রাইট শেয়ার এক ধরনের অধিকারমূলক শেয়ার। কোম্পানি যখন তার মূলধন বাড়াতে চায় তখন সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অনুমতি নিয়ে বাজারে যে শেয়ার ছাড়ে তাকেই রাইট শেয়ার বলে। এ শেয়ার সবাই কিনতে পারেন না। কোম্পানি গঠনের পরবর্তী সময়ে শেয়ার বিক্রি করার ক্ষেত্রে পুরাতন শেয়ার মালিকগণ ওই শেয়ার ক্রয়ে অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন। যেসব শেয়ারহোল্ডার আগেই ওই কোম্পানির শেয়ার কিনেছেন তারাই শুধু রাইট শেয়ার কিনতে পারেন। শেয়ারহোল্ডারদের কাছে এই শেয়ার অনেক মূল্যবান। কারণ বাজারের প্রকৃত মূল্যের চেয়ে এই শেয়ারের দাম অনেক কম থাকে।
Category: জিজ্ঞাসা
Bull, Bear, Neutral কি?
পুঁজিবাজারে, শেয়ার বাজারের অবস্থা বুঝাতে বুল এবং বিয়ার শব্দটি প্রায়শই ব্যবহৃত হয়। এই শব্দগুলি পুঁজিবাজার বর্তমানে কি অবস্থায় আছে তা বর্ণনা করে — তারা কি শেয়ার মূল্যকে বৃদ্ধি করছে নাকি হ্রাস করছে। এবং একজন বিনিয়োগকারী হিসাবে, বাজারের দিক বোঝা একটি প্রধান শক্তি যা আপনার পোর্টফোলিওটিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। সুতরাং, এই বাজারের প্রতিটি অবস্থা কীভাবে আপনার বিনিয়োগগুলিতে প্রভাব ফেলতে পারে তা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।
সহজ কথায়, একটি বুল মার্কেট হল এমন একটি মার্কেট যেখানে অধিকাংশ শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং একটি বিয়ার মার্কেট হলো এমন একটি মার্কেট যেখানে অধিকাংশ শেয়ারের মূল্য হ্রাস পাচ্ছে।
অধিক সংখ্যক শেয়ারের দর যখন ক্রমাগত কয়েকদিন ধরে বাড়তে থাকে, তখনকার বাজার আবস্থাকে শেয়ারবাজারের ভাষায় বুলিশ (Bullish) মার্কেট বলে। কোনো বাজারে যদি ১০০ টি শেয়ার থাকে এবং কয়েকদিন ধরে যদি মেজরিটি পার্সেন্ট মানে ৭০টি শেয়ারের দাম বাড়ে, ১৫টি শেয়ারের দাম কমে আর ১৫টি অপরিবর্তিত থাকে, ইনডেক্স প্লাস হয় এবং এ ধরনের অবস্থা অর্থাৎ বেশি সংখ্যক শেয়ারের দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকলে একে বুলিশ মার্কেট বলে। আর যদি ১০০টি শেয়ারের মধ্যে ৯০% শেয়ারের দাম বেড়ে যায় তাহলে তাকে অতি বুলিশ বা অতিমূল্যায়িত মার্কেট বলে।
যখন অধিক সংখ্যক শেয়ারের দাম কয়েকদিন ধরে কমতে থাকে তাকে বিয়ার (Bear) মার্কেট বলে। বিয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করা অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ যেহেতু, অধিকাংশ শেয়ারের ইকুইটি মূল্য কমে যায় এবং শেয়ার মূল্য গুলি অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। যেহেতু নিন্মমুখী বাজারে থাকা কঠিন, তাই বিনিয়োগকারীরা বিয়ার মার্কেট থেকে তাদের টাকা উঠিয়ে নেয় এবং বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত ক্যাশ নিয়ে বসে থাকে। যার ফলে মার্কেট আরো নিম্নমুখী হয়।
বুল ও বিয়ার মার্কেটে কি করতে হবে?
বুল মার্কেটের সময়, বিনিয়োগকারীদের জন্য সঠিক কৌশল হল শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতার প্রথম দিকে (যদি সম্ভব হয়) শেয়ার কিনা এবং তারপরে সেগুলা সর্বোচ্চ দামে পৌঁছানোর পরে তাদের বিক্রি করা। বিনিয়োগকারীদের উচিত মার্কেট অতি বুলিশ বা অতি মূল্যায়িত হওয়ার পূর্বেই শেয়ার বিক্রি করে টাকা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া।
বুল মার্কেটের সময়ে, কোনও ক্ষতির পরিমাণ সামান্য এবং অস্থায়ী; একজন বিনিয়োগকারী সাধারণত সক্রিয়ভাবে এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে বেশি লাভ পাওয়ার সম্ভাবনায় আরও বেশি ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ করতে পারেন।
বিয়ার মার্কেটের সময়ে, ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি কারণ শেয়ারগুলি ক্রমাগত মূল্য হারাতে থাকে এবং এর শেষ প্রায়শই চোখে পড়ে না। এমনকি আপনি উত্থানের আশায় বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিলেও, কোনও পরিবর্তন ঘটার আগে আপনার ক্ষতি হতে পারে। তাই বিয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ না করাই ভাল।
Neutral: এই সংখ্যাটি অপরিবর্তিত শেয়ারকে বুঝায়, অর্থাৎ যে সকল শেয়ার এর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে তা বুঝায়।
মনে করি, মেহেদি এবং শামিম শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারী। মেহেদির কাছে জিপির ১০ টি শেয়ার আছে। মেহেদি এই ১০ টি শেয়ার বিক্রি করে দিল এবং শামিম সেই শেয়ারগুলি কিনল। এই ১০ টি শেয়ার হচ্ছে জিপির Volume । আর, এতে ১ টি Trade বা লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। জিপির প্রতিটি শেয়ারের দাম হল ৩০০ টাকা। তাহলে এই লেনদেনের Value হল ৩০০ * ১০ = ৩০০০ টাকা।
বিভিন্ন কারনে StockNow অ্যাপসে রেজিস্ট্রেশন করা আপনার একাউন্টের পাসওয়ার্ড ভুলে যেতে পারেন। পাসওয়ার্ড ভুলে গেল চিন্তা নেই! কারণ আপনি খুব সহজে পাসওয়ার্ড চেঞ্জ বা পরিবর্তন করতে পারবেন। পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে হবে।
প্রথম এই অ্যাপ্লিকেশনটি ওপেন করতে হবে। অ্যাপ্লিকেশন এর নিচে ডান দিকে মোর অপশন আছে; সেখানে সিলেক্ট করতে হবে।
নতুন পাসওয়ার্ডটি দেবার পরে “Continue” তে সিলেক্ট করলে নিচের ছবির মত আসবে। তার মানে আপনি সঠিকভাবে পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করতে পেরেছেন।
অবশেষে আপনি সফলভাবে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে পেরেছেন। এখন আপনি আপনার মোবাইল নম্বর ও নতুন পরিবর্তন করা পাসওয়ার্ড দিয়ে পুনরায় লগিন করতে পারবেন।
StockNow অ্যাপসে আপনি ফ্রি রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশন করলে আপনার পোর্টফোলিও তথ্য একাউন্টে সেভ থাকবে। ফেভারিটে থাকা শেয়ারগুলো সেট থাকবে। এছাড়াও Interactive Chart এ ইন্ডিকেটর টুলস এবং অন্যান্য তথ্যগুলো সেভ থাকবে। তাই StockNow অ্যাপসে রেজিস্ট্রেশন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রেজিস্ট্রেশন করতে নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করুন।
প্রথমেই অ্যাপ্লিকেশনটি ওপেন করতে হবে। অ্যাপ্লিকেশন এর নিচে ডানদিকে মোর অপশন আছে; সেখানে সিলেক্ট করতে হবে।
Name* আপনার নাম ইংলিশে লিখতে হবে
Mobile* আপনি বাংলাদেশী হলে ১১ সংখ্যার মোবাইল নম্বরটি দিবেন। যদি আপনি প্রবাসি হন তাহলে ইমেইল এড্রেস দিবেন।
Password* এখানে কমপক্ষে ৬ সংখ্যার একটি পাসওয়ার্ড দিতে হবে।
Confirm Password* ৬ সংখ্যার পাসওয়ার্ডটি পুনরায় দিতে হবে।
সবশেষে Register বাটনে সিলেক্ট করতে হবে।
রেজিস্টার এ সিলেক্ট করলে StockNow এপসে ফ্রি রেজিস্ট্রেসন সম্পন্ন হয়ে যাবে। আপনার এপস প্রথম পেইজে বা হোমপেইজে এসে যাবে। Profile এ সিলেক্ট করলে আপনার একাউন্ট এর অবস্থা দেখতে পাবেন।
আমাদের এপ্লিকেশন এ একবার লগিন করলে সবসময় লগিন করা থাকে। নেক্সট এ আপনাকে পুনরায় লগিন করতে হবে না। তবে আপনি Logout বা লগআউট করে ফেললে পুনরায় লগিন করতে হবে।
শেয়ার বাজার সম্পর্কে ভালোভাবে না জেনেই বিনিয়োগ করে শুরুতে লস করে বসেন আবার অনেকেই পুঁজি হারান। নতুন বিনিয়োগকারীদের শুরুতে এরকম ক্ষতির মুখে পড়া থেকে রক্ষা করতে StockNow সর্বদাই সচেষ্ট।
Open Price:
একটি কার্যদিবসের শুরুতে একটি শেয়ার যে মূল্য দিয়ে শুরু হয় তাকে বলা হয় Open Price।
High Price:
আজকের দিনের একটি শেয়ারের সর্বোচ্চ মূল্য কে বলা হয় High Price.
Low Price:
আজকের দিনের একটি শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য কে বলা হয় Low Price.
YCP:
গতকালের শেয়ার বাজার বন্ধ হওয়ার সময় একটি শেয়ারের যে মূল্য ছিল তাকে বলা হয় YCP (Yesterday Close Price).
Volume:
আজকের দিনের কত সংখ্যাক শেয়ার লেন-দেন হলো র সংখ্যা।
কোথায় এবং কি ভাবে দেখবো
Open Price, High Price, Low Price, YCP, Volume.
StockNow মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে আমরা Open Price, High Price, Low Price, YCP, Volume. দেখতে পারি ।
মনে করি আমরা GP শেয়ারের Open Price, High Price, Low Price, YCP, Volume. দেখবো।
আমাদের প্রথমে StockNow Apps টি ডাউনলোড করে নিতে হবে।
নেট এসেট ভ্যালু (NAV) কি?
NAV হল নেট সম্পদ মূল্য। একটি শেয়ারের প্রকৃত দাম কত হওয়া উচিত তা NAV ধারনা দেয়। একটি কোম্পানির শেয়ার প্রতি কতো টাকার সম্পদ আছে তা জানতে পারবেন NAV দেখে।
NAV যেভাবে হিসাব করা হয়ঃ
NAV = (মোট সম্পদের মূল্য – মোট দায়বদ্ধতা) ÷ মোট শেয়ারের সংখ্যা
দায়বদ্ধতা বলতে বুঝায় কোম্পানিটি কতটুকু ঋনি বা কি পরিমাণ ঋন রয়েছে।
উদাহরণস্বরুপ, একটি কোম্পানির মোট সপমত্তির মূল্য ১০০০০০ টাকা। কোম্পানিটির ঋনের পরিমান ২০০০০ টাকা এবং কোম্পানিটির বর্তমানে ১০০০ টি শেয়ার রয়েছে। তাহলে NAV হবে,
(১০০০০০ – ২০০০০) ÷ ১০০০ = ৮০ টাকা
ফ্লোর প্রাইস হলো যেকোনো সেবা বা পণ্যের সরকার নির্ধারিত দাম যা ওই পণ্যের ভারসাম্য বা ভারসমতার ভিত্তিতে নির্ধারিত হয় যার নিচে দাম নামতে না পারলেও উঠার বিস্তর সুযোগ থাকে।
বাংলাদেশে করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাবকালে শেয়ার মার্কেটের ক্রমাগত দরপতন ঠেকাতে সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন ১৯ মার্চ থেকে ফ্লোর প্রাইস ব্যবস্থা প্রবর্তন করে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্ধারিত দামের নিচে কোনো কোম্পানির শেয়ার ট্রেড হওয়া বন্ধ করা হয়, যদিও শেয়ারটির দাম যত খুশি বাড়তে পারে।
শেয়ার বাজার কি?
শেয়ার বাজার হল ব্রোকার হাউসের মাধ্যমে শেয়ার, বন্ড এবং মিউচুয়াল ফান্ডের কেনাবেচার একটি ব্যবস্থা।
বাংলাদেশের শেয়ার বাজার সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (Security and Exchange Comission or SEC) দ্বারা পরিচালিত এবং নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে SEC সরাসরি শেয়ার বাজার পরিচালনা করে না। SEC তিনটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা করে:
১. সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)
Central Depository Bangladesh Limited (CDBL)
২. ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)
Dhaka Stock Exchange (DSE)
৩. চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)
Chittagong Stock Exchange (CSE)
সাধারণত, শেয়ার বাজার এমন একটি জায়গা যেখানে বিও অ্যাকাউন্টধারীরা একে অপরের সাথে শেয়ার, বন্ড এবং মিউচুয়াল ফান্ডগুলি কেনাবেচা করে।