Categories
জিজ্ঞাসা

অ্যালিয়ট ওয়েভ কি?

অ্যালিয়ট ওয়েভ কি এবং থিওরি

রালফ নেলসন এলিয়ট একজন প্রফেশনাল অ্যাকাউন্টান্ট ছিলেন। তিনি ৭৫ বছরের মত স্টক মার্কেটের ডাটা জোগাড় করে তা বিশ্লেষণ করে দেখেন যে মার্কেট মুভমেন্ট বিশৃঙ্খল দেখা গেলেও আসলে সেরকম না।

৬৬ বছর বয়সে তিনি, পর্যাপ্ত প্রমান (আর সাহস) যোগাড় করে তার খোজ সবার সাথে শেয়ার করলেন। তিনি “দ্যা ওয়েভ প্রিন্সিপাল” নামে তার বই প্রকাশিত করলেন। তার মতে মার্কেট ক্রমাগত চক্রে মুভ করে, যেটাকে তিনি ইনভেস্টরদের ইমোশন হিসেবে চিনহিত করেছেন যা বাহ্যিক প্রভাব অথবা একসাথে অনেকের সংঘবদ্ধ সাইকোলজি দ্বারা সংঘটিত হয়।

এলিয়ট সাহেব বলেছেন যে প্রাইসে উপরের অথবা নিচের দিকের সুইং যা সংঘবদ্ধ সাইকোলজির জন্য হয়, সেগুলো সবসময় প্যাটার্ন হিসেবে দেখা যায়। তিনি এইসব আপওয়ারড অথবা ডাউনয়ারড সুইংগুলকে “ওয়েভ” হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে, যদি এই প্যাটার্নগুলোকে সঠিকভাবে চিনহিত করা যায়, তাহলে আপনি বলে দিতে পারবেন যে প্রাইস পরবর্তীতে কোথায় যাবে অথবা যাবে না। তথায় আপনি জ্যোতিষ বাবা হয়ে যাবেন।

এটা ট্রেডারদের কাছে এলিয়ট ওয়েভকে আকর্ষণীয় করে তলে। এটা আপনাদের একটা যথাযথ একটা পয়েন্ট মার্কেট রিভার্সাল চিনহিত করার উপায় দেয়। এক কথায়, এলিয়ট ওয়েভ মার্কেটে টপ ও বটম ধরার সুযোগ করে দেয়। এই বিশৃঙ্খল মার্কেট মুভমেন্টের মধ্যে তিনি শৃঙ্খলা খুজে বের করেছেন। দারুন না?

চলেন এখন শেখার দিকে মনোযোগ দেই। প্রথমে আপনার ফ্রাক্টাল সম্পর্কে জানা দরকার।

ফ্রাক্টাল:

ফ্রাক্টাল সাধারনত সেইসব জিনিস যা কয়েক ভাগ করা যায়, যেটা সম্পূর্ণ কোন কিছুর মতই কিন্তু একটা অংশমাত্র। যেমন কেক, তার একটা অংশ হল ফ্রাক্টাল। এটা জানা দরকার কি? এলিয়ট ওয়েভের একটা গুরুত্বপূর্ণ বিসয় হল যে এগুলো ফ্রাক্টাল। এলিয়ট ওয়েভকে আবার ছোট ওয়েভে ভাগ করা যায়।

এলিয়ট ওয়েভ আর ফিবোনাচ্চি:

এলিয়ট ওয়েভ চিনহিত করতে ফিবোনাচ্চি অনেক কাজে দেয়। ফিবোনাচ্চি নিজে একটা সপরিপুরক ট্যুল আর এই ট্যুল ব্যাবহার করে ওয়েভ প্রজেকশন সহজ হয়ে যায়। ফিবোনাচ্চি রেশিও (৩৮.২%, ৫০%, ৬১.৮%, ১৬১.৮% ইত্যাদি) ব্যাবহার করে ট্রেডাররা ওয়েভের দৈর্ঘ্য, কারেকশনের গভীরতা, ইত্যাদির ধারনা নিতে পারেন। চলুন দেখিঃ

উপরের প্যাটার্নে ওয়েভ ১, ৩, ৫ হল মোটিভ, মানে এগুলো অভারঅল ট্রেন্ডের দিকে যায় আর ওয়েভ ২ এবং ৪ হল কারেক্টিভ ওয়েভ। এখন এগুলোকে বিশ্লেষণ করি।
ওয়েভ ১ – প্রথম বায়ার গ্রুপের এক আবেগপ্রবন আশাবাদ বর্ণনা করে। তারা বাই করার জন্য একটি ভালো কোন কারন পেয়েছে (হোক সেটা টেকনিক্যাল অথবা ফান্ডামেন্টাল) আর তাই তারা মার্কেট উপরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
ওয়েভ ২ – যেই না বায়াররা তাদের ট্রেড লাভে ক্লোজ করছে ওই ইম্পালস আস্তে আস্তে নেমে যাচ্ছে। অন্যান্য ইনভেস্টর যারা প্রথম ওয়েভ মিস করেছে, আর নতুন সুযোগের অপেক্ষায় আছে।
ওয়েভ ৩ – সাধারনত সবচেয়ে শক্তিশালী এবং দীর্ঘতম ওয়েভ। সকল ইনভেস্টর যারা বাই করতে চায় ( যারা ওয়েভ ১ ধরতে পারেনি আর যারা ধরেছে) তারা এই ওয়েভে বাই করবে। এছাড়াও, এই ওয়েভের মাঝপথে যারা আপট্রেন্ড মানতে দিধাবোধ করছিল তারাও এখন আপট্রেন্ডে সম্মতি দিবে। সবকিছু মিলিয়ে এটা মেইন ট্রেন্ডের দিকে জোরে একটা ঠ্যালা দিবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *