শেয়ারের প্রধান দুটি ধরণ হচ্ছে কমন শেয়ার ও প্রেফারেন্স শেয়ার।দুই ধরনের শেয়ারহোল্ডারই কোম্পানির মালিক। বাংলাদেশে শুধু কমন শেয়ারই লেনদেনযোগ্য।
কমন শেয়ারের ক্ষেত্রে ওই শেয়ারের মালিক কোম্পানির লভ্যাংশ পেয়ে থাকেন,আবার তিনি সাধারণ সভা এবং বিশেষ সাধারণ সভায় ভোটও দিতে পারেন।
প্রেফারেন্স শেয়ারের মালিক লভ্যাংশ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন। এমনকি কোম্পানি কোন কারণে দেওলিয়া হয়ে গেলেও তিনি তার পাওনার বিষয়ে অগ্রাধিকার পাবেন। তবে এ ধরনের শেয়ারধারীদের কোনো ভোটাধিকার থাকে না।
প্রেফারেন্স শেয়ারের ক্ষেত্রে প্রাপ্য লভ্যাংশ আগেই নির্ধারণ করা থাকে। কিন্তু কমন বা অর্ডিনারি শেয়ারের ক্ষেত্রে লভ্যাংশ কম-বেশি হতে পারে। এমনকি কোনো বছর মুনাফা অর্জন সত্ত্বেও পরিচালনা পর্ষদ লভ্যাংশ ঘোষণা নাও করতে পারে। কোম্পানির পারফরমেন্স ভাল হলে লভ্যাংশের হার বেড়ে যায় বলে বাজারে কমন শেয়ারের দামও বাড়ে। তাই এ শেয়ারে মূলধনী মুনাফার ভাল সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু প্রেফারেন্স শেয়ারের লভ্যাংশ নির্ধারিত থাকে বলে এতে মূলধনী মুনাফার তেমন সম্ভাবনা বা সুযোগ থাকে না। অনেক ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময় পর প্রেফারেন্স শেয়ারের অংশবিশেষ বা পুরোটা সাধারণ শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ থাকে। অনেক দেশে কমন শেয়ারের মত প্রেফারেন্স শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জে কেনাবেচা হয়।