Categories
শেয়ার লেনদেন

ব্লক ট্রেড

যখন বড় ভলিয়মের কোন শেয়ার লেনদেন করার প্রয়োজন হয় তখন তা স্বাভাবিক মার্কেটে না করে আলদাভাবে লেনদেন করা যায়। স্বাভাবিক মার্কেটের বাহিরে যেয়ে লেনদেন কেই ব্লক ট্রেডে লেনদেন বলা হয়। সাধারণত ব্লক মার্কেটে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা অংশগ্রহণ করে না বরং প্রাতিষ্ঠানিক  বিনিয়োগকারীরা বা বড় বিনিয়োগকারীরা ব্লকে বেশি লেনদেন করে। তবে যেকেউ চাইলে পাঁচ লাখ টাকার উপরের সমমানের শেয়ার ব্লক মার্কেটেকে লেনদেন করতে পারে। ব্লক ট্রেডে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকার ট্রেড করতে হবে।  ব্লক মার্কেটে শেয়ার লেনদেন হয় ক্রেতা বিক্রেতার উভয়ের মঝে চুক্তির মাধ্যমে। স্বাভাবিক মার্কেটে বড় ভলিয়মের লেনদেন মূল্য হ্রাস বা বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা পালন করে। এই কারণেই স্বাভাবিক মার্কেটকে প্রভাব মুক্ত রাখতে ব্লক মার্কেটে লেনদেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আমাদের এপসে “More” অপশন থেকে প্রতিদিনের ব্লক ট্রেড দেখা যায়। ব্লক ট্রেড হিস্টরি দেখতে হলে হিস্টরি ক্যালেন্ডারে চেপে দেখতে হবে।

এছাড়াও প্রতিটি শেয়ারের ডিটেইলস পেইজেও ব্লক ট্রেড দেখা যায়।

Categories
সার্কিট/হল্ট

সার্কিট ব্রেকার (Circuit Breaker) কি?

শেয়ার বাজারে একদিনে কোন একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম অনেক বেশী বাড়া বা কমা ঠেকাতে বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন যে নিয়ম চালু করেছে সেটিই সার্কিট ব্রেকার নামে পরিচিত।

বর্তমানে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সার্কিট ব্রেকার বা দর পরিবর্তনের সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ। অর্থাৎ একদিনে একটি শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে পারে অথবা একইভাবে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত দাম কমতে পারে। তবে, শেয়ারের দাম অনুযায়ী সার্কিট ব্রেকার ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।

শেয়ারের দাম অনুযায়ী সার্কিট ব্রেকার এর ৬টি ভাগ আছেঃ

  1. কোন একটি শেয়ারের দাম যদি ২০০ টাকার মধ্যে থাকে তবে সেই শেয়ারের সার্কিট ব্রেকার হবে ১০%। অর্থাৎ সেই শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ১০% বাড়তে পারে বা ১০% কমতে পারে।
  2. কোন একটি শেয়ারের দাম যদি ২০১ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে থাকে তবে সেই শেয়ারের সার্কিট ব্রেকার হবে ৮.৭৫%
  3. কোন একটি শেয়ারের দাম যদি ৫০১ টাকা থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে থাকে তবে সেই শেয়ারের সার্কিট ব্রেকার হবে সাড়ে ৭.৫%
  4. এই রকম ভাবে যেই শেয়ারের দাম ১০০১ টাকা থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে তার সার্কিট ব্রেকার হবে ৬.২৫%।
  5. যেই শেয়ারের দাম ২০০১ টাকা থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে তার সার্কিট ব্রেকার হবে ৫%।
  6. যেই শেয়ারের দাম ৫০০১ টাকা থেকে তার অধিক হবে সেই শেয়ারের সার্কিট ব্রেকার হবে ৩.৭৫%

উদাহরণস্বরূপ, গতকাল একটি শেয়ারের ক্লোজিং প্রাইজ ছিল ( YCP = Yesterday Closing Price) ১০০ টাকা। যদি ১০% ঐ শেয়ারে সার্কিট ব্রেকার দেওয়া থাকে তবে সেই শেয়ারটির সর্বোচ্চ দাম ( Circuit Up) উঠতে পারবে ১১০ টাকা এবং সর্বনিন্ম দাম (Circuit Lw) হতে পারবে ৯০ টাকা। এই মূল্য অতিক্রম করে কেউ বাই সেল করতে পারবে না। নিচের ছবিতে সার্কিট আপ এবং সার্কিট লো দেখানো হয়েছে।

Categories
জিজ্ঞাসা শেয়ারের মৌলিক বিষয়বস্তু

মার্কেট ক্যাপিটাল ( Market Capital )

কোন কোম্পানির  টোটাল শেয়ারকে তার মার্কেট ভ্যালু দ্বারা গুন করলে যে ক্যাপিটাল পাওয়া যায় তাকে ওই কোম্পানির মার্কেট ক্যাপিটাল বলে।

এখানে বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের মার্কেট ভ্যালু হল ৫৮.৯০টাকা। বিএসআরএমের সর্বমোট শেয়ারের পরিমান প্রায় ৩৭ কোটি ৬০ লক্ষ। তাহলে বিএস আরএমের মার্কেট ক্যাপিটাল (৫৮.৯০ টাকা * ৩৭.৬০ কোটি শেয়ার)= ২২১৪.৪ কোটি টাকা।

Categories
জিজ্ঞাসা শেয়ারের মৌলিক বিষয়বস্তু

পরিশোধিত মূলধন( Paid-up Capital )

অনুমোদিত মূলধনের পেছনে বর্তমানে কত টাকা আছে তাই হচ্ছে পরিশোধিত মূলধন বা পেইডআপ ক্যাপিটাল।পরিশোধিত মূলধন বলতে বোঝায় কি পরিমাণ মূলধন শেয়ারহোল্ডাররা  বরাদ্দকৃত শেয়ারের বিপরীতে বিনিয়োগ করেছে। পেইড আপ ক্যাপিটাল কখনোই অথরাইজড ক্যাপিটালের বেশী হতে পারবে না। যেমন, একটি কোম্পানীর Authorized Capital ১০০ টাকা হলে তার Paid-up Capital ১০০ টাকার বেশী হতে পারবে না। যদি Paid-up Capital ১০০ টাকার বেশী করতে হয় তাহলে প্রথমে Authorized Capital ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে নিতে হবে।

নিচের ছবিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি HRTEX কোম্পানিটির Paid-up Capital ২৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

Categories
কোম্পানি ফান্ডামেন্টালস বিনিয়োগ

অনুমোদিত মূলধন ( Authorized Capital )

অনুমোদিত মূলধন বলতে বুঝায় কোম্পানি ভবিষ্যতে সর্বমোট কি পরিমান মূলধন শেয়ারহোল্ডারদের থেকে জোগাড় করতে পারে। প্রত্যেক কোম্পানির একটি নির্দিষ্ট মূলধন অনুমোদন করতে হয়। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ অনুমোদনের প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং পরে তা  চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে পাঠানো হয়। এসইসির অনুমোদন পাওয়ার পর তা কার্যকর হয়। এটি অথরাইজড ক্যাপিটাল বা অনুমোদিত মূলধন বলে বিবেচিত হয়।

Categories
জিজ্ঞাসা শেয়ারের মৌলিক বিষয়বস্তু

মার্কেট প্রাইস বা ভ্যালু কি?

সেকেন্ডারি মার্কেটে শেয়ার যে দামে ক্রয় ও  বিক্রয় করা হয়  তাকে ওই শেয়ারের মার্কেট প্রাইস বা ভ্যালু  বলে। কোন শেয়ারের মার্কেট প্রাইস তার চাহিদা ও যোগানের উপর নির্ভর করে  বাড়তে ও পারে আবার  কমতেও  পারে।

উদাহরণসরুপ, এখানে বেলা ২ঃ০৬ মিনিটে ওরিয়ন ফার্মার (ORIONPHARM) মার্কেট প্রাইস হল ৫৯.৪০ টাকা।

Categories
জিজ্ঞাসা শেয়ারের মৌলিক বিষয়বস্তু

ফেস ভ্যালু কি?

ফেস ভ্যালু হচ্ছে এমন একটি মূল্য যে মূল্যে শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জ এ তালিকাবদ্ধ হয়। ফেস ভ্যালুর দামের উপর শেয়ার এর লভ্যাংশ প্রদান করা হয় । বাংলাদেশ স্টক এক্সচেঞ্জ এ যে কোম্পানি গুলো তালিকাবদ্ধ হয় তা সাধারণত ১০ টাকায় তালিকাবদ্ধ হয় এবং ১০ টাকার উপর যে দাম থাকে তা প্রিমিয়াম প্রাইস হিসেবে গণ্য হয়।

যেমনঃ ধরুন ABC কোম্পানি শেয়ার একজন ব্যক্তি প্রাইমারি শেয়ার/আইপিও  হিসাবে ১৫ টাকায় লটারির মাধ্যমে কিনল। এর মানে এইখানে ১০ টাকা কর্তৃপক্ষ নির্দেশিত ফেস ভ্যালু এবং বাকি ৫ টাকা প্রিমিয়াম প্রাইস ।

Categories
শেয়ার লেনদেন

বিও অ্যাকাউন্ট (BO) কি?

বাংলাদেশে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য বা আই পিও আবেদন করতে ব্রোকার হাউজে একটি BO (Beneficiary Owner’s) অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। বিও অ্যাকাউন্ট একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মতো, তবে এটি একটি ব্রোকার হাউজে খুলতে হবে। এই বিও অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে আপনি শেয়ার মার্কেটে একজন বিনিয়োগকারী হয়ে উঠতে পারেন । BO অ্যাকাউন্টে ব্যাংক একাউন্টের মতোই অর্থ জমা ও উত্তোলন করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন আমানত সংরক্ষণের প্রয়োজন নেই।

সাধারনত দুই ধরনের বিও অ্যাকাউন্ট রয়েছে:

  • সাধারন বিও অ্যাকাউন্টঃ বাংলাদেশী অধিবাসী এবং বাংলাদেশে বসবাস করে এমন ব্যক্তি সাধারন বিও একাউন্ট খুলতে পারে।

সাধারন বিও অ্যাকাউন্ট আবার তিন ধরনের-

একক মালিকানাধীন বিও একাউন্ট (বিনিয়োগকারী নিজের নামে বিও একাউন্ট খুলতে পাড়বে)

যৌথ মালিকানাধীন বিও একাউন্ট (দুই জন ব্যক্তি সম্মিলিত ভাবে একটি বিও একাউন্ট খুলতে পাড়বে)

বিনিয়োগোকারী চাইলে নিজের কোম্পানির নামে বিও একাউন্ট খুলতে পারবেন।

  • এনআরবি বিও অ্যাকাউন্ট (নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশী): বাংলাদেশী প্রবাসীদের এবং বিদেশী নাগরিকদের বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা সুবিধা দেয়ার জন্য এই ধরনের বিও একাউন্ট খোলা হয়ে থাকে।

বিও অ্যাকাউন্ট কোথায় খুলতে হবে?

বিও অ্যাকাউন্ট  ব্রোকার হাউজে খুলতে হবে। আপনি যে এলাকায় বা যেই জেলায় থাকেন সেখানে ব্রোকার হাউজ খুজে নিবেন। নিজস্ব এলাকা বা কর্মস্থলের কাছাকাছি ব্রোকার হাউজ থেকে বিও অ্যাকাউন্ট খোলা উত্তম।

বিও অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়মঃ

  • বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে আপনার বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি।
  • আবেদনকারী, জয়েন্ট আবেদনকারী এবং নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের কপি (স্ক্যান/ছবি)।
  • নমিনির ছবি।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট / ব্যাংক চেকের কপি (স্ক্যান/ছবি)।
  • বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে সাধারণত ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার মত  লাগে।
  • বর্তমানে অনেক ব্রোকারহাউজে অনলাইনেও বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।

বিও অ্যাকাউন্ট খোলার পরে করণীয়ঃ

বিও অ্যাকাউন্টে খোলার পর বিও অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করতে হবে। অথবা ব্রোকার হাউজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা জমা দিতে পারবেন। আপনি চাইলে বিকাশ, রকেট বা নগদ এর মাধ্যমে টাকা জমা দিতে পারবেন। এছাড়াও অনলাইনে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন। যেই মাধ্যমেই টাকা জমা দেন, তার স্লিপ বা স্ক্রিনশট ব্রোকারহাউজের ওয়েবসাইটের ডিপোজিট লিংকে আপলোড করে দিতে হবে প্রমাণ হিসেবে। তারপর আপনার বিও অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হবে। অনলাইনে না পারলে সরাসরি ব্রোকার হাউজে যেয়ে টাকা জমা দিতে পারবেন।

সর্বনিম্ন কত টাকা বিনিয়োগ করতে হয়:

প্রাইমারি শেয়ার বা আইপিও তে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিও অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ৫,০০০/= টাকা থাকতে হবে। সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিও অ্যাকাউন্টে সর্বনিম্ন ১০,০০০/= টাকা জমা দিয়ে নতুন বিনিয়োগকারী তার বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন ।

কিভাবে শেয়ার কেনা-বেচা করবেন:

​বিও অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করার পর আপনি শেয়ার বেচা-কেনা করতে পারবেন। একজন বিনিয়োগকারী বিভিন্ন ভাবে শেয়ার কেনা বেচা করতে পারবেন-

  • অনলাইনে (মোবাইল এপস বা সাইটের মাধ্যমে)
  • অথোরাইজ রিপ্রেজেন্টেটিভকে ফোনের মাধ্যমে অথবা সরাসরি ব্রোকার হাউজে এসে।
Categories
শেয়ার লেনদেন

ব্রোকারেজ হাউজ কি?

স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর অনুমোদিত বহু এজেন্ট রয়েছে, এগুলো ব্রোকারেজ হাউস নামে পরিচিত। ব্রোকার হাউজ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন থেকে লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান যারা শেয়ারবাজারে শেয়ার কয় বিক্রয় করে, আইপিওর টাকা জমা নেয়, সিডিবিএল এর ফি জমা নেয় এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর জন্য কাজ করেন। সাধারণভাবে বলতে গেলে একটি ব্রোকার হাউজ একটি ব্যাংকের মতই কাজ করে থাকে। ব্যাংক গুলো যেমন একাউন্ট খোলা টাকা জমা নেওয়া সহ নানা ভাবে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করে ঠিক তেমনি ভাবে ব্রোকার হাউজ গুলো বিনিয়োগকারীদের বিও অ্যাকাউন্ট খুলে প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি শেয়ার মার্কেট থেকে শেয়ার কেনার জন্য টাকা জমা নেয়।

Categories
শেয়ার বাজার

শেয়ার বাজার কি?

শেয়ার বাজার এমন একটি স্থান কে নির্দেশ করে যেখানে বিভিন্ন পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির শেয়ার  কেনা ও বেচা করা হয়। একে পুঁজি বাজারও বলা হয়। শেয়ার কেনা ও বেচার জন্য বাংলাদেশে দুটি বাজার আছে। একটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, অপরটি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ। আবার এই দুটি বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রয়েছে সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।