Categories
সার্কিট/হল্ট

সার্কিট ব্রেকার (Circuit Breaker) কি?

শেয়ার বাজারে একদিনে কোন একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম অনেক বেশী বাড়া বা কমা ঠেকাতে বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন যে নিয়ম চালু করেছে সেটিই সার্কিট ব্রেকার নামে পরিচিত।

বর্তমানে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সার্কিট ব্রেকার বা দর পরিবর্তনের সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ। অর্থাৎ একদিনে একটি শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে পারে অথবা একইভাবে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত দাম কমতে পারে। তবে, শেয়ারের দাম অনুযায়ী সার্কিট ব্রেকার ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।

শেয়ারের দাম অনুযায়ী সার্কিট ব্রেকার এর ৬টি ভাগ আছেঃ

  1. কোন একটি শেয়ারের দাম যদি ২০০ টাকার মধ্যে থাকে তবে সেই শেয়ারের সার্কিট ব্রেকার হবে ১০%। অর্থাৎ সেই শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ১০% বাড়তে পারে বা ১০% কমতে পারে।
  2. কোন একটি শেয়ারের দাম যদি ২০১ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে থাকে তবে সেই শেয়ারের সার্কিট ব্রেকার হবে ৮.৭৫%
  3. কোন একটি শেয়ারের দাম যদি ৫০১ টাকা থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে থাকে তবে সেই শেয়ারের সার্কিট ব্রেকার হবে সাড়ে ৭.৫%
  4. এই রকম ভাবে যেই শেয়ারের দাম ১০০১ টাকা থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে তার সার্কিট ব্রেকার হবে ৬.২৫%।
  5. যেই শেয়ারের দাম ২০০১ টাকা থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে তার সার্কিট ব্রেকার হবে ৫%।
  6. যেই শেয়ারের দাম ৫০০১ টাকা থেকে তার অধিক হবে সেই শেয়ারের সার্কিট ব্রেকার হবে ৩.৭৫%

উদাহরণস্বরূপ, গতকাল একটি শেয়ারের ক্লোজিং প্রাইজ ছিল ( YCP = Yesterday Closing Price) ১০০ টাকা। যদি ১০% ঐ শেয়ারে সার্কিট ব্রেকার দেওয়া থাকে তবে সেই শেয়ারটির সর্বোচ্চ দাম ( Circuit Up) উঠতে পারবে ১১০ টাকা এবং সর্বনিন্ম দাম (Circuit Lw) হতে পারবে ৯০ টাকা। এই মূল্য অতিক্রম করে কেউ বাই সেল করতে পারবে না। নিচের ছবিতে সার্কিট আপ এবং সার্কিট লো দেখানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *