টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস = সম্ভাবনা
টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি প্রাইস মুভমেন্টের সম্ভাবনা। বাড়বে না কমবে, নাকি সাইডওয়েতে চুপটি করে বসে থাকবে। কিভাবে আমরা বুঝবো? টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের অনেকগুলো উপাদান আছে। চলুন দেখি কোন কোন ভাবে টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস করা সম্ভবঃ
- ইন্ডিকেটর
- ট্রেন্ড লাইন, চ্যানেল, সাপোর্ট এবং রেসিসট্যান্স ড্রয়িং
- ফিবোনেসি
- ক্যানডেলস্টিক্স প্যাটার্ন
- চার্ট প্যাটার্ন
- ইত্যাদি ইত্যাদি
আর জেনে রাখুন বেশিরভাগ টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস টুলসের ব্যবহার হয় এই ভিত্তিতে যে আগেও এরকম হয়েছিল, এবং ভবিষ্যতেও এরকম হবার সম্ভাবনা আছে। ইংরেজিতে বলা হয়, History repeats itself.
ইন্ডিকেটরঃ
ইন্ডিকেটর কিভাবে আমাদের মার্কেট বুঝতে সাহায্য করে? ইন্ডিকেটরগুলো তৈরি হয় কিছু ইকুয়েশন বা সূত্রের ওপর ভিত্তি করে। যেমন হয়তো x+y+z হলে ইন্ডিকেটর আপনাকে নির্দেশ করবে যে মার্কেট ওপরে যাবে। x-y-z হলে ইন্ডিকেটর আপনাকে নির্দেশ করবে যে মার্কেট নিচের দিকে যাবে। আবার হয়তো x+y-z হলে ইন্ডিকেটর আপনাকে নির্দেশ করবে যে মার্কেট আপাতত কোনদিকে মুভ করবে না, এভাবেই কিছুক্ষণ সাইডওয়ে মুডে থাকবে। এরকম একেক ইন্ডিকেটর একেক সুত্র দিয়ে কাজ করে থাকে। ইন্ডিকেটরও আবার বিভিন্ন ধরনের হয়। এদের কাজও ভিন্ন। বিভিন্ন ইন্ডিকেটর থেকে মার্কেট সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানা যায়। যেমনঃ
- মার্কেটের বর্তমান ট্রেন্ড
- ট্রেন্ডটি কতটুকু শক্তিশালী বা দুর্বল
- ট্রেন্ডটি শেষের দিকে কিনা
- মার্কেটের ভোলাটিলিটি
- মার্কেটের ট্রেডের ভলিউম (কেমন ট্রেডার মার্কেটে অংশগ্রহণ করছে)
- মার্কেটে বিভিন্ন ট্রেন্ড প্যাটার্নের পুনরাবৃত্তি
ইন্ডিকেটর = ট্রেডের সিগন্যাল নয়
অনেকের ধারনা ইন্ডিকেটর প্রাইস আপ-ডাউনের সিগন্যাল মানেই দিয়েছে তার মানেই হল এখন বাই করতে বলছে বা সেল করতে বলছে। কিন্তু ইন্ডিকেটর যদি বলে এখন আপট্রেন্ড হতে পারে, তারমানে হল ইন্ডিকেটরের হিসাব অনুসারে এখন মার্কেট আপট্রেন্ডে যেতে পারে। অথবা ডাউনট্রেন্ড মনে হচ্ছে শেষের দিকে, বা মার্কেট ওভারসোল্ড। নির্ভর করে ইন্ডিকেটরের ওপর। তাই আপনি যদি ভালো বিভিন্ন ধরনের কয়েকটি ইন্ডিকেটর ব্যবহার করেন, তবে আপনি মার্কেট সম্পর্কে বিভিন্ন ইনফরমেশন পেয়ে যাবেন। সেটা আপনার অন্য অ্যানালাইসিসের সাথে যুক্ত করে ট্রেড করুন। সেইক্ষেত্রে সঠিক ট্রেড করার সুযোগ অনেক বাড়বে। ইন্ডিকেটরকে কখনও অন্ধভাবে অনুসরণ করবেন না। আইডিয়া নিন, আর কাজে লাগান।
ট্রেন্ড লাইন, চ্যানেল, সাপোর্ট এবং রেসিসট্যান্স ড্রয়িং
প্রাইসের গতিবিধি দেখে ট্রেড করা হল প্রাইস অ্যাকশান। ট্রেন্ড লাইন, চ্যানেল, সাপোর্ট এবং রেসিসট্যান্স ড্রয়িংয়ের মাধ্যমে মার্কেট সম্পর্কে ভালো আইডিয়া পাওয়া যায়। ব্রেকআউট ট্রেডিং করে ভালো প্রফিট করা সম্ভব এগুলো থেকে।
ফিবোনেসি
ফিবোনেসি নিয়ে বলার মত খুব বেশি কিছু নেই। ফিবোনেসি লেভেলগুলো খুবই কার্যকর। এ সম্পর্কে নাসিম ভাইয়ের সিরিজ পোস্টগুলো না পরলে অনেক কিছু মিস করা হবে।