Categories
শেয়ার বাজার

শেয়ার বাজার ইনডেক্স বা সূচক

শেয়ার ইনডেক্স বা বাংলায় শেয়ার সূচক বলতে শেয়ার বাজারের একটি অংশের মুল্যের পরিবর্তনগুলির পরিসংখ্যানিক পরিমাপকে বোঝায়। এক কথায় কিছু শেয়ারের দামের সমষ্টিগত পরির্বতনকে বুঝায়। কোন ইনডেক্সের ভিতর নির্বাচিত কিছু শেয়ার থাকে তাদের ভিতর কিছু শেয়ারের দাম কমে আবার কিছু শেয়ারের দাম বাড়ে। তাই তাদের অভার-অল কি ধরনের পরিবর্তন হয়  তা বোঝার জন্য শেয়ার ইনডেক্সগুলো ব্যবহার করা হয়। ইনডেক্সকে সম্পূর্ণ শেয়ারবাজারের মূল্যের ওঠানামার নির্দেশক হিসেবে ধরা হয়।

শেয়ারবাজারে একের অধিক ইনডেক্স থাকতে পারে। বাংলাদেশের দুই শেয়ারবাজারে মোট ৮টি ইনডেক্স বা সূচক রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩টি আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৫টি সূচক রয়েছে।

একজন বিনিয়োগকারীকে অবশ্যই ইনডেক্স এর তাৎপর্য বুঝতে হবে। প্রতিটি ইনডেক্সের একটি ভ্যালু বা মান থাকে । ধরুন গতকাল DSEX ইনডেক্সের ভ্যালু ছিল ৬০০০ আজকে তা বেড়ে  দাড়িয়েছে  ৬০৬০ সূচকে। তাহলে আমরা বলতে পারি সূচকের পরিমান এক দিনে বৃদ্ধি পেয়েছে ৬০ পয়েন্ট এবং গতকালকের তুলনায় আজ ইনডেক্সের পরিমান ১% বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্কেট ক্যাপিটালের পরিমান বৃদ্ধি পেলেই সূচকের মান বৃদ্ধি পায়।

Categories
শেয়ারের মৌলিক বিষয়বস্তু

শেয়ারের ধরন সমূহ

শেয়ারের প্রধান দুটি ধরণ হচ্ছে কমন শেয়ার ও প্রেফারেন্স শেয়ার।দুই ধরনের শেয়ারহোল্ডারই কোম্পানির মালিক। বাংলাদেশে শুধু কমন শেয়ারই লেনদেনযোগ্য।

কমন শেয়ারের ক্ষেত্রে ওই শেয়ারের মালিক কোম্পানির লভ্যাংশ পেয়ে থাকেন,আবার তিনি সাধারণ সভা এবং বিশেষ সাধারণ সভায় ভোটও দিতে পারেন।

প্রেফারেন্স শেয়ারের মালিক লভ্যাংশ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন। এমনকি কোম্পানি কোন কারণে দেওলিয়া হয়ে গেলেও তিনি তার পাওনার বিষয়ে অগ্রাধিকার পাবেন।  তবে এ ধরনের শেয়ারধারীদের কোনো ভোটাধিকার থাকে না।

প্রেফারেন্স শেয়ারের ক্ষেত্রে প্রাপ্য লভ্যাংশ আগেই নির্ধারণ করা থাকে। কিন্তু কমন বা অর্ডিনারি শেয়ারের ক্ষেত্রে লভ্যাংশ কম-বেশি হতে পারে। এমনকি কোনো বছর মুনাফা অর্জন সত্ত্বেও পরিচালনা পর্ষদ লভ্যাংশ ঘোষণা নাও করতে পারে। কোম্পানির পারফরমেন্স ভাল হলে লভ্যাংশের হার বেড়ে যায় বলে বাজারে কমন শেয়ারের দামও বাড়ে। তাই এ শেয়ারে মূলধনী মুনাফার ভাল সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু প্রেফারেন্স শেয়ারের লভ্যাংশ নির্ধারিত থাকে বলে এতে মূলধনী মুনাফার তেমন সম্ভাবনা বা সুযোগ থাকে না। অনেক ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময় পর প্রেফারেন্স শেয়ারের অংশবিশেষ বা পুরোটা সাধারণ শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ থাকে। অনেক দেশে কমন শেয়ারের মত প্রেফারেন্স শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জে কেনাবেচা হয়।

Categories
শেয়ার বাজার

DSEX, DSES, DS30 কি?

DSEX ইনডেক্স এর পূর্ণরুপ হচ্ছে Dhaka Stock Exchange Board Index। বাংলায় একে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বোর্ড ইনডেক্স ও বলে । DSEX  মোট ইক্যুইটি মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশনের প্রায় ৯৭% প্রতিফলিত করে। DSEX ইনডেক্স লিস্টে থাকতে হলে কোম্পানিটির মূলধন ১০০ মিলিয়ন টাকার উপরে থাকতে হবে। DSEX ইনডেক্স এর বেস বা সাপোর্ট ভ্যালু ২৯৫১.৯১ (১৭ জানুয়ারি ২০০৮)।

DSES ইনডেক্স কে বাংলায় শরীয়াহ সূচক বলা হয়। এটি DSEX এর একটি সাবসেট যা শরিয়াহ, ইসলামী ধর্মীয় আইন যেমন হারাম বাণিজ্য, মাদক উৎপাদন, সুদ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান, বিজ্ঞাপনী সংস্থা ইত্যাদি এই সূচকে অন্তর্ভূক্ত হবে না।  ইসলামি শরিয়াভিত্তিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসইএস) সংযুক্ত করা হয়।

DS30 ৩০ টি প্রধান বা লিডিং কোম্পানি নিয়ে DS30 ইনডেক্স গঠিত হয়। DS30 মোট ইক্যুইটি মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশনের প্রায় ৫১% প্রতিফলিত করে। DS30 ইনডেক্স লিস্টে থাকতে হলে কোম্পানিটির মূলধন ৫০০ মিলিয়ন টাকার উপরে থাকতে হবে এবং ৩ মাসে গড়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫ মিলিয়ন টাকার লেনদেন হতে হবে। এছাড়াও, সর্বশেষ ১২ মাসে পজিটিভ নেট আয় দ্বারা পরিমাপকৃত শেয়ারগুলিকে অবশ্যই লাভজনক হতে হবে। DS30 ইনডেক্স এর বেস বা সাপোর্ট ভ্যালু ১০০০।

এইখানে DSEX সূচকের মান ৬০৬৯.২৮ যা গতকালকের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪.২৩ পয়েন্ট এবং গতকালকের তুলনায় আজ ইনডেক্সের পরিমান .২৪% বৃদ্ধি পেয়েছে

Categories
শেয়ারের মৌলিক বিষয়বস্তু

শেয়ারের শ্রেনীবিভাগ সমূহ

বাংলাদেশ স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানীগুলোর পারফরমেন্সের ভিত্তিতে A, B, N এবং Z এই ৪ টা বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। বিনিয়োগকারীদেরকে সাধারনভাবে ভাল ও মন্দ শেয়ার চিনিয়ে দেবার জন্য এই বিভাগীকরন করা হয়েছে।

১. A-Category: যে সব কোম্পানিতে নিয়মিত বোর্ড  মিটিং করা হয় এবং  ১০% বা তার বেশি লভ্যাংশ (Dividend) বছর শেষে প্রদান করা হয় । সে সব কোম্পানীসমূহ এ গ্রুপের অর্ন্তভুক্ত।

২. B-Category: এ ধরনের ক্যাটাগরির  কোম্পানিতে নিয়মিত বার্ষিক বোর্ড মিটিং করা হয়  কিন্তু   বার্ষিক  লভ্যাংশ  (Dividend) ১০% এর নিচে   প্রদান করা হয়।  এসব  কোম্পানীসমূহ B গ্রুপের অর্ন্তভুক্ত।

