Categories
জিজ্ঞাসা

MACD Crossover

গতির পরিপ্রেক্ষিতে দুটি moving average –ই ভিন্নতর। স্বভাবতই দ্রুতগতিসম্পন্ন moving average ধীরগতিসম্পন্ন moving average অপেক্ষা দামের পরিবর্তনের সাথে দ্রুত পরিবর্তিত হবে। যখনই একটি নতুন ট্রেন্ডের সৃষ্টি হয় তখন দ্রুতগতিসম্পন্ন moving average টি দ্রুত সাড়া দেয় এবং ধীরগতি রেখাটিকে অতিক্রম করে। Crossover-এর ক্ষেত্রে দ্রুতগতি রেখাটি ধীরগতি রেখা হতে দূরে সরে যায় (diverge) যা সাধারণতঃ নতুন ট্রেন্ড সৃষ্টির ইংঙ্গিত দেয়। এখন আমরা একটি উদাহরনের মাধ্যমে জিনিস গুলি বুঝার চেষ্টা করব। উপোরোক্ত চার্টে আমরা দেখতে পাই দ্রুতগতি রেখাটি ধীরগতি রেখাটিকে নিচের দিক হতে অতিক্রম করছে যা downtrend নির্দেশ করছে। লক্ষ্য করূন, যে পয়েন্টে রেখাগুলি পরস্পরকে অতিক্রম করছে (Crossover) সে পয়েন্টেই histogram সাময়িকভাবে মিলিয়ে যায়। খুব ভাল ভাবে লক্ষ্য করুন দিকে একটি সময়ে histogram দেখা যাচ্ছে না। এর কারন হলো অতিক্রান্ত সময়ে রেখাগুলির পার্থক্যমান শূন্য হয়ে যায় ফলে কোন histogram দেখা যায় না । যেইমাত্র downtrend শুরু হয় তখন দ্রুতগতি রেখাটি ধীরগতি রেখা হতে দূরে সরে যায়, ফলে histogram বর্ধিত হয় যা একটি শক্তিশালী ট্রেন্ডের ইংঙ্গিত বহন করে। ঠিক uptrend এর সময়ে ও একই ঘটনা ঘটে থাকে। MACD-র একটি বড় অসুবিধা হচ্ছে মন্থরতা যা একইসময়ে দামের সাথে পরিবর্তিত না হয়ে বরং ধীর গতিতে দামকে অনুসরন করে। তাই এই ইন্ডিকেটি Lagging ইন্ডিকেট বলে পরিচিত, তবে এই ইন্ডিকেটরটি কোন trend সংগঠিত হবার পর সিগন্যাল দিয়ে থাকে ফলে ভুল হবার সম্ভাবনা কম। এবং এটি হছে অতীত মূল্যের গড় । যদিও MACD-র গতি মন্থর কিন্তু এটি ট্রেডারদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইন্ডিকেটর।

Categories
জিজ্ঞাসা

Bollinger Bands বুলিনজার বেন্ড

বুলিনজার ব্যান্ডের মাধ্যমে বাজারের পরিবর্তন(ওঠানামা) পরিমাপ করা হয়। মুলতঃ এই অনুসংঘটি আমাদের বাজার কখন স্থির কিম্বা প্রসারিত এই সম্পর্কে ধারণা দেয়।যখন বাজার স্থির থাকে তখন ব্যান্ডগুলো সংকুচিত হয় এবং যখন বাজার বিস্তৃতি লাভ করে তখন ব্যান্ডগুলো প্রসারিত হয়।লক্ষ্য করুন,নিন্ম চিত্রে যখন দামের তেমন কোন পরিবর্তন ঘটে না তখন ব্যান্ডগুলো পরস্পরের কাছাকাছি অবস্থান করে আর যখন দাম বাড়তে শুরু করেছে তখন ব্যান্ডগুলো ছড়িয়ে গেছে। বুলিনজার ব্যান্ডের একটি দিক সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকা প্রয়োজন তা হচ্ছে মূল্যের প্রবণতাই থাকে ব্যান্ডের মাঝামাঝিতে ফিরে আসা।এটি হচ্ছে বলিংঙ্গার বাউন্সের মূল ধারনা। যদি তাই হয় তবে নিন্মোক্ত চিত্র পর্যবেক্ষন করে বলুন দাম পরবর্তীতে কোনদিকে যাবে? যদি আপনি বলেন দাম নিচে নেমে আসবে তবে তা সঠিক। আপনি দেখতে পাচ্ছেন দাম আবার ব্যান্ডের মাঝামাঝি স্থানে ফিরে এসেছে। আপনি এইমাত্র যা পর্যবেক্ষন করলেন তা একটি ক্লাসিক বুলিনজার বাউন্স। এই বাউন্সটি সংঘটিত হয়েছে কারন বুলিনজার ব্যান্ডটি একটি ছোটখাটো সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স হিসেবে কাজ করেছে।যত বেশি সময় আপনি বলিংঙ্গার ব্যান্ডে যুক্ত করবেন তত ব্যান্ডগুলি শক্তিশালী হবে।অনেক ট্রেডাররা বলিংঙ্গার বাউন্সেকে কাজে লাগিয়ে সফল হয়েছেন এবং এই স্ট্র্যাটিজি সবচেয়ে সফল যখন বাজার বিস্তৃতি লাভ করে এবং যখন অনান্য ট্রেন্ডগুলি হতে আমরা সুস্পষ্ট ইংগিত পাই না। একটি ট্রেন্ড বুঝার জন্য।