শেয়ারবাজারের কোনো কোম্পানির শেয়ার কেনার আগে ওই কোম্পানির আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা নেওয়া খুবই জরুরি। একেকটি কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনেক তথ্য থাকে। সব তথ্য জানা–বোঝা সবার পক্ষে সম্ভবও নয়। তবে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনাবেচার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যেসব তথ্যের পেছনে ছোটেন, তার একটি শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস। যদি শেয়ারবাজার নিয়ে আপনার কোনো ধারণা না থাকে, তাহলে আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, ইপিএস—এটি আবার কী? হ্যাঁ, আপনার জন্যই বিষয়টি ব্যাখ্যা করছি। একটি কোম্পানি নির্দিষ্ট একটি সময়ে সব খরচ বাদ দেওয়ার পর যে মুনাফা করে, তার ভিত্তিতেই ওই কোম্পানির ইপিএস হিসাব করা হয়। সহজেই বের করা যায় এ হিসাব। ধরা যাক, ২০২০ সালে সব খরচ বাদ দেওয়ার পর ‘এ’ কোম্পানির মুনাফা হয়েছে ১ কোটি টাকা। ওই কোম্পানির মোট শেয়ার রয়েছে ১০ লাখ। তাতে ২০২০ সাল শেষে ‘এ’ কোম্পানির ইপিএস দাঁড়াবে ১০ টাকা। কোম্পানির মুনাফাকে মোট শেয়ারসংখ্যা দিয়ে ভাগ করে ইপিএস বের করা হয়।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, ইপিএসটা জানা কেন জরুরি? এ প্রশ্নের সহজ উত্তর হচ্ছে, আপনার হাতে যে কোম্পানির শেয়ার আছে, তার বিপরীতে ওই কোম্পানির আয় কেমন, তা জানাটা আপনার জন্য অবশ্যই জরুরি। কারণ, ইপিএসের জন্যই শেয়ারের দামের কম-বেশি হয়। ইপিএস বাড়লে শেয়ারের দাম বাড়ে, আর ইপিএস কমলে দাম কমে। আবার ইপিএসের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয় মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও। সেই পিই রেশিওর ভিত্তিতে শেয়ারের বিপরীতে ঋণপ্রাপ্তি নির্ভর করে। সহজ করে বললে ইপিএস ভালো মানে কোম্পানির ব্যবসা ভালো, আর ইপিএস খারাপ মানে ব্যবসা খারাপ। তাই ভালো ব্যবসা করা কোম্পানির শেয়ার কিনবেন নাকি ব্যবসায় খারাপ করা কোম্পানির শেয়ার কিনবেন—সিদ্ধান্ত আপনার।