Categories
কোম্পানি ফান্ডামেন্টালস জিজ্ঞাসা শেয়ার বাজার

ডোজি কি?

Doji পরিচিতি

ডজি হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট ক্যান্ডেল এর মাধ্যমে গঠিত এক ক্যান্ডেল বিশিষ্ট ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন যেটি মুলত গঠিত হয় যখন মার্কেটে অবস্থিত Buyer কিংবা Seller এর কেউই প্রাইস এর নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে নিতে পারেন না। অর্থাৎ, যদি ক্যান্ডেল এর হিসাবে বলি তাহলে ক্যান্ডেলটির ওপেনিং প্রাইস এবং ক্লোজিং প্রাইস হবে একই সমান।


এই ধরনের ক্যান্ডেলটির বডির আকার থাকে না যেটি বোঝায় মার্কেট এর নিয়ন্ত্রণ বাইয়ার কিংবা সেলার কারও কাছে নেই।

ক্যান্ডেল এর উপরে এবং নিচে বিদ্যমান দাগ কিংবা Shadow এর উপর নির্ভর করে এই Doji ক্যান্ডেলগুলো দেখতে অনেকটা cross, inverted cross কিংবা a plus sign এর মতন দেখায়। নিচের ছিবিটি দেখে বোঝার চেষ্টা করুন।

Doji candle pattern

ক্যান্ডেল এর উপরে এবং নিচে বিদ্যমান দাগ কিংবা Shadow এর উপর নির্ভর করে এই Doji ক্যান্ডেলগুলো দেখতে অনেকটা cross, inverted cross কিংবা a plus sign এর মতন দেখায়। নিচের ছিবিটি দেখে বোঝার চেষ্টা করুন।

গঠন

তবে চার্টে এটি খুঁজে নেয়ার পূর্বে অবশ্যই এর কিছু বিদ্যমান লক্ষন কিংবা চিহ্ন সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে চলুন এর গঠন সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেয়া যাকঃ

  • ক্যান্ডেলটির ওপেন এবং ক্লোজ প্রাইস হবে একে অন্যের সমান কিংবা প্রায় কাছাকাছি। যার কারনে ক্যান্ডেলটির বডির আকার থাকবে না কিংবা থাকলেও হবে খুবই ছোট।
  • ক্যান্ডেলটির উপরে এবং নিচে অবশ্যই দাগ কিংবা shadow থাকবে কিংবা দুই দিকেই এটি থাকতে পারে।

ক্যান্ডেলটির মাঝখানে যেই দাগ অর্থাৎ horizontal line যেটি থাকবে এটি হবে মুলত হবে ক্যান্ডেল এর ওপেনিং এবং ক্লোজিং প্রাইস একই লেভেলে থাকার কারনে।

অন্যদিকে, ক্যান্ডেল উপর থেকে নিচের দিকে যেই দাগ অর্থাৎ vertical line সেই বোঝায়, ওই টাইমফ্রেমে প্রাইস রেঞ্জ কি পরিমাণ ছিল সেটি। অনেকটাই হচ্ছে, যদি ধরে নেই H1 টাইমফ্রেম তাহলে এই টাইমফ্রেমে সর্বাধিক এবং সর্বনিম্ন প্রাইস এর রেঞ্জ কি ছিল সেটি বোঝায়।

অর্থ

Doji ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্নটি মার্কেটে প্রাইস এর সন্দিহান একটি আচরন সম্পর্কে ইঙ্গিত প্রদান করে যেখানে বাইয়ার কিংবা সেলার এর কেউই প্রাইসকে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়না যার ফলে চার্টে ক্যান্ডেলটি একবার উপরে এবং একবার নিচে মুভ করতে থাকে এবং শেষ হয় ক্যান্ডেল এর ওপেন প্রাইস এর কাছে এসে। যার কারনে এই ক্যান্ডেল এর বডির আকার হয় অনেক ছোট কিংবা অনেক সময় থাকেও না।

