Categories
জিজ্ঞাসা শেয়ারের মৌলিক বিষয়বস্তু

ডিভিডেন্ড কি?

একটি ডিভিডেন্ড হল একটি স্টক বা মিউচুয়াল ফান্ড থেকে উপার্জনের বিতরণ করা অংশ।  ফান্ডটি যখন তার পোর্টফোলিওতে সিকিউরিটিজ বিক্রি করে প্রফিট করে তখন ডিভিডেন্ড বিতরণ করা হয়।

নিয়মানুসারে, কোনও পোর্টফোলিওতে সিকিউরিটিজ বিক্রয় করে যদি লাভ হয়, অথবা সুদ বা লভ্যাংশের আকারে কোনও কারেন্ট আয় হয়, কেবল তখনই একটি ফান্ড ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারে। এই ধরনের লাভগুলিকে একটি ডিভিডেন্ড ইকুয়ালাইজেশন রিসার্ভে ট্রান্সফার করা হয়, এবং ট্রাস্টিদের বিবেচনার ভিত্তিতে একটি লভ্যাংশ ঘোষিত হয়।

স্কিমটির ফেস ভ্যাল্যুর (FV) শতাংশ হিসেবে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হয়, NAV নয়। ইউনিট প্রতি FV 10 টাকা এবং ডিভিডেন্ডের হার 20% হলে, ডিভিডেন্ড বিকল্পের প্রতিটি বিনিয়োগকারী ডিভিডেন্ড হিসেবে 2 টাকা পান। তবে, ডিভিডেন্ড ঘোষণার পরে স্কিমটির NAV-র সমতুল্য পতন হয়। গ্রোথ বিকল্পের বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড পাওয়ার অধিকার নেই এবং এই ক্ষেত্রে স্কিম থেকে অর্জিত লাভ স্কিমটিতে

Categories
জিজ্ঞাসা শেয়ারের মৌলিক বিষয়বস্তু

আমি ইপিএস সম্পর্কে জানতে চাই

শেয়ারবাজারের কোনো কোম্পানির শেয়ার কেনার আগে ওই কোম্পানির আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা নেওয়া খুবই জরুরি। একেকটি কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনেক তথ্য থাকে। সব তথ্য জানা–বোঝা সবার পক্ষে সম্ভবও নয়। তবে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনাবেচার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যেসব তথ্যের পেছনে ছোটেন, তার একটি শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস। যদি শেয়ারবাজার নিয়ে আপনার কোনো ধারণা না থাকে, তাহলে আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, ইপিএস—এটি আবার কী? হ্যাঁ, আপনার জন্যই বিষয়টি ব্যাখ্যা করছি। একটি কোম্পানি নির্দিষ্ট একটি সময়ে সব খরচ বাদ দেওয়ার পর যে মুনাফা করে, তার ভিত্তিতেই ওই কোম্পানির ইপিএস হিসাব করা হয়। সহজেই বের করা যায় এ হিসাব। ধরা যাক, ২০২০ সালে সব খরচ বাদ দেওয়ার পর ‘এ’ কোম্পানির মুনাফা হয়েছে ১ কোটি টাকা। ওই কোম্পানির মোট শেয়ার রয়েছে ১০ লাখ। তাতে ২০২০ সাল শেষে ‘এ’ কোম্পানির ইপিএস দাঁড়াবে ১০ টাকা। কোম্পানির মুনাফাকে মোট শেয়ারসংখ্যা দিয়ে ভাগ করে ইপিএস বের করা হয়।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, ইপিএসটা জানা কেন জরুরি? এ প্রশ্নের সহজ উত্তর হচ্ছে, আপনার হাতে যে কোম্পানির শেয়ার আছে, তার বিপরীতে ওই কোম্পানির আয় কেমন, তা জানাটা আপনার জন্য অবশ্যই জরুরি। কারণ, ইপিএসের জন্যই শেয়ারের দামের কম-বেশি হয়। ইপিএস বাড়লে শেয়ারের দাম বাড়ে, আর ইপিএস কমলে দাম কমে। আবার ইপিএসের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয় মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও। সেই পিই রেশিওর ভিত্তিতে শেয়ারের বিপরীতে ঋণপ্রাপ্তি নির্ভর করে। সহজ করে বললে ইপিএস ভালো মানে কোম্পানির ব্যবসা ভালো, আর ইপিএস খারাপ মানে ব্যবসা খারাপ। তাই ভালো ব্যবসা করা কোম্পানির শেয়ার কিনবেন নাকি ব্যবসায় খারাপ করা কোম্পানির শেয়ার কিনবেন—সিদ্ধান্ত আপনার।

Categories
জিজ্ঞাসা শেয়ারের মৌলিক বিষয়বস্তু

মার্কেট ক্যাপিটাল ( Market Capital )

কোন কোম্পানির  টোটাল শেয়ারকে তার মার্কেট ভ্যালু দ্বারা গুন করলে যে ক্যাপিটাল পাওয়া যায় তাকে ওই কোম্পানির মার্কেট ক্যাপিটাল বলে।

এখানে বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের মার্কেট ভ্যালু হল ৫৮.৯০টাকা। বিএসআরএমের সর্বমোট শেয়ারের পরিমান প্রায় ৩৭ কোটি ৬০ লক্ষ। তাহলে বিএস আরএমের মার্কেট ক্যাপিটাল (৫৮.৯০ টাকা * ৩৭.৬০ কোটি শেয়ার)= ২২১৪.৪ কোটি টাকা।

Categories
জিজ্ঞাসা শেয়ারের মৌলিক বিষয়বস্তু

পরিশোধিত মূলধন( Paid-up Capital )

অনুমোদিত মূলধনের পেছনে বর্তমানে কত টাকা আছে তাই হচ্ছে পরিশোধিত মূলধন বা পেইডআপ ক্যাপিটাল।পরিশোধিত মূলধন বলতে বোঝায় কি পরিমাণ মূলধন শেয়ারহোল্ডাররা  বরাদ্দকৃত শেয়ারের বিপরীতে বিনিয়োগ করেছে। পেইড আপ ক্যাপিটাল কখনোই অথরাইজড ক্যাপিটালের বেশী হতে পারবে না। যেমন, একটি কোম্পানীর Authorized Capital ১০০ টাকা হলে তার Paid-up Capital ১০০ টাকার বেশী হতে পারবে না। যদি Paid-up Capital ১০০ টাকার বেশী করতে হয় তাহলে প্রথমে Authorized Capital ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে নিতে হবে।

নিচের ছবিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি HRTEX কোম্পানিটির Paid-up Capital ২৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

Categories
জিজ্ঞাসা শেয়ারের মৌলিক বিষয়বস্তু

মার্কেট প্রাইস বা ভ্যালু কি?

সেকেন্ডারি মার্কেটে শেয়ার যে দামে ক্রয় ও  বিক্রয় করা হয়  তাকে ওই শেয়ারের মার্কেট প্রাইস বা ভ্যালু  বলে। কোন শেয়ারের মার্কেট প্রাইস তার চাহিদা ও যোগানের উপর নির্ভর করে  বাড়তে ও পারে আবার  কমতেও  পারে।

উদাহরণসরুপ, এখানে বেলা ২ঃ০৬ মিনিটে ওরিয়ন ফার্মার (ORIONPHARM) মার্কেট প্রাইস হল ৫৯.৪০ টাকা।

Categories
জিজ্ঞাসা শেয়ারের মৌলিক বিষয়বস্তু

ফেস ভ্যালু কি?

ফেস ভ্যালু হচ্ছে এমন একটি মূল্য যে মূল্যে শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জ এ তালিকাবদ্ধ হয়। ফেস ভ্যালুর দামের উপর শেয়ার এর লভ্যাংশ প্রদান করা হয় । বাংলাদেশ স্টক এক্সচেঞ্জ এ যে কোম্পানি গুলো তালিকাবদ্ধ হয় তা সাধারণত ১০ টাকায় তালিকাবদ্ধ হয় এবং ১০ টাকার উপর যে দাম থাকে তা প্রিমিয়াম প্রাইস হিসেবে গণ্য হয়।

যেমনঃ ধরুন ABC কোম্পানি শেয়ার একজন ব্যক্তি প্রাইমারি শেয়ার/আইপিও  হিসাবে ১৫ টাকায় লটারির মাধ্যমে কিনল। এর মানে এইখানে ১০ টাকা কর্তৃপক্ষ নির্দেশিত ফেস ভ্যালু এবং বাকি ৫ টাকা প্রিমিয়াম প্রাইস ।

Categories
শেয়ারের মৌলিক বিষয়বস্তু

শেয়ার বাজার কি?

শেয়ার বাজার এমন একটি স্থান কে নির্দেশ করে যেখানে বিভিন্ন পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির শেয়ার  কেনা ও বেচা করা হয়। একে পুঁজি বাজারও বলা হয়। শেয়ার কেনা ও বেচার জন্য বাংলাদেশে দুটি বাজার আছে। একটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, অপরটি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ। আবার এই দুটি বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রয়েছে সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।

Categories
শেয়ারের মৌলিক বিষয়বস্তু

শেয়ার কি?

পুঁজিবাজারে শেয়ার বলতে একটি কোম্পানির মালিকানার অংশ বিশেষকে বোঝায়।  প্রাইভেট ও পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির মূলধন অনেকগুলো ভাগে বিভক্ত থাকে ।  প্রতিটি ভাগ হল একটি শেয়ার। কোম্পানির মালিকানাসত্ত্ব  শেয়ারের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। একটি কোম্পানির কতগুলো শেয়ার থাকবে তা নির্ভর করে ওই কোম্পানির মূলধন কত এবং শেয়ারের অভিহিত/ফেইস মূল্য কত তার উপর।

বেক্সিমকো কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন/পেইড আপ ক্যাপিটাল ৭৮৬.৩ কোটি টাকা। আর তার শেয়ারের অভিহিত মূল্য/ফেইস ভ্যলু ১০ টাকা। এক্ষেত্রে কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা দাঁড়ায় (৮৭৬.৩ কোটি/ ১০ টাকা )= ৮৭.৬৩ কোটি।

Categories
শেয়ারের মৌলিক বিষয়বস্তু

শেয়ার হোল্ডার কি?

যদি কেউ কোন কোম্পানির কতগুলো শেয়ার অংশ ক্রয়  করে তাকে সেই অংশের মালিক বা শেয়ারহোল্ডার বলে। এক কথায় কোন কোম্পানীর শেয়ারের মালিকদের বলা হয় শেয়ারহোল্ডার। বাংলাদেশে সাধারণত ৫ শ্রেনীর শেয়ারহোল্ডার দেখা যায় ডিরেক্টর, গভর্নমেন্ট, ইন্সটিটিউট, ফরেইন এবং পাবলিক।

একজন শেয়ারহোল্ডার সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কতটুকু মালিক, তা নির্ধারিত হয় তার কাছে থাকা ওই কোম্পানির শেয়ার সংখ্যার উপর। শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানি ঘোষিত লভ্যাংশও পেয়ে থাকেন শেয়ার সংখ্যার ভিত্তিতে।তাই বলা যায়, শেয়ার এমন এক ধরনের সিকিউরিটি যা একটি কোম্পানির মালিকানা এবং তার আয় ও সম্পদের ওপর অংশীদারিত্ব প্রকাশ করে। বেক্সিমকো কোম্পানির ৮৭.৬৩ কোটি  শেয়ারের মধ্যে পাবলিক  ৪৬.৫১  লাখ শেয়ার ধারণ করছেন। তাই পাবলিক বেক্সিমকো কোম্পানির (৮৭.৬৩ কোটি /  ৪৬.৫১  লাখ)* ১০০ = ৫৩.০৭% মালিক। বেক্সিমকো কোম্পানির প্রায়  অর্ধেকের বেশিরভাগ অংশের মালিক জনগন।

Categories
শেয়ারের মৌলিক বিষয়বস্তু

শেয়ারের ধরন সমূহ

শেয়ারের প্রধান দুটি ধরণ হচ্ছে কমন শেয়ার ও প্রেফারেন্স শেয়ার।দুই ধরনের শেয়ারহোল্ডারই কোম্পানির মালিক। বাংলাদেশে শুধু কমন শেয়ারই লেনদেনযোগ্য।

কমন শেয়ারের ক্ষেত্রে ওই শেয়ারের মালিক কোম্পানির লভ্যাংশ পেয়ে থাকেন,আবার তিনি সাধারণ সভা এবং বিশেষ সাধারণ সভায় ভোটও দিতে পারেন।

প্রেফারেন্স শেয়ারের মালিক লভ্যাংশ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন। এমনকি কোম্পানি কোন কারণে দেওলিয়া হয়ে গেলেও তিনি তার পাওনার বিষয়ে অগ্রাধিকার পাবেন।  তবে এ ধরনের শেয়ারধারীদের কোনো ভোটাধিকার থাকে না।

প্রেফারেন্স শেয়ারের ক্ষেত্রে প্রাপ্য লভ্যাংশ আগেই নির্ধারণ করা থাকে। কিন্তু কমন বা অর্ডিনারি শেয়ারের ক্ষেত্রে লভ্যাংশ কম-বেশি হতে পারে। এমনকি কোনো বছর মুনাফা অর্জন সত্ত্বেও পরিচালনা পর্ষদ লভ্যাংশ ঘোষণা নাও করতে পারে। কোম্পানির পারফরমেন্স ভাল হলে লভ্যাংশের হার বেড়ে যায় বলে বাজারে কমন শেয়ারের দামও বাড়ে। তাই এ শেয়ারে মূলধনী মুনাফার ভাল সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু প্রেফারেন্স শেয়ারের লভ্যাংশ নির্ধারিত থাকে বলে এতে মূলধনী মুনাফার তেমন সম্ভাবনা বা সুযোগ থাকে না। অনেক ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময় পর প্রেফারেন্স শেয়ারের অংশবিশেষ বা পুরোটা সাধারণ শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ থাকে। অনেক দেশে কমন শেয়ারের মত প্রেফারেন্স শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জে কেনাবেচা হয়।