DS30 ৩০ টি প্রধান বা লিডিং কোম্পানি নিয়ে DS30 ইনডেক্স গঠিত হয়। DS30 মোট ইক্যুইটি মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশনের প্রায় ৫১% প্রতিফলিত করে। DS30 ইনডেক্স লিস্টে থাকতে হলে কোম্পানিটির মূলধন ৫০০ মিলিয়ন টাকার উপরে থাকতে হবে এবং ৩ মাসে গড়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫ মিলিয়ন টাকার লেনদেন হতে হবে। এছাড়াও, সর্বশেষ ১২ মাসে পজিটিভ নেট আয় দ্বারা পরিমাপকৃত শেয়ারগুলিকে অবশ্যই লাভজনক হতে হবে। DS30 ইনডেক্স এর বেস বা সাপোর্ট ভ্যালু ১০০০।
Heikin Ashi ব্যবহারের মাধ্যমে নতুন ট্রেন্ড এর সংগঠন এবং বিদ্যমান ট্রেন্ড এর রিভারসাল কখন হতে পারে সেটি সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায় এবং ট্রেডাররা সেটি ব্যবহার করে মার্কেট ট্রেন্ড শুরু কিংবা শেষ হবার পূর্বেই বুঝতে পারেন যার ফলে এন্ট্রি পজিশন গ্রহন এবং পরিবর্তন করাতে বেশ কিছুটা সময় পাওয়া যায়।
নিচে আমরা Heikin Ashi Trading এর ৫টি ফর্মুলা আপনাদের সুবিধার জন্য উপস্থাপন করছি যাতে করে সহজে এটি ব্যবহার করে রিয়েল ট্রেডিং করতে পারেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
1. সবুজ ক্যান্ডেলগুলো আপট্রেন্ড এর নির্দেশ করে থাকে।
2. সবুজ ক্যান্ডেল এর নিচে যদি কোনও Shadow না থাকে তাহলে এটি শক্তিশালী আপ্ট্রেন্ড এর নির্দেশ করে।
আপনি যদি দেখেন চার্টে হাইকেন আশির সবুজ ক্যান্ডেলগুলোর নিচে কোনও দাগ কিংবা Shadow নেই তাহলে শক্তিশালী আপট্রেন্ড দেখতে পাবেন। ততক্ষণ পর্যন্তই লংপজিশন কিংবা BUY এন্টিতে থাকবেন যতক্ষণ পর্যন্ত ক্যান্ডেল এর রঙ সবুজ থেকে লাল রঙে পরিবর্তিত না হয়।
অন্যদিকে, যতক্ষণ পর্যন্ত সবুজ ক্যান্ডেলগুলোর নিচে কোনও দাগ কিংবা Shadow না দেখা যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আপ্ট্রেন্ড এর এন্ট্রি পজিশন ধরে রাখতে পারেন।
3. ক্যান্ডেলগুলোর আকার যদি ছোট হয় এবং এর উপরে এবং নিচে যদি Shadow থাকে তাহলে এটি সম্ভাব্য ট্রেন্ড রিভারসাল এর নির্দেশ প্রদান করে।
তবে এখানে একটি বিষয় আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, যদি দেখেন ডাউনট্রেন্ড এর সময় লাল রঙের ক্যান্ডেলগুলো ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে এবং এর উপর একটি সবুজ ক্যান্ডেল তৈরি হয়েছে, এটি কিন্তু কোনওভাবেই বলা যাবে না, যে ট্রেন্ড এখনই পরিবর্তিত হয়ে আপট্রেন্ডে চলে আসবে। এটি কিন্তু সাময়িকভাবে ট্রেন্ড এর pause ও হতে পারে। যেমন ধরুন, নিচের চিত্রটি লক্ষ্য করুন।
4. লাল রঙের ক্যান্ডেল ডাউনট্রেন্ড এর সংকেত প্রদান করে।
যখন দেখবেন, চার্টে হাইকেন আশির ক্যান্ডেলগুলোর রঙ সবুজ (বুল্লিশ) থেকে লাল (বেয়ারিশ) রঙে পরিবর্তিত হচ্ছে তখন বুঝবেন প্রাইস ক্রমশ নিচের দিকে নেমে আসতে পারে। অর্থাৎ, ট্রেডিং এর ভাষায় যাকে বলা হয়, ডাউনট্রেন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যদি আপনার এমতাবস্থায়, কোনও BUY এন্ট্রি থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই এন্ট্রি ক্লোজ করে ফেলাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
5. লাল ক্যান্ডেল এর উপরে যদি কোনও Shadow না থাকে তাহলে এটি শক্তিশালী ডাউনট্রেন্ড এর নির্দেশ করে।
চিত্রটি ভাল করে লক্ষ্য করুন। প্রতিটি লাল ক্যান্ডেল এর উপরে কোনও দাগ কিংবা Shadow নেই। এর অর্থ হচ্ছে, প্রাইস বর্তমানে একটি শক্তিশালী ডাউনট্রেন্ড এর মধ্যেই অবস্থান করছে।
এমতাবস্থায়, যতক্ষণ পর্যন্ত হাইকেন আশি চার্ট এর ক্যান্ডেল এর রঙ লাল থেকে সবুজে রূপান্তরিত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত শর্ট পজিশন কিংবা SELL পজিশনেই থাকার সমীচীন হবে।
অন্যদিকে, যতক্ষণ পর্যন্ত লাল রঙের ক্যান্ডেল এর উপরে কোনও দাগ কিংবা Shadow তৈরি না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এন্ট্রি ক্লোজ না করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
একটি কথা মনে করিয়ে দিতে চাই, কখনোই নতুন কোনও কিছু রিয়েল ট্রেডে ব্যবহার করতে যাবেন না। ট্রেডিং এর জন্য নতুন কোনও কৌশল ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই সেটিকে প্রাক্টিস ট্রেডিং এর টেস্ট করে নিন। তাহলে এখানে আপনি বুঝতে পারবেন, আপনার জন্য কাজ করছে কিনা।
Heikin Ashi Trading এর কিছু খারাপ দিকও রয়েছে। এতক্ষণ পর্যন্ত আমরা শুধু প্রফিটেবল ফর্মুলা নিয়েই আপনাদের সাথে আলচনা করেছি। পরবর্তী আর্টিকেলে এর কিছু বাধ্যবাধকতা কিংবা খারাপ দিক নিয়েও আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব যাতে করে Heikin Ashi Trading এর সবকিছুই ভালো করে বুঝতে পারেন।
Ichimoku Indicator সম্পর্কে বিস্তারিত
Ichimoku Indicator – প্রতিদিন আমাদের কাছে অনেকেই প্রশ্ন করেন, ভাই সবচেয়ে ভালো ইন্ডিকেটর কোনটা? আসলে আমরা কোনও বিশেষ ইন্ডিকেটর এর ব্যবহার সম্পর্কে কখনোই কাউকে পরামর্শ প্রদান করি না। কেননা আমরা জানি, যদি আপনি ইন্ডিকেটর এর উপর নির্ভরশীল হয়ে ট্রেড শুরু করেন তাহলে আপনার ভবিষ্যৎ হবে একজন “হাতুড়ে ডাক্তার এর মতন” ।
তাহলে এখন আপনার মনে প্রশ্ন থাকতে পারে, সকল ইন্ডিকেটর কি খারাপ? না! ইন্ডিকেটর খারাপ সেটা কিন্তু আমরা কখনোই বলিনি। আমরা শুধু বলেছি, ইন্ডিকেটর এর উপর নির্ভরশীল না হয়ে ট্রেড করার জন্য।
স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেটাট্রেডার প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ধরনের ইন্ডিকেটর দেয়া থাকে যার মধ্যে থেকে জনপ্রিয় Ichimoku Indicator নিয়ে আজকে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো। আমরা এর আগেও বেশী কিছু জনপ্রিয় ইন্ডিকেটর নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি এবং এদের বিভিন্ন কাজ সম্পর্কেও আপনাদের জানিয়েছি।
Ichimoku Indicator- এটি একটি জাপানিজ ইন্ডিকেটর যার মানে হচ্ছে,
ichimoku= এক দৃষ্টিতে
kinko = ভারসাম্য অবস্থা
hyo = চার্ট
যদি আমরা একসাথে বলি তাহলে অর্থ দাঁড়াবে।
Ichimoku Kinko Hyo = এক দৃষ্টিতে চার্টের ভারসাম্য অবস্থা।
Ichimoku Indicator অন্যান্য ফরেক্স ইন্ডিকেটর যেমন MACD, RSI, Moving Average, Stochastic এর মতই এটিও ফরেক্স ট্রেডারদের কাছে অনেক বেশী জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত। বুঝতে একটু কষ্ট হলেও এটা আপনার ফরেক্স ট্রেডের জন্য আশীর্বাদ হিসাবে কাজ করবে। তাহলে চলুন এবার শুরু করি।
আশা করি আপনি কিছুই বুঝতে পারেননি।
হতাশ হবার কিছুই নেই। আমরা সব কিছুই আপনাকে পরিষ্কার করে বুঝিয়ে বলবো। ফরেক্সে যতো ধরনের ইন্ডিকেটর আছে তার মধ্যে Ichimoku Indicator হচ্ছে সবচেয়ে পুরাতন।
RSI কি এবং কিভাবে ব্যবহার করবো
RSI মানে Relative Strength Index। এটি একটি মোমেন্টাম ইন্ডিকেটর যা মার্কেটের প্রাইস Overbought এবং Oversold অবস্থা বোঝায় এবং নির্দিষ্ট একটি সময়ের এভারেজ বাই এবং সেল এর সীমানা নির্দেশ করা পূর্বক ট্রেডিং এ সহায়তা করে থাকে।যখন RSI 70 এর উপরে থাকবে তখন সেটি overbought এবং RSI যখন ৩০ নীচে থাকবে তখন সেটি oversold zone ।
RSI Indicator- ব্যাবহার করে কিভাবে ট্রেড করবেন?
RSI Indicator কে অনেকটা Stochastic এর মতন করে ব্যাবহার করা যেতে পারে। ট্রেডাররা সবচেয়ে বেশী ব্যাবহার করে মার্কেটে কন্ডিশের উপর ভিত্তি করে সবচেয়ে ভালো পজিশনে ট্রেড এন্ট্রি নেয়ার জন্য।
RSI Indicator খুবই জনপ্রিয় একটি ইন্ডিকেটর যা ট্রেন্ড ফরমেশন কনফার্ম হবার জন্য ব্যাবহার করা হয়। মার্কেটে যদি আপনার কখনও মনে হয় নতুন কোন ট্রেন্ড তৈরি হচ্ছে তাহলে আপনার RSI Indicator এর রিডিংটা একবার দেখে নিতে হবে যে এটা 50 এর উপরে আছে নাকি 50 এর নিচে রয়েছে। যদি আপনার মনে হয় একটি পসিবল আপট্রেন্ডে্র (Buy) সম্ভাবনা রয়েছে তাহলে শিউর হয়ে নিবেন RSI এর রিডিং 50 এর উপরে রয়েছে কিনা।
আর যদি আপনার মনে হয় একটি পসিবল ডাউনট্রেন্ডের (Sell) সম্ভাবনা আছে তাহলে দেখে নিবেন RSI এর রিডিং 50 এর নিচে আছে নাকি।চার্টের শুরুতে আমরা দেখেছিলাম একটি পসিবল ডাউনট্রেন্ডের (Sell) সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছিলো। Fake outs থেকে বাচার জন্য আমরা RSI Indicator এর রিডিং 50 এর নিচে নামার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারি। ভালো করে শিউর হবার জন্য আমরা দেখব RSI Indicator এর রিডিং 50 ক্রস করেছে কিনা, যদি করে থাকে তাহলে এটা আমদের একটা ভালো সেল (Sell) এর নির্দেশনা দিবে।
আজকের ব্লগে RSI সম্পর্কে আলোচনা করা হল। আশা করি এই ব্লগটি মন দিয়ে পড়লে আপনাদের Technical Analysis করতে অনেক সুবিধা হবে । আপনারা টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস করার জন্য stocknow.com.bd এই ওয়েবসাইটি ব্যবহার করতে পারেন । আজকের ব্লগটি পড়ে ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন এবং আজকের বিষয় সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন থেকে থাকলে কমেন্ট করে জানান ।
সতর্কীকরণঃ আজকের ব্লগে যে সমস্ত উদাহরন ব্যবহার করা হয়েছে কেবলমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্য এবং পাঠকের তথ্যের জন্য ।বিনিয়োগ সম্পর্কিত কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দয়া করে আপনার আর্থিক উপদেষ্টার সাথে পরামর্শ করুন ।
কোন শেয়ার, কিভাবে এবং কতটা কিনবো ?
বিক্রি করে নয়; কেনার সময়ই আপনাকে লাভ করতে হবে। কম দামে ভাল শেয়ার কিনতে না পারলে বিক্রি করে লাভ করা সম্ভব নয়। ব্যাক্তিগতভাবে ‘ডাউন মার্কেট’ ই হল আমার প্রিয় বিনিয়োগের সময়। কারণ, এ সময় ভাল মানের শেয়ার তুনামূলকভাবে অনেক কম দামে কেনার সুযোগ পাওয়া যায়।প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু ফান্ডামেন্টাল কোম্পানির দিক নিম্নে আলোচনা করছি। তবে এই চেক লিস্টই শেষ নয়। বিনিয়োগকারী হিসেবে সময়ের সাথে সাথে আপনি যেমন অভিজ্ঞ হবেন, তেমনি এই চেক লিস্টও আপনার অভিজ্ঞতার সাথে সাথে বড় হবে।
ভাল কোম্পানির শেয়ার কেনার প্রাথমিক চেকলিস্ট
- প্রথমেই আপনার পছন্দের শেয়ারটির P/E দেখুন। এটা অবশ্যই ১৫ বা তার নিচে হওয়া উচিত। যত কম হবে ততই ভাল।
- এবার NAV দেখুন। NAV এর সাথে বাজার মূল্যের সামঞ্জস্য থাকা উচিত। সাধারনত NAV ও শেয়ারের মূল্য অনুপান ১ হলে তা বিনিয়োগের জন্য আদর্শ বলে বিবেচিত হয়। তবে আমাদের বাজারে এ অনুপাত ১.৫ থেকে ২ পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য। মানে ৩০ টাকা NAV হলে ঐ শেয়ারের জন্য ৬০ টাকা পর্যন্ত ক্রয় মূল্য নিরাপদ।
- কোম্পানির EPS ও NAV এর অনুপাত নির্ণয় করুন। এ অনুপাত ১০ বা তার চাইতে যত বেশি হবে শেয়ারটি তত ভাল বলে বিবেচিত হবে।
- গত ৩/৪ বছরে কোম্পানির EPS বা মোট লাভের পরিমাণ লক্ষ্য করুন। ধারাবাহিক ভাবে EPS বা মোট লাভের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায়া ভাল কোম্পানির লক্ষণ।
- মোট শেয়েরের সংখ্যা দেখুন। আর দেখুন তার কতটুকু পাবলিকের হাতে আছে। নিয়মিত গ্রহণযোগ্য মাত্রায় লেনদেন হয় এমন শেয়ারই কেনা উচিত। ছোট paid-up capital এর শেয়ার তুলনামূলক ভাবে অতিমূল্যায়িত থাকে এবং এদের দাম অনেকে বেশি flactuate করে। তাই একজন নতুন অনভিজ্ঞ বিনিয়োগকারী হিসেবে আপনি মধ্যম থেকে বড় মাপের paid-up capital আছে এমন শেয়ারে বিনিয়োগ করুন। কারণ মাঝারী থেকে বড় মূলধনের (১৫০ কোটি বা তার ওপরের ) স্টকগুলোর বাজার দর অনেক বেশি stable থাকে।
- Authorized capital আর Paid-up capita এর অনুপাত দেখুন। যদি দুটি খুব কাছাকাছি হয় তবে ঐ কোম্পানি কখনই ডিভিডেন্ড হিসেবে বোনাস শেয়ার দেবেনা। এ ধরনের শেয়ার থেকে আপনি শুধু ক্যাশ ডিভিডেন্ড পাবেন।
- গত ৩-৪ বছরের ট্রেক রেকর্ড দেখুন। কী পরিমাণ বোনাস দেয় তা দেখুন। নিয়মিত ডিভিডেন্ড দেয়া কোম্পানিগুল তুলনামূলক ভাবে নিরাপদ।
- গত ১/২ বছরের গড় মূল্য দেখুন। চেষ্টা করুন এ মূল্যার কাছাকাছি দামে শেয়াটি কিনতে।
- ডিএসই’র সাইটে প্রকাশিত গত ৫-৬ মাসের কোম্পানি সংশ্লিষ্ট খবরগুলি দেখুন।
- ডিএসই প্রতি ৪ মাস পর পর কম্পানির আর্নিং রিপোর্ট দেয়। একটু বুঝে-শুনে হিসেব করলেই কোম্পানি বছর শেষে কি পরিমাণ লাভ করবে সে সম্পর্কে ধারণা লাভ করা সম্ভব।
- কোম্পানির সুনাম ও এর পরিচালকদের সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থান বিবেচনা করুন। পরিচালকদের ব্যক্তিগত ইমেজ খারাপ হলে ঐ কপম্পানি ফান্ডামেন্টালি যত ভালই হোক তা এড়িয়ে চলুন।
কি ভাবে কিনবেন ?
ধরুন আপনি কোম্পানি ‘ক’ এর ১০০০ টি শেয়ার কিনতে চান। সাধারণত আমরা একবারেই সব শেয়ার কিনে ফেলি। আর এতে আমাদের লোকসানের ঝুঁকি অনেক অনেক বেড়ে যায়। বরং একবারে সব শেয়ার না কিনে ৩-৪ বারে কিনুন। এটা মাথায় রাখুন যে, আপনি কেনার পর পরই শেয়ারটির দাম পড়ে যেতে পারে।তাই ৩/৪ বারে কিনলে আপনার গড়ক্রয় মূল্য অন্যদের তুলনায় স্বাভাবিকভাবেই কম হবে। অর্থাৎ শুরুতেই আপনি অন্যদের চাইতে কয়েক ধাপ এগিয়ে থাকবেন; যা আপনার মুনাফা অর্জনের জন্য সহায়ক। -এ স্ট্রটেজিকে বলা হয় এভারেজিং টেকনিক। বিক্রির ক্ষেত্রেও একই ফরমূলা অনুসরণ করুন। সব শেয়ার একবারে বিক্রি না করে ২-৩ ধাপে বিক্রি করুন।কতটুকু কিনবেন ?এটা নির্ভর করে আপনার পোর্টফলিও এর ডিজাইন ও তার বর্তমান অবস্থার ওপর। সহজ কথায়, সব মূলধন একটি কোম্পানির স্টকে বিনিয়োগ নিরাপদ নয়। এ কারনে সব টাকা একটি সেক্টরের ৩/৪ টি শেয়ার বিনিয়োগ করাও অনুচিত। নিরাপদ বিনিয়োগের জন্য প্রথমেই ২-৩ টি সেক্টর বাছাই করুন। এবার প্রতিটি সেক্টর থেকে ২-৪ টি কম্পানির শেয়ার আপনার পোর্টফলিওতে রাখুন।কারন সব ডিম এক খাচায় রাখলে একটি দুর্ঘটনাই আপনার সব কিছু নষ্ট করে দিতে পারে। তাই কখনই সব মূলধন একটি শেয়ারে বা একটি সেক্টরের শেয়ার সমূহে বিনিয়োগ থেকে বিরত থাকুন। ইনশাল্লহ পরবর্তী পোস্টে পোর্টফলিও ডিজাইন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার ইচ্ছা রাখছি। আশা করি তা থেকে আপনারা উপকৃত হবেন।
আমি কীভাবে শেয়ার ক্রয় করতে পারবো
বাংলাদেশে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য আপনার একটি ব্রোকার হাউজে একটি BO(Beneficiary Owner’s) অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। একটি বিও অ্যাকাউন্ট একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মতো, তবে এটি আপনি একটি ব্রোকার হাউজে (যেমন মিডওয়ে সিকিউরিটিজ লিমিটেড) এ খুলবেন । আপনি আপনার BO অ্যাকাউন্টে ব্যাংক একাউন্টের মতোই অর্থ জমা ও উত্তোলন করতে পারবেন । তবে এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন আমানত সংরক্ষণের প্রয়োজন নেই। তারপর আপনি সিদ্ধান্ত নিবেন যে আপনি প্রাথমিক বাজারে (আইপিও) নাকি সেকেন্ডারি বাজারে (শেয়ার ক্রয়/বিক্রয়) বিনিয়োগ করতে চান। বাংলাদেশের যে কোন স্থান থেকে সহজেই অনলাইন মাধ্যমে মিডওয়ে সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে বিও একাউন্ট খোলা, টাকা জমা-উত্তোলন এবং শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করা সম্ভব। |
আপনি যদি সেকেন্ডারি মার্কেটে (শেয়ার ক্রয়/বিক্রয়) বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন, প্রথমেই কোন প্রকার গুজবে কান দিবেন না। বিনিয়োগ শুরু করুন DS30 ইনডেক্স তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো দিয়ে, আত্মবিশ্বাস অর্জন করুন, তারপর ভিন্ন ধরনের কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগের সিধান্ত নিন। আপনি কোনও স্টক কেনার আগে আপনার BO অ্যাকাউন্টে তহবিল আমানত (শেয়ারের বাজার মূল্য) নিশ্চিত করুন। কোন স্টক কেনার আগে সে স্টক নিয়ে গবেষণা করুন StockNowঅ্যাপ ও পেইজ এবং গ্রুপ থেকে অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীদের সহায়তা নিতে পারেন। একটি নির্দিষ্ট স্টক কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে, সহজেই টেলিফোন, ই-মেইল, ইন্টারনেট, ইন-হাউস এর মাধ্যমে আপনি আপনার অর্ডার টি প্লেস করতে পারেন। অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত তহবিল থাকলে আপনি যেকোন শেয়ার ক্রয় এবং বিক্রয় করতে পারবেন ।
MACD Indicator = Moving Average Convergence Divergence. এই ইন্ডিকেটরটি মুভিংএভারেজ কেলকুলেট করার মাধ্যমে ট্রেডারকে নতুন একটি ট্রেন্ড হচ্ছে কিনা তা বুঝতে সাহায্য করে সেটা বুল্লিশই হোক কিংবা বেয়ারিশই হোক। মোটকথা, আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে নতুন কোন ট্রেন্ড হচ্ছে কিনা সেটা ধরতে পারা কারন, সবচেয়ে বেশী প্রফিট মার্কেট ট্রেন্ড থেকেই পাওয়া যায়।
MACD Indicator এ আমরা সাধারণত সেটিংসে তিনটি নাম্বর লক্ষ্য কর থাকি।
* ১ম নাম্বরটি সবচেয়ে Fast মুভিংএভারেজ কেলকুলেট করে থাকে।
* ২য় নাম্বরটি, সবচেয়ে Slow মুভিংএভারেজ কেলকুলেট করে থাকে।
* ৩য় নাম্বরটি হচ্ছে, একটি Bar Chart (Histogram) যেটা Fast এবং Slow মুভিংএভারেজের পার্থক্য কেলকুলেট করে থাকে।
উধাহরণস্বরূপ, আপনি যদি আপনার মুভিংএভারেজ টুলে “12,26,9” দেখে থাকেন তার মানে হচ্ছে,
* 12 বুঝাবে, বিগত 12 Bar এর Fast মুভিং এভারেজ।
* 26 বুঝাবে, বিগত 26 Bar এর Slow মুভিং এভারেজ।
* 9 বুঝাবে, বিগত 9 Bar এর Fast এবং Slow মুভিংএভারেজের পার্থক্য। এটি একটি ভারটিকাল লাইন তৈরি করে যার নাম হচ্ছে Histogram। (উপরেল্লিখিত সবুজ কালার এর লাইন)
Histogram, সহজে Fast এবং Slow মুভিং এভারেজের পার্থক্য এঁকে দেখায়। আমরা যদি আসল চার্টের দিকে লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পাবো যখন দুইটি মুভিং এভারেজ আলাদা হয়ে যাই তখন Histogram বড় হতে থাকে। এটাকে বলা হয় তার কারন, Fast মুভিং এভারেজ Slow মুভিং এভারেজের থেকে দূরে সরে যেতে থাকে।
যখন মুভিং এভারেজ দুইটি পরস্পর কাছাকাছি চলে আসে তখন Histogram ছোট হতে থাকে। এটাকে বলে Convergence, কারন Fast মুভিং এভারেজ Slow মুভিং এভারেজের কাছাকাছি চলে আসে।
মূলত এটাই হচ্ছে Moving Average Convergence Divergence.
কিভাবে আমরা ট্রেড MACD Indicator ব্যবহার করবো?
যেহেতু এখানে দুইটি মুভিং এভারেজ রয়েছে আলাদা আলাদা স্পীডের স্বাভাবিক ভাবেই Fast মুভিং এভারেজ Slow মুভিং এভেরজের তুলনায় মার্কেট প্রাইসের সাতে তাড়াতাড়ি মুভ করে। যখন মার্কেটে নতুন কোন ট্রেন্ড তৈরি হয় তখন Faster লাইন সবার আগে মুভ করে এবং সে Slower লাইনকে ক্রস করে যায়। যখনি ইনডিকেটোর কোন ক্রসওভার দেখা যায় তখনি আমরা বুঝতে পারি যে মার্কেটে নতুন ট্রেন্ড তৈরি হতে যাচ্ছে।
এই চার্টে আমরা দেখতে পাচ্ছি Fast Line (নীল) তার নিচের Slow Line (লাল) কে ক্রস করে নিচে নেমে যাচ্ছে এবং এটি একটি Sell Trend এর সংকেত দিয়েছে। লক্ষ্য করুন, যেখানে নীল লাইনটি লাল লাইনটিকে ক্রস করেছে সেখানে Histogram (সবুজ লাইন) অদৃশ্য হয়ে গেছে।
এর কারন হচ্ছে, যখন দুইটি লাইন একটি আরেকটিকে ক্রস করে তখন তার ভেলু 0 হয়ে যায় এবং নিচে নামার কারনে Fast Line, Slow Line এর থেকে দূরে সরে যায় আর histogram বড় হতে থাকে যা একটি শক্তিশালী সেল ট্রেন্ডের নির্দেশ করে।
নিচের উদাহরণটি দেখুন,
ব্লক ট্রেড
যখন বড় ভলিয়মের কোন শেয়ার লেনদেন করার প্রয়োজন হয় তখন তা স্বাভাবিক মার্কেটে না করে আলদাভাবে লেনদেন করা যায়। স্বাভাবিক মার্কেটের বাহিরে যেয়ে লেনদেন কেই ব্লক ট্রেডে লেনদেন বলা হয়। সাধারণত ব্লক মার্কেটে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা অংশগ্রহণ করে না বরং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বা বড় বিনিয়োগকারীরা ব্লকে বেশি লেনদেন করে। তবে যেকেউ চাইলে পাঁচ লাখ টাকার উপরের সমমানের শেয়ার ব্লক মার্কেটেকে লেনদেন করতে পারে। ব্লক ট্রেডে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকার ট্রেড করতে হবে। ব্লক মার্কেটে শেয়ার লেনদেন হয় ক্রেতা বিক্রেতার উভয়ের মঝে চুক্তির মাধ্যমে। স্বাভাবিক মার্কেটে বড় ভলিয়মের লেনদেন মূল্য হ্রাস বা বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা পালন করে। এই কারণেই স্বাভাবিক মার্কেটকে প্রভাব মুক্ত রাখতে ব্লক মার্কেটে লেনদেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আমাদের এপসে “More” অপশন থেকে প্রতিদিনের ব্লক ট্রেড দেখা যায়। ব্লক ট্রেড হিস্টরি দেখতে হলে হিস্টরি ক্যালেন্ডারে চেপে দেখতে হবে।
এছাড়াও প্রতিটি শেয়ারের ডিটেইলস পেইজেও ব্লক ট্রেড দেখা যায়।
শেয়ার বাজারে একদিনে কোন একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম অনেক বেশী বাড়া বা কমা ঠেকাতে বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন যে নিয়ম চালু করেছে সেটিই সার্কিট ব্রেকার নামে পরিচিত।
বর্তমানে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সার্কিট ব্রেকার বা দর পরিবর্তনের সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ। অর্থাৎ একদিনে একটি শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে পারে অথবা একইভাবে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত দাম কমতে পারে। তবে, শেয়ারের দাম অনুযায়ী সার্কিট ব্রেকার ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
শেয়ারের দাম অনুযায়ী সার্কিট ব্রেকার এর ৬টি ভাগ আছেঃ
- কোন একটি শেয়ারের দাম যদি ২০০ টাকার মধ্যে থাকে তবে সেই শেয়ারের সার্কিট ব্রেকার হবে ১০%। অর্থাৎ সেই শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ১০% বাড়তে পারে বা ১০% কমতে পারে।
- কোন একটি শেয়ারের দাম যদি ২০১ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে থাকে তবে সেই শেয়ারের সার্কিট ব্রেকার হবে ৮.৭৫%
- কোন একটি শেয়ারের দাম যদি ৫০১ টাকা থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে থাকে তবে সেই শেয়ারের সার্কিট ব্রেকার হবে সাড়ে ৭.৫%
- এই রকম ভাবে যেই শেয়ারের দাম ১০০১ টাকা থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে তার সার্কিট ব্রেকার হবে ৬.২৫%।
- যেই শেয়ারের দাম ২০০১ টাকা থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে তার সার্কিট ব্রেকার হবে ৫%।
- যেই শেয়ারের দাম ৫০০১ টাকা থেকে তার অধিক হবে সেই শেয়ারের সার্কিট ব্রেকার হবে ৩.৭৫%
উদাহরণস্বরূপ, গতকাল একটি শেয়ারের ক্লোজিং প্রাইজ ছিল ( YCP = Yesterday Closing Price) ১০০ টাকা। যদি ১০% ঐ শেয়ারে সার্কিট ব্রেকার দেওয়া থাকে তবে সেই শেয়ারটির সর্বোচ্চ দাম ( Circuit Up) উঠতে পারবে ১১০ টাকা এবং সর্বনিন্ম দাম (Circuit Lw) হতে পারবে ৯০ টাকা। এই মূল্য অতিক্রম করে কেউ বাই সেল করতে পারবে না। নিচের ছবিতে সার্কিট আপ এবং সার্কিট লো দেখানো হয়েছে।
কোন কোম্পানির টোটাল শেয়ারকে তার মার্কেট ভ্যালু দ্বারা গুন করলে যে ক্যাপিটাল পাওয়া যায় তাকে ওই কোম্পানির মার্কেট ক্যাপিটাল বলে।
এখানে বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের মার্কেট ভ্যালু হল ৫৮.৯০টাকা। বিএসআরএমের সর্বমোট শেয়ারের পরিমান প্রায় ৩৭ কোটি ৬০ লক্ষ। তাহলে বিএস আরএমের মার্কেট ক্যাপিটাল (৫৮.৯০ টাকা * ৩৭.৬০ কোটি শেয়ার)= ২২১৪.৪ কোটি টাকা।