Categories
জিজ্ঞাসা

কিভাবে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবো?

বাংলাদেশে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য আপনার একটি ব্রোকার হাউজে একটি BO(Beneficiary Owner’s) অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। একটি বিও অ্যাকাউন্ট একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মতো, তবে এটি আপনি একটি ব্রোকার হাউজে (যেমন মিডওয়ে সিকিউরিটিজ লিমিটেড) এ খুলবেন । আপনি আপনার BO অ্যাকাউন্টে ব্যাংক একাউন্টের মতোই অর্থ জমা ও উত্তোলন করতে পারবেন । তবে এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন আমানত সংরক্ষণের প্রয়োজন নেই। তারপর আপনি সিদ্ধান্ত নিবেন যে আপনি প্রাথমিক বাজারে (আইপিও) নাকি সেকেন্ডারি বাজারে (শেয়ার ক্রয়/বিক্রয়) বিনিয়োগ করতে চান। বাংলাদেশের যে কোন স্থান থেকে সহজেই অনলাইন মাধ্যমে মিডওয়ে সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে বিও একাউন্ট খোলা, টাকা জমা-উত্তোলন এবং শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করা সম্ভব।

বিও একাউন্ট খোলার জন্য করণীয়-

  • একজন ব্যক্তি এক নামে দুইটি বিও হিসাব খুলতে পারবে। একটি ইনডিভিজুয়াল একাউন্ট, অন্যটি জয়েন্ট একাউন্ট।
  • বাংলাদেশি আবেদনকারীর জন্য বাংলাদেশের যে কোন ব্যাংকে একাউন্ট থাকতে হবে। প্রবাসী আবেদনকারীর জন্য বাংলাদেশে একটি এফসি অথবা এনআরবি (NRB) একাউন্ট থাকতে হবে।
  • মিডওয়ে সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ওয়েব সাইট থেকে বিও একাউন্ট খোলার আবেদন করতে হবে।
  • সংগ্রহকৃত ফর্মটি যথাযথ ভাবে পুরন করুন।প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র-

           ১. আবেদনকারীর ছবি
           ২. আবেদনকারী, জয়েন্ট আবেদনকারী এবং নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (স্ক্যান/ছবি)
           ৩. নমিনির ছবি
           ৪. ব্যাংক চেকের কপি (স্ক্যান/ছবি)
           ৫. জয়েন্ট একাউন্টের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় আবেদনকারীর ছবি

  • অনলাইনে ফর্ম জমা দেয়ার সাথে আমাদের বিকাশ বা ব্যাংক একাউন্টে এক বছরের বিও একাউন্ট চার্জ ৪৫০ টাকা প্রদান করলে দুই কার্যদিবসের মধ্যে বিও একাউন্ট খোলা হয়ে যাবে।

যদি আপনি যদি প্রাথমিক বাজারে (আইপিও) বিনিয়োগ করতে চান, তাহলে পরবর্তী আইপিও (IPO) সম্পর্কে ডিএসই ওয়েবসাইটে খোঁজ রাখুন, আমাদের ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইটেও আইপিও সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করা হয় । আইপিও হল প্রাথমিক পাবলিক অফার: আইপিও মাধ্যমে প্রথমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয় । IPO সাবস্ক্রিপশন সময়কালে আমরা আপনার পক্ষে আবেদন করতে পারবো, IPO আবেদনের জন্য ১লা এপ্রিল,২০২১ থেকে চালূ হওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী  আপনাকে সেকেন্ডারি বাজারে কমপক্ষে ২০,০০০ টাকার বাজার  মূল্যের বিনিয়োগ থাকতে হবে এবং আইপিও আবেদন করার জন্য সর্বনিম্ন চাঁদার পরিমাণ ১০,০০০ টাকা কিন্তু বিনিয়োগকারি চাইলে গুনিতক হারে ২০ হাজার, ৩০ হাজার, ৪০ হাজার বা তদূর্ধ্ব টাকার আইপিও আবেদন করতে পারে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী আনুপাতিক হারে  প্রত্যেক আবেদনকারিই শেয়ার পাবেন। ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগকেই সর্বপ্রথম বিবেচনায় নিয়ে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হবে। আপনি যত টাকার শেয়ার বরাদ্দ পাবেন সেই পরিমাণ টাকা আপনার আপনার বিও এ্যাকাউন্ট থেকে গ্রহন করা হবে বাকি টাকা ৩ কার্য-দিবসের মধ্যে ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। অতীতে যে সকল বিনিয়োগকারী আইপিও’র মাধ্যমে শেয়ার পেয়েছেন তারা তাদের বিনিয়োগের উপর শতভাগ লাভ করেছে্ন। 

আপনি যদি সেকেন্ডারি মার্কেটে (শেয়ার ক্রয়/বিক্রয়) বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন, প্রথমেই কোন প্রকার গুজবে কান দিবেন না। বিনিয়োগ শুরু করুন  DS30 ইনডেক্স তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো দিয়ে, আত্মবিশ্বাস অর্জন করুন, তারপর ভিন্ন ধরনের কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগের সিধান্ত নিন। আপনি কোনও স্টক কেনার আগে আপনার BO অ্যাকাউন্টে তহবিল আমানত (শেয়ারের বাজার মূল্য) নিশ্চিত করুন। কোন স্টক কেনার আগে সে স্টক নিয়ে গবেষণা করুন , এক্ষেত্রে আপনি আমাদের প্রতিষ্ঠানে ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজার , পোর্টফলিও ম্যানেজার এবং অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীদের সহায়তা নিতে পারেন। একটি নির্দিষ্ট স্টক কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে, সহজেই টেলিফোন, ই-মেইল, ইন্টারনেট, ইন-হাউস বা আমাদের মোবাইল অ্যাপ এর মাধ্যমে আপনি আপনার অর্ডার টি প্লেস করতে পারেন। অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত তহবিল থাকলে আপনি যেকোন শেয়ার ক্রয় এবং বিক্রয় করতে পারবেন ।

শেয়ার বাজার, বিনিয়োগ নীতি-পদ্ধতি, পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপনা ও শেয়ার বাজার বিষয়ক অন্যান্য প্রশ্নের উত্তর পেতে কমেন্টে জিজ্ঞাসা করুন , আমরা চেষ্টা করবো আপনার প্রশ্নটির উত্তর দিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *