আইপিওতে অনলাইনে বা ব্রাঞ্চে এসে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদন করার জন্য আমাদের ওয়েব সাইটে(IPO Apply link) গিয়ে আবেদন করতে হবে। এর আগে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে আপনার বিও একাউন্ট পর্যাপ্ত পরিমান ব্যালেন্স রয়েছে কিনা। (মিউচুয়াল ফান্ড এবং বন্ড ব্যতীত)
Month: August 2022
IPO বা আইপিও এর পূর্ণরুপ Initial Public Offering বা প্রাথমিক গণপ্রস্তাব। লিমিটেড কোম্পানি সমূহ মূলধন সংগ্রহের জন্য প্রাইমারি মার্কেটে শেয়ার অফার করে, সর্বসাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সেই শেয়ার ক্রয়ের জন্য আবেদন করেন, এই প্রক্রিয়াকে আইপিও বলে। আইপিওর নতুন নিয়ম অনুযায়ী আবেদনকারীকে সেকন্ডারি মার্কেটে সর্বনিম্ন ২০,০০০ টাকা বিনিয়োগ ও আইপিও করার জন্য ১০,০০০ টাকা থাকতে হবে এবং আইপিও লটারির পরিবর্তে আনুপাতিক হারে প্রত্যেক আবেদনকারীকে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হবে। আবেদনকারী যত গুলি শেয়ার পাবে সেই পরিমাণ টাকা গ্রহন করে বাকি টাকা আবেদনকারীকে রিফান্ড করে দেয়া হবে। আইপিও আবেদনের জন্য সার্ভিস চার্জ মাত্র ১০ টাকা।
আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, আইপিওর ক্ষেত্রে লটারি পদ্ধতি ১ লা এপ্রিল, ২০২১ থেকে বাতিল করা হয়েছিল। এই সিধান্ত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে বিএসইসি এর কমিশন সভায় গৃহীত হয়ে ছিল। এতেকরে প্রত্যেক আবেদনকারী শেয়ার পাবেন।
নতুন নিয়ম অনুযায়ি আইপিও আবেদন করার জন্য একজন বিনিয়োগকারিকে তার বিও অ্যাকাউন্ট নাম্বারে ন্যূনতম ম্যাচিউর ৫০ হাজার টাকার শেয়ার থাকতে হবে। আইপিও লটারির পরিবর্তে আনুপাতিক হারে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হবে। সেখেত্রে একজন বিনিয়োগকারি ১০ হাজার টাকার শেয়ারের জন্য চাঁদা জমা দিতে পারবেন।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ABC কম্পানি সাধারন বিনিয়োগকারীদের জন্য ১ কোটি শেয়ার নিয়ে পুজিবাজারে আসবে সেখানে যদি ১০ লক্ষ বিনিয়োগকারি ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে আবেদন করে তবে প্রত্যেক বিনিয়গকারি ১০টি করে শেয়ার পাবে।
আইপিও আবেদন শুরু হওয়ার ৫ কর্ম দিবস আগে যেহেতু শেয়ার ম্যাচিউরের কাটফ ডেট থাকে সেহেতু আপনি কাটফ ডেটের অন্তত ২ দিন আগে আপনার ৫০,০০০ টাকার শেয়ার কিনতে হবে, কারন A/B/N ক্যাটাগরির শেয়ার ম্যাচিউর হতে T+1 অর্থাৎ শেয়ার কেনার দিন ও তার পরের দিন মোট ২ কর্ম দিবস সময় লাগে এবং Z ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে T+3 অর্থাৎ শেয়ার কেনার দিন ও তার পরের তিন দিন মোট ৪ কর্ম দিবস সময় লাগে।
আবার কেউ যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেয়ার না কিনতে পারেন তবে আপনি কাটফ ডেটের ১ কর্ম দিবস আগে স্পটে শেয়ার কিনতে পারেন। স্পটে থাকা শেয়ার গুলি ম্যাচিউর হতে ১ কর্ম দিবস সময় লাগে।
কাটফ ডেটে তার শেয়ারের বাজার মূল্য অবশ্যই ৫০,০০০ টাকা থাকতে হবে এর চেয়ে কম হলে তিনি আর আইপিও আবেদনের জন্য ইলিজেবল হবেনা।কাটফ ডেটের পরে আপনি চাইলে আপনার শেয়ার বিক্রয় করে দিতে পারেন।
উদাহরণহিসেবেবলতেপারি,
ধরি, XYZ কম্পানির আইপিও আবেদন শুরু হবে কোন মাসের ১৩ তারিখে সুতরাং এই ক্ষেত্রে উক্ত আইপিওর জন্য কাটফ ডেট হবে ওই মাসের ৭ তারিখে অর্থাৎ ৫ কর্ম দিবসের আগ পর্যন্ত। এখন আইপিওর নতুন নিয়ম অনুযায়ী ৭ তারিখে ৫০,০০০ টাকার বাজার মূল্যে ম্যাচিউর শেয়ার আপনার কোডে থাকতে হবে। এখন আপনাকে ৭ তারিখে ম্যাচিউর শেয়ার রাখতে হলে অবশ্যই তার ২ কর্ম দিবস আগে ৫০,০০০ টাকার শেয়ার কেনা সম্পন্ন করতে হবে(A/B/N ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে)। যদি Z ক্যাটাগরির শেয়ার কেনা হয় তবে আপনাকে অন্তত কাটফ ডেটের ৪ কর্ম দিবস আগে শেয়ার কেনা সম্পন্ন করতে হবে।
কিন্তু আপনি যদি স্পটে শেয়ার কিনেন তবে ৬ তারিখে যদি কর্ম দিবস থাকে সেই দিন শেয়ার কিনলে সেটা উল্লেখিত দিনে ম্যাচিউর হবে।
আমাদেরপরামর্শ,
যেহেতু কাটফ ডেটে বাজার মুল্যে ৫০,০০০ টাকার শেয়ার থাকতে হবে সুতরাং গ্রাহকগন সম্ভব হলে যেন ৫০,০০০ টাকা এর কিছু বেশি মূল্যের শেয়ার ক্রয় করে। যেন শেয়ারের দাম কমে গেলেও সেটা কাটফ ডেটে ৫০,০০০ টাকার কম না হয়।
আপনার বিও একাউন্টে টাকা জমা করার পর আপনি শেয়ার বেচা-কেনার জন্য তৈরি। আপনি বিভিন্ন ভাবে শেয়ার কেনা বেচা করতে পাড়বেন-
- অনলাইন(মোবাইল এপ্স বা আমাদের ওয়েব সাইট লিংক)
- অথোরাইজ রিপ্রেজেন্টেটিভকে ফোনের মাধ্যমে
- সরাসরি ব্রাঞ্চে এসে
আপনি যেকোন পরিমাণ টাকা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে শুরু করতে পারেন তবে প্রাথমিক বাজার বা ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং অর্থাৎ আইপিও তে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিও হিসাবে ন্যূনতম ২০,০০০ টাকা সেকন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ থাকতে হবে এবং আইপিও আবেদনের জন্য ১০,০০০ টাকা বিও অ্যাকাউন্ট নাম্বারে থাকতে হবে। সুতরাং সর্বনিম্ন ৩০,০০০ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করা উত্তম।
সেকেন্ডারি মার্কেটে ব্যবসায় করতে পুঁজির পরিমান আসলে নির্ভর করে বিনিয়োগকারীর কাঙ্ক্ষীত লাভের হার বা ‘এক্সপেক্টেড রেট অফ রিটার্নের’ উপর।
আপনার বিও একাউন্টে টাকা জমা করা খুবই সহজ। বাংলাদেশের যেকোন ব্যাংক একাউন্ট থেকে কোন রকম খরচ ছাড়াই টাকা জমা করতে পারবেন। আপনি অনলাইনে অথবা সরাসরি আমাদের যে কোন ব্রাঞ্চে এসেও টাকা জমা দিতে পারবেন অথবা আপনি চাইলে বিকাশ, রকেট, নগদ এর মাধ্যমেও টাকা জমা দিতে পারবেন ( সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য)
বিও একাউন্ট খোলার পর আমি কি করবো?
বিও একাউন্ট খোলার পর আপনি আপনার বিও একাউন্টে টাকা জমা করবেন। আমাদের ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি টাকা জমা দিয়ে জমা স্লিপটির স্ক্যাক/ছবি অথবা বিকাশ, রকেট, নগদ এর মাধ্যমে জমা দিয়ে (১% চার্জ প্রযোজ্য) করে তার স্ক্রিন সট অথবা অনলাইনে আমাদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করে তার ছবি/স্ক্রিন সট নিয়ে আমাদের ওয়েব সাইটের ডিপোজিট বা জমা(Deposit Link) ফর্ম পুরন করে টাকা আপনার বিও একাউন্টে জমা করার জন্য আবেদন করতে হবে।
আসলে আমাদের স্টক মার্কেটে এক ধরনেরই বিও একাউন্ট রয়েছে। আপনি যে কোন বিও একাউন্ট দিয়ে আইপিও (প্রাইমারি) এবং শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় (সেকেন্ডারি) এর জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। সব বিও একাউন্টের কার্যকারিতা একই।
প্রাইমারি শেয়ার (বা বন্ড) হচ্ছে সম্পুর্ন নতুন শেয়ার যা জন সাধারণের জন্য তৈরি এবং উপস্থাপন করা হয় ( উদাহরণ হিসেবেঃ প্রাথমিক গনপ্রস্তাব বা আইপিও এর মাধ্যমে যা লটারি আকারে ছাড়া হয়)
সেকেন্ডারি মার্কেট হচ্ছে আইপিও পরবর্তী মার্কেট, প্রস্তাবিত শেয়ার বা বন্ডের লেনদেন হয়, যেমন স্টক এক্সচেঞ্জ ( স্বাভাবিক ক্রয় বিক্রয়ের মাধ্যমে)
- আবেদন কারীর ২ কপি passport size ছবি
- জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/সামাজিক নিরাপত্তা কার্ড/রেসিডেন্স পারমিট ইত্যাদির সত্যায়িত কপি
- ফরেন কারেন্সি ব্যাংক হিসাবের তথ্য
- NRB হিসাবে আয় এর তথ্য বিবরনী বা সেলারি/ইনকাম বিবরনী
- নমিনি জাতীয় পরিচয়পত্র কপি ও ছবি
- হিসাব পরিচালনার জন্য নির্বাচিত প্রতিনিধিকে অথরাইজ করে POA (Power of Attorney) প্রতয্যনপত্রের কপি(যদি প্রয়োজন হয়)
কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন বিও একাউন্ট খোলার জন্য? একটি একক/যৌথ বিও একাউন্ট খোলার জন্য কেবল প্রয়োজন:আবেদনকারীর কপি ছবিএনআইডি বা পাসপোর্টের কপি (স্ক্যান/ছবি)ব্যাংকের তথ্য |