দাম বা Average হল 221.66 টাকা।

এখন প্রশ্নটা হল, Moving Average তো একটা Line বা রেখা দিয়ে প্রকাশ করা হয়। আর সেটা পেতে গেলে পর পর অনেক গুলো Average এর মান পেতে হবে। সেটা কিভাবে পাওয়া যাবে?

আমরা প্রথম টা পেয়েছিলাম নিচের Highlighted তিনটে সংখ্যা থেকে উপরের নিয়ম মেনে।

223, 222, 220, 218, 217, 211, 214, 214, 217, 220, 227, 232, 234, 234, 233

পরের টা পাওয়া যাবে নিচে Highlight করা তিনটে সংখ্যা থেকে।

223, 222, 220, 218, 217, 211, 214, 214, 217, 220, 227, 232, 234, 234, 233

তাহলে পরের Moving গড়টি হবে

= ( 222 + 220 + 218 ) / 3

= 660/3

= 220

তার পরেরটা হবে নিচে Highlight করা সংখ্যা তিনটে থেকে

223, 222, 220, 218, 217, 211, 214, 214, 217, 220, 227, 232, 234, 234, 233

একই রকম ভাবে তার পরেরটা হবে

223, 222, 220, 218, 217, 211, 214, 214, 217, 220, 227, 232, 234, 234, 233

একটু ভালো করে লক্ষ্য করে দেখুন হলুদ রঙে ঘেরা তিনটে সংখ্যা পরপর বদলাচ্ছে। প্রত্যেক ধাপে আগের Average থেকে প্রথম সংখ্যাকে বাদ দিচ্ছে আর পরের একটি সংখ্যাকে নিয়ে নতুন Average তৈরি করছে। এই কারনে এদের Moving Average বলা হয়। যদি বাংলায় বলতে চাই তাহলে একে শুধু গড় না বলে এক সঙ্গে চলমান গড় বলব আমরা।

এখানে আমরা 3 দিনের MA নিয়ে আলোচনা করলাম। এখন যদি আমাদের 3 দিনের জায়গায় 5, 7, 11, 50, 100 বা 200 দিনের MA দরকার হয় তাহলেও একই নিয়মে আমরা সেগুলোকে বের করতে পারবো। নিচের তালিকাটিতে এর কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হল সেটি দেখুন কিভাবে MA এর মান গুলো আমরা পাই।

Moving Average:

এটা দেখে মনে হচ্ছে 100 বা 200 দিনের MA বের করা তো অনেক সংখ্যার হিসাব করতে হবে। তবে আপনারা জানেন যে এটা আমাদের হাতে করার দরকার হয়না। কারন সমস্ত Charting Platform এই এটা দেওয়া থাকে। আমরা সেখানে থেকে যে কোনো MA ব্যাবহার করতে পারি।

✅ Moving Average কত প্রকারের হয় ?

ওপরে আমরা যে হিসেবটা দেখলাম সেটাকে Simple Moving Average (SMA) বলা হয়। এটা বাদেও Trader রা এটিকে একটু আধটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যাবহার করে থাকেন এবং অঙ্কের নিয়মের সাথে বিভিন্ন নাম দেন। যেমন এর আগেও আলোচনা করা হল –Exponential Moving Average বা EMA হল আরেকটি খুব জনপ্রিয় MA, যেখানে নিকটবর্তী দামকে হিসাবে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। SMA এর থেকে EMA বেশি Price Sensitive হয় বা খুব তাড়াতাড়ি Stock Price এর পরিবর্তের সাথে বদলায়।এছাড়া আছে Volume Weighted Moving Average যেখানে MA এর সাথে Trading Volume কে হিসাবের মধ্যে যোগ করা হয়।এই প্রকার আপনি আরো অনেক MA পাবেন যার মুখ্য ধারণা বা হিসেবটা একই কিন্তু একটু উনিশ বিশ করে হিসাবটা করা হয়।

✅ কিভাবে Trade এ ব্যাবহার করবেন ?

এখন সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল যে আমরা কিভাবে এটিকে আমাদের Trading বা Investing এর সময় ব্যাবহার করব, যাতে আমরা বাজার থেকে লাভ করতে পারি বা লোকসান কম হয়। এটির ওপর আমি বিস্তারিত ভাবে ব্যাখ্যা করে আরেকটি প্রবন্ধ লিখব।👉 তবে এখানে সংক্ষেপে একটু দেখে নিই যে আমরা সেখানে কি কি শিখব।     1. Moving Average কে ব্যাবহার করে আমরা সমস্ত Market বা NIFTY50 এবং SENSEX এর Trend কে কিভাবে বুঝবো ?     2. মার্কেটের Trend ঠিক করার পর আমাদেরকে Stock এর Trend বুঝতে হবে, বিশেষ করে আমরা যে Stock এ Trade বা Invest করতে চাই।     3. Moving Average কে ব্যাবহার করে কিভাবে আমরা কোনো Stock এ Low Risk Entry নিতে পারি ?     4. কিভাবে আপনি সঠিক সময়ে Entry নেবেন যাতে Stock কেনার পর অনেকদিন ধরে সেটি কোনো দিকে Move করছে না আর টাকা বা Capital সেখানে আটকে আছে আপনি বেরোতেও পারছেন না।     5. কিভাবে আপনি জানবেন যে Chart এ কোন Price টি সঠিক Stop Loss যেটা খুব সহজেই Trigger হবে না। আর যদি হয় তাহলে আপনার Trading Method সেই Stock এর জন্য Invalid হয়ে যাবে।     6. Long Term Investment এর ক্ষেত্রে কিভাবে MA কে ব্যাবহার করবেন বড় লাভ নেওয়ার জন্য ?

Categories
জিজ্ঞাসা

বিভিন্ন ক্যাটাগরির শেয়ার ও শেয়ার কেনার কতদিন পর শেয়ার ম্যাচিউর/বিক্রয়যোগ্য হয়?

A ক্যাটাগরি :

  • যে সকল কোম্পানি নিয়মিত AGM(Annual General Meeting) সম্পন্ন করেছে।
  • যে সকল কোম্পানি গত ক্যালেন্ডার ইয়ারে কমপক্ষে ১০% ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ।

B ক্যাটাগরি:

  • যে সকল কোম্পানি নিয়মিত AGM(Annual General Meeting) সম্পন্ন করছে।
  • গত ক্যালেন্ডার ইয়ারে কমপক্ষে ১০% ডিভিডেন্ড দিতে ব্যর্থ হয়েছে ।

N ক্যাটাগরি:

  • নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি।
  • এ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর প্রথম AGM হওয়ার পর তারা ক্যাটাগরির শর্ত পূরণ করে A/B ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত হয় ।

Z ক্যাটাগরি:

  • AGM সম্পন্ন করে না ।
  • ডিভিডেন্ড দেয় না ।
  • ৬ মাস বা তার বেশি সময় ধরে ব্যবসায়ে অপারেশন বন্ধ ।
  • রাজস্ব রিজার্ভ সমন্বয় করার পর যদি পুঞ্জিভুত ক্ষতি হয়, এবং তা পরিশোধিত মূলধনের (Paid up Capital) চেয়ে বেশি হয়।

আরেক ধরনের শেয়ার রয়েছে যেটাকে G ক্যাটাগরির শেয়ার বা গ্রীন ফিল্ড কোম্পানির শেয়ার বলা হয়।  এই কোম্পানিগুলো বিজনেস শুরু করার আগে প্রাইমারি মার্কেট থেকে মূলধন সংগ্রহ করে থাকে।

একটি শেয়ার কখন ম্যাচিউর হয় বা বিক্রয় যোগ্য হয়:

A/B/N ক্যাটাগরির  শেয়ার T+1 দিন পরে ম্যাচিউর বা  বিক্রয়যোগ্য হয়। শেয়ার কেনার দিন এবং তার পরবর্তী এক কর্মদিবস পরে শেয়ার ম্যাচিউর বা  বিক্রয়যোগ্য হয়। আপনি যদি আজকে শেয়ার কিনেন শেয়ারটি আগামী পরশু দিন ম্যাচিউর হবে। যেদিন  ম্যাচিউর হয় ঐদিন CDBL থেকে মেসেজ পাবেন যে আপনার শেয়ারটি BO Account এ Credit করা হয়েছে। আরো ভালো করে বুঝতে নিচের ছকটি লক্ষ্য করুনঃ

শেয়ার ক্রয়ের দিনম্যাচিউর বা বিক্রয়যোগ্য হবার দিন
রবিবারমঙ্গলবার
বৃহস্পতিবারসোমবার

আর Z ক্যাটাগরির শেয়ার কিনলে T+3 দিন পর শেয়ারটি ম্যাচিউর হয় অর্থাৎ শেয়ার কেনার দিন ও তার পরের ৩ কর্মদিবস পরে শেয়ার ম্যাচিউর হয়।

আর আপনি যদি যে সকল শেয়ার স্পট মার্কেট এ লেনদেন হচ্ছে ওই সকল শেয়ার কিনেন, তাহলে ওই শেয়ার কিনার পরের দিন বিক্রয় করতে পারবেন।

উল্লেখ্য যে , আমাদের দেশের শেয়ার বাজারে Short Selling, Intraday trading সুবিধা এখনও চালু হয়নি।

এছাড়া আপনি যদি কোন শেয়ার আজকে বিক্রয় করেন তাহলে ওই বিক্রয়ের টাকা দিয়ে আজকেই শেয়ার কিনতে পারবেন আপনার ব্রোকার এর মাধ্যমে।

Categories
জিজ্ঞাসা

A ক্যাটাগরির শেয়ার কেনার কতদিন পর বিক্রি করা যায়?

এ-শ্রেণীভুক্ত কোম্পানি: এ-শ্রেণীর কোম্পানিগুলি বার্ষিক সাধারণ সভার আয়োজন করে এবং কোম্পানিগুলিশেষ ইংরেজি ক্যালেন্ডার বছরে দশ শতাংশ বা তার বেশি হারে লভ্যাংশ ঘোষনা করে থাকে।


যদি আপনি এ,বি অথবা এন ক্যাটাগরির কোন শেয়ার কিনে থাকেন তবে আপনার শেয়ারটি যেই দিন কিনেছেন তার ১ কর্ম দিবস পরে ম্যাচিউর হবে অর্থাৎ শেয়ারটি বিক্রয় জন্য প্রস্তুত হবে। ধরুন, আপনি রবিবারে একটি শেয়ার ক্রয় করলেন সেই শেয়ারটি ম্যাচিউর হবে শেয়ার কেনার পরের ১ কর্ম দিবস পরে অর্থাৎ মঙ্গলবারে। শুক্র, শনি সরকারি ছুটির দিন গুলি ব্যাতিত দিনগুলিকে কর্ম দিবস হিসেবে গণ্য করা হয়।

Categories
জিজ্ঞাসা

শেয়ার বাজারে কেন বিনিয়োগ করবেন?

▶️ আপনার কষ্টার্জিত অর্থ সঠিক এবং নিরাপদ ভাবে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করুন যাতে ভবিষ্যতে আপনি লাভবান হতে পারেন।
▶️ আপনার হাতে সঞ্চিত তরল টাকার মান প্রতিনিয়ত আনুপাতিক হারে হ্রাস পাচ্ছে। পুঁজিবাজার বিনিয়োগ আপনার টাকার মান আনুপাতিক হরে বৃদ্ধি করে।
▶️ পুঁজিবাজার ব্যবসা করে আপনি কর রেয়াত পেতে পারেন এবং অধিক মুনাফা লাভ করুন।
▶️ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে আপনি পছন্দের কোম্পানিতে অংশীদার হচ্ছেন এবং কোম্পানির অর্জিত মূনাফা লাভ করছেন।
▶️ পুঁজিবাজারে আপনার বিনিয়োগকৃত শেয়ার এর মূল্য বৃদ্ধি, বোনাস এবং লভ্যাংশ আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী মূনাফা প্রদান করবে।

Categories
জিজ্ঞাসা

কিভাবে শেয়ারের ফেস ভ্যালু বিভ্রান্তিকর?

অনেক দুর্বল মৌলভিত্তিক কোম্পানি ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হয়েছে যার অভিহিত মূল্য ১০ টাকার অনেক বেশি। কিন্তু বাস্তবে তাদের শেয়ারের মূল্য ১০ টাকার থেকেও কম হওয়া উচিত ছিল। কারণ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ আইনে বলা হয়েছে যে প্রতিটি শেয়ারের কমপক্ষে ১০ টাকা অভিহিত মূল্য থাকতে হবে।

এই ধরনের কোম্পানি একটি অন্যায্য মূল্যে তালিকাভুক্তি পেতে এই সুযোগ ব্যবহার করে। কোনো শেয়ারের ন্যূনতম মূল্য থাকা উচিত নয়। কোম্পানির নেট অ্যাসেট ভ্যালু, ডিসকাউন্টেড ক্যাশ ফ্লো এবং অন্যান্য অনুপাত ভিত্তিক পদ্ধতির একটি অনন্য সমন্বয়ের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্যায়ন করা উচিত বলে আমরা মনে করি।

Categories
জিজ্ঞাসা

শেয়ারের মার্কেট ভ্যালু ফেস ভ্যালুর নিচে যাওয়া কিভাবে সম্ভব?

যখন একটি তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর্মক্ষমতা আর্থিকভাবে হ্রাস পায়, তখন এটি শেয়ারের বাজার মূল্যকে (Market Price) প্রভাবিত করে। সাধারণত আমরা দেখি, পরপর লভ্যাংশ প্রদানকারী কোম্পানির শেয়ারের মূল্য অভিহিত মূল্যের নিচে চলে যায়।

এটি নিচে নামার আরেকটি কারণ রয়েছে; তা হল তালিকাভুক্ত শেয়ারের বাজার চাহিদা। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, অনেক ব্যাঙ্ক নিয়মিত লভ্যাংশ দেয়, কিন্তু শেয়ারের দাম অভিহিত মূল্যের নীচে থাকে। কারণ বিনিয়োগকারীরা সেসব শেয়ার কিনতে আগ্রহী নয়।

‍চাহিদার অভাবেও শেয়ারের দাম অভিহিত মূল্যের নিচে চলে যেতে পারে। আমরা এই ধরনের কোম্পানিগুলোকে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য দারুণ সুযোগ হিসেবে দেখতে পারি।

Categories
জিজ্ঞাসা

বুক ভ্যালু কি??

বুক ভ্যালুঃ

সহজ কথায়, তাত্ত্বিকভাবে একটি কোম্পানির বুক ভ্যালুর অর্থ হল কোম্পানির সম্পদের মোট মূল্য যা কোম্পানিটি লিকুইডেট হয়ে গেলে অর্থাৎ যখন কোম্পানির সমস্ত সম্পদ বিক্রি করা হয়ে যাবে এবং সমস্ত দায়-দেনা পরিশোধ করার পর শেয়ারহোল্ডাররা পাবে।

অতএব, বুক ভ্যালুকে কোম্পানির নেট মূল্য হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে যা কোম্পানির হিসাবের বইগুলিতে প্রতিফলিত হয়।

বুক ভ্যালু গণনা করা হয় মোট সম্পদ থেকে অস্পর্শনীয় সম্পদ (Intangible assets) যেমন- পেটেন্ট, সুনাম ইত্যাদি এবং দায় বাদ দিয়ে। যখন আপনি একটি কোম্পানির বুক ভ্যালুকে মোট বকেয়া শেয়ারের সংখ্যা দিয়ে ভাগ করবেন, তখন আপনি শেয়ার প্রতি বুক ভ্যালু পেয়ে যাবেন।

কোন কোম্পানির শেয়ারের বাজার মূল্য অতিমূল্যায়িত বা অবমূল্যায়িত কিনা তা আপনি কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি বুক ভ্যালু ও তার বাজার মূল্যের সাথে তুলনা করে বের করতে পারবেন। সময়ের সাথে সাথে ক্রমবর্ধমান বুক ভ্যালু সংবলিত কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ করার জন্য সর্বদা পরামর্শ দেওয়া হয়।

Categories
জিজ্ঞাসা

ভালো শেয়ার চেনার উপায়

অর্থনীতির উন্নয়নের সঙ্গে প্রতিদিন শেয়ারবাজারে গুরুত্ব বাড়ছে। বর্তমানে শেয়ারবাজারের মূলধন মোট জিডিপির প্রায় ২০ শতাংশ। আর সাম্প্রতিক সময়ে দেশের শেয়ারবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে।

ইলেট্রনিক পদ্ধতিতে শেয়ার সংরক্ষণকারী কোম্পানি সিডিবিএলের তথ্য মতে, বর্তমানে বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ২৭ লাখ ১২ হাজার। আর প্রতিদিনই এ সংখ্যা বাড়ছে।

তবে বিশাল অঙ্কের এ বিনিয়োগকারীদের বেশিরভাগেরই শেয়ারবাজার সম্পর্কে ধারণা নেই। মূলধন হারিয়ে আবার ফিরে যাচ্ছে। ফলে শেয়ারবাজার বিনিয়োগ বললেই মানুষের মধ্যে অজানা আতঙ্ক চলে আসে।

তাই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে হলে কয়েকটি বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে ফান্ডামেন্টাল এবং টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস। ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিসের মধ্যে কোম্পানির মৌলভিত্তি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস কোম্পানির শেয়ারের মুভমেন্ট বলে দেবে। এভাবে বিশ্লেষণ করে বাজারের ভালো শেয়ার সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যাবে।

শক্তিশালী মৌলভিত্তি সম্পূর্ণ শেয়ারের বেশ কিছু বৈশিষ্ট রয়েছে। এর মধ্যে বিনিয়োগের জন্য প্রথমত শেয়ারের সম্পদ মূল্য দেখতে হবে। সংক্ষেপে বলা হয়, নিট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি) প্রকৃত সম্পদ মূল্য ভালো শেয়ার সম্পদ মূল্য বেশি থাকে।

দ্বিতীয় শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস। একটি কোম্পানি প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে কী পরিমাণ আয় করছে, বিনিয়োগের জন্য তা অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত। এরপর শেয়ারের মূল্য ও আয়ের অনুপাত (পিই রেশিও) : কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় এবং শেয়ারের বর্তমান বাজারমূল্যের অনুপাত। এটি বাজারের সবচেয়ে বড় মাপকাঠি। এ অনুপাত যত কম, শেয়ার তত ঝুঁকিমুক্ত।

বিশ্লেষকদের মতে, বাজারের অন্যতম আরেক মাপকাঠি হল কোম্পানির লভ্যাংশ বা ডিভিডেন্ড। এ লভ্যাংশ কখনও নগদ বা বোনাস শেয়ার হতে পারে। তবে ভালো কোম্পানিগুলো নগদ লভ্যাংশ বেশি দেয়।

এ ছাড়া রয়েছে কোম্পানির বুক ভ্যালু ও প্রবৃদ্ধির হার। অন্যদিকে কোম্পানির উদ্যোক্তা হিসেবে কারা রয়েছে, তাদের পেছনের রেকর্ড অবশ্যই বিনিয়োগের জন্য বিবেচনায় নিতে হবে।

বিনিয়োগকারীরা কোনো কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করলে ঝুঁকির মাত্রা কম থাকবে সেটি কয়েকটি বিষয় বিশ্লেষণ করে জানতে হবে। এর মধ্যে কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল এবং টেকনিক্যাল এনালাইসিস করতে হবে। কোন কোম্পানি আর্থিকভাবে কত বেশি শক্তিশালী তা কোম্পানির মৌলভিত্তি দিয়ে জানা যাবে।

যে কোম্পানির শেয়ার কেনা হবে, তার বর্তমান আয়, বার্ষিক আয়, কোম্পানি নতুন কোনো পরিবর্তন আসছে কিনা, কোম্পানির পণ্য সরবরাহ কেমন, নেতৃত্বে কারা আছে, কোম্পানির শেয়ারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কেমন এবং সবশেষে ওই কোম্পানির পণ্যের বাজারে

চাহিদা কেমন আছে। যিনি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী তার প্রথম কাজ হবে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির আর্থিক বিবরণ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নেয়া। প্রতিটি কোম্পানি প্রতি বছর বার্ষিক আয় -ব্যয় সংবলিত একটি প্রতিবেদন পেশ করে। ওই প্রতিবেদন সংগ্রহ করে কোম্পানির আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে হবে।

শেয়ারবাজারের কয়েকটি টার্ম

প্রাইমারি : প্রাইমারি শেয়ার হল কোম্পানি শেয়ার ছেড়ে সরাসরি জনগণের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে তাদের মূলধন বাড়ায়। বাজারে মূলধন বাড়াতে ইচ্ছুক এমন কোম্পানি একটি ইস্যু ম্যানেজারের মাধ্যমে তাদের কোম্পানির আরেকজন অংশীদার হওয়ার জন্য জনগণের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করে এবং জনগণ কোম্পানির অ্যাকাউন্টে আবেদনকৃত অর্থ জমা দেয়।

সেকেন্ডারি : শেয়ারের ক্রেতা এবং বিক্রেতার সমন্বয়ে সেকেন্ডারি মার্কেট গঠিত হয়। একজন বিনিয়োগকারী প্রাথমিক শেয়ার লাভ করার পর তা বিক্রি করতে চাইলে তা সেকেন্ডারি মার্কেটের মাধ্যমে বিক্রি করতে হবে।

ইপিএস : শেয়ারপ্রতি নিট মুনাফা বোঝায়। যেমন শেয়ারপ্রতি আয় বের করতে হলে কর বাদে কোম্পানির নিট মুনাফাকে মোট সাধারণ শেয়ার দিয়ে ভাগ করতে হবে।

ডিভিডেন্ড : এটি কোম্পানি কর্তৃক প্রতি শেয়ার মূল্যের ভিত্তিতে বিতরণকৃত লভ্যাংশকে বোঝায়। যে কোম্পানি বেশি লভ্যাংশ দেয় সেই কোম্পানির শেয়ার তত বেশি ভালো।

Categories
জিজ্ঞাসা

MACD Crossover

গতির পরিপ্রেক্ষিতে দুটি moving average –ই ভিন্নতর। স্বভাবতই দ্রুতগতিসম্পন্ন moving average ধীরগতিসম্পন্ন moving average অপেক্ষা দামের পরিবর্তনের সাথে দ্রুত পরিবর্তিত হবে। যখনই একটি নতুন ট্রেন্ডের সৃষ্টি হয় তখন দ্রুতগতিসম্পন্ন moving average টি দ্রুত সাড়া দেয় এবং ধীরগতি রেখাটিকে অতিক্রম করে। Crossover-এর ক্ষেত্রে দ্রুতগতি রেখাটি ধীরগতি রেখা হতে দূরে সরে যায় (diverge) যা সাধারণতঃ নতুন ট্রেন্ড সৃষ্টির ইংঙ্গিত দেয়। এখন আমরা একটি উদাহরনের মাধ্যমে জিনিস গুলি বুঝার চেষ্টা করব। উপোরোক্ত চার্টে আমরা দেখতে পাই দ্রুতগতি রেখাটি ধীরগতি রেখাটিকে নিচের দিক হতে অতিক্রম করছে যা downtrend নির্দেশ করছে। লক্ষ্য করূন, যে পয়েন্টে রেখাগুলি পরস্পরকে অতিক্রম করছে (Crossover) সে পয়েন্টেই histogram সাময়িকভাবে মিলিয়ে যায়। খুব ভাল ভাবে লক্ষ্য করুন দিকে একটি সময়ে histogram দেখা যাচ্ছে না। এর কারন হলো অতিক্রান্ত সময়ে রেখাগুলির পার্থক্যমান শূন্য হয়ে যায় ফলে কোন histogram দেখা যায় না । যেইমাত্র downtrend শুরু হয় তখন দ্রুতগতি রেখাটি ধীরগতি রেখা হতে দূরে সরে যায়, ফলে histogram বর্ধিত হয় যা একটি শক্তিশালী ট্রেন্ডের ইংঙ্গিত বহন করে। ঠিক uptrend এর সময়ে ও একই ঘটনা ঘটে থাকে। MACD-র একটি বড় অসুবিধা হচ্ছে মন্থরতা যা একইসময়ে দামের সাথে পরিবর্তিত না হয়ে বরং ধীর গতিতে দামকে অনুসরন করে। তাই এই ইন্ডিকেটি Lagging ইন্ডিকেট বলে পরিচিত, তবে এই ইন্ডিকেটরটি কোন trend সংগঠিত হবার পর সিগন্যাল দিয়ে থাকে ফলে ভুল হবার সম্ভাবনা কম। এবং এটি হছে অতীত মূল্যের গড় । যদিও MACD-র গতি মন্থর কিন্তু এটি ট্রেডারদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইন্ডিকেটর।

Categories
জিজ্ঞাসা

Bollinger Bands বুলিনজার বেন্ড

বুলিনজার ব্যান্ডের মাধ্যমে বাজারের পরিবর্তন(ওঠানামা) পরিমাপ করা হয়। মুলতঃ এই অনুসংঘটি আমাদের বাজার কখন স্থির কিম্বা প্রসারিত এই সম্পর্কে ধারণা দেয়।যখন বাজার স্থির থাকে তখন ব্যান্ডগুলো সংকুচিত হয় এবং যখন বাজার বিস্তৃতি লাভ করে তখন ব্যান্ডগুলো প্রসারিত হয়।লক্ষ্য করুন,নিন্ম চিত্রে যখন দামের তেমন কোন পরিবর্তন ঘটে না তখন ব্যান্ডগুলো পরস্পরের কাছাকাছি অবস্থান করে আর যখন দাম বাড়তে শুরু করেছে তখন ব্যান্ডগুলো ছড়িয়ে গেছে। বুলিনজার ব্যান্ডের একটি দিক সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকা প্রয়োজন তা হচ্ছে মূল্যের প্রবণতাই থাকে ব্যান্ডের মাঝামাঝিতে ফিরে আসা।এটি হচ্ছে বলিংঙ্গার বাউন্সের মূল ধারনা। যদি তাই হয় তবে নিন্মোক্ত চিত্র পর্যবেক্ষন করে বলুন দাম পরবর্তীতে কোনদিকে যাবে? যদি আপনি বলেন দাম নিচে নেমে আসবে তবে তা সঠিক। আপনি দেখতে পাচ্ছেন দাম আবার ব্যান্ডের মাঝামাঝি স্থানে ফিরে এসেছে। আপনি এইমাত্র যা পর্যবেক্ষন করলেন তা একটি ক্লাসিক বুলিনজার বাউন্স। এই বাউন্সটি সংঘটিত হয়েছে কারন বুলিনজার ব্যান্ডটি একটি ছোটখাটো সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স হিসেবে কাজ করেছে।যত বেশি সময় আপনি বলিংঙ্গার ব্যান্ডে যুক্ত করবেন তত ব্যান্ডগুলি শক্তিশালী হবে।অনেক ট্রেডাররা বলিংঙ্গার বাউন্সেকে কাজে লাগিয়ে সফল হয়েছেন এবং এই স্ট্র্যাটিজি সবচেয়ে সফল যখন বাজার বিস্তৃতি লাভ করে এবং যখন অনান্য ট্রেন্ডগুলি হতে আমরা সুস্পষ্ট ইংগিত পাই না। একটি ট্রেন্ড বুঝার জন্য।