নির্দিষ্ট টাইমফ্রেমে প্রাইস ক্রমশ একাধিকবার বাই এবং সেল এর হিসাবে মুভ করলেও ক্যান্ডেলটি ক্লোজ হয় এর ওপেন প্রাইস এর ঠিক কাছে এসেই।

মার্কেট প্রাইস যখন ট্রেন্ডিং পজিশন অর্থাৎ প্রাইস যখন নির্দিষ্ট ট্রেন্ড এর মধ্যে থাকে তখন সাধারনত Doji প্যাটার্ন দেখা যায় না। এটি মুলত হয় যখন প্রাইস সাইডওয়ে ট্রেন্ডে থাকে কিংবা একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জ এর মধ্যে ঘুরতে থাকে তখন।

যদি এমন হয়, প্রাইস আপট্রেন্ডে যেয়ে কিছুখন পর এই ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন তৈরি করছে যেটি তখন বোঝায়, প্রাইস এর নিয়ন্ত্রণ-মার্কেটে অবস্থিত Buyer এর কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। অর্থাৎ, বাইয়ার তাদের ক্ষমতা হারাচ্ছে

অন্যদিকে, যদি এমন হয়, প্রাইস ডাউনট্রেন্ডে যেয়ে কিছুখন পর এই ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন তৈরি করছে যেটি তখন বোঝায়, প্রাইস এর নিয়ন্ত্রণ-মার্কেটে অবস্থিত Seller এর কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। অর্থাৎ, সেলার তাদের ক্ষমতা হারাচ্ছে

Categories
কোম্পানি ফান্ডামেন্টালস জিজ্ঞাসা শেয়ার বাজার

সুচক কী?

স্টক মার্কেট সূচক হিসাবেও পরিচিত, বাজার সূচক হল কোনো কিছুর পরিমাপ বা সূচক। সাধারণত, এটি স্টক মার্কেটে ঘটছে পরিবর্তনের পরিসংখ্যানগত পরিমাপকে বোঝায়। সাধারণত,বন্ধন এবং স্টক মার্কেট সূচকগুলি সিকিউরিটিজের একটি অনুমানমূলক পোর্টফোলিও নিয়ে গঠিত যা একটি নির্দিষ্ট অংশ বা সমগ্র বাজারকে প্রতিনিধিত্ব করে।

Categories
কোম্পানি ফান্ডামেন্টালস বিনিয়োগ

অনুমোদিত মূলধন ( Authorized Capital )

অনুমোদিত মূলধন বলতে বুঝায় কোম্পানি ভবিষ্যতে সর্বমোট কি পরিমান মূলধন শেয়ারহোল্ডারদের থেকে জোগাড় করতে পারে। প্রত্যেক কোম্পানির একটি নির্দিষ্ট মূলধন অনুমোদন করতে হয়। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ অনুমোদনের প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং পরে তা  চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে পাঠানো হয়। এসইসির অনুমোদন পাওয়ার পর তা কার্যকর হয়। এটি অথরাইজড ক্যাপিটাল বা অনুমোদিত মূলধন বলে বিবেচিত হয়।

Categories
কোম্পানি ফান্ডামেন্টালস জিজ্ঞাসা বিনিয়োগ শেয়ার বাজার শেয়ার বাজারের প্রাথমিক ধারণা শেয়ার লেনদেন শেয়ারের অবস্থান শেয়ারের মৌলিক বিষয়বস্তু

একটি শেয়ারের যে সকল সাধারণ তথ্য জানা একান্ত প্রয়োজন ।

শেয়ার বাজার সম্পর্কে ভালোভাবে না জেনেই বিনিয়োগ করে শুরুতে লস করে বসেন আবার অনেকেই পুঁজি হারান। নতুন বিনিয়োগকারীদের শুরুতে এরকম ক্ষতির মুখে পড়া থেকে রক্ষা করতে StockNow সর্বদাই সচেষ্ট।

Open Price:
একটি কার্যদিবসের শুরুতে একটি শেয়ার যে মূল্য দিয়ে শুরু হয় তাকে বলা হয় Open Price।

High Price:
আজকের দিনের একটি শেয়ারের সর্বোচ্চ মূল্য কে বলা হয় High Price.

Low Price:
আজকের দিনের একটি শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য কে বলা হয় Low Price.

YCP:
গতকালের শেয়ার বাজার বন্ধ হওয়ার সময় একটি শেয়ারের যে মূল্য ছিল তাকে বলা হয় YCP (Yesterday Close Price).

Volume:
আজকের দিনের কত সংখ্যাক শেয়ার লেন-দেন হলো র সংখ্যা।

কোথায় এবং কি ভাবে দেখবো
Open Price, High Price, Low Price, YCP, Volume.

StockNow মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে আমরা Open Price, High Price, Low Price, YCP, Volume. দেখতে পারি ।

মনে করি আমরা GP শেয়ারের Open Price, High Price, Low Price, YCP, Volume. দেখবো।

আমাদের প্রথমে StockNow Apps টি ডাউনলোড করে নিতে হবে।

তারপর StockNow Apps টি ওপেন করতে হবে।
Apps এর Home থেকে Share
Search
Search বারে টাইপ করে Gp লিখতে হবে । তখন আমরা GP শেয়ারটি দেখতে পাবো
GP শেয়ার টি ক্লিক করব।
Open লেখার নিচে আমরা ঐ কার্যদিবসের GP Open Price দেখতে পারবো।
High লেখার নিচে আমরা ঐ কার্যদিবসের GP High Price দেখতে পারবো।
Low লেখার নিচে আমরা ঐ কার্যদিবসের GP Low Price দেখতে পারবো।
Ycp লেখার নিচে আমরা ঐ কার্যদিবসের আগের কার্য়দিবসের GP YCP দেখতে পারবো।
Volume লেখার নিচে আমরা ঐ কার্যদিবসের GP Volume দেখতে পারবো।
Categories
কোম্পানি ফান্ডামেন্টালস

নেট এসেট ভ্যালু (NAV) কি?

NAV হল নেট সম্পদ মূল্য। একটি শেয়ারের প্রকৃত দাম কত হওয়া উচিত তা NAV ধারনা দেয়। একটি কোম্পানির শেয়ার প্রতি কতো টাকার সম্পদ আছে তা জানতে পারবেন NAV দেখে।

NAV যেভাবে হিসাব করা হয়ঃ

NAV = (মোট সম্পদের মূল্য – মোট দায়বদ্ধতা) ÷ মোট শেয়ারের সংখ্যা

দায়বদ্ধতা বলতে বুঝায় কোম্পানিটি কতটুকু ঋনি বা কি পরিমাণ ঋন রয়েছে।

উদাহরণস্বরুপ, একটি কোম্পানির মোট সপমত্তির মূল্য ১০০০০০ টাকা। কোম্পানিটির ঋনের পরিমান ২০০০০ টাকা এবং কোম্পানিটির বর্তমানে ১০০০ টি শেয়ার রয়েছে। তাহলে NAV হবে,

(১০০০০০ – ২০০০০) ÷ ১০০০ = ৮০ টাকা

Categories
কোম্পানি ফান্ডামেন্টালস

পিই অনুপাত (P/E) কি?

পিই বা ইংলিশে Price/Earning. সাধারণত, কোন একটি শেয়ারের বর্তমান দাম ও শেয়ার প্রতি আয়( ইপিএস) এর অনুপাতকে পিই রেশিও বলে। কোন একটি কোম্পানির শেয়ারের ঝুঁকি মূল্যায়ন করার প্রধান এবং জনপ্রিয় টুলস হচ্ছে পিই অনুপাত।

“ইপিএস” দ্বারা “প্রতিটি শেয়ারের বর্তমান মূল্য” ভাগ করার মাধ্যমে পিই হিসাব করা হয়। উদাহরণস্বরুপঃ

একটি শেয়ারের বর্তমান দাম যদি ১০০ টাকা হয় এবং লাস্ট ১২ মাসে শেয়ারটির ইপিএস যদি ৫ টাকা হয় তাহলে, সেই শেয়ারটির পিই অনুপাত হবেঃ

১০০ ÷ ৫ = ২০

Categories
কোম্পানি ফান্ডামেন্টালস জিজ্ঞাসা

ইপিএস (EPS) কি ?

EPS / ইপিএস শেয়ার কেনা-বেচার সিদ্ধান্তে যে টার্মটি সবচেয়ে গুরুত্বের সাথে দেখা হয় এটি তার মধ্যে অন্যতম। যে কোনও নির্ধারিত সময়ে একটি কোম্পানি শেয়ারপ্রতি কেমন লাভ-লস করছে তার হিসেব এটি, আপনার বিনিয়োগ কতটা সুরক্ষিত বা ঝুঁকিপূর্ণ সেটার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিবে ইপিএস।

EPS ইপিএস কথার অর্থ হচ্ছে Earning per share বা শেয়ার প্রতি আয় । একটি কোম্পানির মোট লাভের (বা ক্ষতির) অঙ্ককে যদি তার বাজারে থাকা মোট শেয়ার সংখ্যা দিয়ে ভাগ করা হয় তাহলে EPS পাওয়া যায়। ধরা যাক, ২০২০ সালে সব খরচ বাদ দেওয়ার পরে কোম্পানির মুনাফা হয়েছে ১ কোটি টাকা। ওই কোম্পানির মোট শেয়ার রয়েছে ১০ লাখ। তাতে ২০২০ সাল শেষে কোম্পানির ইপিএস দাঁড়াবে ১০ টাকা। 

প্রত্যেক কোম্পানি বছরে ৪টি কোয়ার্টারে ইপিএস দিয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২০ সালে BRACBANK এর প্রথম ৩ মাসে (Q1) EPS ছিল ০.৭১ । এর পরের ৩ মাসে (Q2) EPS ছিল ০.২৪ । তাহলে ৩+৩=৬ মাসে(Half Yearly) ০.৭১ + ০.২৪ = ০.৯৫ । সেপ্টেম্বর মাস শেষে (Q3) EPS ছিল ১.১৩ । তাহলে, ৩+৩+৩=৯ মাসে ০.৯৫ + ১.১৩ = ২.০১ ।   এখানে পুরা বছরের EPS টা এখনো আসে নি। তবুও আমরা ধারণা করে বের করতে পারি এই কোম্পানির পুরো বছরের EPS কত হতে পারে। যেহেতু ৯ মাসে EPS ২.০১ , সুতরাং ৩ মাসে গড় EPS হবে ২.০১ ÷ ৩= ০.৬৭ । অর্থ্যাৎ শেষের কোয়ার্টারে বা ২০২০ এর ৩১ ডিসেম্বর শেষে EPS আসবে ২.০১ + ০.৬৭= ২.৬৮ । এটা একটা গড় হিসাব। কিন্তু দেখা যায় আসল হিসেবেও খুব বেশি হেরফের হয় না। যদি না কোম্পানি খুব বেশি লাভ বা লস করে। তাই ৬/৯ মাসের EPS জানলে খুব সহজেই আমরা সারা বছরের ই পি এস বের করতে পারি যা শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আমাদের এপস এ যেই EPS দেয়া থাকে সেটা গড়/এনুয়ালাইজড EPS। EPS এর ডানপাশে ছোট “?” চিহ্নে ক্লিক করলে EPS টি কোন কোয়ার্টারের উপর নির্ভর করে বের করা হয়েছে তা জানতে পারবেন।

ইপিএসটা জানা কেন জরুরি?

আপনার হাতে যে কোম্পানির শেয়ার আছে, তার বিপরীতে ওই কোম্পানির আয় কেমন, তা জানাটা আপনার জন্য অবশ্যই জরুরি। ইপিএসের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয় মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও। সেই পিই রেশিওর ভিত্তিতে শেয়ারের বিপরীতে ঋণপ্রাপ্তি নির্ভর করে।