▶️ আপনার কষ্টার্জিত অর্থ সঠিক এবং নিরাপদ ভাবে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করুন যাতে ভবিষ্যতে আপনি লাভবান হতে পারেন।
▶️ আপনার হাতে সঞ্চিত তরল টাকার মান প্রতিনিয়ত আনুপাতিক হারে হ্রাস পাচ্ছে। পুঁজিবাজার বিনিয়োগ আপনার টাকার মান আনুপাতিক হরে বৃদ্ধি করে।
▶️ পুঁজিবাজার ব্যবসা করে আপনি কর রেয়াত পেতে পারেন এবং অধিক মুনাফা লাভ করুন।
▶️ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে আপনি পছন্দের কোম্পানিতে অংশীদার হচ্ছেন এবং কোম্পানির অর্জিত মূনাফা লাভ করছেন।
▶️ পুঁজিবাজারে আপনার বিনিয়োগকৃত শেয়ার এর মূল্য বৃদ্ধি, বোনাস এবং লভ্যাংশ আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী মূনাফা প্রদান করবে।
Category: জিজ্ঞাসা
কিভাবে শেয়ারের ফেস ভ্যালু বিভ্রান্তিকর?
অনেক দুর্বল মৌলভিত্তিক কোম্পানি ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হয়েছে যার অভিহিত মূল্য ১০ টাকার অনেক বেশি। কিন্তু বাস্তবে তাদের শেয়ারের মূল্য ১০ টাকার থেকেও কম হওয়া উচিত ছিল। কারণ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ আইনে বলা হয়েছে যে প্রতিটি শেয়ারের কমপক্ষে ১০ টাকা অভিহিত মূল্য থাকতে হবে।
এই ধরনের কোম্পানি একটি অন্যায্য মূল্যে তালিকাভুক্তি পেতে এই সুযোগ ব্যবহার করে। কোনো শেয়ারের ন্যূনতম মূল্য থাকা উচিত নয়। কোম্পানির নেট অ্যাসেট ভ্যালু, ডিসকাউন্টেড ক্যাশ ফ্লো এবং অন্যান্য অনুপাত ভিত্তিক পদ্ধতির একটি অনন্য সমন্বয়ের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্যায়ন করা উচিত বলে আমরা মনে করি।
যখন একটি তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর্মক্ষমতা আর্থিকভাবে হ্রাস পায়, তখন এটি শেয়ারের বাজার মূল্যকে (Market Price) প্রভাবিত করে। সাধারণত আমরা দেখি, পরপর লভ্যাংশ প্রদানকারী কোম্পানির শেয়ারের মূল্য অভিহিত মূল্যের নিচে চলে যায়।
এটি নিচে নামার আরেকটি কারণ রয়েছে; তা হল তালিকাভুক্ত শেয়ারের বাজার চাহিদা। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, অনেক ব্যাঙ্ক নিয়মিত লভ্যাংশ দেয়, কিন্তু শেয়ারের দাম অভিহিত মূল্যের নীচে থাকে। কারণ বিনিয়োগকারীরা সেসব শেয়ার কিনতে আগ্রহী নয়।
চাহিদার অভাবেও শেয়ারের দাম অভিহিত মূল্যের নিচে চলে যেতে পারে। আমরা এই ধরনের কোম্পানিগুলোকে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য দারুণ সুযোগ হিসেবে দেখতে পারি।
বুক ভ্যালু কি??
বুক ভ্যালুঃ
সহজ কথায়, তাত্ত্বিকভাবে একটি কোম্পানির বুক ভ্যালুর অর্থ হল কোম্পানির সম্পদের মোট মূল্য যা কোম্পানিটি লিকুইডেট হয়ে গেলে অর্থাৎ যখন কোম্পানির সমস্ত সম্পদ বিক্রি করা হয়ে যাবে এবং সমস্ত দায়-দেনা পরিশোধ করার পর শেয়ারহোল্ডাররা পাবে।
অতএব, বুক ভ্যালুকে কোম্পানির নেট মূল্য হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে যা কোম্পানির হিসাবের বইগুলিতে প্রতিফলিত হয়।
বুক ভ্যালু গণনা করা হয় মোট সম্পদ থেকে অস্পর্শনীয় সম্পদ (Intangible assets) যেমন- পেটেন্ট, সুনাম ইত্যাদি এবং দায় বাদ দিয়ে। যখন আপনি একটি কোম্পানির বুক ভ্যালুকে মোট বকেয়া শেয়ারের সংখ্যা দিয়ে ভাগ করবেন, তখন আপনি শেয়ার প্রতি বুক ভ্যালু পেয়ে যাবেন।
কোন কোম্পানির শেয়ারের বাজার মূল্য অতিমূল্যায়িত বা অবমূল্যায়িত কিনা তা আপনি কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি বুক ভ্যালু ও তার বাজার মূল্যের সাথে তুলনা করে বের করতে পারবেন। সময়ের সাথে সাথে ক্রমবর্ধমান বুক ভ্যালু সংবলিত কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ করার জন্য সর্বদা পরামর্শ দেওয়া হয়।
ভালো শেয়ার চেনার উপায়
অর্থনীতির উন্নয়নের সঙ্গে প্রতিদিন শেয়ারবাজারে গুরুত্ব বাড়ছে। বর্তমানে শেয়ারবাজারের মূলধন মোট জিডিপির প্রায় ২০ শতাংশ। আর সাম্প্রতিক সময়ে দেশের শেয়ারবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে।
ইলেট্রনিক পদ্ধতিতে শেয়ার সংরক্ষণকারী কোম্পানি সিডিবিএলের তথ্য মতে, বর্তমানে বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ২৭ লাখ ১২ হাজার। আর প্রতিদিনই এ সংখ্যা বাড়ছে।
তবে বিশাল অঙ্কের এ বিনিয়োগকারীদের বেশিরভাগেরই শেয়ারবাজার সম্পর্কে ধারণা নেই। মূলধন হারিয়ে আবার ফিরে যাচ্ছে। ফলে শেয়ারবাজার বিনিয়োগ বললেই মানুষের মধ্যে অজানা আতঙ্ক চলে আসে।
তাই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে হলে কয়েকটি বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে ফান্ডামেন্টাল এবং টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস। ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিসের মধ্যে কোম্পানির মৌলভিত্তি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস কোম্পানির শেয়ারের মুভমেন্ট বলে দেবে। এভাবে বিশ্লেষণ করে বাজারের ভালো শেয়ার সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যাবে।
শক্তিশালী মৌলভিত্তি সম্পূর্ণ শেয়ারের বেশ কিছু বৈশিষ্ট রয়েছে। এর মধ্যে বিনিয়োগের জন্য প্রথমত শেয়ারের সম্পদ মূল্য দেখতে হবে। সংক্ষেপে বলা হয়, নিট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি) প্রকৃত সম্পদ মূল্য ভালো শেয়ার সম্পদ মূল্য বেশি থাকে।
দ্বিতীয় শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস। একটি কোম্পানি প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে কী পরিমাণ আয় করছে, বিনিয়োগের জন্য তা অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত। এরপর শেয়ারের মূল্য ও আয়ের অনুপাত (পিই রেশিও) : কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় এবং শেয়ারের বর্তমান বাজারমূল্যের অনুপাত। এটি বাজারের সবচেয়ে বড় মাপকাঠি। এ অনুপাত যত কম, শেয়ার তত ঝুঁকিমুক্ত।
বিশ্লেষকদের মতে, বাজারের অন্যতম আরেক মাপকাঠি হল কোম্পানির লভ্যাংশ বা ডিভিডেন্ড। এ লভ্যাংশ কখনও নগদ বা বোনাস শেয়ার হতে পারে। তবে ভালো কোম্পানিগুলো নগদ লভ্যাংশ বেশি দেয়।
এ ছাড়া রয়েছে কোম্পানির বুক ভ্যালু ও প্রবৃদ্ধির হার। অন্যদিকে কোম্পানির উদ্যোক্তা হিসেবে কারা রয়েছে, তাদের পেছনের রেকর্ড অবশ্যই বিনিয়োগের জন্য বিবেচনায় নিতে হবে।
বিনিয়োগকারীরা কোনো কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করলে ঝুঁকির মাত্রা কম থাকবে সেটি কয়েকটি বিষয় বিশ্লেষণ করে জানতে হবে। এর মধ্যে কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল এবং টেকনিক্যাল এনালাইসিস করতে হবে। কোন কোম্পানি আর্থিকভাবে কত বেশি শক্তিশালী তা কোম্পানির মৌলভিত্তি দিয়ে জানা যাবে।
যে কোম্পানির শেয়ার কেনা হবে, তার বর্তমান আয়, বার্ষিক আয়, কোম্পানি নতুন কোনো পরিবর্তন আসছে কিনা, কোম্পানির পণ্য সরবরাহ কেমন, নেতৃত্বে কারা আছে, কোম্পানির শেয়ারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কেমন এবং সবশেষে ওই কোম্পানির পণ্যের বাজারে
চাহিদা কেমন আছে। যিনি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী তার প্রথম কাজ হবে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির আর্থিক বিবরণ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নেয়া। প্রতিটি কোম্পানি প্রতি বছর বার্ষিক আয় -ব্যয় সংবলিত একটি প্রতিবেদন পেশ করে। ওই প্রতিবেদন সংগ্রহ করে কোম্পানির আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে হবে।
শেয়ারবাজারের কয়েকটি টার্ম
প্রাইমারি : প্রাইমারি শেয়ার হল কোম্পানি শেয়ার ছেড়ে সরাসরি জনগণের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে তাদের মূলধন বাড়ায়। বাজারে মূলধন বাড়াতে ইচ্ছুক এমন কোম্পানি একটি ইস্যু ম্যানেজারের মাধ্যমে তাদের কোম্পানির আরেকজন অংশীদার হওয়ার জন্য জনগণের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করে এবং জনগণ কোম্পানির অ্যাকাউন্টে আবেদনকৃত অর্থ জমা দেয়।
সেকেন্ডারি : শেয়ারের ক্রেতা এবং বিক্রেতার সমন্বয়ে সেকেন্ডারি মার্কেট গঠিত হয়। একজন বিনিয়োগকারী প্রাথমিক শেয়ার লাভ করার পর তা বিক্রি করতে চাইলে তা সেকেন্ডারি মার্কেটের মাধ্যমে বিক্রি করতে হবে।
ইপিএস : শেয়ারপ্রতি নিট মুনাফা বোঝায়। যেমন শেয়ারপ্রতি আয় বের করতে হলে কর বাদে কোম্পানির নিট মুনাফাকে মোট সাধারণ শেয়ার দিয়ে ভাগ করতে হবে।
ডিভিডেন্ড : এটি কোম্পানি কর্তৃক প্রতি শেয়ার মূল্যের ভিত্তিতে বিতরণকৃত লভ্যাংশকে বোঝায়। যে কোম্পানি বেশি লভ্যাংশ দেয় সেই কোম্পানির শেয়ার তত বেশি ভালো।
MACD Crossover
গতির পরিপ্রেক্ষিতে দুটি moving average –ই ভিন্নতর। স্বভাবতই দ্রুতগতিসম্পন্ন moving average ধীরগতিসম্পন্ন moving average অপেক্ষা দামের পরিবর্তনের সাথে দ্রুত পরিবর্তিত হবে। যখনই একটি নতুন ট্রেন্ডের সৃষ্টি হয় তখন দ্রুতগতিসম্পন্ন moving average টি দ্রুত সাড়া দেয় এবং ধীরগতি রেখাটিকে অতিক্রম করে। Crossover-এর ক্ষেত্রে দ্রুতগতি রেখাটি ধীরগতি রেখা হতে দূরে সরে যায় (diverge) যা সাধারণতঃ নতুন ট্রেন্ড সৃষ্টির ইংঙ্গিত দেয়। এখন আমরা একটি উদাহরনের মাধ্যমে জিনিস গুলি বুঝার চেষ্টা করব। উপোরোক্ত চার্টে আমরা দেখতে পাই দ্রুতগতি রেখাটি ধীরগতি রেখাটিকে নিচের দিক হতে অতিক্রম করছে যা downtrend নির্দেশ করছে। লক্ষ্য করূন, যে পয়েন্টে রেখাগুলি পরস্পরকে অতিক্রম করছে (Crossover) সে পয়েন্টেই histogram সাময়িকভাবে মিলিয়ে যায়। খুব ভাল ভাবে লক্ষ্য করুন দিকে একটি সময়ে histogram দেখা যাচ্ছে না। এর কারন হলো অতিক্রান্ত সময়ে রেখাগুলির পার্থক্যমান শূন্য হয়ে যায় ফলে কোন histogram দেখা যায় না । যেইমাত্র downtrend শুরু হয় তখন দ্রুতগতি রেখাটি ধীরগতি রেখা হতে দূরে সরে যায়, ফলে histogram বর্ধিত হয় যা একটি শক্তিশালী ট্রেন্ডের ইংঙ্গিত বহন করে। ঠিক uptrend এর সময়ে ও একই ঘটনা ঘটে থাকে। MACD-র একটি বড় অসুবিধা হচ্ছে মন্থরতা যা একইসময়ে দামের সাথে পরিবর্তিত না হয়ে বরং ধীর গতিতে দামকে অনুসরন করে। তাই এই ইন্ডিকেটি Lagging ইন্ডিকেট বলে পরিচিত, তবে এই ইন্ডিকেটরটি কোন trend সংগঠিত হবার পর সিগন্যাল দিয়ে থাকে ফলে ভুল হবার সম্ভাবনা কম। এবং এটি হছে অতীত মূল্যের গড় । যদিও MACD-র গতি মন্থর কিন্তু এটি ট্রেডারদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইন্ডিকেটর।
Bollinger Bands বুলিনজার বেন্ড
বুলিনজার ব্যান্ডের মাধ্যমে বাজারের পরিবর্তন(ওঠানামা) পরিমাপ করা হয়। মুলতঃ এই অনুসংঘটি আমাদের বাজার কখন স্থির কিম্বা প্রসারিত এই সম্পর্কে ধারণা দেয়।যখন বাজার স্থির থাকে তখন ব্যান্ডগুলো সংকুচিত হয় এবং যখন বাজার বিস্তৃতি লাভ করে তখন ব্যান্ডগুলো প্রসারিত হয়।লক্ষ্য করুন,নিন্ম চিত্রে যখন দামের তেমন কোন পরিবর্তন ঘটে না তখন ব্যান্ডগুলো পরস্পরের কাছাকাছি অবস্থান করে আর যখন দাম বাড়তে শুরু করেছে তখন ব্যান্ডগুলো ছড়িয়ে গেছে। বুলিনজার ব্যান্ডের একটি দিক সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকা প্রয়োজন তা হচ্ছে মূল্যের প্রবণতাই থাকে ব্যান্ডের মাঝামাঝিতে ফিরে আসা।এটি হচ্ছে বলিংঙ্গার বাউন্সের মূল ধারনা। যদি তাই হয় তবে নিন্মোক্ত চিত্র পর্যবেক্ষন করে বলুন দাম পরবর্তীতে কোনদিকে যাবে? যদি আপনি বলেন দাম নিচে নেমে আসবে তবে তা সঠিক। আপনি দেখতে পাচ্ছেন দাম আবার ব্যান্ডের মাঝামাঝি স্থানে ফিরে এসেছে। আপনি এইমাত্র যা পর্যবেক্ষন করলেন তা একটি ক্লাসিক বুলিনজার বাউন্স। এই বাউন্সটি সংঘটিত হয়েছে কারন বুলিনজার ব্যান্ডটি একটি ছোটখাটো সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স হিসেবে কাজ করেছে।যত বেশি সময় আপনি বলিংঙ্গার ব্যান্ডে যুক্ত করবেন তত ব্যান্ডগুলি শক্তিশালী হবে।অনেক ট্রেডাররা বলিংঙ্গার বাউন্সেকে কাজে লাগিয়ে সফল হয়েছেন এবং এই স্ট্র্যাটিজি সবচেয়ে সফল যখন বাজার বিস্তৃতি লাভ করে এবং যখন অনান্য ট্রেন্ডগুলি হতে আমরা সুস্পষ্ট ইংগিত পাই না। একটি ট্রেন্ড বুঝার জন্য।
Bollinger Squeeze বুলিনজার স্কুইজ
বলিংঙ্গার স্কুইজ দেখেই আমরা এর বৈশিষ্ট্য বুঝতে পারি। যখন ব্যান্ডগুলো পরস্পর সংকুচিত হয় তার অর্থ হলো ব্রেকাউটের সমূহ সম্ভাবনা আছে ।যদি ক্যান্ডেলস্টিকগুলো উপরের ব্যান্ডকে অতিক্রম করে যায় এবং স্থায়ী হয় তবে তা uptrend নির্দেশ করে।আর যদি ক্যান্ডেলস্টিকগুলো নিচের ব্যান্ডকে অতিক্রম করে তবে তা ট্রেন্ডে downtrend নির্দেশ করে।চার্ট –এ আপনি দেখতে পাচ্ছেন ব্যান্ডগুলো পরস্পরের দিকে সংকুচিত। পরের দিন একটি bullish Candlestick তৈরি করেছে। পরের দিন দাম Bollinger এর উপরের ব্যান্ডকে অতিক্রম করছে। এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে আপনি কি সিদ্ধান্ত নিবেন? যদি আপনি ভাবেন uptrend তবে আপনার ধারনা সঠিক। চিত্র টি লক্ষ্য করুন। সাধারণতঃ এইভাবে বলিংঙ্গার স্কুইজ কাজ করে। এই স্ট্র্যাটিজি এভাবে তৈরিকরা হয়েছে যাতে আপনি তড়িৎ একটি ট্রেন্ড বুঝতে পারেন। তবে আপনাকে অবশ্যই কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে কারন পরের দিন ব্যান্ডটি স্কুইজ না ও করতে পারে। কিন্তু যদি স্কুইজ করে তবে ধরে নিতে হবে স্কুইজটি বেশ কয়েকদিন স্থায়ী হবে এবং খুব বর একটি দামের পরিবরতিন ঘটবে। এ ধরনের বৈশিষ্ট্য প্রতিদিন খুঁজে পাওয়া যায় না কিন্তু আপনি সপ্তাহের কোন কোন সময় এই বৈশিষ্ট্য খুঁজে পাবেন যদি আপনি ৫/৭ দিনের চার্ট পর্যবেক্ষন করেন।
1.Long black (filled-in)line: এটি একটি বিয়ারিশ রেখা।একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রারম্ভিক মূল্য সর্বোচ্চের কাছাকাছি থেকে শুরু হয়ে সর্বনিন্ম মূল্যের কাছে গিয়েই শেষ হয়।
2.Hanging man: এই রেখাগুলি বিয়ারিশ যা uptrend এর পর সৃস্টি হয়।যদি এই রেখাগুলি downtrend এর পর তৈরি হয় তবে আমরা একে hammer বলবো।এদের ছোট শরীর (প্রারম্ভিক মূল্য ও সমাপ্তি মূল্যের অল্প পার্থক্য) ও নিচের দিকে লম্বা ছায়া (সর্বোনিন্ম মূল্য প্রারম্ভিক, সর্বোচ্চ, সমাপ্তি মূল্যের চেয়েও নিচে অবস্থান করে) দেখে এদের চিহ্নিত করা যায়।এটি পূর্ণ কিম্বা খালি থাকে।
3.Dark cloud cover. এই কেন্ডেলটি একই বিয়ারিশ কেন্ডেল যা আগের দিনের কেন্ডেলের শমাপ্তি মূল্যর ওপরে থেকে শুরু হয় এবং আগের দিনের কেন্ডেলকে ঢেকে ফেলে।
4.Bearish engulfing lines: এটি একটি বিয়ারিশ প্যাটার্ণ। সাধারণতঃ এটি uptrend এর পর সৃস্টি হয়(এটি রিভেরসেল হিসেবে কাজ করে)।যখন ছোট বুলিশ(খলি) রেখাটি একটা বড় বিয়ারিশ রেখা(পূর্ণ) দ্বারা আবৃত থাকে।
5.Evening star: এটি একটি বিয়ারিশ প্যাটার্ণ যা সম্ভাব্য শীর্ষবিন্দু নির্দেশ করে।এখানে সটারটি রিভারসেলের সম্ভাবনা নির্দেশ করে এবং বিয়ারিশ রেখাটি এই নির্দেশনাকে সমর্থন করে।স্টারটি পূর্ণ বা খালি থাকতে পারে। 6.Doji star: স্টারটি রিভেরসেলের এবং ডজিটি সিদ্ধান্তহীনতা নির্দেশ করে।যদিও এটি অনিশ্চিত সময়ে রিভারসেলের ইঙ্গিত দেয়।নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এই ডজি দেখার পর আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। 7.Shooting star: এই প্যাটার্ণটি অল্পস্বল্প রিভারসেলের ইঙ্গিত দেয় যা সাধারণতঃ রেখার মিছিলের পর প্রতিভাত হয়। সর্বনিন্ম মূল্যের কাছাকাছি স্টারটি পরিলক্ষিত হয় এবং এর উপরের দিকে একটি দীর্ঘ লম্বা ছায়া থাকে।
1.Long white (empty)line: এটি হচ্ছে একটি বুলিশ রেখা ।এটি সৃষ্টি হয় যখন প্রারম্ভিক মূল্য সর্বনিন্ম থেকে শুরু হয়ে একেবারে দিনের সর্বোচ্চ প্রান্তে কাছাকাছি গিয়ে শেষ হয় ।
2.Hammer: এটি একটি বুলিশ রেখা । সাধারণতঃ এটি একটি downtrend এর পর সৃষ্টি হয় । যদি এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ uptrend এর পর সৃষ্টি হয় তবে এটকে Hanging man বলা হয় । হ্যামার সাধরণত একটি ছোট শরীর (প্রারম্ভিক মূল্য ও সমাপ্তি মূল্যের অল্প পার্থক্য) ও নিচের দিকে লম্বা ছায়া থাকে (সর্বোনিন্ম মূল্য প্রারম্ভিক, সর্বোচ্চ, সমাপ্তি মূল্যের চেয়েও নিচে অবস্থান করে).
3.Piercing Line: এটি বুলিশ রেখা এবং ডার্ক ক্লাউড কাভারের বিপরীত । প্রথম লম্বা রেখাটি সম্পূর্ণ কালো এবং দ্বিত্বীয় লম্বা রেখাটি সাদা হয়ে থাকে। প্রথম রেখাটির নিন্মস্তরের চেয়েও নিচে হতে দ্বিত্বীয় রেখাটি শুরু হয়। কিন্তু এটি প্রথম রেখাটির মধ্যবর্তী অংশের কিছু উপরে গিয়ে শেষ হয় ।
4.Bullish engulfing lines: এটি একটি জোরালো বুলিশ প্যাটার্ণ যা একটি গুরুত্বপূর্ণ downtrend পর দেখা যায় (এটি রিভারসেল হিসেবে কাজ করে)। যখন একটি ছোট বিয়ারিশ(bearish)রেখা বড় বুলিশ(bullish)রেখা দ্বারা আবৃত থাকে তখন এটি সৃষ্টি হয়।
5.Morning star: এটি ও একটি বুলিশ প্যাটার্ণ যা নিন্মের গতি নির্দেশ করে ।এখানে সটারটি রিভারসেলের সম্ভাবনা এবং বুলিশ (খালি) রেখাটি সে সম্ভাবনাকে নিশ্চিত করে ।এ স্টারটি পূর্ণ বা খালি থাকতে পারে। 6.Bullish doji star: সটার রিভারসেল নির্দেশ করে ও ডজি সিদ্ধান্তহীনতা প্রকাশ করে ।যদিও এটি অনিশ্চিত সময়ে রিভারসেল প্রদর্শণ করে।ট্রেড এর নিশ্চয়তার জন্য ডজি দেখলেই অপেক্ষা করতে হবে।প্রথম রেখাটি পূর্ণ বা খালি থাকতে পারে।