এর প্রথম লক্ষ ও উদ্দেশ্য হলো: বিভিন্ন কম্পানির ব্যাবসা বাড়াতে সাধারন পাবলিকের কাছ থেকে আইপিওর মাধ্যমে টাকা নিয়ে থাকে।এতে করে ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় টাকার চাহিদা পুরন হয়।এবং ব্যবসা আরও সুন্দর ভাবে করা যায়।
দ্বিতীয় লক্ষ ও উদ্দেশ্য হলো: সাধারন বিনিয়োগ কারি যারা নিজ ইচছায় বিনিয়োগ করতে চায় এবং তারা তাদের পছন্দের কম্পানির শেয়ার কিনতে পারে।এর ফলে উদ্যোকতা ও বিনিয়োগকারি উভয়ের লাভ হয়।
Tag: success
শেয়ার কী ?
শেয়ার হচ্ছে কোনো কোম্পানি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার মালিকানার একটি অংশ। যেকোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানেরই মালিকানা থাকে। যেমন থাকে সম্পদের মালিকানা। কোম্পানির মালিকানা নানা ধরনের হতে পারে। সেই মালিকানার অংশ নির্ধারণ বা সংরক্ষণের একটি পদ্ধতি হচ্ছে শেয়ার। ধরা যাক, ‘এ’ একটি কোম্পানি। সেটির মালিকানার অংশীদার ১০ জন। আর কোম্পানিটির মূলধন ১ লাখ টাকা। তার মানে ১০ জন মালিকের প্রত্যেকে কোম্পানিটিতে ১০ হাজার টাকা করে মূলধন বিনিয়োগ করেছেন। এখন কোম্পানিটি বা তার ১০ মালিক চাইলে তাঁদের মালিকানার অংশটিকে শেয়ারে রূপান্তর করে নিতে পারেন। তবে কোম্পানিটির কতগুলো শেয়ারে এই ১০ জনের মধ্যে বণ্টন করা হবে, তা নির্ভর করবে ওই শেয়ারের অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালু কত হবে তার ওপর। অভিহিত মূল্য ১০০ টাকা হলে সে ক্ষেত্রে প্রত্যেক মালিক ১০০টি করে শেয়ার পাবেন। এ ধরনের শেয়ারেরই লেনদেন হয় শেয়ারবাজারে।
আপনার বিও একাউন্টে টাকা জমা করার পর আপনি শেয়ার বেচা-কেনার জন্য তৈরি। আপনি বিভিন্ন ভাবে শেয়ার কেনা বেচা করতে পাড়বেন-
- অনলাইন(মোবাইল এপ্স বা আমাদের ওয়েব সাইট লিংক)
- অথোরাইজ রিপ্রেজেন্টেটিভকে ফোনের মাধ্যমে
- সরাসরি ব্রাঞ্চে এসে
আপনি যেকোন পরিমাণ টাকা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে শুরু করতে পারেন তবে প্রাথমিক বাজার বা ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং অর্থাৎ আইপিও তে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিও হিসাবে ন্যূনতম ২০,০০০ টাকা সেকন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ থাকতে হবে এবং আইপিও আবেদনের জন্য ১০,০০০ টাকা বিও অ্যাকাউন্ট নাম্বারে থাকতে হবে। সুতরাং সর্বনিম্ন ৩০,০০০ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করা উত্তম।
সেকেন্ডারি মার্কেটে ব্যবসায় করতে পুঁজির পরিমান আসলে নির্ভর করে বিনিয়োগকারীর কাঙ্ক্ষীত লাভের হার বা ‘এক্সপেক্টেড রেট অফ রিটার্নের’ উপর।
NAV কি ? ও NAV এর গুরুত্ব।
.NAV:একটি মিউচুয়াল ফান্ডের কোনও নির্দিষ্ট স্কীমের পারফর্ম্যান্সকে নেট অ্যাসেট ভ্যালু (NAV) দ্বারা সূচিত করা হয়। সহজ ভাষায়, NAV হল একটি স্কিমে যে পরিমাণে বাজার মূল্যের সিকিউরিটি থাকে। মিউচুয়াল ফান্ডগুলি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থ সিকিউরিটিজ মার্কেটে বিনিয়োগ করে। যেহেতু সিকিউরিটিজের বাজার মূল্য প্রতি দিন পরিবর্তিত হয়, তাই একটি স্কিমের NAV-ও প্রত্যেক দিন পরিবর্তিত হতে থাকে। একটি স্কিমের সিকিউরিটিগুলির বাজার মূল্যকে কোনও নির্দিষ্ট তারিখে স্কিমের ইউনিটগুলির মোট সংখ্যা দ্বারা বিভাজিত করলে NAV এর প্রতি ইউনিট পাওয়া যায়।
NAV এর গুরুত্বঃ এটি শেয়ার প্রতি কোম্পানির নীট সম্পদের মূল্য প্রদর্শন করে যা কোম্পানির শেয়ারের প্রকৃত মূল্যের পরিচায়ক। নিজেদের শেয়ার বিক্রি করে লাভ অথবা লোকসান নিয়ে ফান্ড থেকে বেরিয়ে যাওয়ার স্বাধীনতা থাকে তহবিলের প্রত্যেক সদস্যেরই। একটি নির্দিষ্ট মিউচুয়াল ফান্ড শুরু হওয়ার পর নিয়মিত শেয়ারের কেনা-বেচা চলতে থাকে। আর ফান্ডের শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করার জন্য একটা পদ্ধতির প্রয়োজন হয়। মূল্য নির্ধারণের এই পদ্ধতি নির্ভর করে NAV-র উপর।
NAV নিম্নোক্ত পন্থায় বের করা যায়-
ধরি, দিনের শেষে একটি মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ করা সিকিউরিটিজের বাজার মূল্য হল ১০০ কোটি টাকা।তহবিলে হাতে রয়েছে ৫ কোটি নগদ এবং অবন্টিত লভ্যাংশ হল ২ কটি টাকা। সাধারন শেয়ারের সংখ্যা ৩ কোটি। তাহলে NAV হবে…
শেয়ার প্রতি নীট সম্পদ(NAV)=সাধারন শেয়ার মূল্য+রিজার্ভ+অবণ্টিত মুনাফা/সাধারন শেয়ার সংখ্যা
শেয়ার প্রতি নীট সম্পদ=১০০+৫+২/৩
শেয়ার প্রতি নীট সম্পদ=৩৫.৬৭
ভাল শেয়ার চেনার উপায় কি ?
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের আগে জানতে হবে ভালো শেয়ার কোনগুলো। ভালো শেয়ারে বিনিয়োগ করে বড় অংকের মুনাফা না করা গেলেও একেবারে পুঁজি হারানোর ভয় কম। এ কারণে মন্দ শেয়ারে বিনিয়োগ না করে ভালো শেয়ারে বিনিয়োগ করাই উত্তম বলে মনে করি। ভালো শেয়ার বাছাই করার আগে বিনিয়োগকারীদের জানতে হবে কোম্পানির অতীত ইতিহাস, এর সঙ্গে কারা জড়িত, তাদের ব্যবসায়িক সততা, দক্ষতা, কোম্পানি কী ধরনের পণ্য উৎপাদন করে, সেগুলোর বাজার চাহিদা কেমন, কোম্পানির আর্থিক ভিত্তি কেমন, ঋণ থাকলে মূলধনের কত অংশ, কোম্পানির আয়-ব্যয়, শেয়ারপ্রতি আয়, শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদ, সম্পদের মূল্য, বছর শেষে তারা কেমন লভ্যাংশ দেয়, লভ্যাংশ দেওয়ার অতীত রেকর্ড এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে সহজেই ভালো কোম্পানির শেয়ার বাছাই করা সম্ভব। এসব বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের জানাতে Stock Now নিয়মিতভাবে youtube প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়ছে । https://www.youtube.com/c/StockNow/videos
এতে শেয়ারবাজারে নিরাপদ বিনিয়োগের জন্য বিনিয়োগকারীদের করণীয় সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যে কোনো বিনিয়োগকারী এতে অংশ নিতে পারেন।
কোন কোম্পানি আর্থিকভাবে কত বেশি শক্তিশালী তা কোম্পানির মৌলভিত্তি দিয়ে জানা যাবে। যে কোম্পানির শেয়ার কেনা হবে, তার বর্তমান আয়, বার্ষিক আয়, কোম্পানি নতুন কোনো পরিবর্তন আসছে কিনা, কোম্পানির পণ্য সরবরাহ কেমন, নেতৃত্বে কারা আছেন, কোম্পনির শেয়ারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশ গ্রহণ কেমন এবং সবশেষে ওই কোম্পানির পণ্যের বাজারে চাহিদা কেমন, বছর শেষে তারা কেমন লভ্যাংশ দিচ্ছে এসব বিষয় পর্যালোচনা করতে হবে।
যিনি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী তার প্রথম কাজ হবে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির আর্থিক বিবরণ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নেওয়া। প্রতিটি কোম্পানি প্রতিবছর বার্ষিক আয়-ব্যয় সংবলিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদন সংগ্রহ করে কোম্পানির আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে জানা যাবে।
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে হলে অব্যশই তাকে বাজারের কিছু টার্মস জানতে হবে।
যেমন- ইপিএস, ইংরেজিতে এর বিশেষণ হলো আরনিং পার শেয়ার বা প্রতি শেয়ারের বিপরীতে আয়। ডিভিডেন্ড বা লভ্যাংশ। ডিভিডেন্ড ইয়েল্ড, প্রাইস আরনিং র্যাশিও, নিট এসেট ভ্যালু।
ভালো শেয়ারের অন্যতম একটি উপসর্গ হচ্ছে শেয়ারপ্রতি ভ্যালু। সাধারণত একটি শেয়ারের ইপিএসের ১০ গুণ বেশি পর্যন্ত তার বাজারমূল্য হতে পারে। এর বেশি হলে তাকে অতিমূল্যায়িত ধরা হয়। যেমন কোনো শেয়ারের ইপিএস ১০ টাকা হলে ওই শেয়ারের বাজারমূল্য ১০০ টাকা হতে পারে। এর বেশি হলে তা অতিমূল্যায়িত। তবে সব ক্ষেত্রে এটি প্রয়োজ্য নয়। কোম্পানি বড় ধরনের সম্প্রসারণে গেলে, মুনাফা ঘোষণার আগে, রাইট বা বোনাস শেয়ার দেওয়ার ক্ষেত্রে এই ব্যাকরণ মিলবে না।
নিট এসেট ভ্যালু এটি শেয়ারপ্রতি কোম্পানির নিট সম্পদের মূল্য প্রদর্শন করে। শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ ভালো হলে এটি ভালো শেয়ার হিসেবেই ধরা হয়। শেয়ারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই শেয়ারের মূল্য ও আয়ের অনুপাত দেখতে হবে।
এ বিষয়ে ডিএসইর সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ রশিদ লালী বলেন, ভালো শেয়ার বলতে কোম্পানির অ্যাকাউন্টস দেখতে হবে। গত কয়েক বছরের লভ্যাংশ দেওয়ার প্রবণতা, কোম্পানির স্পন্সর কারা, কোম্পানির বর্তমান প্রাইস লেভেল দেখে বিনিয়োগ করতে হবে।
কয়েকটি বিষয় খেয়াল করে বিনিয়োগ করলে মুনাফার সম্ভাবনা বেশি। এর মধ্যে যে কোম্পানির সম্পদমূল্য, শেয়ারপ্রতি আয়, পিই রেশিও কম সেসব শেয়ারে বিনিয়োগ নিরাপদ।
এদিকে বিক্রি করে নয়; কেনার সময়ই আপনাকে লাভ করতে হবে। কম দামে ভাল শেয়ার কিনতে না পারলে বিক্রি করে লাভ করা সম্ভব নয়। ব্যাক্তিগতভাবে ‘ডাউন মার্কেট ই হল আমার প্রিয় বিনিয়োগের সময়। কারণ, এ সময় ভাল মানের শেয়ার তুনামূলকভাবে অনেক কম দামে কেনার সুযোগ পাওয়া যায়।
প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু ফান্ডামেন্টাল কোম্পানির দিক নিম্নে আলোচনা করছি। তবে এই চেক লিস্টই শেষ নয়। বিনিয়োগকারী হিসেবে সময়ের সাথে সাথে আপনি যেমন অভিজ্ঞ হবেন, তেমনি এই চেক লিস্টও আপনার অভিজ্ঞতার সাথে সাথে বড় হবে।
ভাল কোম্পানির শেয়ার কেনার প্রাথমিক চেকলিস্ট: প্রথমেই আপনার পছন্দের শেয়ারটির P/E দেখুন। এটা অবশ্যই ১৫ বা তার নিচে হওয়া উচিত। যত কম হবে ততই ভাল।
এবার NAV দেখুন। NAV এর সাথে বাজার মূল্যের সামঞ্জস্য থাকা উচিত। সাধারনত ঘঅঠ ও শেয়ারের মূল্য অনুপান ১ হলে তা বিনিয়োগের জন্য আদর্শ বলে বিবেচিত হয়। তবে আমাদের বাজারে এ অনুপাত ১.৫ থেকে ২ পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য। মানে ৩০ টাকা NAV হলে ঐ শেয়ারের জন্য ৬০ টাকা পর্যন্ত ক্রয় মূল্য নিরাপদ।
কোম্পানির EPS ও NAV এর অনুপাত নির্ণয় করুন। এ অনুপাত ১০ বা তার চাইতে যত বেশি হবে শেয়ারটি তত ভাল বলে বিবেচিত হবে।
গত ৩/৪ বছরে কোম্পানির EPS বা মোট লাভের পরিমাণ লক্ষ্য করুন। ধারাবাহিক ভাবে ঊচঝ বা মোট লাভের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায়া ভাল কোম্পানির লক্ষণ।
মোট শেয়ারের সংখ্যা দেখুন। আর দেখুন তার কতটুকু পাবলিকের হাতে আছে। নিয়মিত গ্রহণযোগ্য মাত্রায় লেনদেন হয় এমন শেয়ারই কেনা উচিত। ছোট paid-up capital এর শেয়ার তুলনামূলক ভাবে অতিমূল্যায়িত থাকে এবং এদের দাম অনেকে বেশি fluctuate করে।
তাই একজন নতুন অনভিজ্ঞ বিনিয়োগকারী হিসেবে আপনি মধ্যম থেকে বড় মাপের paid-up capital আছে এমন শেয়ারে বিনিয়োগ করুন। কারণ মাঝারী থেকে বড় মূলধনের (১৫০ কোটি বা তার ওপরের ) স্টকগুলোর বাজার দর অনেক বেশি stable থাকে।
Authorized capital আর Paid-up capita এর অনুপাত দেখুন। যদি দুটি খুব কাছাকাছি হয় তবে ঐ কোম্পানি কখনই ডিভিডেন্ড হিসেবে বোনাস শেয়ার দেবেনা। এ ধরনের শেয়ার থেকে আপনি শুধু ক্যাশ ডিভিডেন্ড পাবেন।
গত ৩-৪ বছরের ট্রেক রেকর্ড দেখুন। কী পরিমাণ বোনাস দেয় তা দেখুন। নিয়মিত ডিভিডেন্ড দেয়া কোম্পানিগুল তুলনামূলক ভাবে নিরাপদ। গত ১/২ বছরের গড় মূল্য দেখুন। চেষ্টা করুন এ মূল্যার কাছাকাছি দামে শেয়াটি কিনতে। ডিএসই’র সাইটে প্রকাশিত গত ৫-৬ মাসের কোম্পানি সংশ্লিষ্ট খবরগুলি দেখুন।
ডিএসই প্রতি ৪ মাস পর পর কম্পানির আর্নিং রিপোর্ট দেয়। একটু বুঝে-শুনে হিসেব করলেই কোম্পানি বছর শেষে কি পরিমাণ লাভ করবে সে সম্পর্কে ধারণা লাভ করা সম্ভব।
কোম্পানির সুনাম ও এর পরিচালকদের সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থান বিবেচনা করুন। পরিচালকদের ব্যক্তিগত ইমেজ খারাপ হলে ঐ কোম্পানি ফান্ডামেন্টালি যত ভালই হোক তা এড়িয়ে চলুন।
কি ভাবে কিনবেন : ধরুন আপনি কোম্পানি ‘ক’ এর ১০০০ টি শেয়ার কিনতে চান। সাধারণত আমরা একবারেই সব শেয়ার কিনে ফেলি। আর এতে আমাদের লোকসানের ঝুঁকি অনেক অনেক বেড়ে যায়। বরং একবারে সব শেয়ার না কিনে ৩-৪ বারে কিনুন। এটা মাথায় রাখুন যে, আপনি কেনার পর পরই শেয়ারটির দাম পড়ে যেতে পারে।
তাই ৩/৪ বারে কিনলে আপনার গড় ক্রয় মূল্য অন্যদের তুলনায় স্বাভাবিকভাবেই কম হবে। অর্থাৎ শুরুতেই আপনি অন্যদের চাইতে কয়েক ধাপ এগিয়ে থাকবেন; যা আপনার মুনাফা অর্জনের জন্য সহায়ক। এ স্ট্রটেজিকে বলা হয় এভারেজিং টেকনিক। বিক্রির ক্ষেত্রেও একই ফরমূলা অনুসরণ করুন। সব শেয়ার একবারে বিক্রি না করে ২-৩ ধাপে বিক্রি করুন।
কতটুকু কিনবেন : এটা নির্ভর করে আপনার পোর্টফলিও এর ডিজাইন ও তার বর্তমান অবস্থার ওপর। সহজ কথায়, সব মূলধন একটি কোম্পানির স্টকে বিনিয়োগ নিরাপদ নয়। এ কারনে সব টাকা একটি সেক্টরের ৩/৪ টি শেয়ার বিনিয়োগ করাও অনুচিত। নিরাপদ বিনিয়োগের জন্য প্রথমেই ২-৩ টি সেক্টর বাছাই করুন। এবার প্রতিটি সেক্টর থেকে ২-৪ টি কম্পানির শেয়ার আপনার পোর্টফলিওতে রাখুন।
কারন সব ডিম এক খাচায় রাখলে একটি দুর্ঘটনাই আপনার সব কিছু নষ্ট করে দিতে পারে। তাই কখনই সব মূলধন একটি শেয়ারে বা একটি সেক্টরের শেয়ার সমূহে বিনিয়োগ থেকে বিরত থাকুন।