Categories
শেয়ার লেনদেন

বিও অ্যাকাউন্ট (BO) কি?

বাংলাদেশে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য বা আই পিও আবেদন করতে ব্রোকার হাউজে একটি BO (Beneficiary Owner’s) অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। বিও অ্যাকাউন্ট একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মতো, তবে এটি একটি ব্রোকার হাউজে খুলতে হবে। এই বিও অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে আপনি শেয়ার মার্কেটে একজন বিনিয়োগকারী হয়ে উঠতে পারেন । BO অ্যাকাউন্টে ব্যাংক একাউন্টের মতোই অর্থ জমা ও উত্তোলন করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন আমানত সংরক্ষণের প্রয়োজন নেই।

সাধারনত দুই ধরনের বিও অ্যাকাউন্ট রয়েছে:

  • সাধারন বিও অ্যাকাউন্টঃ বাংলাদেশী অধিবাসী এবং বাংলাদেশে বসবাস করে এমন ব্যক্তি সাধারন বিও একাউন্ট খুলতে পারে।

সাধারন বিও অ্যাকাউন্ট আবার তিন ধরনের-

একক মালিকানাধীন বিও একাউন্ট (বিনিয়োগকারী নিজের নামে বিও একাউন্ট খুলতে পাড়বে)

যৌথ মালিকানাধীন বিও একাউন্ট (দুই জন ব্যক্তি সম্মিলিত ভাবে একটি বিও একাউন্ট খুলতে পাড়বে)

বিনিয়োগোকারী চাইলে নিজের কোম্পানির নামে বিও একাউন্ট খুলতে পারবেন।

  • এনআরবি বিও অ্যাকাউন্ট (নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশী): বাংলাদেশী প্রবাসীদের এবং বিদেশী নাগরিকদের বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা সুবিধা দেয়ার জন্য এই ধরনের বিও একাউন্ট খোলা হয়ে থাকে।

বিও অ্যাকাউন্ট কোথায় খুলতে হবে?

বিও অ্যাকাউন্ট  ব্রোকার হাউজে খুলতে হবে। আপনি যে এলাকায় বা যেই জেলায় থাকেন সেখানে ব্রোকার হাউজ খুজে নিবেন। নিজস্ব এলাকা বা কর্মস্থলের কাছাকাছি ব্রোকার হাউজ থেকে বিও অ্যাকাউন্ট খোলা উত্তম।

বিও অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়মঃ

  • বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে আপনার বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি।
  • আবেদনকারী, জয়েন্ট আবেদনকারী এবং নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের কপি (স্ক্যান/ছবি)।
  • নমিনির ছবি।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট / ব্যাংক চেকের কপি (স্ক্যান/ছবি)।
  • বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে সাধারণত ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার মত  লাগে।
  • বর্তমানে অনেক ব্রোকারহাউজে অনলাইনেও বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।

বিও অ্যাকাউন্ট খোলার পরে করণীয়ঃ

বিও অ্যাকাউন্টে খোলার পর বিও অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করতে হবে। অথবা ব্রোকার হাউজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা জমা দিতে পারবেন। আপনি চাইলে বিকাশ, রকেট বা নগদ এর মাধ্যমে টাকা জমা দিতে পারবেন। এছাড়াও অনলাইনে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন। যেই মাধ্যমেই টাকা জমা দেন, তার স্লিপ বা স্ক্রিনশট ব্রোকারহাউজের ওয়েবসাইটের ডিপোজিট লিংকে আপলোড করে দিতে হবে প্রমাণ হিসেবে। তারপর আপনার বিও অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হবে। অনলাইনে না পারলে সরাসরি ব্রোকার হাউজে যেয়ে টাকা জমা দিতে পারবেন।

সর্বনিম্ন কত টাকা বিনিয়োগ করতে হয়:

প্রাইমারি শেয়ার বা আইপিও তে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিও অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ৫,০০০/= টাকা থাকতে হবে। সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিও অ্যাকাউন্টে সর্বনিম্ন ১০,০০০/= টাকা জমা দিয়ে নতুন বিনিয়োগকারী তার বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন ।

কিভাবে শেয়ার কেনা-বেচা করবেন:

​বিও অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করার পর আপনি শেয়ার বেচা-কেনা করতে পারবেন। একজন বিনিয়োগকারী বিভিন্ন ভাবে শেয়ার কেনা বেচা করতে পারবেন-

  • অনলাইনে (মোবাইল এপস বা সাইটের মাধ্যমে)
  • অথোরাইজ রিপ্রেজেন্টেটিভকে ফোনের মাধ্যমে অথবা সরাসরি ব্রোকার হাউজে এসে।