Categories
জিজ্ঞাসা

নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশী(এনআরবি) বিও হিসাব খুলতে যা যা লাগবে?

  • আবেদন কারীর ২ কপি passport size ছবি
  • জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/সামাজিক নিরাপত্তা কার্ড/রেসিডেন্স পারমিট ইত্যাদির সত্যায়িত কপি
  • ফরেন কারেন্সি ব্যাংক হিসাবের তথ্য
  • NRB হিসাবে আয় এর তথ্য বিবরনী বা সেলারি/ইনকাম বিবরনী
  • নমিনি জাতীয় পরিচয়পত্র কপি ও ছবি
  • হিসাব পরিচালনার জন্য নির্বাচিত প্রতিনিধিকে অথরাইজ করে POA (Power of Attorney) প্রতয্যনপত্রের কপি(যদি প্রয়োজন হয়)
Categories
জিজ্ঞাসা

কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন বিও একাউন্ট খোলার জন্য?

একটি একক/যৌথ বিও একাউন্ট খোলার জন্য কেবল প্রয়োজন:

  • আবেদনকারীর কপি ছবি
  • এনআইডি বা পাসপোর্টের কপি (স্ক্যান/ছবি)
  • ব্যাংকের তথ্য
Categories
জিজ্ঞাসা

বিও একাউন্ট কি?

বাংলাদেশে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য আপনার একটি ব্রোকার হাউজে একটি BO (Beneficiary Owner’s) অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। একটি বিও অ্যাকাউন্ট একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মতো, তবে এটি আপনি একটি ব্রোকার হাউজে (যেমন মিডওয়ে সিকিউরিটিজ লিমিটেড) এ খুলবেন । আপনি আপনার BO অ্যাকাউন্টে ব্যাংক একাউন্টের মতোই অর্থ জমা ও উত্তোলন করতে পারবেন । তবে এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন আমানত সংরক্ষণের প্রয়োজন নেই।

সাধারনত দুই ধরনের বিও একাউন্ট রয়েছে:১. সাধারন বিও একাউন্ট-বাংলাদেশী অধিবাসী এবং বাংলাদেশে বসবাস করে এমন ব্যক্তি সাধারন বিও একাউন্ট খুলতে পারে। সাধারন বিও একাউন্ট আবার তিন ধরনের-
· একক মালিকানাধীন বিও একাউন্ট(বিনিয়োগকারী নিজের নামে বিও একাউন্ট খুলতে পাড়বে)
· যৌথ মালিকানাধীন বিও একাউন্ট(দুই জন ব্যক্তি সম্মিলিত ভাবে একটি বিও একাউন্ট খুলতে পাড়বে)
· বিনিয়োগোকারী চাইলে নিজের কোম্পানির নামে বিও একাউন্ট খুলতে পারবেন।

২. এনআরবি বিও একাউন্ট (নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশী)- বাংলাদেশী প্রবাসীদের এবং বিদেশী নাগরিকদের বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা সুবিধা দেয়ার জন্য এই ধরনের বিও একাউন্ট খোলা হয়ে থাকে।
এছাড়াও অন্য এক ধরনের একাউন্ট রয়েছে যা লিংক বিও একাউন্ট নামে পরিচিত। আপনার বর্তমান ব্রোকারেজ হাউজ থেকে কোন শেয়ার বিক্রি না করে লিংক বিও একাউন্টের মাধ্যমে অন্য হাউজে বিও একাউন্ট ট্রান্সফার করতে পারবেন।

Categories
জিজ্ঞাসা

রাইট শেয়ার কি? কিভাবে আবেদন করব?

​রাইট শেয়ার কি?
রাইট শেয়ার এক ধরনের অধিকারমূলক শেয়ার। কোম্পানি যখন তার মূলধন বাড়াতে চায় তখন সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অনুমতি নিয়ে বাজারে যে শেয়ার ছাড়ে তাকেই রাইট শেয়ার বলে। 
নির্দিষ্ট কম্পানির নির্দিষ্ট রেকর্ড ডেট থাকে উক্ত রেকর্ড ডেটের আগে যে সকল শেয়ারহোল্ডারগনের বিও অ্যাকাউন্ট নাম্বারে ওই কম্পানির শেয়ার থাকে শুধু তারাই রাইট শেয়ারের জন্য আবেদন করতে পারে। 

রাইট ইস্যুটি মূলত এমন একটি উপায় যার মাধ্যমে স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত কোনো সংস্থা বাজার থেকে অতিরিক্ত তহবিল সংগ্রহ করে থাকে |
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, পুঁজিবাজারে পেপার ও প্রিন্টিং খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলসের রাইট শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সোনালী পেপার ১:২ আর অনুপাতে রাইট শেয়ার ইস্যু করবে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা বিদ্যমান দুইটি শেয়ারের বিপরীতে একটি রাইট শেয়ার পাবেন। কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ১ কোটি ৯ লাখ ৮১ হাজার ৭৩১টি রাইট শেয়ার হিসেবে ইস্যু করবে। এর মাধ্যমে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ১৭ হাজার ২৯০ টাকা সংগ্রহ করবে কোম্পানিটি। 
​কিভাবে রাইট শেয়ারের জন্য আবেদন করবেনঃ
সে সকল শেয়ারহোল্ডারদের রেকর্ড ডেটের আগ পর্যন্ত কোন কোন নির্দিষ্ট কম্পানির শেয়ার থাকবে যারা কিনা রাইট ইস্যু করবে তাদের(কম্পানির)ওয়েবসাইটে রাইট শেয়ারের আবেদন ফর্ম পাওয়া যাবে।অনেক সময় কম্পানি শেয়ারহোল্ডারগনের ঠিকানাও রাইট শেয়ার আবেদন ফর্ম পাঠিয়ে থাকে।সেখান থেকে আপনি ফর্মটি ডাউনলোড করে/আপনার ঠিকানায় প্রাপ্ত ফর্ম ফিলাপ করবেন। এর পরে আপনি যতগুলি রাইটের জন্য আবেদন করতে চাইছেন সেটার টাকা ক্যাশ,পে অর্ডার, চেক আপনি উল্লেখিত নির্দিষ্ট ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখায় জমা দিয়ে রাইট শেয়ারের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এছাড়াও একজন শেয়ারহোল্ডার জিনি কিনা রাইট শেয়ার আবেদন করার জন্য ইলিজেবল তিনি চাইলে তার প্রাপ্য রাইট আংশিক কিংবা পুরটা রিনানসিয়েশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অন্য যে কাইউকে ট্র্যান্সফার করতে পারে।  

উদাহরণ হিসেবে আমরা বলতে পারি, ধরুন XYZ কম্পানি ১:২ অনুপাতে রাইট শেয়ার ইস্যু করল, অর্থাৎ রেকর্ড ডেটে যদি আমার ৫,০০০ শেয়ার থাকে তবে আমি সর্বাধিক ২,৫০০ রাইট শেয়ারের জন্য আবেদন করতে পারবো, অবশ্য আমি চাইলে এর কম পরিমাণ শেয়ারের জন্যও আবেদন করতে পারব। এখন আমাকে XYZ কম্পানির নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে রাইট শেয়ার আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করে সেটা ফিলাপ করে ২,৫০০ শেয়ারের সমপরিমাণ ২৫,০০০(যখন অবহিত মূল্য ১০ টাকা প্রতি শেয়ার) টাকা নির্দিষ্ট ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাঁখায় ক্যাশ, চেক, পে অর্ডারে এর মাধ্যমে টাকা জমা করে আবেদন করতে করতে হবে। অন্যথায় আমি যদি রিনানসিয়েশন করতে চাই সেক্ষেত্রে আমাকে উক্ত কম্পানির ওয়েবসাইট থেকে তাদের অনুমতি সাপেক্ষে নির্ধারিত ফর্ম কালেক্ট করে সেটা ফিলাপ করে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আমার প্রাপ্য রাইট আমি রিনানসিয়েশন করতে পারব। 

Categories
জিজ্ঞাসা

কিভাবে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবো?

বাংলাদেশে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য আপনার একটি ব্রোকার হাউজে একটি BO(Beneficiary Owner’s) অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। একটি বিও অ্যাকাউন্ট একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মতো, তবে এটি আপনি একটি ব্রোকার হাউজে (যেমন মিডওয়ে সিকিউরিটিজ লিমিটেড) এ খুলবেন । আপনি আপনার BO অ্যাকাউন্টে ব্যাংক একাউন্টের মতোই অর্থ জমা ও উত্তোলন করতে পারবেন । তবে এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন আমানত সংরক্ষণের প্রয়োজন নেই। তারপর আপনি সিদ্ধান্ত নিবেন যে আপনি প্রাথমিক বাজারে (আইপিও) নাকি সেকেন্ডারি বাজারে (শেয়ার ক্রয়/বিক্রয়) বিনিয়োগ করতে চান। বাংলাদেশের যে কোন স্থান থেকে সহজেই অনলাইন মাধ্যমে মিডওয়ে সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে বিও একাউন্ট খোলা, টাকা জমা-উত্তোলন এবং শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করা সম্ভব।

বিও একাউন্ট খোলার জন্য করণীয়-

  • একজন ব্যক্তি এক নামে দুইটি বিও হিসাব খুলতে পারবে। একটি ইনডিভিজুয়াল একাউন্ট, অন্যটি জয়েন্ট একাউন্ট।
  • বাংলাদেশি আবেদনকারীর জন্য বাংলাদেশের যে কোন ব্যাংকে একাউন্ট থাকতে হবে। প্রবাসী আবেদনকারীর জন্য বাংলাদেশে একটি এফসি অথবা এনআরবি (NRB) একাউন্ট থাকতে হবে।
  • মিডওয়ে সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ওয়েব সাইট থেকে বিও একাউন্ট খোলার আবেদন করতে হবে।
  • সংগ্রহকৃত ফর্মটি যথাযথ ভাবে পুরন করুন।প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র-

           ১. আবেদনকারীর ছবি
           ২. আবেদনকারী, জয়েন্ট আবেদনকারী এবং নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (স্ক্যান/ছবি)
           ৩. নমিনির ছবি
           ৪. ব্যাংক চেকের কপি (স্ক্যান/ছবি)
           ৫. জয়েন্ট একাউন্টের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় আবেদনকারীর ছবি

  • অনলাইনে ফর্ম জমা দেয়ার সাথে আমাদের বিকাশ বা ব্যাংক একাউন্টে এক বছরের বিও একাউন্ট চার্জ ৪৫০ টাকা প্রদান করলে দুই কার্যদিবসের মধ্যে বিও একাউন্ট খোলা হয়ে যাবে।

যদি আপনি যদি প্রাথমিক বাজারে (আইপিও) বিনিয়োগ করতে চান, তাহলে পরবর্তী আইপিও (IPO) সম্পর্কে ডিএসই ওয়েবসাইটে খোঁজ রাখুন, আমাদের ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইটেও আইপিও সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করা হয় । আইপিও হল প্রাথমিক পাবলিক অফার: আইপিও মাধ্যমে প্রথমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয় । IPO সাবস্ক্রিপশন সময়কালে আমরা আপনার পক্ষে আবেদন করতে পারবো, IPO আবেদনের জন্য ১লা এপ্রিল,২০২১ থেকে চালূ হওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী  আপনাকে সেকেন্ডারি বাজারে কমপক্ষে ২০,০০০ টাকার বাজার  মূল্যের বিনিয়োগ থাকতে হবে এবং আইপিও আবেদন করার জন্য সর্বনিম্ন চাঁদার পরিমাণ ১০,০০০ টাকা কিন্তু বিনিয়োগকারি চাইলে গুনিতক হারে ২০ হাজার, ৩০ হাজার, ৪০ হাজার বা তদূর্ধ্ব টাকার আইপিও আবেদন করতে পারে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী আনুপাতিক হারে  প্রত্যেক আবেদনকারিই শেয়ার পাবেন। ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগকেই সর্বপ্রথম বিবেচনায় নিয়ে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হবে। আপনি যত টাকার শেয়ার বরাদ্দ পাবেন সেই পরিমাণ টাকা আপনার আপনার বিও এ্যাকাউন্ট থেকে গ্রহন করা হবে বাকি টাকা ৩ কার্য-দিবসের মধ্যে ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। অতীতে যে সকল বিনিয়োগকারী আইপিও’র মাধ্যমে শেয়ার পেয়েছেন তারা তাদের বিনিয়োগের উপর শতভাগ লাভ করেছে্ন। 

আপনি যদি সেকেন্ডারি মার্কেটে (শেয়ার ক্রয়/বিক্রয়) বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন, প্রথমেই কোন প্রকার গুজবে কান দিবেন না। বিনিয়োগ শুরু করুন  DS30 ইনডেক্স তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো দিয়ে, আত্মবিশ্বাস অর্জন করুন, তারপর ভিন্ন ধরনের কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগের সিধান্ত নিন। আপনি কোনও স্টক কেনার আগে আপনার BO অ্যাকাউন্টে তহবিল আমানত (শেয়ারের বাজার মূল্য) নিশ্চিত করুন। কোন স্টক কেনার আগে সে স্টক নিয়ে গবেষণা করুন , এক্ষেত্রে আপনি আমাদের প্রতিষ্ঠানে ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজার , পোর্টফলিও ম্যানেজার এবং অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীদের সহায়তা নিতে পারেন। একটি নির্দিষ্ট স্টক কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে, সহজেই টেলিফোন, ই-মেইল, ইন্টারনেট, ইন-হাউস বা আমাদের মোবাইল অ্যাপ এর মাধ্যমে আপনি আপনার অর্ডার টি প্লেস করতে পারেন। অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত তহবিল থাকলে আপনি যেকোন শেয়ার ক্রয় এবং বিক্রয় করতে পারবেন ।

শেয়ার বাজার, বিনিয়োগ নীতি-পদ্ধতি, পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপনা ও শেয়ার বাজার বিষয়ক অন্যান্য প্রশ্নের উত্তর পেতে কমেন্টে জিজ্ঞাসা করুন , আমরা চেষ্টা করবো আপনার প্রশ্নটির উত্তর দিতে।

Categories
জিজ্ঞাসা

হাল্ট শেয়ার কেন আমরা বাই করতে পারি না ?

হল্ট (Halt) একটি ইংরেজী শব্দ যার অর্থ হচ্ছে থামা। কোন একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়ে যখন সার্কিট আপ ভ্যালু তে বা সর্বোচ্চ দামে পৌঁছে যায় তখন সেই শেয়ারটি হল্ট হয়ে যায়। দাম বেড়ে যেহেতু হল্ট হয়েছে সেহেতু এটি পজিটিভ হল্ট। পজিটিভ হল্টে বিনিয়োগকারীরা সাধারণত শেয়ারটি বিক্রি করতে চায় না, যে কারণে এই সময় সেলার বা বিক্রেতা শূন্য থাকে।

অন্যদিকে, কোন একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমে যখন সার্কিট লো ভ্যালু তে বা সর্বনিন্ম দামে পৌঁছে যায় তখন সেই শেয়ারটিও হল্ট হয়ে যায়। শেয়ারটির দাম কমে যেহেতু হল্ট হয়েছে সেহেতু এটি নেগেটিভ হল্ট। নেগেটিভ হল্টে বিনিয়োগকারীরা সাধারণত শেয়ারটি ক্রয় করতে চায় না, যে কারণে এই সময় বায়ার বা ক্রেতা শূন্য থাকে।

আমাদের এপসে সবুজ রঙের Halt দিয়ে পজিটিভ হল্ট এবং লাল রঙের Halt দিয়ে নেগেটিভ হল্ট বুঝানো হয়েছে।

Categories
জিজ্ঞাসা

Ichimoku Indicator কি?

Ichimoku Indicator অন্যান্য ইন্ডিকেটর যেমন MACD, RSI, Moving Average, Stochastic এর মতই এটিও ট্রেডারদের কাছে অনেক বেশী জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত। বুঝতে একটু কষ্ট হলেও এটা আপনার ট্রেডের জন্য আশীর্বাদ হিসাবে কাজ করবে। ।স্টক মার্কেট এ যতো ধরনের ইন্ডিকেটর আছে তার মধ্যে Ichimoku Indicator হচ্ছে সবচেয়ে পুরাতন।জাপানিজ এক সাংবাদিক এটি প্রথম তৈরি করেন ১৯৩০ সালের দিকে এবং এটিকে ব্যবহারের জন্য অবমুক্ত করেন ১৯৬৮ সালে।মানে উনি এটিকে দীর্ঘ ৩৮ বছর নানা রকমের পরীক্ষা করেন তারপর সবার ব্যবহারের জন্য অবমুক্ত করেন। Ichimoku Kinko Hyo হচ্ছে তাদের জন্য, যারা একবার দেখেই চার্ট এবং মার্কেটের অবস্থা সম্পর্কে বুঝতে পারেন। আমরা এখন এই চার্ট সসম্পর্কে জানবো ।Kijun Sen (blue line): এটিকে বলা হয় স্ট্যান্ডার্ড লাইন অথবা বেইস লাইন। এটা এভারেজ কেলকুলেট করে আগের 26 Candle এর highest high এবং lowest low এর ।Tenkan Sen (red line): এটিকে বলা হয় টারনিং লাইন। এটা এভারেজ কেলকুলেট করে আগের 9 Candle এর highest high এবং lowest low এর।Chikou Span (green line): এটিকে বলা হই লেগিং লাইন। এটি আপনাকে বর্তমান মার্কেট প্রাইসের 26 Candle আগে প্রাইস কোথায় ছিল এটা এঁকে দেখায়।Ichimoku Indicator ব্যবহার করে কিভাবে ট্রেড করবেন? চার্টটির দিকে লক্ষ্য করুন,যদি আপনি দেখেন মার্কেট প্রাইস Senkou span লাইনের উপরে আছে তাহলে ১ম Senkou লাইন ১ম সাপোর্ট এবং ২য় Senkou লাইন ২য় সাপোর্ট লেভেল হিসাবে কাজ করবে।আর যদি আপনি দেখেন, মার্কেট প্রাইস Senkou span এর নিচে আছে তাহলে ২য় Senkou লাইন ১ম রেসিসটেন্স এবং ১ম Senkou লাইন ২য় রেসিসটেন্স হিসাবে কাজ করবে।বুঝতে পারেছেন? যদি না পারেন তাহলে আবার পড়ুন এবং ভালো করে বোঝার চেষ্টা করুন।এদিকে, Kijun Sen (নীল লাইন) ভবিষ্যৎ প্রাইস মুভমেন্টের নির্দেশক হিসাবে কাজ করবে। যদি মার্কেট প্রাইস Kijun (নীল লাইনের) থেকে উপরে হয় তাহলে, মার্কেট প্রাইস আরও উপরে যেতে পারে। আর যদি মার্কেট প্রাইস Kijun (নীল লাইনের) নিচে হয় তাহলে, মার্কেট প্রাইস আরও নিচে নামতে পারে।Tenkan Sen (লাল লাইন) মার্কেট ট্রেন্ডের দিক নির্দেশক হিসাবে কাজ করে। যদি দেখতে পান, লাল লাইন উপরে-নিচে উঠা নামা করছে তাহলে বুঝতে পারবেন মার্কেটের মুভমেন্ট আছে। আর যদি দেখেন, লাল লাইন অনুভূমিকভাবে (horizontally) আছে তাহলে বুঝতে হবে মার্কেট একটি নির্দিষ্ট প্রাইস রেঞ্জের মধ্যে ঘুরাঘুরি করছে।Chikou Span (সবুজ লাইন), যদি দেখেন সবুজ লাইন মার্কেট প্রাইসকে নিচ থেকে উপরের দিকে (bottom-up direction) ক্রস করে গেছে তাহলে বুঝ্রতে হবে এটি আপনাকে Buy সিগন্যাল দিয়েছে। আর যদি দেখেন সবুজ লাইন মার্কেট প্রাইসকে উপর থেকে নিচের দিকে (top-down) ক্রস করে গেছে তাহলে বুঝতে হবে এটি আপনাকে Sell সিগন্যাল দিয়েছে।এই চার্টটি ভালো করে দেখুন। এটিতে আমরা আপনাকে কিভাবে Ichimoku Indicator সিগন্যাল দেয় তার সম্পর্কে ধারনা দেবার চেষ্টা করেছি।

Categories
জিজ্ঞাসা

Oscillator Indicator কি ?

Oscillator Indicator হচ্ছে এমন একধরনের টেকনিক্যাল টুল যা একটি নির্দিষ্ট পরিমাপণ ভ্যালু এর মধ্যে অবস্থান করে মার্কেট ট্রেন্ড সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে থাকে। অর্থাৎ এই ধরনের ইন্ডিকেটর এর দুইটি পয়েন্ট এর মধ্যেই সবসময় অবস্থান করবে।যদি আমরা এই দুইটি পয়েন্টকে A এবং B হিসাবে চিন্তা করে তাহলে ইন্ডিকেটর এর অবস্থান হবে A থেকে B কিংবা B থেকে A ।এই ধরনের ইন্ডিকেটর আমাদের সরাসরি Buy কিংবা Sell সিগন্যাল প্রদান করে থাকে। যেমন Stochastic, Parabolic SAR, Relative Strength Index (RSI) হচ্ছে এই ধরনের ইন্ডিকেটর।এই ধরনের ইন্ডিকেটর মুলত কখন প্রাইস তার ট্রেন্ড পরিবর্তন করবে সেটা বোঝার জন্য তৈরি করা হয়েছে। অর্থাৎ, প্রাইস যদি এখন আপট্রেন্ড এর মধ্যে অবস্থান করে তাহলে সে কখন ট্রেন্ড পরিবর্তন করে বিপরীত দিকে যাবে অর্থাৎ ডাউনট্রেন্ড এর দিকে সেটার নির্দেশনা প্রদান করবে।চলুন, আমরা কিছু উধাহরন দেখে নেই।আমরা নিচের চিত্রে যেই চার্টটি নিয়ে আলোচনা করবো সেটি আমরা আমাদের বিভিন্ন ইন্ডিকেটর নিয়ে আলোচনা সময় আপনাদের দেখিয়েছি। যদি সে সম্পর্কে মনে না থাকে তাহলে আমাদের Elementary কোর্স এর ইন্ডিকেটর সেকশনে একটু কষ্ট করে দেখে নিবেন।যাই হোক, নিচের চার্টে আপনার দেখতে পাচ্ছেন তিনটি ইন্ডিকেটরই আমাদের Buy এন্ট্রি দেয়ার জন্য সিগন্যাল প্রদান করেছিল এবং আমরা যদি সেই অনুযায়ী ট্রেডে এন্ট্রি নিতাম তাহলে প্রায় ৪০০ পিপ্স এর প্রফিট করতে পারতাম।পরবর্তী অংশ পরবর্তী প্রশ্ন উত্তর পর্বে আলোচনা করা হবেসতর্কীকরণ: আজকে StockNow প্রশ্ন উত্তর পর্বে যে সমস্ত উদাহরণ ব্যবহার করা হয়েছে কেবল মাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশে এবং তথ্যের জন্য। বিনিয়োগ সম্পর্কিত কোনো সিদ্ধান্তে StockNow টিম দায়ী থাকবে না ধন্যবাদ।

Categories
জিজ্ঞাসা

বিভিন্ন ক্যাটাগরির শেয়ার ও শেয়ার কেনার কতদিন পর শেয়ার ম্যাচিউর/বিক্রয়যোগ্য হয়?

বিভিন্ন ক্যাটাগরির শেয়ার ও শেয়ার কেনার কতদিন পর শেয়ার ম্যাচিউর/বিক্রয়যোগ্য হয়?

শেয়ার মার্কেট এ প্রচলিত বিভিন্ন শেয়ার এর ক্যাটাগরি সম্পর্কে জানবো এবং কোন শেয়ার কেনার কতদিন পর তা ম্যাচিউর হয় বা কতদিন পর তা বিক্রয় করা যায় সেটা জানবো।শেয়ার বাজারে সাধারনত ৪ ধরনের শেয়ার রয়েছে।সেগুলো হচ্ছে A, B, N, ZA ক্যাটাগরি :যে সকল কোম্পানি নিয়মিত AGM(Annual General Meeting) সম্পন্ন করেছে।যে সকল কোম্পানি গত ক্যালেন্ডার ইয়ারে কমপক্ষে ১০% ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ।B ক্যাটাগরি:যে সকল কোম্পানি নিয়মিত AGM(Annual General Meeting) সম্পন্ন করছে।গত ক্যালেন্ডার ইয়ারে কমপক্ষে ১০% ডিভিডেন্ড দিতে ব্যর্থ হয়েছে ।N ক্যাটাগরি:নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি।এ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর প্রথম AGM হওয়ার পর তারা ক্যাটাগরির শর্ত পূরণ করে A/B ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত হয় ।Z ক্যাটাগরি:AGM সম্পন্ন করে না ।ডিভিডেন্ড দেয় না ।৬ মাস বা তার বেশি সময় ধরে ব্যবসায়ে অপারেশন বন্ধ ।রাজস্ব রিজার্ভ সমন্বয় করার পর যদি পুঞ্জিভুত ক্ষতি হয়, এবং তা পরিশোধিত মূলধনের (Paid up Capital) চেয়ে বেশি হয়।আরেক ধরনের শেয়ার রয়েছে যেটাকে G ক্যাটাগরির শেয়ার বা গ্রীন ফিল্ড কোম্পানির শেয়ার বলা হয়। এই কোম্পানিগুলো বিজনেস শুরু করার আগে প্রাইমারি মার্কেট থেকে মূলধন সংগ্রহ করে থাকে।

Categories
জিজ্ঞাসা

ডিভিডেন্ড কি? কখন কিনলে পাওয়া যায়?

ডিভিডেন্ড কি? কখন কিনলে পাওয়া যায়?ডিভিডেন্ড (Dividend) অর্থ লভ্যাংশ। এক বছরে একটি কোম্পানির তার মুনাফার বা (ইপিএসের) যে অংশ শেয়ারহোল্ডারদের (বিনিয়োগকারীদের) মধ্যে বিতরণ করে তাকেই লভ্যাংশ বা ডিভিডেন্ড বলে। কখনো কখনো রিজার্ভ (সংরক্ষিত তহবিল) থেকেও লভ্যাংশ বিতরণ করা হয়। কোম্পানির আয় বা ইপিএস নেগেটিভ থাকলে ক্যাশ লভ্যাংশ প্রদান করা যায় না তবে স্টক (বোনাস শেয়ার) লভ্যাংশ দেয়া যায়। লভ্যাংশের জন্য ঘোষিত রেকর্ড ডেটের (শেয়ারের মালিকানা নির্ধারণের দিনের) আগে শেয়ার কিনতে হয়।লভ্যাংশ দুই প্রকার। ক্যাশ (নিজেস্ব মুদ্রায়) বা নগত লভ্যাংশ এবং স্টক (বোনাস শেয়ার) লভ্যাংশ। আবার একটি কোম্পানি ইচ্ছা করলে, লভ্যাংশ হিসেবে নগদ টাকা বা স্টক (বোনাস শেয়ার) অথবা উভয় আকারে দিতে পারে। লভ্যাংশকে সাধারণত শতাংশের হিসাবে প্রকাশ করা হয়। লভ্যাংশ কোম্পানির ফেজভ্যালুর উপরে দেওয়া হয়। কোম্পানির সেকেন্ডারি মার্কেটে, কারেন্ট মার্কেট ভ্যালু যাই হোক না কেন?বাংলাদেশে বর্তমানে সব কোম্পানির ফেজভ্যালু ১০ টাকা। মানে কোম্পানির কারেন্ট মার্কেট ভ্যালু ২০০০ টাকা হোক বা ২০০ বা ২০ টাকা হোক বিনিয়োগকারী লভ্যাংশ পাবে ফেজভ্যালু অর্থাৎ ১০ টাকার উপর। উদাহরণ-এবিসি কোম্পানি ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। কোম্পানিটির বর্তমান মার্কেট ভ্যালু ২০০ টাকা । মানে ১০০টি শেয়ারে বিপরীতে বিনিয়োগকারী লভ্যাংশ ২৫০ টাকা পাবে। যদিও বর্তমান মার্কেট থেকে ১০০টি শেয়ার কিনতে তার খরচ হবে ২০০০০ টাকা।স্টক লভ্যাংশের বেলায় একইভাবে লভ্যাংশ দেওয়া হয়, শুধুমাত্র ক্যাশ টাকা জায়গায় শেয়ার দেওয়া হয়। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে এটি বোনাস লভ্যাংশ হিসেবে পরিচিত। বোনাস লভ্যাংশ দেওয়ার কোম্পানির দায় বাড়ে। কোম্পানির ব্যবসা না বাড়লে ইপিএস কমে যায়, ফলে শেয়ার প্রেইজও কমে যায়। তবে ভাল আয় সম্পন্ন ফান্ডমেন্টাল কোম্পানির বোনাস লাভ জনক হতে পারে।মিউচুয়াল ফান্ডের বেলায় বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ, বন্ড বা ডিবেঞ্চার থেকে প্রাপ্ত সুদ, ক্যাপিটাল গেইন থেকে অর্জিত মুনাফা, ব্যাংকে রাখা অর্থের সুদ ইত্যাদির সমন্বিত আয় থেকে লভ্যাংশ দেয়া হয়। মিউচুয়াল ফান্ডগুলো সাধারণত নগদ লভ্যাংশ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশে সংশোধিত মিউচুয়াল ফান্ড আইন অনুসারে স্টক বা বোনাস লভ্যাংশ দেওয়ার সুযোগ আছে।সতর্কীকরণঃ আজকের StockNow প্রশ্ন উত্তর পর্বে যে সমস্ত উদাহরন ব্যবহার করা হয়েছে কেবলমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্য এবং পাঠকের তথ্যের জন্য ।বিনিয়োগ সম্পর্কিত কোন সিদ্ধান্তে StockNow টিম দায়ি থাকবে না Dividend Policy (ডিভিডেন্ড পলিসি), Dividend yield (ডিভিডেন্ট ঈল্ড) নিয়ে পরবর্তী পোস্টে আলোচনা করা হবে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