Categories
জিজ্ঞাসা

ডিভিডেন্ট কিভাবে ক্যালকুলেট করবেন?/ All About Dividend?

শেয়ারবাজার ঝুঁকিপূর্ণ, তবুও আমরা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করি মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে। শেয়ারবাজারে দুইভাবে মুনাফা লাভ করা যায়।

  1. ক্যাপিটাল গেইন 
  2. ডিভিডেন্ড

ক্যাপিটাল গেইন কি?/What is capital gain

 একটি শেয়ার কম দামে বিক্রি করে বেশি দামে বিক্রি করলে যে লাভ হয় সেটি হচ্ছে ক্যাপিটাল গেইন। একটি শেয়ার 10 টাকা কিনে 20 টাকায় বিক্রি করলে যে 10 টাকা লাভ হয় এটিই হচ্ছে ক্যাপিটাল গেইন।

ডিভিডেন্ড কি?/What is dividend

কোম্পানি লাভের যে অংশ শেয়ারহোল্ডারদের প্রদান করে ওই অংশকে ডিভিডেন্ড বলে। কোম্পানি ব্যবসা করে যে লাভ করে ওই লাভ থেকে বা সংরক্ষিত মুনাফা থেকে তার শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দিতে পারে। শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড না দিয়ে কোম্পানি পুনঃবিনিয়োগের  জন্য মুনাফা ব্যবহার করতে পারে। কোম্পানি সাধারণতঃ প্রতি বছরে একবার ডিভিডেন্ট প্রদান করে থাকে এছাড়াও কোম্পানি চাইলে বছরের মধ্যবর্তী সময়ে  ডিভিডেন্ট প্রদান করতে পারে যেটাকে ইন্ট্রিম ডিভিডেন্ট বলা হয়।

ডিভিডেন্ড প্রদানের প্রক্রিয়া

  1. কোম্পানি ব্যবসার মাধ্যমে মুনাফা করে।
  2. কোম্পানি ব্যবস্থাপকরা নির্ধারণ করে মুনাফার কতটুকু শেয়ারহোল্ডারের মাঝে বিতরণ করবে এবং কতটুকু তারা ব্যবসায়ী পুনঃবিনিয়োগ করবে।
  3. কোম্পানির পরিচালকরা ডিভিডেন্ড প্ল্যান অনুমোদন প্রদান করে।
  4. কোম্পানি ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেন।
  5. রেকর্ড ডেট এ যারা শেয়ার হোল্ড করে তাদের মাঝে ডিভিডেন্ড বন্টন করা হয়।

ডিভিডেন্ট প্রদানের মাধ্যম

আমাদের দেশে সাধারণত দুইভাবে ডিভিডেন্ড বন্টন করা হয় ।

  • নগদ অর্থ প্রদান
  • বোনাস শেয়ার প্রদান

নগদ অর্থ প্রদান/Cash Dividend

কোম্পানি যখন নগদ অর্থ ডিভিডেন্ড হিসেবে প্রদান করে তখন একজন শেয়ারহোল্ডার যতটুকু ডিভিডেন্ট পাবে তা তার ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

Calculation of Cash Dividend

ধরুন আপনার কাছে এবিসি কোম্পানির 500 টি শেয়ার আছে আছে । প্রতিটি শেয়ার ক্রয় করেছিলেন 25 টাকা মূল্য। এবছর এবিসি কোম্পানি 20 পার্সেন্ট নগদ মুনাফা ঘোষণা করল তাহলে আপনি কত টাকা মুনাফা পাবেন।

আমাদের দেশে মুনাফা প্রদান করা হয় শেয়ারের face value উপর। এবং প্রতিটি শেয়ারের face value সাধারণত 10 টাকা হয়ে থাকে। আপনি শেয়ার যত দামে কিনুন না কেন শেয়ারটির face value 10 টাকা এবং ওই face value এর উপরে আপনি মুনাফা বা ডিভিডেন্ড পাবেন। সুতরাং এবিসি কোম্পানি যেহেতু 20 পার্সেন্ট মুনাফায় ঘোষণা করেছে তাহলে আপনি প্রতি শেয়ারে দুই টাকা করে মুনাফা পাবেন। আপনার যেহেতু 500 টি শেয়ার আছে তাহলে আপনি সর্বমোট 1000 টাকা মুনাফা পাবেন। এই 1000 টাকা থেকে সোর্স  ট্যাক্স বা উৎস কর হিসেবে দশ পার্সেন্ট অর্থাৎ 100 টাকা কেটে রাখবে সুতরাং আপনার ব্যাংক একাউন্টে সর্বমোট 900 টাকা কোম্পানি পাঠিয়ে দিবে।

শেয়ার প্রতি মুনাফা  ১০*২০% = ২.০০

সর্বমোট শেয়ারের সংখ্যা =৫০০

মোট প্রদেয় মুনাফার পরিমাণ =১০০০.০০

উৎস কর।            ১০০০*১০%=১০০.০০

মোট প্রাপ্য মুনাফা।  = ৯০০.০০

বোনাস শেয়ার প্রদান/Bonus Share

কোম্পানির চাইলে নগদ অর্থ না দিয়ে বোনাস শেয়ার দিতে পারে অথবা বোনাস শেয়ার ও নগদ অর্থ দুটোই প্রদান করতে পারে। বোনাস শেয়ার ইস্যু করলে কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। যেহেতু বোনাস শেয়ার পূর্ববর্তী মার্কেট প্রাইস এর সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করা হয় তাই কোম্পানির মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন পরিবর্তন হয় না।

Calculation of Bonus Share

বোনাস শেয়ার প্রদান করা হয় আপনার হোল্ড কৃত শেয়ার সংখ্যার উপর। আপনি যদি কোন কোম্পানির 1000 শেয়ার হোল্ড করেন এবং ওই কোম্পানিতে যদি 10 পার্সেন্ট বোনাস শেয়ার প্রদান করে তাহলে আপনি বোনাস শেয়ার হিসেবে পাবেন ১০০০*১০%=১০০ টি শেয়ার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *