Categories
শেয়ারের অবস্থান

Bull, Bear, Neutral কি?

পুঁজিবাজারে, শেয়ার বাজারের অবস্থা বুঝাতে বুল এবং বিয়ার শব্দটি প্রায়শই ব্যবহৃত হয়। এই শব্দগুলি পুঁজিবাজার বর্তমানে কি অবস্থায় আছে তা বর্ণনা করে —  তারা কি শেয়ার মূল্যকে বৃদ্ধি করছে নাকি হ্রাস করছে। এবং একজন বিনিয়োগকারী হিসাবে, বাজারের দিক বোঝা একটি প্রধান শক্তি যা আপনার পোর্টফোলিওটিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। সুতরাং, এই বাজারের প্রতিটি অবস্থা কীভাবে আপনার বিনিয়োগগুলিতে প্রভাব ফেলতে পারে তা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।

সহজ কথায়, একটি বুল মার্কেট হল এমন একটি মার্কেট যেখানে অধিকাংশ শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং একটি বিয়ার মার্কেট হলো এমন একটি মার্কেট যেখানে অধিকাংশ শেয়ারের মূল্য হ্রাস পাচ্ছে।

অধিক সংখ্যক শেয়ারের দর যখন ক্রমাগত কয়েকদিন ধরে বাড়তে থাকে, তখনকার বাজার আবস্থাকে শেয়ারবাজারের ভাষায় বুলিশ (Bullish) মার্কেট বলে। কোনো বাজারে যদি ১০০ টি শেয়ার থাকে এবং কয়েকদিন ধরে যদি মেজরিটি পার্সেন্ট মানে ৭০টি শেয়ারের দাম বাড়ে, ১৫টি শেয়ারের দাম কমে আর ১৫টি অপরিবর্তিত থাকে, ইনডেক্স প্লাস হয় এবং এ ধরনের অবস্থা অর্থাৎ বেশি সংখ্যক শেয়ারের দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকলে একে বুলিশ মার্কেট বলে। আর যদি ১০০টি শেয়ারের মধ্যে ৯০% শেয়ারের দাম বেড়ে যায় তাহলে তাকে অতি বুলিশ বা অতিমূল্যায়িত মার্কেট বলে। 

যখন অধিক সংখ্যক শেয়ারের দাম কয়েকদিন ধরে কমতে থাকে তাকে বিয়ার (Bear) মার্কেট বলে। বিয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করা অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ যেহেতু, অধিকাংশ শেয়ারের ইকুইটি মূল্য কমে যায় এবং শেয়ার মূল্য গুলি অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। যেহেতু নিন্মমুখী বাজারে থাকা কঠিন, তাই বিনিয়োগকারীরা বিয়ার মার্কেট থেকে তাদের টাকা উঠিয়ে নেয় এবং বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত ক্যাশ নিয়ে বসে থাকে। যার ফলে মার্কেট আরো নিম্নমুখী হয়।

বুল ও বিয়ার মার্কেটে কি করতে হবে?

বুল মার্কেটের সময়, বিনিয়োগকারীদের জন্য সঠিক কৌশল হল  শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতার প্রথম দিকে (যদি সম্ভব হয়) শেয়ার কিনা এবং তারপরে সেগুলা সর্বোচ্চ দামে পৌঁছানোর পরে তাদের বিক্রি করা। বিনিয়োগকারীদের উচিত মার্কেট অতি বুলিশ বা অতি মূল্যায়িত হওয়ার পূর্বেই শেয়ার বিক্রি করে টাকা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া।

বুল মার্কেটের সময়ে, কোনও ক্ষতির পরিমাণ সামান্য এবং অস্থায়ী; একজন বিনিয়োগকারী সাধারণত সক্রিয়ভাবে এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে বেশি লাভ পাওয়ার সম্ভাবনায় আরও বেশি ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ করতে পারেন।

বিয়ার মার্কেটের সময়ে, ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি কারণ শেয়ারগুলি ক্রমাগত মূল্য হারাতে থাকে এবং এর শেষ প্রায়শই চোখে পড়ে না। এমনকি আপনি উত্থানের আশায় বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিলেও, কোনও পরিবর্তন ঘটার আগে আপনার ক্ষতি হতে পারে। তাই বিয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ না করাই ভাল।

Neutral: এই সংখ্যাটি অপরিবর্তিত শেয়ারকে বুঝায়, অর্থাৎ যে সকল শেয়ার এর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে তা বুঝায়।

Categories
শেয়ারের অবস্থান

Volume, Value, Trade বলতে কী বোঝায়?

মনে করি, মেহেদি এবং শামিম শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারী। মেহেদির কাছে জিপির ১০ টি শেয়ার আছে। মেহেদি এই ১০ টি শেয়ার বিক্রি করে দিল এবং শামিম সেই শেয়ারগুলি কিনল। এই ১০ টি শেয়ার হচ্ছে জিপির Volume । আর, এতে ১ টি Trade বা লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। জিপির প্রতিটি শেয়ারের দাম হল ৩০০ টাকা। তাহলে এই লেনদেনের Value হল ৩০০ * ১০ = ৩০০০ টাকা।

Categories
কোম্পানি ফান্ডামেন্টালস জিজ্ঞাসা বিনিয়োগ শেয়ার বাজার শেয়ার বাজারের প্রাথমিক ধারণা শেয়ার লেনদেন শেয়ারের অবস্থান শেয়ারের মৌলিক বিষয়বস্তু

একটি শেয়ারের যে সকল সাধারণ তথ্য জানা একান্ত প্রয়োজন ।

শেয়ার বাজার সম্পর্কে ভালোভাবে না জেনেই বিনিয়োগ করে শুরুতে লস করে বসেন আবার অনেকেই পুঁজি হারান। নতুন বিনিয়োগকারীদের শুরুতে এরকম ক্ষতির মুখে পড়া থেকে রক্ষা করতে StockNow সর্বদাই সচেষ্ট।

Open Price:
একটি কার্যদিবসের শুরুতে একটি শেয়ার যে মূল্য দিয়ে শুরু হয় তাকে বলা হয় Open Price।

High Price:
আজকের দিনের একটি শেয়ারের সর্বোচ্চ মূল্য কে বলা হয় High Price.

Low Price:
আজকের দিনের একটি শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য কে বলা হয় Low Price.

YCP:
গতকালের শেয়ার বাজার বন্ধ হওয়ার সময় একটি শেয়ারের যে মূল্য ছিল তাকে বলা হয় YCP (Yesterday Close Price).

Volume:
আজকের দিনের কত সংখ্যাক শেয়ার লেন-দেন হলো র সংখ্যা।

কোথায় এবং কি ভাবে দেখবো
Open Price, High Price, Low Price, YCP, Volume.

StockNow মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে আমরা Open Price, High Price, Low Price, YCP, Volume. দেখতে পারি ।

মনে করি আমরা GP শেয়ারের Open Price, High Price, Low Price, YCP, Volume. দেখবো।

আমাদের প্রথমে StockNow Apps টি ডাউনলোড করে নিতে হবে।

তারপর StockNow Apps টি ওপেন করতে হবে।
Apps এর Home থেকে Share
Search
Search বারে টাইপ করে Gp লিখতে হবে । তখন আমরা GP শেয়ারটি দেখতে পাবো
GP শেয়ার টি ক্লিক করব।
Open লেখার নিচে আমরা ঐ কার্যদিবসের GP Open Price দেখতে পারবো।
High লেখার নিচে আমরা ঐ কার্যদিবসের GP High Price দেখতে পারবো।
Low লেখার নিচে আমরা ঐ কার্যদিবসের GP Low Price দেখতে পারবো।
Ycp লেখার নিচে আমরা ঐ কার্যদিবসের আগের কার্য়দিবসের GP YCP দেখতে পারবো।
Volume লেখার নিচে আমরা ঐ কার্যদিবসের GP Volume দেখতে পারবো।
Categories
শেয়ারের অবস্থান শেয়ারের মৌলিক বিষয়বস্তু

ফ্লোর (Floor) প্রাইস কি?

ফ্লোর প্রাইস হলো যেকোনো সেবা বা পণ্যের সরকার নির্ধারিত দাম যা ওই পণ্যের ভারসাম্য বা ভারসমতার ভিত্তিতে নির্ধারিত হয় যার নিচে দাম নামতে না পারলেও উঠার বিস্তর সুযোগ থাকে।

বাংলাদেশে করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাবকালে শেয়ার মার্কেটের ক্রমাগত দরপতন ঠেকাতে সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন ১৯ মার্চ থেকে ফ্লোর প্রাইস ব্যবস্থা প্রবর্তন করে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্ধারিত দামের নিচে কোনো কোম্পানির শেয়ার ট্রেড হওয়া বন্ধ করা হয়, যদিও শেয়ারটির দাম যত খুশি বাড়তে পারে।