Categories
জিজ্ঞাসা

StockNow VIP Membership এ কি কি সুবিধাসমূহ পাচ্ছি ?

আপনি StockNow VIP Membership এ  যে সুবিধাসমূহ পাচ্ছেন  

➪ বিজ্ঞাপন ছাড়াই অ্যাপসটি ব্যবহার করতে পারবেন

➪ আনলিমিটেড প্রাইস এলার্ম সেট করতে পারবেন

➪ ফান্ডামেন্টাল হিস্টোরি

➪ ভিআইপি এডভান্স টেকনিকাল এনালাইসিস chart

➪ ভিআইপি কাস্টমার সাপোর্ট

➪ আপকামিং সকল ফিচারে আনলিমিটেড এক্সেস

তাই দেরি না করে আজই আমাদের ভিআইপি মেম্বারশিপ প্রোগ্রামে যুক্ত হোন।

অনুগ্রহপূর্বক নিচের লিংকে ক্লিক করে দেখুন

StockNow টিম সর্বপ্রথম বারের মত নিয়ে এসেছে বাংলাদেশের শেয়ার বাজার নিয়ে একটি আধুনিক এপস। যেখানে রয়েছে মার্কেট এনালাইসিস এর এক্সাইটিং সব টুলস আর এডভান্স ফিচার । হাতের কাছেই এডভান্স সব ফিচার নিয়ে খুব সহজে অল্প সময়ে মার্কেট এনালাইসিস করতে আজই join করুন StockNow এ StockNow টিম বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে কোন সমস্যা অথবা নতুন ফিচার অথবা অফার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এ রকম আরো প্রশ্ন উত্তর পেতে চোখ রাখুন StockNow পেইজে অথবা আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন https://www.facebook.com/groups/10820... StockNow সকল অফার পেতে এখনই সংযুক্ত হন আমাদের পেইজে https://www.facebook.com/stocknow.mobi অথবা কল করুন: +8801609998469, 01720149121 অথবা আমাদে মেইল করতে পারেন [email protected]

Categories
জিজ্ঞাসা

আমি ভিআইপি মেম্বার হতে যুক্ত চাই, কি ভাবে হব একটু বিস্তারিত জানাবেন প্লিজ

ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান প্রশ্নের জন্য।

অনুগ্রহপূর্বক নিচের ভিডিওটি দেখুন

অনুগ্রহপূর্বক StockNow apps থেকে more menu তে যান এবং VIP Membership এ Click করুন এবং সেখানে আপনার জন্য রয়েছে StockNowএর বিভিন্ন মূল্যের ও মেয়াদের অনেক আকর্ষণীয় পেকেজ সমূহ

আপনার পছন্দের পেকেজ টি বাছাই করুন এবং Buy Now click এ Click করুন এবং সেখানে আপনার জন্য রয়েছে payment করার জন্য সকল অপশনস রয়েছে আপনার পছন্দে payment Option টি বাছাই করুন এবং উপভোগ করুন শেয়ার বাজার এর প্রয়োজনীয় সকল সেবা এবং কাস্টমার কেয়ার এখন সবার জন্য । আপনার নিকটবর্তীPromote your business locally to lead people directly to 34, H.M. Plaza(10th Floor), Room #03, Road #02, Sector #03, Uttara, Dhaka- 1230 1230 Dhaka, Dhaka Division, Bangladesh.

StockNow সকল অফার পেতে এখনই সংযুক্ত হন আমাদের পেইজে

নতুন ফিচার অথবা অফার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে কল করুন:

01720149121,  0160 999 8469  অথবা আমাদে মেইল করতে পারেন

[email protected]

 আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

https://www.facebook.com/groups/108204155559
Categories
জিজ্ঞাসা

Dividend Yield কি ও এর গুরুত্ব ?

বাংলাদেশের পুজিবারের প্রেক্ষাপটে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়া কোম্পানির গুরুত্ব অনেক বেশি। কারন এখানে ভাল কোম্পানি তাদের শেয়ার বৃদ্ধি করতে ইচ্ছুক না, তাই তারা সব সময় ক্যাশ দিয়ে থাকে। আবার এই সব কোম্পানির শেয়ারের দামের মধ্যে পরিবর্তন খুব বেশি থাকে না। যারা দীর্ঘ সময়ের জন্য ঝুকি মুক্ত বিনিয়োগ করতে আগ্রহী তারা ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়া কোম্পানিগুলোর দিকে বেশি খেয়াল রাখে। এদের মধ্যে যে সব কোম্পানির Dividend Yield বেশি এবং প্রায় সব সময় ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়, সেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম কমের দিকে আসলেই তারা তাদের পোর্টফলিওতে এই শেয়ার কিনে থাকেন। কারন কম দামে কিনতে পারলে ঈল্ড বেশি পাওয়া যাবে।

অন্যদিকে দেখা যায় বাংলাদেশের পুজিবারের অপেক্ষাকৃত খারাপ পার্ফম করা কোম্পানিগুলো স্টক ডিভিডেন্ড দিয়ে থাকে, লাভের সম্পুর্ন অংশ কোম্পানিতে রেখে দেয় পুঃণরায় বিনিয়োগ করার জন্য। যেখানে কোম্পানির শেয়ার ভ্যালু বৃদ্ধি হওয়ার কথা, সেখানে আমাদের মার্কেটে ভ্যালু আরো কমে যায়। কারন এসব কোম্পানি এই টাকাকে ভাল ভাবে ব্যবহার করতে পারে না। 

আমাদের দেশেও কিছু ব্যতিক্রম শেয়ার রয়েছে, যারা খুব ভাল পার্ফম করে। তারা ভাল লাভ করে, কিন্তু কোম্পানির গ্রোথের জন্য শেয়ার হোল্ডারদের লাভের কিছু অংশ ক্যাশ হিসাবে দেয় এবং বেশির ভাগ অংশ পুঃণরায় ইনভেস্ট করে। এসব কোম্পানির গ্রোথ রেটও ভাল এবং এসব কোম্পানির উপর ইনভেস্টোরদের আগ্রহ বেশি থাকে।

Dividend Yield ই শেয়ারের সঠিক return নির্দেশ করে, যা নিম্নোক্ত পন্থায় নির্ণয় করতে হয়-

ধরা যাক-এবিসি কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের বাজার মূল্য ২৫ টাকা।এবং যার ভেস ভ্যালু ১০ টাকা। কোম্পানিটি ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। একজন বিনিয়োগকারী যে দামেই শেয়ার কেনে-না কেন তিনি প্রতি শেয়ারের জন্য ৩ টাকা লভ্যাংশ পাবেন। 
লভ্যাংশ আয়(Dividend Yield)= শেয়ার প্রতি ডিভিডেন্ড/ প্রতি শেয়ারের বাজার মূল্য 

লভ্যাংশ আয়= ৩/২৫
লভ্যাংশ আয়=.১২*১০০ 
লভ্যাংশ আয়=১২%

Categories
জিজ্ঞাসা

শেয়ার কী ?

শেয়ার হচ্ছে কোনো কোম্পানি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার মালিকানার একটি অংশ। যেকোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানেরই মালিকানা থাকে। যেমন থাকে সম্পদের মালিকানা। কোম্পানির মালিকানা নানা ধরনের হতে পারে। সেই মালিকানার অংশ নির্ধারণ বা সংরক্ষণের একটি পদ্ধতি হচ্ছে শেয়ার। ধরা যাক, ‘এ’ একটি কোম্পানি। সেটির মালিকানার অংশীদার ১০ জন। আর কোম্পানিটির মূলধন ১ লাখ টাকা। তার মানে ১০ জন মালিকের প্রত্যেকে কোম্পানিটিতে ১০ হাজার টাকা করে মূলধন বিনিয়োগ করেছেন। এখন কোম্পানিটি বা তার ১০ মালিক চাইলে তাঁদের মালিকানার অংশটিকে শেয়ারে রূপান্তর করে নিতে পারেন। তবে কোম্পানিটির কতগুলো শেয়ারে এই ১০ জনের মধ্যে বণ্টন করা হবে, তা নির্ভর করবে ওই শেয়ারের অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালু কত হবে তার ওপর। অভিহিত মূল্য ১০০ টাকা হলে সে ক্ষেত্রে প্রত্যেক মালিক ১০০টি করে শেয়ার পাবেন। এ ধরনের শেয়ারেরই লেনদেন হয় শেয়ারবাজারে।

Categories
জিজ্ঞাসা

মার্কেট কখন বুল, কখন বেয়ার :

শেয়ার কী জানলেন। কোথায় এ শেয়ারের হাতবদল হয়, তা–ও জানলেন। এখন তবে জেনে নিন শেয়ারবাজারের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শেয়ারবাজারের ক্ষেত্রে দুটি শব্দ খুব বেশি ব্যবহৃত হয়। তার একটি বুল মার্কেট, অন্যটি বেয়ার মার্কেট। বুল মানে ষাঁড়, আর বেয়ার মানে ভালুক—এটা সবারই জানা। তাই কেউ কেউ মজা করে ষাঁড়ের বাজার বা ভালুকের বাজারও বলে থাকেন। শেয়ারবাজারে যখন তেজিভাব বা চাঙা থাকে, তখন সেই বাজারকে বুল মার্কেট বলা হয়। আর যখন বাজারে মন্দাভাব থাকে, তখন সেটিকে বেয়ার মার্কেট হিসেবে অভিহিত করা হয়। তেজি বাজারকে ষাঁড়ের সঙ্গে এবং মন্দা বাজারকে ভালুকের সঙ্গে তুলনা নিয়েও আছে নানা রকম মুখরোচক গল্প। যদিও এসব গল্পের সত্যতা নিয়ে রয়েছে সংশয়। সবচেয়ে বেশি প্রচলিত গল্পটি হচ্ছে ষাঁড় যখন ক্ষিপ্ত হয়, তখন ওপরের দিকে লাফ দেয়। এ কারণেই অনেকে তেজি শেয়ারবাজারকে ষাঁড়ের ক্ষিপ্ততার সঙ্গে তুলনা করেন। আর ভালুক নাকি বেশির ভাগ সময়ই মাথা নিচু করে থাকে। এ কারণে অনেক মন্দা বা পড়তি বাজারকে ভালুকের সঙ্গে তুলনা করেন।

Categories
জিজ্ঞাসা

What is the meaning of ESP?

শেয়ারবাজারের কোনো কোম্পানির শেয়ার কেনার আগে ওই কোম্পানির আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা নেওয়া খুবই জরুরি। একেকটি কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনেক তথ্য থাকে। সব তথ্য জানা–বোঝা সবার পক্ষে সম্ভবও নয়। তবে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনাবেচার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যেসব তথ্যের পেছনে ছোটেন, তার একটি শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস। যদি শেয়ারবাজার নিয়ে আপনার কোনো ধারণা না থাকে, তাহলে আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, ইপিএস—এটি আবার কী? হ্যাঁ, আপনার জন্যই বিষয়টি ব্যাখ্যা করছি। একটি কোম্পানি নির্দিষ্ট একটি সময়ে সব খরচ বাদ দেওয়ার পর যে মুনাফা করে, তার ভিত্তিতেই ওই কোম্পানির ইপিএস হিসাব করা হয়। সহজেই বের করা যায় এ হিসাব। ধরা যাক, ২০২০ সালে সব খরচ বাদ দেওয়ার পর ‘এ’ কোম্পানির মুনাফা হয়েছে ১ কোটি টাকা। ওই কোম্পানির মোট শেয়ার রয়েছে ১০ লাখ। তাতে ২০২০ সাল শেষে ‘এ’ কোম্পানির ইপিএস দাঁড়াবে ১০ টাকা। কোম্পানির মুনাফাকে মোট শেয়ারসংখ্যা দিয়ে ভাগ করে ইপিএস বের করা হয়।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, ইপিএসটা জানা কেন জরুরি? এ প্রশ্নের সহজ উত্তর হচ্ছে, আপনার হাতে যে কোম্পানির শেয়ার আছে, তার বিপরীতে ওই কোম্পানির আয় কেমন, তা জানাটা আপনার জন্য অবশ্যই জরুরি। কারণ, ইপিএসের জন্যই শেয়ারের দামের কম-বেশি হয়। ইপিএস বাড়লে শেয়ারের দাম বাড়ে, আর ইপিএস কমলে দাম কমে। আবার ইপিএসের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয় মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও। সেই পিই রেশিওর ভিত্তিতে শেয়ারের বিপরীতে ঋণপ্রাপ্তি নির্ভর করে। সহজ করে বললে ইপিএস ভালো মানে কোম্পানির ব্যবসা ভালো, আর ইপিএস খারাপ মানে ব্যবসা খারাপ। তাই ভালো ব্যবসা করা কোম্পানির শেয়ার কিনবেন নাকি ব্যবসায় খারাপ করা কোম্পানির শেয়ার কিনবেন—সিদ্ধান্ত আপনার।

Categories
জিজ্ঞাসা

PE ratio কী ? PE ratio কত হলে ভালো ?

বাংলাদেশের বাজারে শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে আপনি ঋণ পাবেন কি পাবেন না, তা নির্ভর করছে ওই কোম্পানির পিই রেশিও কত তার ওপর। বর্তমানে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো কোম্পানির পিই রেশিও ৪০-র বেশি হলেই ওই কোম্পানির শেয়ার ঋণ অযোগ্য। তবে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান চাইলে আরও কম পিই রেশিওর কোম্পানিকেও ঋণ অযোগ্য বিবেচিত করতে পারে। সেটি ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের এখতিয়ার। ঋণ পাওয়া না পাওয়ার আগে পিই রেশিওর মানে কী? কোনো একটি কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাতকে সংক্ষেপে পিই রেশিও বলা হয়। এটি নির্ধারিত হয় সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শেয়ারের বাজারমূল্য ও ইপিএসের ভিত্তিতে। ধরা যাক, ২০২০ সাল শেষে ‘এ’ কোম্পানির শেয়ারের ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা। কোম্পানিটির শেয়ারের বাজারমূল্য ২০০ টাকা। তাহলে ২০২০ সাল শেষে ওই কোম্পানির পিই রেশিও দাঁড়াবে ২০-এ। অর্থাৎ কোম্পানির ইপিএস দিয়ে শেয়ারের বাজারমূল্যকে ভাগ দিলে যে ভাগফল পাওয়া যায়, সেটিই ওই কোম্পানির পিই রেশিও। নিরীক্ষিত ও অনিরীক্ষিত—এ দুই আর্থিক প্রতিবেদনের ইপিএসের ভিত্তিতে পিই রেশিও নির্ণয় করা হয়। সাধারণত শেয়ারবাজার বিশ্লেষকেরা বলে থাকেন যে কোম্পানির পিই রেশিও যত কম, সেই কোম্পানি বিনিয়োগের জন্য ততটাই উত্তম। বিষয়টি আরেকটু ব্যাখ্যা করে বলা যাক তবে। ধরি, ‘এ’ কোম্পানির পিই রেশিও ২০। তার মানে, যদি কোম্পানিটির অন্যান্য অবস্থার কোনো পরিবর্তন না হয় এবং আয়ের এ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা যায়, তবে একজন বিনিয়োগকারী ২০ বছরে তার বিনিয়োগের পুরো অর্থ ফেরত পাবেন। তবে সব ক্ষেত্রে কম পিই মানেই বিনিয়োগযোগ্য শেয়ার নয়, বন্ধ কোম্পানিরও অনেক সময় পিই অনেক কম থাকে।

Categories
জিজ্ঞাসা

শেয়ারবাজার থেকে সর্বোচ্চ মুনাফা করার উপায়?

কীভাবে শেয়ারে বিনিয়োগ করে মুনাফা করা যায়। তবে এজন্য বেশি পড়াশুনার দরকার নেই। তবে বুঝতে হবে কোম্পানির প্রোফাইল। কোম্পানির বর্তমান অবস্থা কী। সামনে কী আরো ভালো হবে না খারাপের দিকে যাবে।

এসব বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আপনাকে শেয়ার ব্যবসায় আগাতে হবে। তবে অদ্ভূত একটা ব্যাপার হলো, শেয়ার মার্কেটে অনেকেই এ গল্প জানা সত্ত্বেও সব টাকা দিয়ে একটা শেয়ার কিনে বসে থাকেন।

আপনি যত অভিজ্ঞ এবং জ্ঞানী হউন না কেন, কোনো একটা শেয়ার নিয়ে আপনার প্ল্যানিং বাস্তব রূপ দেখতে নাও পারেন। কী হবে তখন? এজন্যই একাধিক কোম্পানির শেয়ার যাচাই করে কেনা উচিৎ। ফলে একটাতে লস হলেও বাকিগুলোর লাভ আপনার বিনিয়োগের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।

প্রশ্ন হচ্ছে, কী ধরনের শেয়ার কিনবেন? কোন সেক্টরের শেয়ার কিনবেন? সব টাকা দিয়ে ব্যাংক সেক্টর? এনার্জি নাকি সিমেন্ট?  নাহ! তাহলে আবারও একই ঝুড়িতে ডিম রাখার মতো এক সেক্টরেই সব টাকা ঢেলে দিচ্ছেন।  বুঝতেই পারছেন, একাধিক সেক্টর থেকে একাধিক কোম্পানি বেছে নিতে হবে। কাজটা আসলে খুব সহজ। চলুন তাহলে দেখে নেই আপনার নিজের পোর্টফলিওটাকে সাজানোর জন্য সহজ উপায়গুলো।

পোর্টফলিও ম্যানেজমেন্ট গাইডঃ শেয়ারে বিনিয়োগ লাভ দুইভাবে সম্ভব। এক হচ্ছে ডিভিডেন্ড, আরেক হচ্ছে শেয়ারের দাম বাড়া। আপনার আসলে দুইটাই দরকার। কারণ প্রতিবছর কিছু শেয়ার থেকে ভাল ডিভিডেন্ড পেলে আপনার হাতে নগদ টাকা বা বোনাস শেয়ার আসবে। এ টাকা আপনি লাভ হিসেবে তুলে নিতে পারেন, খরচ করতে পারেন, আবার নতুন করে বিনিয়োগও করতে পারেন। এ শেয়ারগুলোর নাম ভ্যালু শেয়ার।

অন্যদিকে এমন কিছু শেয়ার দরকার যার দাম কয়েকগুণ বেড়ে গিয়ে আপনার পোর্টফলিওর চেহারাই পাল্টে দেবে। এ শেয়ার থেকে লাভ আপনি করবেন যখন শেয়ারটি বিক্রি করার সময় আসবে (অর্থাৎ শেয়ারটি Overpriced হয়ে যাবে)। এ শেয়ারগুলোর নাম গ্রোথ শেয়ার।

চলুন দেখে নেই ভ্যালু এবং গ্রোথ শেয়ার চেনার সহজ উপায়গুলো:  ভ্যালু শেয়ার খুঁজে বের করার জন্য দেখে নিন কোন কোম্পানিগুলোর PE Ratio কম কিন্তু প্রতিবছর ভালো ডিভিডেন্ড দিয়ে আসছে। এখন হিসেবে আনুন Dividend Yield. ফর্মুলা খুব সহজ।

মনে করুন একটি কোম্পানি ২০% ডিভিডেন্ড দিয়েছে। শেয়ারটির ফেসভ্যালু ১০ টাকা এবং মার্কেট প্রাইস ১৫ টাকা। তাহলে শেয়ারটির Dividend Yield হল (ডিভিডেন্ড % × ফেসভ্যালু) ÷ (মার্কেট প্রাইস × ১০০) = ১৩.৩৩%  অর্থাৎ প্রতিবছর আপনার বিনিয়োগ করা টাকার উপর ১৩.৩৩% হারে লাভ করছেন! একটু দেখে নিন ব্যাংকে টাকা রাখলে কত পারসেন্ট দেবে- গ্রোথ শেয়ার চেনার টেকনিকগুলোও অনেক সহজ।

আগেই দেখেছেন, গ্রোথ শেয়ার কেনার উদ্দেশ্য হল এর মার্কেট প্রাইস ভবিষ্যতে কয়েকগুণ হবে, আর তা বিক্রি করে আপনি লাভ তুলে নেবেন। শেয়ারের দাম কয়েকগুণ হতে গেলে কোম্পানির ব্যবসার সাইজ এবং নেট প্রফিট এই সবকিছুই কয়েকগুণ হতে হবে। আসুন দেখে নেই গ্রোথ কোম্পানিগুলো চেনার সহজ কিছু টেকনিক।

* কোম্পানির ব্যবসা ক্রমাগত বাড়ছে

* কোম্পানির EPS বাড়ছে

* কোম্পানির Net Profit Margin বাড়ছে

* কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট ভাল

* কোম্পানিটি প্রায় একচেটিয়া ব্যবসা করে (প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে অনেক ভাল)  তো আজকে ভ্যালু শেয়ার আর গ্রোথ শেয়ার চেনার প্রাথমিক ধারণা পেলেন।

তাই পোর্টফলিও সাজানোর বেস্ট উপায় এ দুই ধরনের শেয়ার একসঙ্গে মিলে করেই। এতে করে বিনিয়োগ নিরাপদ রেখেও লাভ করতে পারবেন।

Categories
জিজ্ঞাসা

কিভাবে আইপিওতে আবেদন করবো?

আইপিওতে অনলাইনে বা ব্রাঞ্চে এসে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদন করার জন্য আমাদের ওয়েব সাইটে(IPO Apply link) গিয়ে আবেদন করতে হবে। এর আগে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে আপনার বিও একাউন্ট পর্যাপ্ত পরিমান ব্যালেন্স রয়েছে কিনা। (মিউচুয়াল ফান্ড এবং বন্ড ব্যতীত)

Categories
জিজ্ঞাসা

আইপিও কি?

​IPO বা আইপিও এর পূর্ণরুপ Initial Public Offering বা প্রাথমিক গণপ্রস্তাব। লিমিটেড কোম্পানি সমূহ মূলধন সংগ্রহের জন্য প্রাইমারি মার্কেটে শেয়ার অফার করে, সর্বসাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সেই শেয়ার ক্রয়ের জন্য আবেদন করেন, এই প্রক্রিয়াকে আইপিও বলে। আইপিওর নতুন নিয়ম অনুযায়ী আবেদনকারীকে সেকন্ডারি মার্কেটে সর্বনিম্ন ২০,০০০ টাকা বিনিয়োগ ও আইপিও করার জন্য ১০,০০০ টাকা থাকতে হবে এবং  আইপিও লটারির পরিবর্তে আনুপাতিক হারে প্রত্যেক আবেদনকারীকে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হবে। আবেদনকারী যত গুলি শেয়ার পাবে সেই পরিমাণ টাকা গ্রহন করে বাকি টাকা আবেদনকারীকে রিফান্ড করে দেয়া হবে। আইপিও আবেদনের জন্য সার্ভিস চার্জ মাত্র ১০ টাকা।

আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, আইপিওর ক্ষেত্রে লটারি পদ্ধতি ১ লা এপ্রিল, ২০২১ থেকে বাতিল করা হয়েছিল। এই সিধান্ত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে বিএসইসি এর কমিশন সভায় গৃহীত হয়ে ছিল। এতেকরে প্রত্যেক আবেদনকারী শেয়ার পাবেন।  
​নতুন নিয়ম অনুযায়ি আইপিও আবেদন করার জন্য একজন বিনিয়োগকারিকে তার বিও অ্যাকাউন্ট  নাম্বারে ন্যূনতম ম্যাচিউর ৫০  হাজার টাকার  শেয়ার থাকতে হবে। আইপিও লটারির পরিবর্তে আনুপাতিক হারে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হবে। সেখেত্রে একজন বিনিয়োগকারি ১০ হাজার টাকার শেয়ারের জন্য চাঁদা জমা দিতে পারবেন।   

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ABC কম্পানি সাধারন বিনিয়োগকারীদের জন্য ১ কোটি শেয়ার নিয়ে পুজিবাজারে আসবে সেখানে যদি ১০ লক্ষ বিনিয়োগকারি ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে আবেদন করে তবে প্রত্যেক বিনিয়গকারি ১০টি করে শেয়ার পাবে।  


আইপিও আবেদন শুরু হওয়ার ৫ কর্ম দিবস আগে যেহেতু শেয়ার ম্যাচিউরের কাটফ ডেট থাকে সেহেতু আপনি কাটফ ডেটের অন্তত ২ দিন আগে আপনার ৫০,০০০ টাকার শেয়ার কিনতে হবে, কারন A/B/N ক্যাটাগরির শেয়ার ম্যাচিউর হতে T+1  অর্থাৎ শেয়ার কেনার দিন ও তার পরের দিন মোট ২ কর্ম দিবস সময় লাগে এবং Z ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে T+3 অর্থাৎ শেয়ার কেনার দিন ও তার পরের তিন দিন মোট ৪ কর্ম দিবস সময় লাগে। 
আবার কেউ যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেয়ার না কিনতে পারেন তবে আপনি কাটফ ডেটের ১ কর্ম দিবস আগে স্পটে শেয়ার কিনতে পারেন। স্পটে থাকা শেয়ার গুলি ম্যাচিউর হতে ১ কর্ম দিবস সময় লাগে।
কাটফ ডেটে তার শেয়ারের বাজার মূল্য অবশ্যই ৫০,০০০ টাকা থাকতে হবে এর চেয়ে কম হলে তিনি আর আইপিও আবেদনের জন্য ইলিজেবল হবেনা।কাটফ ডেটের পরে আপনি চাইলে আপনার শেয়ার বিক্রয় করে দিতে পারেন। 

উদাহরণহিসেবেবলতেপারি,
ধরি, XYZ কম্পানির আইপিও আবেদন শুরু হবে কোন মাসের ১৩ তারিখে সুতরাং এই ক্ষেত্রে উক্ত আইপিওর জন্য কাটফ ডেট হবে ওই মাসের ৭ তারিখে অর্থাৎ ৫ কর্ম দিবসের আগ পর্যন্ত। এখন আইপিওর নতুন নিয়ম অনুযায়ী ৭ তারিখে ৫০,০০০ টাকার বাজার মূল্যে ম্যাচিউর শেয়ার আপনার কোডে থাকতে হবে। এখন আপনাকে ৭ তারিখে ম্যাচিউর শেয়ার রাখতে হলে অবশ্যই তার ২ কর্ম দিবস আগে ৫০,০০০ টাকার শেয়ার কেনা সম্পন্ন করতে হবে(A/B/N ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে)। যদি Z ক্যাটাগরির শেয়ার কেনা হয় তবে আপনাকে অন্তত কাটফ ডেটের ৪ কর্ম দিবস আগে শেয়ার কেনা সম্পন্ন করতে হবে। 
কিন্তু আপনি যদি স্পটে শেয়ার কিনেন তবে ৬ তারিখে যদি কর্ম দিবস থাকে সেই দিন শেয়ার কিনলে সেটা উল্লেখিত দিনে ম্যাচিউর হবে।

আমাদেরপরামর্শ,
যেহেতু কাটফ ডেটে বাজার মুল্যে ৫০,০০০ টাকার শেয়ার থাকতে হবে সুতরাং গ্রাহকগন সম্ভব হলে যেন ৫০,০০০ টাকা এর কিছু বেশি মূল্যের শেয়ার ক্রয় করে। যেন শেয়ারের দাম কমে গেলেও সেটা কাটফ ডেটে ৫০,০০০ টাকার কম না হয়।