Categories
শেয়ার লেনদেন

ব্লক ট্রেড

যখন বড় ভলিয়মের কোন শেয়ার লেনদেন করার প্রয়োজন হয় তখন তা স্বাভাবিক মার্কেটে না করে আলদাভাবে লেনদেন করা যায়। স্বাভাবিক মার্কেটের বাহিরে যেয়ে লেনদেন কেই ব্লক ট্রেডে লেনদেন বলা হয়। সাধারণত ব্লক মার্কেটে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা অংশগ্রহণ করে না বরং প্রাতিষ্ঠানিক  বিনিয়োগকারীরা বা বড় বিনিয়োগকারীরা ব্লকে বেশি লেনদেন করে। তবে যেকেউ চাইলে পাঁচ লাখ টাকার উপরের সমমানের শেয়ার ব্লক মার্কেটেকে লেনদেন করতে পারে। ব্লক ট্রেডে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকার ট্রেড করতে হবে।  ব্লক মার্কেটে শেয়ার লেনদেন হয় ক্রেতা বিক্রেতার উভয়ের মঝে চুক্তির মাধ্যমে। স্বাভাবিক মার্কেটে বড় ভলিয়মের লেনদেন মূল্য হ্রাস বা বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা পালন করে। এই কারণেই স্বাভাবিক মার্কেটকে প্রভাব মুক্ত রাখতে ব্লক মার্কেটে লেনদেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আমাদের এপসে “More” অপশন থেকে প্রতিদিনের ব্লক ট্রেড দেখা যায়। ব্লক ট্রেড হিস্টরি দেখতে হলে হিস্টরি ক্যালেন্ডারে চেপে দেখতে হবে।

এছাড়াও প্রতিটি শেয়ারের ডিটেইলস পেইজেও ব্লক ট্রেড দেখা যায়।

Categories
শেয়ার লেনদেন

বিও অ্যাকাউন্ট (BO) কি?

বাংলাদেশে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য বা আই পিও আবেদন করতে ব্রোকার হাউজে একটি BO (Beneficiary Owner’s) অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। বিও অ্যাকাউন্ট একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মতো, তবে এটি একটি ব্রোকার হাউজে খুলতে হবে। এই বিও অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে আপনি শেয়ার মার্কেটে একজন বিনিয়োগকারী হয়ে উঠতে পারেন । BO অ্যাকাউন্টে ব্যাংক একাউন্টের মতোই অর্থ জমা ও উত্তোলন করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন আমানত সংরক্ষণের প্রয়োজন নেই।

সাধারনত দুই ধরনের বিও অ্যাকাউন্ট রয়েছে:

  • সাধারন বিও অ্যাকাউন্টঃ বাংলাদেশী অধিবাসী এবং বাংলাদেশে বসবাস করে এমন ব্যক্তি সাধারন বিও একাউন্ট খুলতে পারে।

সাধারন বিও অ্যাকাউন্ট আবার তিন ধরনের-

একক মালিকানাধীন বিও একাউন্ট (বিনিয়োগকারী নিজের নামে বিও একাউন্ট খুলতে পাড়বে)

যৌথ মালিকানাধীন বিও একাউন্ট (দুই জন ব্যক্তি সম্মিলিত ভাবে একটি বিও একাউন্ট খুলতে পাড়বে)

বিনিয়োগোকারী চাইলে নিজের কোম্পানির নামে বিও একাউন্ট খুলতে পারবেন।

  • এনআরবি বিও অ্যাকাউন্ট (নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশী): বাংলাদেশী প্রবাসীদের এবং বিদেশী নাগরিকদের বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা সুবিধা দেয়ার জন্য এই ধরনের বিও একাউন্ট খোলা হয়ে থাকে।

বিও অ্যাকাউন্ট কোথায় খুলতে হবে?

বিও অ্যাকাউন্ট  ব্রোকার হাউজে খুলতে হবে। আপনি যে এলাকায় বা যেই জেলায় থাকেন সেখানে ব্রোকার হাউজ খুজে নিবেন। নিজস্ব এলাকা বা কর্মস্থলের কাছাকাছি ব্রোকার হাউজ থেকে বিও অ্যাকাউন্ট খোলা উত্তম।

বিও অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়মঃ

  • বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে আপনার বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি।
  • আবেদনকারী, জয়েন্ট আবেদনকারী এবং নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের কপি (স্ক্যান/ছবি)।
  • নমিনির ছবি।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট / ব্যাংক চেকের কপি (স্ক্যান/ছবি)।
  • বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে সাধারণত ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার মত  লাগে।
  • বর্তমানে অনেক ব্রোকারহাউজে অনলাইনেও বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।

বিও অ্যাকাউন্ট খোলার পরে করণীয়ঃ

বিও অ্যাকাউন্টে খোলার পর বিও অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করতে হবে। অথবা ব্রোকার হাউজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা জমা দিতে পারবেন। আপনি চাইলে বিকাশ, রকেট বা নগদ এর মাধ্যমে টাকা জমা দিতে পারবেন। এছাড়াও অনলাইনে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন। যেই মাধ্যমেই টাকা জমা দেন, তার স্লিপ বা স্ক্রিনশট ব্রোকারহাউজের ওয়েবসাইটের ডিপোজিট লিংকে আপলোড করে দিতে হবে প্রমাণ হিসেবে। তারপর আপনার বিও অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হবে। অনলাইনে না পারলে সরাসরি ব্রোকার হাউজে যেয়ে টাকা জমা দিতে পারবেন।

সর্বনিম্ন কত টাকা বিনিয়োগ করতে হয়:

প্রাইমারি শেয়ার বা আইপিও তে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিও অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ৫,০০০/= টাকা থাকতে হবে। সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিও অ্যাকাউন্টে সর্বনিম্ন ১০,০০০/= টাকা জমা দিয়ে নতুন বিনিয়োগকারী তার বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন ।

কিভাবে শেয়ার কেনা-বেচা করবেন:

​বিও অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করার পর আপনি শেয়ার বেচা-কেনা করতে পারবেন। একজন বিনিয়োগকারী বিভিন্ন ভাবে শেয়ার কেনা বেচা করতে পারবেন-

  • অনলাইনে (মোবাইল এপস বা সাইটের মাধ্যমে)
  • অথোরাইজ রিপ্রেজেন্টেটিভকে ফোনের মাধ্যমে অথবা সরাসরি ব্রোকার হাউজে এসে।
Categories
শেয়ার লেনদেন

ব্রোকারেজ হাউজ কি?

স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর অনুমোদিত বহু এজেন্ট রয়েছে, এগুলো ব্রোকারেজ হাউস নামে পরিচিত। ব্রোকার হাউজ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন থেকে লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান যারা শেয়ারবাজারে শেয়ার কয় বিক্রয় করে, আইপিওর টাকা জমা নেয়, সিডিবিএল এর ফি জমা নেয় এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর জন্য কাজ করেন। সাধারণভাবে বলতে গেলে একটি ব্রোকার হাউজ একটি ব্যাংকের মতই কাজ করে থাকে। ব্যাংক গুলো যেমন একাউন্ট খোলা টাকা জমা নেওয়া সহ নানা ভাবে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করে ঠিক তেমনি ভাবে ব্রোকার হাউজ গুলো বিনিয়োগকারীদের বিও অ্যাকাউন্ট খুলে প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি শেয়ার মার্কেট থেকে শেয়ার কেনার জন্য টাকা জমা নেয়।

Categories
কোম্পানি ফান্ডামেন্টালস জিজ্ঞাসা বিনিয়োগ শেয়ার বাজার শেয়ার বাজারের প্রাথমিক ধারণা শেয়ার লেনদেন শেয়ারের অবস্থান শেয়ারের মৌলিক বিষয়বস্তু

একটি শেয়ারের যে সকল সাধারণ তথ্য জানা একান্ত প্রয়োজন ।

শেয়ার বাজার সম্পর্কে ভালোভাবে না জেনেই বিনিয়োগ করে শুরুতে লস করে বসেন আবার অনেকেই পুঁজি হারান। নতুন বিনিয়োগকারীদের শুরুতে এরকম ক্ষতির মুখে পড়া থেকে রক্ষা করতে StockNow সর্বদাই সচেষ্ট।

Open Price:
একটি কার্যদিবসের শুরুতে একটি শেয়ার যে মূল্য দিয়ে শুরু হয় তাকে বলা হয় Open Price।

High Price:
আজকের দিনের একটি শেয়ারের সর্বোচ্চ মূল্য কে বলা হয় High Price.

Low Price:
আজকের দিনের একটি শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য কে বলা হয় Low Price.

YCP:
গতকালের শেয়ার বাজার বন্ধ হওয়ার সময় একটি শেয়ারের যে মূল্য ছিল তাকে বলা হয় YCP (Yesterday Close Price).

Volume:
আজকের দিনের কত সংখ্যাক শেয়ার লেন-দেন হলো র সংখ্যা।

কোথায় এবং কি ভাবে দেখবো
Open Price, High Price, Low Price, YCP, Volume.

StockNow মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে আমরা Open Price, High Price, Low Price, YCP, Volume. দেখতে পারি ।

মনে করি আমরা GP শেয়ারের Open Price, High Price, Low Price, YCP, Volume. দেখবো।

আমাদের প্রথমে StockNow Apps টি ডাউনলোড করে নিতে হবে।

তারপর StockNow Apps টি ওপেন করতে হবে।
Apps এর Home থেকে Share
Search
Search বারে টাইপ করে Gp লিখতে হবে । তখন আমরা GP শেয়ারটি দেখতে পাবো
GP শেয়ার টি ক্লিক করব।
Open লেখার নিচে আমরা ঐ কার্যদিবসের GP Open Price দেখতে পারবো।
High লেখার নিচে আমরা ঐ কার্যদিবসের GP High Price দেখতে পারবো।
Low লেখার নিচে আমরা ঐ কার্যদিবসের GP Low Price দেখতে পারবো।
Ycp লেখার নিচে আমরা ঐ কার্যদিবসের আগের কার্য়দিবসের GP YCP দেখতে পারবো।
Volume লেখার নিচে আমরা ঐ কার্যদিবসের GP Volume দেখতে পারবো।