৪. N-Category:  এই গ্রুপে অর্ন্তভুক্ত কোম্পানিগুলো এই বছর স্টক মার্কেটে  লিপিবদ্ধ হয়েছে ।যাকে নতুন শেয়ারও বলে। সাধারনত কোন শেয়ার স্টক মার্কেটে লিপিবদ্ধ হওয়ার পর  আর্থিক বছর শেষ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এই গ্রুপে রাখা হয়। আর্থিক বছর শেষ হলে এদের পারফরমেন্স উপর ভিত্তি করে A, B অথবা Z গ্রুপে স্থানান্তর করা হয়।

৫. Z-Category:  এই গ্রুপে অর্ন্তভুক্ত কোম্পানিগুলো  নিয়মিত বোর্ড মিটিং করে না এবং বার্ষিক লভ্যাংশ প্রদানে ব্যর্থ কিংবা সর্বশেষ ৬ মাস উৎপাদন  বন্ধ থাকলে এই গ্রুপে স্থানান্তর করা হয়।

StockNow App ক্যাটাগরি অনুযায়ী শেয়ার ভাগ করা আছে।

Categories
শেয়ার বাজারের প্রাথমিক ধারণা শেয়ারের মৌলিক বিষয়বস্তু

আইপিও (IPO) বা প্রাইমারি শেয়ার কি ?

প্রাইমারি শেয়ার  ইনিশিয়াল পাবলিক অফার বা আইপিও নামেও পরিচিত।  বাজারে কোন কোম্পানি প্রথম প্রাইমারি শেয়ারের মাধ্যমে প্রবেশ করে। অর্থাৎ নতুন কোন কোম্পানিকে বাজারে অন্তর্ভুক্ত হতে হলে তাকে প্রথমে প্রাইমারি শেয়ার ছাড়তে হবে।

প্রাইমারি শেয়ার কিনতে আগ্রহীদের পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দরখাস্ত আহবান করে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি। বর্তমানে দেখা যায়, কোম্পানির প্রয়োজনীয় শেয়ার লটের চেয়ে প্রায় ৫০-৬০ গুণ এমনি ১০০ গুণ পর্যন্ত বেশি দরখাস্ত জমা পড়ে। সেজন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানি লটারির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় শেয়ার লট সংগ্রহ করে থাকে। প্রাইমারি শেয়ার বাজারে এলে বিও অ্যাকাউন্টধারী যে কেউ এই শেয়ার কেনাবেচা করতে পারে

প্রতিটি কোম্পানির প্রাইমারি  শেয়ার যে দামে ছাড়ে  তাকে  ফেইস ভ্যালু বলে । কখনো কখনো ফেইস ভেল্যুর সাথে  প্রিমিয়াম যোগ করে একটি নির্দিষ্ট টাকায় শেয়ারটি অফার করে থাকে । ধরা যাক কোন কোম্পানির ফেস ভ্যালু ১০ টাকা এবং তারা ৫ টাকা প্রিমিয়াম সহ শেয়ারের দাম নির্ধারণ করল ১৫ টাকা। এখন যদি ঐ শেয়ার IPO এর মাধ্যমে পেয়ে থাকেন তবে প্রতি শেয়ারে দাম পরে ১৫ টাকা। তারপর এখন ইচ্ছা করলে এই শেয়ার সেকেন্ডারি মার্কেটে বিক্রি করতে পারবেন।

আইপিও ছাড়তে দুটি শর্ত পূরণ করতে হবে:

  • কোম্পানিটি অবশ্যই একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হতে হবে।
  • কোম্পানিকে অবশ্যই শেয়ার মার্কেটে (এসইসি, ডিএসই এবং সিএসই) তালিকাভুক্ত হতে হবে।
Categories
শেয়ারের মৌলিক বিষয়বস্তু

সেকেন্ডারি শেয়ার কি?

