Ichimoku Indicator অন্যান্য ইন্ডিকেটর যেমন MACD, RSI, Moving Average, Stochastic এর মতই এটিও ট্রেডারদের কাছে অনেক বেশী জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত। বুঝতে একটু কষ্ট হলেও এটা আপনার ট্রেডের জন্য আশীর্বাদ হিসাবে কাজ করবে। ।স্টক মার্কেট এ যতো ধরনের ইন্ডিকেটর আছে তার মধ্যে Ichimoku Indicator হচ্ছে সবচেয়ে পুরাতন।জাপানিজ এক সাংবাদিক এটি প্রথম তৈরি করেন ১৯৩০ সালের দিকে এবং এটিকে ব্যবহারের জন্য অবমুক্ত করেন ১৯৬৮ সালে।মানে উনি এটিকে দীর্ঘ ৩৮ বছর নানা রকমের পরীক্ষা করেন তারপর সবার ব্যবহারের জন্য অবমুক্ত করেন। Ichimoku Kinko Hyo হচ্ছে তাদের জন্য, যারা একবার দেখেই চার্ট এবং মার্কেটের অবস্থা সম্পর্কে বুঝতে পারেন। আমরা এখন এই চার্ট সসম্পর্কে জানবো ।Kijun Sen (blue line): এটিকে বলা হয় স্ট্যান্ডার্ড লাইন অথবা বেইস লাইন। এটা এভারেজ কেলকুলেট করে আগের 26 Candle এর highest high এবং lowest low এর ।Tenkan Sen (red line): এটিকে বলা হয় টারনিং লাইন। এটা এভারেজ কেলকুলেট করে আগের 9 Candle এর highest high এবং lowest low এর।Chikou Span (green line): এটিকে বলা হই লেগিং লাইন। এটি আপনাকে বর্তমান মার্কেট প্রাইসের 26 Candle আগে প্রাইস কোথায় ছিল এটা এঁকে দেখায়।Ichimoku Indicator ব্যবহার করে কিভাবে ট্রেড করবেন? চার্টটির দিকে লক্ষ্য করুন,যদি আপনি দেখেন মার্কেট প্রাইস Senkou span লাইনের উপরে আছে তাহলে ১ম Senkou লাইন ১ম সাপোর্ট এবং ২য় Senkou লাইন ২য় সাপোর্ট লেভেল হিসাবে কাজ করবে।আর যদি আপনি দেখেন, মার্কেট প্রাইস Senkou span এর নিচে আছে তাহলে ২য় Senkou লাইন ১ম রেসিসটেন্স এবং ১ম Senkou লাইন ২য় রেসিসটেন্স হিসাবে কাজ করবে।বুঝতে পারেছেন? যদি না পারেন তাহলে আবার পড়ুন এবং ভালো করে বোঝার চেষ্টা করুন।এদিকে, Kijun Sen (নীল লাইন) ভবিষ্যৎ প্রাইস মুভমেন্টের নির্দেশক হিসাবে কাজ করবে। যদি মার্কেট প্রাইস Kijun (নীল লাইনের) থেকে উপরে হয় তাহলে, মার্কেট প্রাইস আরও উপরে যেতে পারে। আর যদি মার্কেট প্রাইস Kijun (নীল লাইনের) নিচে হয় তাহলে, মার্কেট প্রাইস আরও নিচে নামতে পারে।Tenkan Sen (লাল লাইন) মার্কেট ট্রেন্ডের দিক নির্দেশক হিসাবে কাজ করে। যদি দেখতে পান, লাল লাইন উপরে-নিচে উঠা নামা করছে তাহলে বুঝতে পারবেন মার্কেটের মুভমেন্ট আছে। আর যদি দেখেন, লাল লাইন অনুভূমিকভাবে (horizontally) আছে তাহলে বুঝতে হবে মার্কেট একটি নির্দিষ্ট প্রাইস রেঞ্জের মধ্যে ঘুরাঘুরি করছে।Chikou Span (সবুজ লাইন), যদি দেখেন সবুজ লাইন মার্কেট প্রাইসকে নিচ থেকে উপরের দিকে (bottom-up direction) ক্রস করে গেছে তাহলে বুঝ্রতে হবে এটি আপনাকে Buy সিগন্যাল দিয়েছে। আর যদি দেখেন সবুজ লাইন মার্কেট প্রাইসকে উপর থেকে নিচের দিকে (top-down) ক্রস করে গেছে তাহলে বুঝতে হবে এটি আপনাকে Sell সিগন্যাল দিয়েছে।এই চার্টটি ভালো করে দেখুন। এটিতে আমরা আপনাকে কিভাবে Ichimoku Indicator সিগন্যাল দেয় তার সম্পর্কে ধারনা দেবার চেষ্টা করেছি।
Category: জিজ্ঞাসা
Oscillator Indicator কি ?
