Categories
Uncategorized

Heikin Ashi চার্ট এর সীমাবদ্ধতা

Heikin Ashi Limitations

Heikin Ashi Limitations – আগের আর্টিকেলগুলোতে হাইকেন আশি চার্ট এর সাথে সম্পর্কিত বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি। যেমন, হাইকেন আশি কি?, সাধারন জাপানিজ ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট এর সাথে এটির পার্থক্য, হাইকেন আশি এর ক্যালকুলেশন, কিভাবে হাইকেন আশি চার্ট বুঝবেন এবং কিভাবে রিয়েল ট্রেডে হাইকেন আশি চার্ট ব্যবহার করে ট্রেড করবেন ইত্যাদি।

আজকের আর্টিকেলটিতে এটির কিছু প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আপনাদের সাথে আলচনা করবো। অর্থাৎ, Heikin Ashi Limitations আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন, ট্রেডিং এর জন্য সবসময়ই এই কৌশল কাজ করে না। এটির পিছনে মুলে কারন হচ্ছে, যাতে করে আপনারা সহজ এবং বিস্তারিতভাবে এই হাইকেন আশি সম্পর্কে জেনে বুঝে তারপর ট্রেড শুরু করেন। মনোযোগ সহকারে টপিকটি বিস্তারিত পড়ে নেয়ার অনুরধ করছি।

রিয়েল ট্রেডিং এর জন্য অন্যান্য আরও যেসকল টেকনিক্যাল টুলস পাওয়া যায় যেমন ধরুন, বিভিন্ন চার্ট প্যাটার্ন, ইন্ডিকেটর ইত্যাদি মতনও হাইকেন আশি চার্ট এরও কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এখানে “প্রতিবন্ধকতা” অর্থ হচ্ছে, যখন এটি সঠিকভাবে কাজ করতে সক্ষম হয় না। সেটিকে বোঝাতে চেয়েছি। তাহলে চলুন, বিস্তারিত জেনে নেই।

হাইকেন আশির ক্যান্ডেল্গুলো সবসময় আসল প্রাইস চার্টে প্রদর্শন করে না।

সাধারন জাপানিজ ক্যান্ডেলস্টিকগুলো চার্টে সরাসরি প্রাইস এর প্রদর্শন করলেও হাইকেন আশির ক্যান্ডেলস্টিকগুলো সরাসরি সঠিক প্রাইস এর প্রদর্শন করে না। কেননা আমরা জানি, হাইকেন আশি চার্ট এর ক্যান্ডেলগুলো মুলত কাজ করে “প্রাইস এর এভারেজ ক্যাল্কুলেট করার মাধ্যমে”। যার কারনে, এটি কখনোই একটি নির্দিষ্ট টাইমফ্রেম এর মধ্যে ক্যান্ডেল এর নির্দিষ্ট Open কিংবা Close প্রাইস প্রদর্শন করে না।

বুঝতে কষ্ট হচ্ছে নিশ্চয়! চিন্তার কিছুই নেই। চলুন উধারন দেখে নেয়া যাক। তাহলে বিষয়টি আপনাদের জন্য সহজ হয়ে যাবে।

নিচের চিত্রে, মেজর কারেন্সি পেয়ার EUR/USD এর Daily টাইমফ্রেম এর একটি চার্ট আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি। এই চার্টে সাধারন জাপানিজ ক্যান্ডেলস্টিক এর বদলে হাইকেন আশি চার্ট ব্যবহার করা হয়েছে।

অনুগ্রহ করে উপরের চার্টের সর্বশেষ ক্যান্ডেলটির দিকে লক্ষ্য করুন। তাহলে কিছু বিষয় বুঝতে পারবেন-

  • ক্যান্ডেল টির রঙ হচ্ছে লাল। যার অর্থ হচ্ছে, ক্যান্ডেলটির Open প্রাইস থেকে Close প্রাইস হচ্ছে নিচে।
  • ক্যান্ডেলটির Open প্রাইস ছিল, 1.09005
  • ক্যান্ডেলটির Close প্রাইস ছিল, 1.08531

এবার চলুন একই চার্টটি আমরা পুনরায় দেখার চেষ্টা করি, এবার আমরা সাধারন জাপানিজ ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট এর ব্যবহার করবো

অনুগ্রহ করে উপরের চার্টের সর্বশেষ ক্যান্ডেলটির দিকে লক্ষ্য করুন। তাহলে কিছু বিষয় বুঝতে পারবেন-

  • ক্যান্ডেলটির রঙ হচ্ছে সবুজ। যার অর্থ হচ্ছে, ক্যান্ডেলটির Close প্রাইস হচ্ছে এটির Open প্রাইস এর উপরে।
  • অথচ, আমরা যখন হাইকেন আশি চার্ট ব্যবহার করেছিলাম, তখন দেখেছি লাল ক্যান্ডেল প্রদর্শন করছে। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারটির প্রাইস ওই দিনের জন্য ঊর্ধ্বমুখী অবস্থানে থেকেই শেষ হয়।
  • ক্যান্ডেলটির Open প্রাইস ছিল, 1.08373
  • ক্যান্ডেলটির Close প্রাইস ছিল, 1.08706

কি? মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে? চলুন সহজ করার জন্য বিষয়গুলোকে একটি ডায়াগ্রাম এর মধ্যে দেখার চেষ্টা করি।

চার্ট এর ধরনসর্বশেষ ক্যান্ডেলOpen প্রাইসClose প্রাইস
Heikin Ashi CandlestickRed1.090051.08531
Traditional CandlestickGreen1.083731.08706

কোনও পার্থক্য কি বুঝতে পারছেন?

সাধারন ক্যান্ডেলস্টিক চার্টে ক্যান্ডেল সবুজ অবস্থাতে ক্লোজ হলেও হাইকেন চার্ট আমাদের সিগন্যাল দিচ্ছে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারটি এখনও ডাউনট্রেন্ড এর মধ্যেই অবস্থান করছে। যেখানে আসলেই কারেন্সি পেয়ারটি ঊর্ধ্বমুখী অবস্থানেই ছিল।

মনে রাখবেন, আপনাকে বুঝতে হবে, চার্টে কোন প্রাইস দেখছেন।

যেহেতু আপনি রিয়েল টাইম মার্কেট প্রাইস এর আসল Open এবং Close প্রাইস দেখতে পারেন না এটি ব্যবহার করে যার কারনে অনেক ট্রেডারই আছে যারা Heikin Ashi কে প্রাইস চার্ট এর বিপরীতে INDICATOR হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন।

হাইকেন আশি চার্ট প্রকৃত প্রাইসকে অস্পষ্ট করে ফেলে

রিয়েল ট্রেডিং এর জন্য, ক্যান্ডেল এর ক্লোজিং প্রাইস ট্রেডারদের জন্য অনেকবেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু হাইকেন আশি ক্যান্ডেলস্টিক চার্টে প্রতিটি ক্যান্ডেল এর ক্লোজিং প্রাইস প্রদর্শিত হয়না।

কারন, হাইকেন আশি চার্টের ক্লোজিং প্রাইস ক্যাল্কুলেটেড হয় নিচের ফর্মুলায়ঃ

Close = (Open+High+Low+Close) / 4

অর্থাৎ, আপনি শুধুমাত্র এভারেজ ক্লোজিং প্রাইস দেখতে পাবেন।

অর্থাৎ, চার্টে হাইকেন আশি ব্যবহার করার সময় অবশ্যই আপনাকে মনে রাখতে হবে, আপনি ক্যান্ডেল এর যেই ক্লোজিং প্রাইসটি দেখছেন সেটি এভারেজ ক্লোজিং প্রাইস। আসল ক্লোজিং প্রাইস নয়।

আপনি যদি রিয়েল টাইম চার্টটিকে হাইকেন আশি চার্ট থেকে পরিবর্তিত করে সাধারন জাপানিজ ক্যান্ডেলস্টিক চার্টে নিয়ে আসেন তাহলেই এই পার্থক্যটি বুঝতে পারবেন।

ডে ট্রেডার কিংবা স্কাল্পার এর জন্য এই চার্ট খুব ভাল কাজ করে না।

যেহেতু হাইকেন আশি ক্যান্ডেলস্টিক কাজ করার জন্য পূর্বের দুইটি ক্যান্ডেল এর প্রাইস এর প্রয়োজন হয় তাই এটির মাধ্যমে কোনও ট্রেডিং কৌশল ব্যবহার করার জন্য কিংবা ট্রেড সেটাপ এর জন্য লম্বা সময়ের প্রয়োজন পরে।

অন্যদিকে, যারা লংটার্ম ট্রেড করতে পছন্দ করেন যেমন, সুইং ট্রেডার কিংবা পজিশন ট্রেডার তাদের অবশ্য এটিতে তেমন কোনও সমস্যা হয়না। কেননা এই ধরনের ট্রেডাররা এন্ট্রি পজিশন গ্রহন কিংবা সেটিকে ক্লোজ করার জন্য প্রচুর সময় ধরে অপেক্ষা করেন। যার কারনে, যদি ট্রেড সেটাপ এর জন্য বেশি সময়ের প্রয়োজনও হয় তাতে খুব বেশি কিছু আসে যায়না।

তবে যারা ছোট সময়ের জন্য ট্রেড করেন, যেমন ডে-ট্রেডার এবং স্কাল্পার যারা আছেন তাদের জন্য এটি একটি ইস্যু হতে পারে। কেননা, এরা খুব ছোট সময়ের জন্য ট্রেডিং করে থাকেন যার ফলে হাইকেন আশি যদি সময় বেশি নেয় ট্রেন্ড বোঝাতে তাহলে সর্বনাশ হয়ে যেতে পারে।

Categories
Uncategorized

Heikin Ashi কিভাবে চার্টে ব্যবহার করবেন?

Heikin Ashi Chart

– যুক্ত হউন ইউটিউব চ্যানেলে -https://www.youtube.com/@StockNow/videos

Heikin Ashi Chart – আগের আর্টিকেল গুলোতে আমরা হাইকেন আশি সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু তথ্য জেনেছি। এটি কি, সাধারন ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট এর সাথে এটির পার্থক্য এবং কিভাবে হাইকেন আশি ক্যালকুলেট করতে হয় সে সম্পর্কে। এখন হচ্ছে, আমরা দেখবো কিভাবে এই হাইকেন আশি ট্রেডে আমরা ব্যবহার করবো সে সম্পর্কে। অর্থাৎ, হাইকেন আশি কিভাবে চার্টে ব্যবহার করবেন সেটির ব্যবহার আজ আমরা শিখবো

প্রথমেই বলে রাখি, প্রফেশনাল ট্রেডাররা এটি মুলত ব্যবহার করেন মার্কেট প্রাইস হুট-হাট কিংবা এলোমেলো মুভমেন্টগুলো থেকে বাঁচার জন্য। আরও স্পষ্ট করে যদি বলি তাহলে বলতে হবে, মার্কেট এর আসল ট্রেন্ড বোঝার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

যেহেতু মার্কেট এর এলোমেলো মুভমেন্টগুলোকে হাইকেন আশি ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট এর মাধ্যমে বাদ দেয়া যায়, এর কারনে মার্কেট প্রাইস এর বিদ্যমান আসল ট্রেন্ড সম্পর্কে ট্রেডাররা ভাল ধারনা পেয়ে থাকেন। অর্থাৎ, আসল ট্রেন্ড!

আগের আর্টিকেলে আমরা Heikin Ashi Calculation সম্পর্কে বিস্তারিত আলচনা করেছিলাম। যেখানে শিখেছিলাম, এটি মুলত ক্যান্ডেল এর এভারেজ এর মাধ্যমে হিসাব করে চার্ট প্রদান করে থাকে। যার কারনে হাইকেন আশি ক্যান্ডেলগুলোর বিদ্যমান Shadow/Tail গুলো, সাধারন জাপানিজ ক্যান্ডেল এর তুলনায় অনেক কম হয়ে থাকে।

সাধারন জাপানিজ ক্যান্ডেলস্টিক এর মতন যদি ক্যান্ডেল এর উপরে কিংবা নিচে যদি কোনও লম্বা Shadow কিংবা Tail থাকে এটি মুলত শক্তিশালি ট্রেন্ড এর নিরদেশনা প্রদান করে থাকে।

Green candles: যদি হাইকেন আশি এর ক্যান্ডেলগুলোর নিচে কোনও shadow না থাকে তাহলে এটি শক্তিশালী আপট্রেন্ড এর নির্দেশ করে থাকে।

Red candles: যদি হাইকেন আশি এর ক্যান্ডেলগুলোর উপরে কোনও shadow না থাকে তাহলে এটি শক্তিশালী ডাউনট্রেন্ড এর নির্দেশ করে থাকে।

প্রফেশনাল ট্রেডাররা মুলত এটি চার্টে ব্যবহার করেন দুইটি কাজের জন্যঃ

  1. ট্রেন্ড ডিরেকশন এবং,
  2. ট্রেন্ড এর শক্তি পরিমাপ করার জন্য।

সুতরাং, আপনি যদি মার্কেট ট্রেন্ড সহজে বুঝতে চান এবং ট্রেন্ডে থেকে প্রফিট গ্রহন করতে চান তাহলেই আপনার জন্য এই Heikin Ashi Chart ।

Heikin Ashi Chart ব্যবহার করে কিভাবে ট্রেন্ড বুঝবেন?

হাইকেন আশি ক্যান্ডেলস্টিক চার্টে আমরা শুধুমাত্র দুই রঙের (লাল এবং সবুজ) মসৃণ ক্যান্ডেল দেখতে পাই। যেখানে, সবুজ রঙের ক্যান্ডেল, আপট্রেন্ড এর নির্দেশ করে এবং লাল রঙের ক্যান্ডেল ডাউনট্রেন্ড এর নির্দেশনা প্রদান করে থাকে। নিচের চার্টে এর অর্থ খুজে পাবেন।

Heikin Ashi Chart এর মাধ্যমে ট্রেন্ড এর শক্তি নিরূপণ

মার্কেট ট্রেন্ড এর শক্তি পরিমাপ করার জন্য মুলত এর ক্যান্ডেল এর Shadow কিংবা Tail কাজ করে থাকে। অর্থাৎ আপনি চার্টে ক্যান্ডেল Shadow এর দিকে লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারবেন বিদ্যমান মার্কেট ট্রেন্ড এর শক্তি কি রকমের আছে। নিচের চিত্রটি ভাল করে লক্ষ্য করুন।

চিত্রটি ভাল করে লক্ষ করে বুঝতে পারেন, অনেকগুলো সবুজ রঙের ক্যান্ডেল রয়েছে যেটির নিচে কোনও Shadow কিংবা Tail নেই। লাল রঙের ক্যান্ডেলগুলোর ক্ষেত্রে ঠিক এর বিপরীত অর্থাৎ, উপরে কোনও Shadow কিংবা Tail নেই।

অর্থাৎ, ট্রেন্ড এর সময় ক্যান্ডেলগুলো বিপরীতদিকে কোনও Shadow প্রদান করে না।

যখন দেখবেন, ক্যান্ডেলে কোনও Shadow কিংবা Tail নেই তখন বুঝবেন, প্রাইস শক্তিশালী ট্রেন্ডে রয়েছে।

সুতরাং, Heikin Ashi Chart টার্মিনালে ব্যবহার করে বিদ্যমান ট্রেন্ড এর শক্তি নিরূপণ করার জন্য শুধুমাত্র আপনাকে দেখতে হবে বিদ্যমান ক্যান্ডেলগুলোতে কি কোনও Shadow রয়েছে কিনা!

যেসকল ক্যান্ডেলগুলোতে কোনও shadow থাকে না সেগুলোকে ট্রেডিং এর ভাষায় বলা হয়ে থাকে “shaved candles“।

ক্যান্ডেল এর যেদিকে কোনও shadow থাকে না সেগুলোকে আবার ভিন্ন নামেও ডাকা হয়ে থাকে। যেমন ধরুন, এই নিচের চিত্রটি।

অর্থাৎ, যেই ক্যান্ডেলের নিচে কোনও Shadow না থাকে তাহলে তাকে ডাকা হয় “shaved bottom“ নামে। এবং যেই ক্যান্ডেলের উপরে কোনও Shadow না থাকে তাহলে তাকে ডাকা হয় “shaved head“ নামে।

একটি বিষয় সবসময়ই মনে রাখবেন, Heikin Ashi Chart এর বিদ্যমান ক্যান্ডেলগুলোর রঙ যাই হোক না কেন এটিতে আমাদের দেখতে হবে ক্যান্ডেলগুলো কি আকৃতির গঠিত হচ্ছে। অর্থাৎ, এর উপরে কিংবা নিচে কোনও Shadow আছে কিনা। এতে করে আপনি ভবিষ্যৎ প্রাইস এবং ট্রেন্ড সম্পর্কে কিছুটা ধারনা পেতে পারেন।

Categories
Uncategorized

Bollinger Bands

Bollinger bands মাধ্যমে বাজারের পরিবর্তন(ওঠানামা) পরিমাপ করা হয়। মুলতঃ এই অনুসংঘটি আমাদের বাজার কখন স্থির কিম্বা প্রসারিত এই সম্পর্কে ধারণা দেয়।যখন বাজার স্থির থাকে তখন ব্যান্ডগুলো সংকুচিত হয় এবং যখন বাজার বিস্তৃতি লাভ করে তখন ব্যান্ডগুলো প্রসারিত হয়।লক্ষ্য করুন,নিন্ম চিত্রে যখন দামের তেমন কোন পরিবর্তন ঘটে না তখন ব্যান্ডগুলো পরস্পরের কাছাকাছি অবস্থান করে আর যখন দাম বাড়তে শুরু করেছে তখন ব্যান্ডগুলো ছড়িয়ে গেছে। বলিংঙ্গার ব্যান্ডের একটি দিক সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকা প্রয়োজন তা হচ্ছে মূল্যের প্রবণতাই থাকে ব্যান্ডের মাঝামাঝিতে ফিরে আসা।এটি হচ্ছে বলিংঙ্গার বাউন্সের মূল ধারনা। যদি তাই হয় তবে নিন্মোক্ত চিত্র পর্যবেক্ষন করে বলুন দাম পরবর্তীতে কোনদিকে যাবে? যদি আপনি বলেন দাম নিচে নেমে আসবে তবে তা সঠিক। আপনি দেখতে পাচ্ছেন দাম আবার ব্যান্ডের মাঝামাঝি স্থানে ফিরে এসেছে। আপনি এইমাত্র যা পর্যবেক্ষন করলেন তা একটি ক্লাসিক বলিংঙ্গার বাউন্স। এই বাউন্সটি সংঘটিত হয়েছে কারন বলিংঙ্গার ব্যান্ডটি একটি ছোটখাটো সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স হিসেবে কাজ করেছে।যত বেশি সময় আপনি বলিংঙ্গার ব্যান্ডে যুক্ত করবেন তত ব্যান্ডগুলি শক্তিশালী হবে।অনেক ট্রেডাররা বলিংঙ্গার বাউন্সেকে কাজে লাগিয়ে সফল হয়েছেন এবং এই স্ট্র্যাটিজি সবচেয়ে সফল যখন বাজার বিস্তৃতি লাভ করে এবং যখন অনান্য ট্রেন্ডগুলি হতে আমরা সুস্পষ্ট ইংগিত পাই না। একটি ট্রেন্ড বুঝার জন্য।

Bollinger bands are used to measure a market’s volatility. Basically, this little tool tells us whether the market is quiet or whether the market is LOUD! When the market is quiet, the bands contract; and when the market is LOUD, the bands expand. Notice on the chart below that when the price was quiet, the bands were close together, but when the price moved up, the bands spread apart. The Bollinger Bounce One thing you should know about Bollinger Bands is that price tends to return to the middle of the bands. That is the whole idea behind the Bollinger bounce. If this is the case, then by looking at the chart below, can you tell us where the price might go next? If you said down, then you are correct! As you can see, the price settled back down towards the middle area of the bands. That’s all there is to it. What you just saw was a classic Bollinger bounce. The reason these bounces occur is because Bollinger Bands act like mini support and resistance levels. The longer the time frame you are in, the stronger these bands are. Many traders have developed systems that thrive on these bounces, and this strategy is best used when the market is ranging and there is no clear trend.

Categories
Uncategorized

Bollinger Squeeze

Bollinger Squeeze

Bollinger স্কুইজ দেখেই আমরা এর বৈশিষ্ট্য বুঝতে পারি। যখন ব্যান্ডগুলো পরস্পর সংকুচিত হয় তার অর্থ হলো ব্রেকাউটের সমূহ সম্ভাবনা আছে ।যদি ক্যান্ডেলস্টিকগুলো উপরের ব্যান্ডকে অতিক্রম করে যায় এবং স্থায়ী হয় তবে তা uptrend নির্দেশ করে।আর যদি ক্যান্ডেলস্টিকগুলো নিচের ব্যান্ডকে অতিক্রম করে তবে তা ট্রেন্ডে downtrend নির্দেশ করে।চার্ট –এ আপনি দেখতে পাচ্ছেন ব্যান্ডগুলো পরস্পরের দিকে সংকুচিত। পরের দিন একটি bullish Candlestick তৈরি করেছে। পরের দিন দাম Bollinger এর উপরের ব্যান্ডকে অতিক্রম করছে। এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে আপনি কি সিদ্ধান্ত নিবেন? যদি আপনি ভাবেন uptrend তবে আপনার ধারনা সঠিক। চিত্র টি লক্ষ্য করুন। সাধারণতঃ এইভাবে বলিংঙ্গার স্কুইজ কাজ করে। এই স্ট্র্যাটিজি এভাবে তৈরিকরা হয়েছে যাতে আপনি তড়িৎ একটি ট্রেন্ড বুঝতে পারেন। তবে আপনাকে অবশ্যই কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে কারন পরের দিন ব্যান্ডটি স্কুইজ না ও করতে পারে। কিন্তু যদি স্কুইজ করে তবে ধরে নিতে হবে স্কুইজটি বেশ কয়েকদিন স্থায়ী হবে এবং খুব বর একটি দামের পরিবরতিন ঘটবে। এ ধরনের বৈশিষ্ট্য প্রতিদিন খুঁজে পাওয়া যায় না কিন্তু আপনি সপ্তাহের কোন কোন সময় এই বৈশিষ্ট্য খুঁজে পাবেন যদি আপনি ৫/৭ দিনের চার্ট পর্যবেক্ষন করেন।

Categories
Uncategorized

শেয়ার মার্কেট সম্পর্কিত ২৭টি প্রাথমিক পরিভাষা / Share Market Related 27 Basic Terms & Abbreviations.

যারা নতুন শেয়ার মার্কেটে আসতে চাচ্ছেন তাদের শেয়ার মার্কেটে ব্যবহৃত বেসিক কিছু টার্ম সম্পর্কে ধারণা থাকাটা খুব জরুরি। এই টার্ম গুলো সম্পর্কে ধারণা থাকলে আপনি সহজেই শেয়ার মার্কেটের সকল website, news বুঝতে পারবেন ।

চলুন তবে শেয়ার মার্কেটের একদম বেসিক কিছু টার্ম সম্পর্কে খুব সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক।

Trading CodeLTP*HighLowClosep*YCP*ChangeTradeValue (Mn)Volume
ABC20.82019.920.8200.857038.83319,074
XYZ105.1107.3102.1105.1103.61.599363.91560,808


১. Trading Code/ Stock Symbol :

কোনো একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির সংক্ষিপ্ত রূপ যা দ্বারা স্টক এক্সচেঞ্জ কোনো স্টককে সনাক্ত করে।যেমনঃBATBC দ্বারা British American Tobacco Bangladesh Company Limited, ALARABANK দ্বারা  Al-Arafa Islami Bank Limited  কে বোঝায়।

২. LTP/ Last Traded Price:

সর্বশেষ শেয়ারটি কত দামে ক্রয় বিক্রয় হয়েছে।উপরের ছবিতে  XYZ কোম্পানিটি 105.1 টাকা লেনদেন হয়েছে।

৩. High:

আজকের সর্বোচ্চ কত টাকায় শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে।

৪. Low:

আজকের সর্বনিম্ন কত টাকায় শেয়ারটি ক্রয় বিক্রয় হয়েছে।

৫. Closep/closing price:

আজকের শেয়ারটি সর্বশেষ কত টাকায় ক্রয় বিক্রয় করা হয়েছে। ট্রেডিং আওয়ার শেষে শেয়ারটি দাম কত দিত।

৬. Change:

একটি শেয়ার গত দিনের তুলনা বর্তমানে কত টাকা হ্রাস/বৃদ্ধি পেয়েছে।  Change=YCP-LTP

৭. %Change:

 গতদিনের দামের তুলনায় আজকে শতকরা কত হ্রাস/বৃদ্ধি পেয়েছে তা বুঝায়।

%change=(LTP-Current Price)×100/Current price

৮. YCP/Yesterday’s closing price.

গতকালের ট্রেডিং আওয়ার শেষে শেয়ারটির মূল্য কত ছিলো তা নির্দেশ করে YCP

৯. Trade:

ট্রেড দ্বারা মোট কতবার লেনদেন হয়েছে তা বুঝায়।

১০. Value:

সর্বমোট কতটাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে তা মিলিয়নে নির্দেশ করে।

১১. 52 weeks Moving Range/52WH-52WL

একটি শেয়ার গত ৫২ সপ্তাহে সর্বোচ্চ কত টাকায় এবং সর্বনিম্ন কত টাকায় লেনদেন হয়েছে তা নির্দেশ করে 52 Week Moving Range,যেমনঃ XYZ শেয়ারের 52 Week Moving Range 81-28,অর্থাৎ৫২ সপ্তাহে XYZ শেয়ারের সর্বোচ্চ মূল্য ছিল 81 টাকা & সর্বনিন্ম মূল্য ছিল ২৮ টাকা (52WH=81, 52WL=28) ।

১২. Ask Price:

একজন বিক্রেতা সর্বনিম্ন যে দামে শেয়ার বিক্রি করতে চায়।

১৩. Bid Price:

একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ যে দামে শেয়ার কিনতে চায়।

১৪. Portfolio:

সামগ্রিক দিক থেকে আপনার সংগৃহীত সকল শেয়ার,স্টক,বন্ড,মিউচু্য়াল ফান্ডে ইত্যাদির সমষ্টি ছক হলো আপনার portfolio.

১৫. Sector/খাতঃ

সমজাতীয় কোম্পানির শেয়ারের গ্রুপকে এক একটি Sector/খাত বলে।

১৬. Share Market Index:

শেয়ার বাজারের নিবন্ধিত সকল শেয়ারের বা নির্বাচিত কিছু শেয়ারের মানদণ্ড /benchmark  হলো শেয়ার বাজারের সূচক।এটি দ্বারা শেয়ার বাজারের কিছু  বা সমস্ত শেয়ারের মান/value  পরিমাপ কে বোঝায় যায়। DSEX,DS30, DSES এগুলো হচ্ছে DSE এর বিভিন্ন Index.

১৭. Circuit Breaker:

Circuit Breaker বলতে একটি নির্দিষ্ট দিনে শেয়ার price এর সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দামের একটি সীমাকে বোঝায়। সীমা/Range এর বেশি বা কম দামে শেয়ার লেনদেন হতে পারবে না।  

১৮. Circuit low:

একটি শেয়ারের দাম আজকের দিনে সর্বনিম্ন কত হতে পারবে। অর্থাৎ circuit low price এর চেয়ে কম দামে শেয়ার লেনদেন করা যাবে না।

 ১৯. Circuit up:

একটি শেয়ারের দাম আজকে সর্বোচ্চ কত হতে  পারবে। অর্থাৎ circuit up price এর চেয়ে বেশি দামে শেয়ার লেনদেন করা যাবে না ।

২০. Volatility:

শেয়ার price এর দ্রুত up/down হওয়ার বিষয়টিকে বোঝায় volatility.

২১. Bull Market:

শেয়ার মার্কেটে যখন শেয়ারের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে অর্থাৎ মার্কেট uptrend এ রয়েছে তখন ঐ মার্কেটকে Bull Market বলে।Bull market এ বিনিয়োগকারীরা শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পাবে  এই প্রত্যাশা রাখে।


২২. Bear Market:

শেয়ার মার্কেটে যখন শেয়ারের দাম ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে অর্থাৎ মার্কেট Downtrend এ রয়েছে তখন ঐ মার্কেটকে Bear Market বলে। Bear market এ বিনিয়োগকারীরা শেয়ারের দাম হ্রাস পাবে  এই প্রত্যাশা রাখে।

২৩. Share Category:

শেয়ার বাজারে বিভিন্ন মানদণ্ড অনুযায়ী কোম্পানি গুলোকে বিভিন্ন category তে ভাগ করা হয়েছে।A,B,N,Z শেয়ারের বিভিন্ন category.

২৪. Broker:

যে ব্যক্তি নির্দিষ্ট ফি/ Commission এর বিনিময়ে বিনিয়োগকারীর পক্ষে শেয়ার ক্রয় বিক্রয় করে।

২৫. Bid Ask Spread:

Bid price ও Ask price এর পার্থক্য কে Spread বলে।

২৬. Market Capitalisation:

শেয়ার বাজার একটি কোম্পানির সামগ্রিক মূল্যই হচ্ছে কোম্পানির Market capitalisation.অর্থাৎ একটি কোম্পানির সকল শেয়ারের বর্তমান মার্কেট price  কে Market capitalisation বলে।

২৭. Divident:

কোম্পানির মোট আয়ের যে অংশ শেয়ারহোল্ডারদের কে বিতরণ করা হয়।

    শেয়ার মার্কেটে আরো অনেক টার্ম/Abbreviation ব্যবহৃত হয়,সেগুলো জানতে  আমাদের website follow করুন।আর যদি আপনি শেয়ার মার্কেট বিষয়ক অন্য যেকোনো টার্ম জানতে চান তাহলে কমেন্ট করে জানান আমরা তা আপনাকে জানানোর চেষ্টা করব।

Categories
Uncategorized

শেয়ার ও শেয়ার মার্কেট কি? / What is share and share market?

শেয়ার কি?/ What is Share?

শেয়ার হচ্ছে একটি কোম্পানির মালিকানার অংশ বা কোনো কোম্পানির মূলধনের একটি অংশকে শেয়ার বলে।অর্থাৎ কোম্পানি তার মূলধনকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে ভাগ করলে সেই প্রত্যেকটি অংশকে একটি শেয়ার বলে।

কোম্পানি মূলধন সংগ্রহের জন্য এই শেয়ার জনগণের নিকট বিক্রয় করতে পারে।জনগণের নিকট শেয়ার বিক্রয়ের জন্য কোম্পানিকে শেয়ার মার্কেটে নিবন্ধিত হতে হয়। শুধুমাত্র নিবন্ধিত কোম্পানির শেয়ার আমরা শেয়ার মার্কেট থেকে কিনতে পারি।আর এই একটি শেয়ার কেনার মাধ্যমে যে কেউ কোম্পানির একটি ক্ষুদ্র অংশের মালিক হতে পারে।

শেয়ার মার্কেট কী? What is Share Market?

যে মার্কেটে শেয়ার কেনা-বেচা হয়ে থাকে সেটিই শেয়ার মার্কেট।এখানে শুধুমাত্র নিবন্ধিত শেয়ার বিক্রি করা হয়ে থাকে।এবং এখানে শেয়ার ছাড়াও অন্যান্য ফাইন্যানশিয়াল ইন্সট্রুমেন্ট লেনদেন করা হয়ে থাকে। যেমনঃ বন্ড,মিউচুয়াল ফান্ড, ডিবেঞ্চার ইত্যাদি।

আমাদের দেশে দুটি শেয়ার মার্কেট আছে।

১/ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ।

২/চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ। 

শেয়ার মার্কেট প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে – 

ক) প্রাইমারী শেয়ার মার্কেট।

খ)সেকেন্ডারী শেয়ার মার্কেট।

ক) প্রাইমারী শেয়ার মার্কেট/ Primary Share Market:

কোনো কোম্পানি যখন জনগণের নিকট শেয়ার বিক্রি করতে চায় তখন সেই কোম্পানি প্রথমে মার্কেটে নিবন্ধিত হয়।এই নতুন নিবন্ধিত কোম্পানির শেয়ার যে মার্কেটে লেনদেন করা হয় সেই মার্কেটই হলো প্রাইমারী শেয়ার মার্কেট।প্রাইমারী শেয়ার মার্কেটে সিকিওরিটি বা শেয়ার তৈরি করা হয়। এই বাজারে কোম্পানিগুলি প্রথমবারের জন্য জনগণের কাছে নতুন স্টক এবং বন্ড বিক্রি করে করে। আইপিও (Initial public offering/IPO) প্রাথমিক বাজারের একটি উদাহরণ। IPO এর মাধ্যমে নতুন কোম্পানি শেয়ার বাজারে আসে। আমাদের দেশে  আইপিও শেয়ারের চাহিদা অনেক বেশি থাকে। কারন আইপিও শেয়ার গুলিতে লোকসান হবার সম্ভবনা খুবি কম । প্রাইমারী শেয়ার মার্কেটে নতুন শেয়ার এর দাম ফিক্স থাকে। 

খ)সেকেন্ডারী শেয়ার মার্কেট/ Secondary Share Market :

প্রাইমারী শেয়ার মার্কেটে যে সকল শেয়ার ইস্যু করা হয় সেই শেয়ার গুলো পরবর্তীতে সেকেন্ডারী মার্কেটে ক্রয় বিক্রয় করা হয়।অর্থাৎ সেকেন্ডারী মার্কেটে পূর্বে ইস্যুকৃত বিদ্যমান শেয়ারগুলোকে ক্রয় বিক্রয় করা হয়। আমাদের দেশের সেকেন্ডারী শেয়ার মার্কেট এর শেয়ার গুলো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এ ক্রয় বিক্রয় করা হয়। সেকেন্ডারী মার্কেটে শেয়ার এর দাম চাহিদা অনুযায়ী উঠানামা করে। 

উদাহরণ ঃ XYZ কোম্পানি শেয়ার বিক্রির এর মাধ্যমে মূলধন বারাতে চাচ্ছে। তাহলে কোম্পানিটি শেয়ার মার্কেট নিবন্ধন এর অনুমদন নিয়ে কোন underwriter এর মাধ্যমে জনগনের নিকট প্রাথমিক শেয়ার মার্কেট এ শেয়ার বিক্রি করবে। সেই শেয়ার গুলো কিনবে সাধারন মানুষ, বিভিন্ন দেশি বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও  উক্ত প্রতিষ্ঠানের  ডিরেক্টর । পরবর্তীতে ওই শেয়ারগুলো  যারা  কিনেছে তারা নিজেদের মধ্যে ক্রয় বিক্রয় করবে সেকেন্ডারী শেয়ার মার্কেট বা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এ।

Categories
জিজ্ঞাসা

ক্যান্ডেলস্টিক কি? candle এর উপরের এবং নিচের চিকন রেখাগুলি কি?

Candlesticks

ট্রেডিং চার্টে আমরা ৩ প্রকোর চার্ট দেখতে পাই Bar Chart, Candlesticks এবং Line chart. এর মধ্যে Candlesticks হল সবচেয়ে জনপ্রিয়. এই Candlesticks ফর্মুলা জাপানীদের তৈরি। কারন, এই Candlesticks এর কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট আছে যার দ্বারা ট্রেডিং মার্কেটের ট্রন্ড, অবস্থান, আচরন এবং ট্রেডিং দিক নির্দেশনা পাওয়া যায়. ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট টেকনিক্যাল এনালাইসিস এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

ক্যান্ডেলস্টিক চার্টে আপনি দু-ধরনের ক্যান্ডেল পাবেন, একটি হল বায় ক্যান্ডেল এবং আরেকটি হল সেল ক্যান্ডেল। বায় ক্যান্ডেল সাধারণত(Green or May be Hollow) এবং সেল ক্যান্ডেল (Red or May be Filled) কালার হয়ে থাকে। অবশ্য আপনি চাইলে আপনার পছন্দমত কালারে সাজাতে পারেন। ক্যান্ডেল এর মুল বডি’র উপরে-নিচে যে দুটি রেখা থাকে সেগুলোকে Shadow বলা হয়, উপরেরটিকে আপার শেডো এবং নিচের টিকে লওয়ার শেডো বলা হয়।

প্রাইস যদি ক্যান্ডেল এর নিচ থেকে শুরু(Open) করে উপর দিকে শেষ(Close) হয় তখন তাকে বায় ক্যান্ডেল বলা হয় এবং প্রাইস উপর থেকে শুরু(Open) হয়ে নিচের দেকে শেষ(Close) হয় তাকে সেল ক্যান্ডেল বলা হয়। অর্থাৎ একটি ক্যান্ডেলে আপনি চারটি প্রাইস ভেলু পাবেন, Open, Close, High and Low. এবং আপনি যে টাইম ফ্রেমে থাকবেন এক একটি ক্যান্ডেল এর ব্যাপ্তি হবে সেই সময় পর্যন্ত।

Categories
জিজ্ঞাসা

Technical Indicator কী ? জনপ্রিয় টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর সম্পর্কে বলবেন ?

Technical Indicator হল ট্রেডিং করার একটি টুল । যা আপনাকে ট্রেডিংয়ের জন্য কখন প্রবেশ করা উচিত, কখন বাহির হওয়া উচিত এবং কোথায় স্টপ লস দেওয়া উচিত তার দিক নির্দেশ করে ।Technical Indicator সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নীচের অ্যাটিক্যালটি পড়ুন ।

Technical Indicator কী ?

Technical Indicator এক ধরনের নির্দেশক , যা আপনাকে প্রাইস বাড়বে কি কমবে তার আগাম দিক নির্দেশ করে ।যদি আপনার ট্রেড নেওয়ার পরিকল্পনা থাকে কিন্ত কখন প্রবেশ করা উচিত এবং কখন বের হওয়া উচিত সেই সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা নিতে সাহায্য করে টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর ।এছাড়া টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর বাজারের ট্রেন্ড বুঝতে সাহায্য করে ।

আজকের ব্লগে আমি আপনাদের সাথে কিছু জনপ্রিয় Technical Indicator সম্পর্কে আলোচনা করব যার সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি লাভজনক ট্রেড করতে পারবেন ।

Heikin Ashi :

এই ইন্ডিকেটর ব্যবহার করে ট্রেন্ড চিহ্নিত করা যায় ।Heikin Ashi কিভাবে পড়বেন নিন্মে আলোচনা করা হল-

১) লং গ্রীন ক্যান্ডেল একসঙ্গে গঠন হবে , তার নীচে কোন shadow না থাকলে Bullish Trend ।

Bollinger Bands

Bollinger Bands ইন্ডিকেটরের  সাহায্যে স্টকের volatility এবং স্টকের সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স নির্ণয় করা যায় ।ব্রান্ড যত বড় হবে Volatility তত বেশি । ব্রান্ড যত ছোট হবে Volatility তত কম হবে ।

আপার লাইন টাচ করলে রেজিস্ট্যান্স এবং লোয়ার লাইন টাচ করলে সাপোর্ট ।প্রাইস সবসময় মাঝখানে চলে আসে ।

সাইডওয়ে মার্কেটের জন্য এই ইন্ডিকেটর উপযুক্ত ।

নীচের লাইন টার্চ করলে বাই (Buy) এবং উপরের লাইন টার্চ করলে সেল (Sell) ।

ইন্ট্রাডে ট্রেডিং করার জন্য ১৫ মিনিট চার্টে এবং সুইং ট্রেডিং করার জন্য ৪ঘন্টা কিংবা এক দিনের চার্টে আনালাইসিস করতে

হবে ।

MACD

এই Technical Indicator বিনিয়োগকারীদের  momentum নির্ণয় করতে  সাহায্য করে ।যখন MACD ‘০’  উপরে চলে যাবে তখন প্রাইস uptrend এবং MACD যখন ‘০’ নীচে চলে যাবে তখন Down trend প্রবেশ করে ।

এই ইন্ডিকেটর দুটি লাইন নিয়ে গঠিত, একটি MACD এবং অন্যটি Signal line । সেটি খুব ধীরে ধীরে পরিবর্তন হয় ।

যখন MACD , Signal line এর নীচে চলে যাবে তখন প্রাইস নীচের দিকে যাবে , যখন MACD , signal line এর উপরে যাবে , তখন প্রাইস উপরের দিকে যাবে ।

যদি ইন্ডিকেটর ‘০’ উপরে থাকে , তখন লক্ষ্য করুন MACD ক্রস করে signal line এর উপরে , তখন সেটি কেনার সংকেত ।

যদি ইন্ডিকেটর ‘০’ নীচে থাকে এবং MACD ক্রস করে signal line এর নীচে তখন সেল করার সংকেত দেয় ।

অবশ্যই মনে রাখবেন Bollinger Bands এর সাথে  Moving Average একসাথে ব্যবহার করা যাবে না ।

২) লং রেড ক্যান্ডেলের লোয়ার স্যাডো থাকলে Bearish Trend ।

৩) শর্ট ক্যান্ডেলের ওপর নীচ স্যাডো থাকলে consolidation Candle । এই সময় ট্রেন্ড রিভারশেল হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয় ।

৪) ক্যান্ডেল ছোট হতে শুরু হলে upper trend দুর্বল হতে শুরু করছে ।

৫) বেয়ারিশ ট্রেন্ডের আপার স্যাডো গঠন হলে Bearish Trend দুর্বল হচ্ছে ।

ADX (Average Directional Index )

ADX এর সাহায্য ট্রেন্ড কতটা শক্তিশালী তা পরিমাপ করা হয় ।

ADX 40 এর উপরে থাকলে প্রাইসের একটি ট্রেন্ড আসে সে উপরে কিংবা নীচে যেকোন দিকে হতে পারে ।যখন ADX ইন্ডিকেটর ২০ নীচে থাকে তখন ট্রেন্ড দুর্বল হচ্ছে কিংবা নন ট্রেন্ডের দিকে যাচ্ছে ।

ADX হল মেইন ইন্ডিকেটর যার রং কালো । এছাড়া দুটো অতিরিক্ত লাইন থাকে সেগুলি হল DMI+ এবং DMI- , এই লাইনগুলোর রং লাল এবং সবুজ হয় । এই তিনটি লাইন একসঙ্গে কাজ করে স্টকের ট্রেন্ডের দিক নির্দেশ করে ।

MDI (Market Direction Indicator)

স্টক প্রাইস MDI কে উপরে ক্লস হলে Buy Signal । স্টক প্রাইস MDI নীচে এসে ক্লস হলে Sell Signal ।

RSI (Relative strength index )

RSI মূল ব্যবহার হল overbought এবং oversold নির্ণয় করার জন্য ।যখন RSI 70 এর উপরে থাকবে তখন সেটি overbought এবং RSI যখন ৩০ নীচে থাকবে তখন সেটি oversold zone ।

আজকের ব্লগে জনপ্রিয় ছয়টি Technical Indicator সম্পর্কে আলোচনা করা হল। আশা করি এই ব্লগটি মন দিয়ে পড়লে আপনাদের Technical Analysis করতে অনেক সুবিধা হবে । আপনারা টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস করার জন্য এই ওয়েবসাইটি ব্যবহার করতে পারেন ।

Categories
জিজ্ঞাসা

Moving Averages আসলে কি এবং কিভাবে আপনি আপনার Trade-এ Moving Averagesব্যাবহার করবেন ?

✅ Moving Average কাকে বলে?

Moving Average এর Definition দিতে গেলে Statistics এর সাহায্য নিতে হয় যেখান থেকে এটার উৎপত্তি। যখন অনেকগুলো সংখ্যার Series থেকে অল্প কতকগুলো সংখ্যাকে নিয়ে পরপর গড় করা হয় তখন তাকে Moving Average বলা হয়।

আবার অন্য ভাবে বলতে গেলে, Stock Market এর ক্ষেত্রে Moving Average হল একটি গাণিতিক পদ্ধতি যার সাহায্যে একটি কোম্পানীর বা কোনো প্রোডাক্টের (Currency, Commodity etc) অতীতের কিছু নির্দিষ্ট দিন সংখ্যার গড় দামের চলমান হিসেব।

শুনতে একটু জটিল মনে হলেও এটা একটি খুব সহজ অঙ্কের মাধ্যমে বের করা যায় বা বোঝা যায়। তবে এটা বোঝার জন্য আপনাকে খুব একটা শিক্ষিত হতে হবে না, বা অঙ্কেও ভালো হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। আপনি যদি বাজারে সব্জি কিনে বা মুদির দোকানে গিয়ে ঠিক মত পয়সার হিসাব বুঝে নিতে পারেন তাহলেই যথেষ্ট। শুধু অল্প একটু যোগ আর ভাগ জানা দরকার।

✅ কিভাবে Moving Average বের করবেন?

আমি আশা করি আপনি গড় হিসাব করা জানেন। যদি নাও জানেন তাহলে দেখুন কিভাবে কয়েকটা সংখ্যার গড় হিসাব করা হয়।

মনে করুন 5 টি ছাত্রের বয়স হল যথাক্রমে

11, 17, 13, 16, 9 বছর।

তাহলে তাদের মোট বয়স

= 10+17+13+16+9 = 65 বছর

তাহলে বুঝতে পারছেন যে মোট বয়স বের করা খুব সহজ। শুধু সব গুলো যোগ করে দিতে হবে।

এবার আমরা ওই 5 জন ছাত্রের গড় বয়স বের করব। কিভাবে সেটা দেখুন।

গড় বয়স = মোট বয়স / ছাত্রের সংখ্যা

= 65 / 5 = 13 বছর

এখন গড় বলতে হল Average. তাহলে একই রকম ভাবে একটি কোম্পানির কয়েক দিনের গড় দাম বের করাটা খুব সহজ।

মনে করুন গত 15 দিনে ITC এর শেয়ারের দাম হল যথাক্রমে

223, 222, 220, 218, 217, 211, 214, 214, 217, 220, 227, 232, 234, 234, 233

তাহলে ওপরের 15 দিনের দামের তালিকা থেকে আমি যদি প্রথম 3 দিনের গড় দাম বের করি তাহলে হিসাবটি দেখুন-

প্রথম 3 দিনের দামের যোগফল

= 223 + 222 + 220

= 665

তাহলে আগের মতোই যদি 3 দিনের গড় হিসাব করি তাহলে হিসেবটা হবে

প্রথম 3 দিনের গড় দাম

= মোট দাম / 3

= 665 / 3

= 221.66 টাকা

তাহলে প্রথম 3 দিনের গড় দাম বা Average হল 221.66 টাকা।

এখন প্রশ্নটা হল, Moving Average তো একটা Line বা রেখা দিয়ে প্রকাশ করা হয়। আর সেটা পেতে গেলে পর পর অনেক গুলো Average এর মান পেতে হবে। সেটা কিভাবে পাওয়া যাবে?

আমরা প্রথম টা পেয়েছিলাম নিচের Highlighted তিনটে সংখ্যা থেকে উপরের নিয়ম মেনে।

223, 222, 220, 218, 217, 211, 214, 214, 217, 220, 227, 232, 234, 234, 233

পরের টা পাওয়া যাবে নিচে Highlight করা তিনটে সংখ্যা থেকে।

223, 222, 220, 218, 217, 211, 214, 214, 217, 220, 227, 232, 234, 234, 233

তাহলে পরের Moving গড়টি হবে

= ( 222 + 220 + 218 ) / 3

= 660/3

= 220

তার পরেরটা হবে নিচে Highlight করা সংখ্যা তিনটে থেকে

223, 222, 220, 218, 217, 211, 214, 214, 217, 220, 227, 232, 234, 234, 233

একই রকম ভাবে তার পরেরটা হবে

223, 222, 220, 218, 217, 211, 214, 214, 217, 220, 227, 232, 234, 234, 233

একটু ভালো করে লক্ষ্য করে দেখুন হলুদ রঙে ঘেরা তিনটে সংখ্যা পরপর বদলাচ্ছে। প্রত্যেক ধাপে আগের Average থেকে প্রথম সংখ্যাকে বাদ দিচ্ছে আর পরের একটি সংখ্যাকে নিয়ে নতুন Average তৈরি করছে। এই কারনে এদের Moving Average বলা হয়। যদি বাংলায় বলতে চাই তাহলে একে শুধু গড় না বলে এক সঙ্গে চলমান গড় বলব আমরা।

এখানে আমরা 3 দিনের MA নিয়ে আলোচনা করলাম। এখন যদি আমাদের 3 দিনের জায়গায় 5, 7, 11, 50, 100 বা 200 দিনের MA দরকার হয় তাহলেও একই নিয়মে আমরা সেগুলোকে বের করতে পারবো। নিচের তালিকাটিতে এর কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হল সেটি দেখুন কিভাবে MA এর মান গুলো আমরা পাই।

Moving Average:

এটা দেখে মনে হচ্ছে 100 বা 200 দিনের MA বের করা তো অনেক সংখ্যার হিসাব করতে হবে। তবে আপনারা জানেন যে এটা আমাদের হাতে করার দরকার হয়না। কারন সমস্ত Charting Platform এই এটা দেওয়া থাকে। আমরা সেখানে থেকে যে কোনো MA ব্যাবহার করতে পারি।

✅ Moving Average কত প্রকারের হয় ?

ওপরে আমরা যে হিসেবটা দেখলাম সেটাকে Simple Moving Average (SMA) বলা হয়। এটা বাদেও Trader রা এটিকে একটু আধটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যাবহার করে থাকেন এবং অঙ্কের নিয়মের সাথে বিভিন্ন নাম দেন। যেমন এর আগেও আলোচনা করা হল –Exponential Moving Average বা EMA হল আরেকটি খুব জনপ্রিয় MA, যেখানে নিকটবর্তী দামকে হিসাবে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। SMA এর থেকে EMA বেশি Price Sensitive হয় বা খুব তাড়াতাড়ি Stock Price এর পরিবর্তের সাথে বদলায়।এছাড়া আছে Volume Weighted Moving Average যেখানে MA এর সাথে Trading Volume কে হিসাবের মধ্যে যোগ করা হয়।এই প্রকার আপনি আরো অনেক MA পাবেন যার মুখ্য ধারণা বা হিসেবটা একই কিন্তু একটু উনিশ বিশ করে হিসাবটা করা হয়।

✅ কিভাবে Trade এ ব্যাবহার করবেন ?

এখন সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল যে আমরা কিভাবে এটিকে আমাদের Trading বা Investing এর সময় ব্যাবহার করব, যাতে আমরা বাজার থেকে লাভ করতে পারি বা লোকসান কম হয়। এটির ওপর আমি বিস্তারিত ভাবে ব্যাখ্যা করে আরেকটি প্রবন্ধ লিখব।👉 তবে এখানে সংক্ষেপে একটু দেখে নিই যে আমরা সেখানে কি কি শিখব।     1. Moving Average কে ব্যাবহার করে আমরা সমস্ত Market বা NIFTY50 এবং SENSEX এর Trend কে কিভাবে বুঝবো ?     2. মার্কেটের Trend ঠিক করার পর আমাদেরকে Stock এর Trend বুঝতে হবে, বিশেষ করে আমরা যে Stock এ Trade বা Invest করতে চাই।     3. Moving Average কে ব্যাবহার করে কিভাবে আমরা কোনো Stock এ Low Risk Entry নিতে পারি ?     4. কিভাবে আপনি সঠিক সময়ে Entry নেবেন যাতে Stock কেনার পর অনেকদিন ধরে সেটি কোনো দিকে Move করছে না আর টাকা বা Capital সেখানে আটকে আছে আপনি বেরোতেও পারছেন না।     5. কিভাবে আপনি জানবেন যে Chart এ কোন Price টি সঠিক Stop Loss যেটা খুব সহজেই Trigger হবে না। আর যদি হয় তাহলে আপনার Trading Method সেই Stock এর জন্য Invalid হয়ে যাবে।     6. Long Term Investment এর ক্ষেত্রে কিভাবে MA কে ব্যাবহার করবেন বড় লাভ নেওয়ার জন্য ?