ডিভিডেন্ড পে-আউট রেশিও বলতে বুঝায়, কোন একটি নির্দিষ্ট কোম্পানি তার শেয়ার হোল্ডারদের জন্য বাৎসরিক যে ডিভিডেন্ড দেয় সেটা তার মোট আয়ের কত অংশ। অর্থাৎ মোট আয়ের কত অংশ ডিভিডেন্ড হিসাবে দিচ্ছে।ডিভিডেন্ড পে-আউট রেশি এর সুত্রঃ
ডিভিডেন্ড পে-আউট = ডিভিডেন্ড / মোট আয়(ইপিএস)
উদাহরনঃ
ধরা যাক, সামিট পাওয়ার কোন এক বছরের জন্য তাদের শেয়ার হোল্ডারদের জন্য ৩৫% ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে, যেখানে কোম্পানির টোটাল ইপিএস বা শেয়ার প্রতি আয় ৪ টাকা ৫০ পয়সা।
অতএব, ডিভিডেন্ড পে-আউট রেশিও
= ৩৫%/৪.৫*১০০
= (৩৫/১০০)/৪.৫*১০০
= ৭৭.৭৮%
অর্থাৎ কোম্পানি তার মোট আয়ের ৭৭.৭৮% ডিভিডেন্ড হিসাবে তার শেয়ার হোল্ডারকে দিয়েছে।
পে-আউট রেশিও কতটুকু গুরতপুর্ণ?
১) লং টার্ম ইনভেস্টমেন্ট সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ডিভিডেন্ড পে-আউট রেশিওর গুরুত অনেক বেশি। যেহেতু আপনি লং বিনিয়োগ করবেন। এই সময়ের মধ্যে শেয়ার বিক্রি করবেন না আবার এই শেয়ারগুলো থেকে নিয়মিত ইনকামও আশা করেন তাদের জন্য কোম্পানির ডিভিডেন্ড পে-আউট রেশিও খুবই গুরুতপুর্ণ। কোম্পানি তার আয়ের কত অংশ শেয়ার হোল্ডারদের দেয় সেটা নির্নয় করলে সেটা পাওয়া যায়।
২) সাধারনত মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো তার আয়ের সীমিত অংশ রেখে বাকি অংশ শেয়ার হোল্ডারদের দিয়ে দেয়। এর কারন বিদেশী বিনিয়োগকারিরা বিনিয়োগ করে ক্যাশ টাকার জন্য, ডিভিডেন্ডের অর্থ তারা তুলে নিতে পারে। যেহেতু বিদেশী বিনিয়োগকারীরা এই শেয়ার বেশি ধারন করে তাই এই শেয়ারের ফ্লো বাজারে কম থাকে এবং যার ফলে শেয়ারের বাজার মূল্য বেশি হয়।
৩) টেকনোলজিক্যাল কোম্পানিগুলো তাদের আয়ের কিছু অংশ দেয়, বাকি অংশ পুনরায় বিনিয়োগের জন্য রেখে দেয়। কারন টেকনোলোজি বেজড কোম্পানিগুলোর অনেক মুলধন লাগে ব্যবসা চালিয়ে রাখার জন্য। এই ধরনের কোম্পানিগুলো ধীরে ধীরে গ্রো করে এবং এর শেয়ার ভ্যালু বৃদ্ধি পায়।