রাইট শেয়ার কি?
রাইট শেয়ার এক ধরনের অধিকারমূলক শেয়ার। কোম্পানি যখন তার মূলধন বাড়াতে চায় তখন সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অনুমতি নিয়ে বাজারে যে শেয়ার ছাড়ে তাকেই রাইট শেয়ার বলে।
নির্দিষ্ট কম্পানির নির্দিষ্ট রেকর্ড ডেট থাকে উক্ত রেকর্ড ডেটের আগে যে সকল শেয়ারহোল্ডারগনের বিও অ্যাকাউন্ট নাম্বারে ওই কম্পানির শেয়ার থাকে শুধু তারাই রাইট শেয়ারের জন্য আবেদন করতে পারে।
রাইট ইস্যুটি মূলত এমন একটি উপায় যার মাধ্যমে স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত কোনো সংস্থা বাজার থেকে অতিরিক্ত তহবিল সংগ্রহ করে থাকে |
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, পুঁজিবাজারে পেপার ও প্রিন্টিং খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলসের রাইট শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সোনালী পেপার ১:২ আর অনুপাতে রাইট শেয়ার ইস্যু করবে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা বিদ্যমান দুইটি শেয়ারের বিপরীতে একটি রাইট শেয়ার পাবেন। কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ১ কোটি ৯ লাখ ৮১ হাজার ৭৩১টি রাইট শেয়ার হিসেবে ইস্যু করবে। এর মাধ্যমে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ১৭ হাজার ২৯০ টাকা সংগ্রহ করবে কোম্পানিটি।
কিভাবে রাইট শেয়ারের জন্য আবেদন করবেনঃ
সে সকল শেয়ারহোল্ডারদের রেকর্ড ডেটের আগ পর্যন্ত কোন কোন নির্দিষ্ট কম্পানির শেয়ার থাকবে যারা কিনা রাইট ইস্যু করবে তাদের(কম্পানির)ওয়েবসাইটে রাইট শেয়ারের আবেদন ফর্ম পাওয়া যাবে।অনেক সময় কম্পানি শেয়ারহোল্ডারগনের ঠিকানাও রাইট শেয়ার আবেদন ফর্ম পাঠিয়ে থাকে।সেখান থেকে আপনি ফর্মটি ডাউনলোড করে/আপনার ঠিকানায় প্রাপ্ত ফর্ম ফিলাপ করবেন। এর পরে আপনি যতগুলি রাইটের জন্য আবেদন করতে চাইছেন সেটার টাকা ক্যাশ,পে অর্ডার, চেক আপনি উল্লেখিত নির্দিষ্ট ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখায় জমা দিয়ে রাইট শেয়ারের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এছাড়াও একজন শেয়ারহোল্ডার জিনি কিনা রাইট শেয়ার আবেদন করার জন্য ইলিজেবল তিনি চাইলে তার প্রাপ্য রাইট আংশিক কিংবা পুরটা রিনানসিয়েশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অন্য যে কাইউকে ট্র্যান্সফার করতে পারে।
উদাহরণ হিসেবে আমরা বলতে পারি, ধরুন XYZ কম্পানি ১:২ অনুপাতে রাইট শেয়ার ইস্যু করল, অর্থাৎ রেকর্ড ডেটে যদি আমার ৫,০০০ শেয়ার থাকে তবে আমি সর্বাধিক ২,৫০০ রাইট শেয়ারের জন্য আবেদন করতে পারবো, অবশ্য আমি চাইলে এর কম পরিমাণ শেয়ারের জন্যও আবেদন করতে পারব। এখন আমাকে XYZ কম্পানির নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে রাইট শেয়ার আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করে সেটা ফিলাপ করে ২,৫০০ শেয়ারের সমপরিমাণ ২৫,০০০(যখন অবহিত মূল্য ১০ টাকা প্রতি শেয়ার) টাকা নির্দিষ্ট ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাঁখায় ক্যাশ, চেক, পে অর্ডারে এর মাধ্যমে টাকা জমা করে আবেদন করতে করতে হবে। অন্যথায় আমি যদি রিনানসিয়েশন করতে চাই সেক্ষেত্রে আমাকে উক্ত কম্পানির ওয়েবসাইট থেকে তাদের অনুমতি সাপেক্ষে নির্ধারিত ফর্ম কালেক্ট করে সেটা ফিলাপ করে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আমার প্রাপ্য রাইট আমি রিনানসিয়েশন করতে পারব।