বাংলাদেশের বাজারে শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে আপনি ঋণ পাবেন কি পাবেন না, তা নির্ভর করছে ওই কোম্পানির পিই রেশিও কত তার ওপর। বর্তমানে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো কোম্পানির পিই রেশিও ৪০-র বেশি হলেই ওই কোম্পানির শেয়ার ঋণ অযোগ্য। তবে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান চাইলে আরও কম পিই রেশিওর কোম্পানিকেও ঋণ অযোগ্য বিবেচিত করতে পারে। সেটি ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের এখতিয়ার। ঋণ পাওয়া না পাওয়ার আগে পিই রেশিওর মানে কী? কোনো একটি কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাতকে সংক্ষেপে পিই রেশিও বলা হয়। এটি নির্ধারিত হয় সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শেয়ারের বাজারমূল্য ও ইপিএসের ভিত্তিতে। ধরা যাক, ২০২০ সাল শেষে ‘এ’ কোম্পানির শেয়ারের ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা। কোম্পানিটির শেয়ারের বাজারমূল্য ২০০ টাকা। তাহলে ২০২০ সাল শেষে ওই কোম্পানির পিই রেশিও দাঁড়াবে ২০-এ। অর্থাৎ কোম্পানির ইপিএস দিয়ে শেয়ারের বাজারমূল্যকে ভাগ দিলে যে ভাগফল পাওয়া যায়, সেটিই ওই কোম্পানির পিই রেশিও। নিরীক্ষিত ও অনিরীক্ষিত—এ দুই আর্থিক প্রতিবেদনের ইপিএসের ভিত্তিতে পিই রেশিও নির্ণয় করা হয়। সাধারণত শেয়ারবাজার বিশ্লেষকেরা বলে থাকেন যে কোম্পানির পিই রেশিও যত কম, সেই কোম্পানি বিনিয়োগের জন্য ততটাই উত্তম। বিষয়টি আরেকটু ব্যাখ্যা করে বলা যাক তবে। ধরি, ‘এ’ কোম্পানির পিই রেশিও ২০। তার মানে, যদি কোম্পানিটির অন্যান্য অবস্থার কোনো পরিবর্তন না হয় এবং আয়ের এ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা যায়, তবে একজন বিনিয়োগকারী ২০ বছরে তার বিনিয়োগের পুরো অর্থ ফেরত পাবেন। তবে সব ক্ষেত্রে কম পিই মানেই বিনিয়োগযোগ্য শেয়ার নয়, বন্ধ কোম্পানিরও অনেক সময় পিই অনেক কম থাকে।
Categories