Categories
শেয়ারের মৌলিক বিষয়বস্তু

শেয়ারের শ্রেনীবিভাগ সমূহ

বাংলাদেশ স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানীগুলোর পারফরমেন্সের ভিত্তিতে A, B, N এবং Z এই ৪ টা বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। বিনিয়োগকারীদেরকে সাধারনভাবে ভাল ও মন্দ শেয়ার চিনিয়ে দেবার জন্য এই বিভাগীকরন করা হয়েছে।

১. A-Category: যে সব কোম্পানিতে নিয়মিত বোর্ড  মিটিং করা হয় এবং  ১০% বা তার বেশি লভ্যাংশ (Dividend) বছর শেষে প্রদান করা হয় । সে সব কোম্পানীসমূহ এ গ্রুপের অর্ন্তভুক্ত।

২. B-Category: এ ধরনের ক্যাটাগরির  কোম্পানিতে নিয়মিত বার্ষিক বোর্ড মিটিং করা হয়  কিন্তু   বার্ষিক  লভ্যাংশ  (Dividend) ১০% এর নিচে   প্রদান করা হয়।  এসব  কোম্পানীসমূহ B গ্রুপের অর্ন্তভুক্ত।

৪. N-Category:  এই গ্রুপে অর্ন্তভুক্ত কোম্পানিগুলো এই বছর স্টক মার্কেটে  লিপিবদ্ধ হয়েছে ।যাকে নতুন শেয়ারও বলে। সাধারনত কোন শেয়ার স্টক মার্কেটে লিপিবদ্ধ হওয়ার পর  আর্থিক বছর শেষ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এই গ্রুপে রাখা হয়। আর্থিক বছর শেষ হলে এদের পারফরমেন্স উপর ভিত্তি করে A, B অথবা Z গ্রুপে স্থানান্তর করা হয়।

৫. Z-Category:  এই গ্রুপে অর্ন্তভুক্ত কোম্পানিগুলো  নিয়মিত বোর্ড মিটিং করে না এবং বার্ষিক লভ্যাংশ প্রদানে ব্যর্থ কিংবা সর্বশেষ ৬ মাস উৎপাদন  বন্ধ থাকলে এই গ্রুপে স্থানান্তর করা হয়।

StockNow App ক্যাটাগরি অনুযায়ী শেয়ার ভাগ করা আছে।

Categories
শেয়ার বাজারের প্রাথমিক ধারণা শেয়ারের মৌলিক বিষয়বস্তু

আইপিও (IPO) বা প্রাইমারি শেয়ার কি ?

প্রাইমারি শেয়ার  ইনিশিয়াল পাবলিক অফার বা আইপিও নামেও পরিচিত।  বাজারে কোন কোম্পানি প্রথম প্রাইমারি শেয়ারের মাধ্যমে প্রবেশ করে। অর্থাৎ নতুন কোন কোম্পানিকে বাজারে অন্তর্ভুক্ত হতে হলে তাকে প্রথমে প্রাইমারি শেয়ার ছাড়তে হবে।

প্রাইমারি শেয়ার কিনতে আগ্রহীদের পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দরখাস্ত আহবান করে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি। বর্তমানে দেখা যায়, কোম্পানির প্রয়োজনীয় শেয়ার লটের চেয়ে প্রায় ৫০-৬০ গুণ এমনি ১০০ গুণ পর্যন্ত বেশি দরখাস্ত জমা পড়ে। সেজন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানি লটারির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় শেয়ার লট সংগ্রহ করে থাকে। প্রাইমারি শেয়ার বাজারে এলে বিও অ্যাকাউন্টধারী যে কেউ এই শেয়ার কেনাবেচা করতে পারে

প্রতিটি কোম্পানির প্রাইমারি  শেয়ার যে দামে ছাড়ে  তাকে  ফেইস ভ্যালু বলে । কখনো কখনো ফেইস ভেল্যুর সাথে  প্রিমিয়াম যোগ করে একটি নির্দিষ্ট টাকায় শেয়ারটি অফার করে থাকে । ধরা যাক কোন কোম্পানির ফেস ভ্যালু ১০ টাকা এবং তারা ৫ টাকা প্রিমিয়াম সহ শেয়ারের দাম নির্ধারণ করল ১৫ টাকা। এখন যদি ঐ শেয়ার IPO এর মাধ্যমে পেয়ে থাকেন তবে প্রতি শেয়ারে দাম পরে ১৫ টাকা। তারপর এখন ইচ্ছা করলে এই শেয়ার সেকেন্ডারি মার্কেটে বিক্রি করতে পারবেন।

আইপিও ছাড়তে দুটি শর্ত পূরণ করতে হবে:

  • কোম্পানিটি অবশ্যই একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হতে হবে।
  • কোম্পানিকে অবশ্যই শেয়ার মার্কেটে (এসইসি, ডিএসই এবং সিএসই) তালিকাভুক্ত হতে হবে।
Categories
শেয়ারের মৌলিক বিষয়বস্তু

সেকেন্ডারি শেয়ার কি?

প্রাইমারি শেয়ার ক্রয় করে ম্যাচিওর হওয়ার পর যখন  বিক্রি করে দেয় তখন তা সেকেন্ডারি শেয়ারে পরিনত হয়। সেকেন্ডারি শেয়ারগুলো শেয়ার বাজারে ক্রয় ও বিক্রি করা যায় । সেকেন্ডারি শেয়ার বাজারে ব্যবসা করতে হলে শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে ভাল জ্ঞান থাকতে হবে। অর্থাৎ ব্যবসা করার জন্য ফান্ডামেন্টাল এবং টেকনিক্যাল এনালাইসিস সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে। এ ধারনা অর্জন করতে পারলে শেয়ার ব্যবসায় ভাল লাভ করতে পারবেন। আর যদি দীর্ঘমেয়াদে শেয়ারে ব্যবসা করেন এবং একে পেশা বা বাড়তি ইনকামের সোর্স হিসেবে ব্যবহার করতে চান তবে সেকেন্ডারি মার্কেট খুবই উত্তম যায়গা।

Categories
শেয়ারের মৌলিক বিষয়বস্তু

রাইট শেয়ার কি?

রাইট শেয়ার এক ধরনের অধিকারমূলক শেয়ার। কোম্পানি যখন তার মূলধন বাড়াতে চায় তখন সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অনুমতি নিয়ে বাজারে যে শেয়ার ছাড়ে তাকেই রাইট শেয়ার বলে। এ শেয়ার সবাই কিনতে পারেন না। কোম্পানি গঠনের পরবর্তী সময়ে শেয়ার বিক্রি করার ক্ষেত্রে পুরাতন শেয়ার মালিকগণ ওই শেয়ার ক্রয়ে অগ্রাধিকার  পেয়ে থাকেন। যেসব শেয়ারহোল্ডার আগেই ওই কোম্পানির শেয়ার কিনেছেন তারাই শুধু রাইট শেয়ার কিনতে পারেন। শেয়ারহোল্ডারদের কাছে এই শেয়ার অনেক মূল্যবান। কারণ বাজারের প্রকৃত মূল্যের চেয়ে এই শেয়ারের দাম অনেক কম থাকে।

Categories
কোম্পানি ফান্ডামেন্টালস জিজ্ঞাসা বিনিয়োগ শেয়ার বাজার শেয়ার বাজারের প্রাথমিক ধারণা শেয়ার লেনদেন শেয়ারের অবস্থান শেয়ারের মৌলিক বিষয়বস্তু

একটি শেয়ারের যে সকল সাধারণ তথ্য জানা একান্ত প্রয়োজন ।

শেয়ার বাজার সম্পর্কে ভালোভাবে না জেনেই বিনিয়োগ করে শুরুতে লস করে বসেন আবার অনেকেই পুঁজি হারান। নতুন বিনিয়োগকারীদের শুরুতে এরকম ক্ষতির মুখে পড়া থেকে রক্ষা করতে StockNow সর্বদাই সচেষ্ট।

Open Price:
একটি কার্যদিবসের শুরুতে একটি শেয়ার যে মূল্য দিয়ে শুরু হয় তাকে বলা হয় Open Price।

High Price:
আজকের দিনের একটি শেয়ারের সর্বোচ্চ মূল্য কে বলা হয় High Price.

Low Price:
আজকের দিনের একটি শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য কে বলা হয় Low Price.

YCP:
গতকালের শেয়ার বাজার বন্ধ হওয়ার সময় একটি শেয়ারের যে মূল্য ছিল তাকে বলা হয় YCP (Yesterday Close Price).

Volume:
আজকের দিনের কত সংখ্যাক শেয়ার লেন-দেন হলো র সংখ্যা।

কোথায় এবং কি ভাবে দেখবো
Open Price, High Price, Low Price, YCP, Volume.

StockNow মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে আমরা Open Price, High Price, Low Price, YCP, Volume. দেখতে পারি ।

মনে করি আমরা GP শেয়ারের Open Price, High Price, Low Price, YCP, Volume. দেখবো।

আমাদের প্রথমে StockNow Apps টি ডাউনলোড করে নিতে হবে।

তারপর StockNow Apps টি ওপেন করতে হবে।
Apps এর Home থেকে Share
Search
Search বারে টাইপ করে Gp লিখতে হবে । তখন আমরা GP শেয়ারটি দেখতে পাবো
GP শেয়ার টি ক্লিক করব।
Open লেখার নিচে আমরা ঐ কার্যদিবসের GP Open Price দেখতে পারবো।
High লেখার নিচে আমরা ঐ কার্যদিবসের GP High Price দেখতে পারবো।
Low লেখার নিচে আমরা ঐ কার্যদিবসের GP Low Price দেখতে পারবো।
Ycp লেখার নিচে আমরা ঐ কার্যদিবসের আগের কার্য়দিবসের GP YCP দেখতে পারবো।
Volume লেখার নিচে আমরা ঐ কার্যদিবসের GP Volume দেখতে পারবো।
Categories
শেয়ারের অবস্থান শেয়ারের মৌলিক বিষয়বস্তু

ফ্লোর (Floor) প্রাইস কি?

ফ্লোর প্রাইস হলো যেকোনো সেবা বা পণ্যের সরকার নির্ধারিত দাম যা ওই পণ্যের ভারসাম্য বা ভারসমতার ভিত্তিতে নির্ধারিত হয় যার নিচে দাম নামতে না পারলেও উঠার বিস্তর সুযোগ থাকে।

বাংলাদেশে করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাবকালে শেয়ার মার্কেটের ক্রমাগত দরপতন ঠেকাতে সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন ১৯ মার্চ থেকে ফ্লোর প্রাইস ব্যবস্থা প্রবর্তন করে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্ধারিত দামের নিচে কোনো কোম্পানির শেয়ার ট্রেড হওয়া বন্ধ করা হয়, যদিও শেয়ারটির দাম যত খুশি বাড়তে পারে।

Categories
শেয়ারের মৌলিক বিষয়বস্তু

শেয়ার বাজার কি?

শেয়ার বাজার হল ব্রোকার হাউসের মাধ্যমে শেয়ার, বন্ড এবং মিউচুয়াল ফান্ডের কেনাবেচার একটি ব্যবস্থা।

বাংলাদেশের শেয়ার বাজার সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (Security and Exchange Comission or SEC) দ্বারা পরিচালিত এবং নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে SEC সরাসরি শেয়ার বাজার পরিচালনা করে না। SEC তিনটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা করে:

১. সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)
Central Depository Bangladesh Limited (CDBL)

২. ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)
Dhaka Stock Exchange (DSE)

৩. চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)
Chittagong Stock Exchange (CSE)

সাধারণত, শেয়ার বাজার এমন একটি জায়গা যেখানে বিও অ্যাকাউন্টধারীরা একে অপরের সাথে শেয়ার, বন্ড এবং মিউচুয়াল ফান্ডগুলি কেনাবেচা করে।

Categories
শেয়ার বাজারের প্রাথমিক ধারণা শেয়ারের মৌলিক বিষয়বস্তু

ওটিসি (OTC) মার্কেট কি ?

ওটিসি মার্কেট হলো ওভার দ্যা কাউন্টার মার্কেট (Over the Counter Market)। যেই সকল কোম্পানি ডিএসই লিস্ট থেকে তালিকাচ্যুত হয়েছে সেই সকল কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডারগন ওটিসি মার্কেটে লেনদেন করেন। সাধারনত, দেউলিয়া হয়ে যাওয়া, উৎপাদন বন্ধ, অস্তিত্ব বিহীন কোম্পানীর শেয়ার গুলোই ওটিসি মার্কেটে লেনদেন হয়। এটা কিন্তু শেয়ার বাজারেরই অংশ। যেসব কোম্পানি মূল মার্কেটে লিস্টিং হয়ে লিস্টিং যোগ্যতা ধরে রাখতে পারে না সেই কোম্পানিগুলো ডিলিস্ট হয়ে ওটিসি মার্কেট-এ তালিকাভুক্ত হয়ে যায়। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে ওটিসি লিস্টেড শেয়ার এ বিনিয়োগ করা বোকামি। ওটিসিকে অনেকটা শেয়ার বাজারের ডাস্টবিন বলা চলে।