প্রাইমারি শেয়ার ক্রয় করে ম্যাচিওর হওয়ার পর যখন  বিক্রি করে দেয় তখন তা সেকেন্ডারি শেয়ারে পরিনত হয়। সেকেন্ডারি শেয়ারগুলো শেয়ার বাজারে ক্রয় ও বিক্রি করা যায় । সেকেন্ডারি শেয়ার বাজারে ব্যবসা করতে হলে শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে ভাল জ্ঞান থাকতে হবে। অর্থাৎ ব্যবসা করার জন্য ফান্ডামেন্টাল এবং টেকনিক্যাল এনালাইসিস সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে। এ ধারনা অর্জন করতে পারলে শেয়ার ব্যবসায় ভাল লাভ করতে পারবেন। আর যদি দীর্ঘমেয়াদে শেয়ারে ব্যবসা করেন এবং একে পেশা বা বাড়তি ইনকামের সোর্স হিসেবে ব্যবহার করতে চান তবে সেকেন্ডারি মার্কেট খুবই উত্তম যায়গা।

Categories
সার্কিট/হল্ট

হল্ট (Halt) শেয়ার কি

হল্ট (Halt) একটি ইংরেজী শব্দ যার অর্থ হচ্ছে থামা। কোন একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়ে যখন সার্কিট আপ ভ্যালু তে বা সর্বোচ্চ দামে পৌঁছে যায় তখন সেই শেয়ারটি হল্ট হয়ে যায়। দাম বেড়ে যেহেতু হল্ট হয়েছে সেহেতু এটি পজিটিভ হল্ট। পজিটিভ হল্টে বিনিয়োগকারীরা সাধারণত শেয়ারটি বিক্রি করতে চায় না, যে কারণে এই সময় সেলার বা বিক্রেতা শূন্য থাকে।

অন্যদিকে, কোন একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমে যখন সার্কিট লো ভ্যালু তে বা সর্বনিন্ম দামে পৌঁছে যায় তখন সেই শেয়ারটিও হল্ট হয়ে যায়। শেয়ারটির দাম কমে যেহেতু হল্ট হয়েছে সেহেতু এটি নেগেটিভ হল্ট। নেগেটিভ হল্টে বিনিয়োগকারীরা সাধারণত শেয়ারটি ক্রয় করতে চায় না, যে কারণে এই সময় বায়ার বা ক্রেতা শূন্য থাকে।

আমাদের এপসে সবুজ রঙের Halt দিয়ে পজিটিভ হল্ট এবং লাল রঙের Halt দিয়ে নেগেটিভ হল্ট বুঝানো হয়েছে।

Categories
শেয়ারের মৌলিক বিষয়বস্তু

রাইট শেয়ার কি?

রাইট শেয়ার এক ধরনের অধিকারমূলক শেয়ার। কোম্পানি যখন তার মূলধন বাড়াতে চায় তখন সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অনুমতি নিয়ে বাজারে যে শেয়ার ছাড়ে তাকেই রাইট শেয়ার বলে। এ শেয়ার সবাই কিনতে পারেন না। কোম্পানি গঠনের পরবর্তী সময়ে শেয়ার বিক্রি করার ক্ষেত্রে পুরাতন শেয়ার মালিকগণ ওই শেয়ার ক্রয়ে অগ্রাধিকার  পেয়ে থাকেন। যেসব শেয়ারহোল্ডার আগেই ওই কোম্পানির শেয়ার কিনেছেন তারাই শুধু রাইট শেয়ার কিনতে পারেন। শেয়ারহোল্ডারদের কাছে এই শেয়ার অনেক মূল্যবান। কারণ বাজারের প্রকৃত মূল্যের চেয়ে এই শেয়ারের দাম অনেক কম থাকে।

Categories
শেয়ারের অবস্থান

Bull, Bear, Neutral কি?

পুঁজিবাজারে, শেয়ার বাজারের অবস্থা বুঝাতে বুল এবং বিয়ার শব্দটি প্রায়শই ব্যবহৃত হয়। এই শব্দগুলি পুঁজিবাজার বর্তমানে কি অবস্থায় আছে তা বর্ণনা করে —  তারা কি শেয়ার মূল্যকে বৃদ্ধি করছে নাকি হ্রাস করছে। এবং একজন বিনিয়োগকারী হিসাবে, বাজারের দিক বোঝা একটি প্রধান শক্তি যা আপনার পোর্টফোলিওটিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। সুতরাং, এই বাজারের প্রতিটি অবস্থা কীভাবে আপনার বিনিয়োগগুলিতে প্রভাব ফেলতে পারে তা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।

সহজ কথায়, একটি বুল মার্কেট হল এমন একটি মার্কেট যেখানে অধিকাংশ শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং একটি বিয়ার মার্কেট হলো এমন একটি মার্কেট যেখানে অধিকাংশ শেয়ারের মূল্য হ্রাস পাচ্ছে।

অধিক সংখ্যক শেয়ারের দর যখন ক্রমাগত কয়েকদিন ধরে বাড়তে থাকে, তখনকার বাজার আবস্থাকে শেয়ারবাজারের ভাষায় বুলিশ (Bullish) মার্কেট বলে। কোনো বাজারে যদি ১০০ টি শেয়ার থাকে এবং কয়েকদিন ধরে যদি মেজরিটি পার্সেন্ট মানে ৭০টি শেয়ারের দাম বাড়ে, ১৫টি শেয়ারের দাম কমে আর ১৫টি অপরিবর্তিত থাকে, ইনডেক্স প্লাস হয় এবং এ ধরনের অবস্থা অর্থাৎ বেশি সংখ্যক শেয়ারের দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকলে একে বুলিশ মার্কেট বলে। আর যদি ১০০টি শেয়ারের মধ্যে ৯০% শেয়ারের দাম বেড়ে যায় তাহলে তাকে অতি বুলিশ বা অতিমূল্যায়িত মার্কেট বলে। 

যখন অধিক সংখ্যক শেয়ারের দাম কয়েকদিন ধরে কমতে থাকে তাকে বিয়ার (Bear) মার্কেট বলে। বিয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করা অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ যেহেতু, অধিকাংশ শেয়ারের ইকুইটি মূল্য কমে যায় এবং শেয়ার মূল্য গুলি অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। যেহেতু নিন্মমুখী বাজারে থাকা কঠিন, তাই বিনিয়োগকারীরা বিয়ার মার্কেট থেকে তাদের টাকা উঠিয়ে নেয় এবং বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত ক্যাশ নিয়ে বসে থাকে। যার ফলে মার্কেট আরো নিম্নমুখী হয়।

বুল ও বিয়ার মার্কেটে কি করতে হবে?

বুল মার্কেটের সময়, বিনিয়োগকারীদের জন্য সঠিক কৌশল হল  শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতার প্রথম দিকে (যদি সম্ভব হয়) শেয়ার কিনা এবং তারপরে সেগুলা সর্বোচ্চ দামে পৌঁছানোর পরে তাদের বিক্রি করা। বিনিয়োগকারীদের উচিত মার্কেট অতি বুলিশ বা অতি মূল্যায়িত হওয়ার পূর্বেই শেয়ার বিক্রি করে টাকা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া।

বুল মার্কেটের সময়ে, কোনও ক্ষতির পরিমাণ সামান্য এবং অস্থায়ী; একজন বিনিয়োগকারী সাধারণত সক্রিয়ভাবে এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে বেশি লাভ পাওয়ার সম্ভাবনায় আরও বেশি ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ করতে পারেন।

বিয়ার মার্কেটের সময়ে, ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি কারণ শেয়ারগুলি ক্রমাগত মূল্য হারাতে থাকে এবং এর শেষ প্রায়শই চোখে পড়ে না। এমনকি আপনি উত্থানের আশায় বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিলেও, কোনও পরিবর্তন ঘটার আগে আপনার ক্ষতি হতে পারে। তাই বিয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ না করাই ভাল।

Neutral: এই সংখ্যাটি অপরিবর্তিত শেয়ারকে বুঝায়, অর্থাৎ যে সকল শেয়ার এর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে তা বুঝায়।

Categories
শেয়ারের অবস্থান

Volume, Value, Trade বলতে কী বোঝায়?

মনে করি, মেহেদি এবং শামিম শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারী। মেহেদির কাছে জিপির ১০ টি শেয়ার আছে। মেহেদি এই ১০ টি শেয়ার বিক্রি করে দিল এবং শামিম সেই শেয়ারগুলি কিনল। এই ১০ টি শেয়ার হচ্ছে জিপির Volume । আর, এতে ১ টি Trade বা লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। জিপির প্রতিটি শেয়ারের দাম হল ৩০০ টাকা। তাহলে এই লেনদেনের Value হল ৩০০ * ১০ = ৩০০০ টাকা।