Oscillator Indicator হচ্ছে এমন একধরনের টেকনিক্যাল টুল যা একটি নির্দিষ্ট পরিমাপণ ভ্যালু এর মধ্যে অবস্থান করে মার্কেট ট্রেন্ড সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে থাকে। অর্থাৎ এই ধরনের ইন্ডিকেটর এর দুইটি পয়েন্ট এর মধ্যেই সবসময় অবস্থান করবে।যদি আমরা এই দুইটি পয়েন্টকে A এবং B হিসাবে চিন্তা করে তাহলে ইন্ডিকেটর এর অবস্থান হবে A থেকে B কিংবা B থেকে A ।এই ধরনের ইন্ডিকেটর আমাদের সরাসরি Buy কিংবা Sell সিগন্যাল প্রদান করে থাকে। যেমন Stochastic, Parabolic SAR, Relative Strength Index (RSI) হচ্ছে এই ধরনের ইন্ডিকেটর।এই ধরনের ইন্ডিকেটর মুলত কখন প্রাইস তার ট্রেন্ড পরিবর্তন করবে সেটা বোঝার জন্য তৈরি করা হয়েছে। অর্থাৎ, প্রাইস যদি এখন আপট্রেন্ড এর মধ্যে অবস্থান করে তাহলে সে কখন ট্রেন্ড পরিবর্তন করে বিপরীত দিকে যাবে অর্থাৎ ডাউনট্রেন্ড এর দিকে সেটার নির্দেশনা প্রদান করবে।চলুন, আমরা কিছু উধাহরন দেখে নেই।আমরা নিচের চিত্রে যেই চার্টটি নিয়ে আলোচনা করবো সেটি আমরা আমাদের বিভিন্ন ইন্ডিকেটর নিয়ে আলোচনা সময় আপনাদের দেখিয়েছি। যদি সে সম্পর্কে মনে না থাকে তাহলে আমাদের Elementary কোর্স এর ইন্ডিকেটর সেকশনে একটু কষ্ট করে দেখে নিবেন।যাই হোক, নিচের চার্টে আপনার দেখতে পাচ্ছেন তিনটি ইন্ডিকেটরই আমাদের Buy এন্ট্রি দেয়ার জন্য সিগন্যাল প্রদান করেছিল এবং আমরা যদি সেই অনুযায়ী ট্রেডে এন্ট্রি নিতাম তাহলে প্রায় ৪০০ পিপ্স এর প্রফিট করতে পারতাম।পরবর্তী অংশ পরবর্তী প্রশ্ন উত্তর পর্বে আলোচনা করা হবেসতর্কীকরণ: আজকে StockNow প্রশ্ন উত্তর পর্বে যে সমস্ত উদাহরণ ব্যবহার করা হয়েছে কেবল মাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশে এবং তথ্যের জন্য। বিনিয়োগ সম্পর্কিত কোনো সিদ্ধান্তে StockNow টিম দায়ী থাকবে না ধন্যবাদ।
বিভিন্ন ক্যাটাগরির শেয়ার ও শেয়ার কেনার কতদিন পর শেয়ার ম্যাচিউর/বিক্রয়যোগ্য হয়?
শেয়ার মার্কেট এ প্রচলিত বিভিন্ন শেয়ার এর ক্যাটাগরি সম্পর্কে জানবো এবং কোন শেয়ার কেনার কতদিন পর তা ম্যাচিউর হয় বা কতদিন পর তা বিক্রয় করা যায় সেটা জানবো।শেয়ার বাজারে সাধারনত ৪ ধরনের শেয়ার রয়েছে।সেগুলো হচ্ছে A, B, N, ZA ক্যাটাগরি :যে সকল কোম্পানি নিয়মিত AGM(Annual General Meeting) সম্পন্ন করেছে।যে সকল কোম্পানি গত ক্যালেন্ডার ইয়ারে কমপক্ষে ১০% ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ।B ক্যাটাগরি:যে সকল কোম্পানি নিয়মিত AGM(Annual General Meeting) সম্পন্ন করছে।গত ক্যালেন্ডার ইয়ারে কমপক্ষে ১০% ডিভিডেন্ড দিতে ব্যর্থ হয়েছে ।N ক্যাটাগরি:নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি।এ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর প্রথম AGM হওয়ার পর তারা ক্যাটাগরির শর্ত পূরণ করে A/B ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত হয় ।Z ক্যাটাগরি:AGM সম্পন্ন করে না ।ডিভিডেন্ড দেয় না ।৬ মাস বা তার বেশি সময় ধরে ব্যবসায়ে অপারেশন বন্ধ ।রাজস্ব রিজার্ভ সমন্বয় করার পর যদি পুঞ্জিভুত ক্ষতি হয়, এবং তা পরিশোধিত মূলধনের (Paid up Capital) চেয়ে বেশি হয়।আরেক ধরনের শেয়ার রয়েছে যেটাকে G ক্যাটাগরির শেয়ার বা গ্রীন ফিল্ড কোম্পানির শেয়ার বলা হয়। এই কোম্পানিগুলো বিজনেস শুরু করার আগে প্রাইমারি মার্কেট থেকে মূলধন সংগ্রহ করে থাকে।
ডিভিডেন্ড কি? কখন কিনলে পাওয়া যায়?
ডিভিডেন্ড কি? কখন কিনলে পাওয়া যায়?ডিভিডেন্ড (Dividend) অর্থ লভ্যাংশ। এক বছরে একটি কোম্পানির তার মুনাফার বা (ইপিএসের) যে অংশ শেয়ারহোল্ডারদের (বিনিয়োগকারীদের) মধ্যে বিতরণ করে তাকেই লভ্যাংশ বা ডিভিডেন্ড বলে। কখনো কখনো রিজার্ভ (সংরক্ষিত তহবিল) থেকেও লভ্যাংশ বিতরণ করা হয়। কোম্পানির আয় বা ইপিএস নেগেটিভ থাকলে ক্যাশ লভ্যাংশ প্রদান করা যায় না তবে স্টক (বোনাস শেয়ার) লভ্যাংশ দেয়া যায়। লভ্যাংশের জন্য ঘোষিত রেকর্ড ডেটের (শেয়ারের মালিকানা নির্ধারণের দিনের) আগে শেয়ার কিনতে হয়।লভ্যাংশ দুই প্রকার। ক্যাশ (নিজেস্ব মুদ্রায়) বা নগত লভ্যাংশ এবং স্টক (বোনাস শেয়ার) লভ্যাংশ। আবার একটি কোম্পানি ইচ্ছা করলে, লভ্যাংশ হিসেবে নগদ টাকা বা স্টক (বোনাস শেয়ার) অথবা উভয় আকারে দিতে পারে। লভ্যাংশকে সাধারণত শতাংশের হিসাবে প্রকাশ করা হয়। লভ্যাংশ কোম্পানির ফেজভ্যালুর উপরে দেওয়া হয়। কোম্পানির সেকেন্ডারি মার্কেটে, কারেন্ট মার্কেট ভ্যালু যাই হোক না কেন?বাংলাদেশে বর্তমানে সব কোম্পানির ফেজভ্যালু ১০ টাকা। মানে কোম্পানির কারেন্ট মার্কেট ভ্যালু ২০০০ টাকা হোক বা ২০০ বা ২০ টাকা হোক বিনিয়োগকারী লভ্যাংশ পাবে ফেজভ্যালু অর্থাৎ ১০ টাকার উপর। উদাহরণ-এবিসি কোম্পানি ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। কোম্পানিটির বর্তমান মার্কেট ভ্যালু ২০০ টাকা । মানে ১০০টি শেয়ারে বিপরীতে বিনিয়োগকারী লভ্যাংশ ২৫০ টাকা পাবে। যদিও বর্তমান মার্কেট থেকে ১০০টি শেয়ার কিনতে তার খরচ হবে ২০০০০ টাকা।স্টক লভ্যাংশের বেলায় একইভাবে লভ্যাংশ দেওয়া হয়, শুধুমাত্র ক্যাশ টাকা জায়গায় শেয়ার দেওয়া হয়। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে এটি বোনাস লভ্যাংশ হিসেবে পরিচিত। বোনাস লভ্যাংশ দেওয়ার কোম্পানির দায় বাড়ে। কোম্পানির ব্যবসা না বাড়লে ইপিএস কমে যায়, ফলে শেয়ার প্রেইজও কমে যায়। তবে ভাল আয় সম্পন্ন ফান্ডমেন্টাল কোম্পানির বোনাস লাভ জনক হতে পারে।মিউচুয়াল ফান্ডের বেলায় বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ, বন্ড বা ডিবেঞ্চার থেকে প্রাপ্ত সুদ, ক্যাপিটাল গেইন থেকে অর্জিত মুনাফা, ব্যাংকে রাখা অর্থের সুদ ইত্যাদির সমন্বিত আয় থেকে লভ্যাংশ দেয়া হয়। মিউচুয়াল ফান্ডগুলো সাধারণত নগদ লভ্যাংশ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশে সংশোধিত মিউচুয়াল ফান্ড আইন অনুসারে স্টক বা বোনাস লভ্যাংশ দেওয়ার সুযোগ আছে।সতর্কীকরণঃ আজকের StockNow প্রশ্ন উত্তর পর্বে যে সমস্ত উদাহরন ব্যবহার করা হয়েছে কেবলমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্য এবং পাঠকের তথ্যের জন্য ।বিনিয়োগ সম্পর্কিত কোন সিদ্ধান্তে StockNow টিম দায়ি থাকবে না Dividend Policy (ডিভিডেন্ড পলিসি), Dividend yield (ডিভিডেন্ট ঈল্ড) নিয়ে পরবর্তী পোস্টে আলোচনা করা হবে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ
অথরাইজড ক্যাপিটাল
অথরাইজড ক্যাপিটাল ও পেইড আপ ক্যাপিটাল কি? অথরাইজড ক্যাপিটালের বাংলা হচ্ছে অনুমোদিত মূলধন, অর্থাৎ যে মূলধন আপনি বিনিয়োগ করার জন্য বা ইনভেস্ট করার জন্য সরকারের কাছে অনুমতি পেয়েছেন। অন্যদিকে পেইড আপ ক্যাপিটাল হচ্ছে যেই মূলধন যা আপনি আপনার কোম্পানি খোলার সময় বিনিয়োগ করছেন।
মার্জীনেবল শেয়ার কোনগুলো
প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী যে সকল শেয়ারের আয় দ্বিতীয় প্রান্তিকের চেয়ে বৃদ্ধি পাওয়াতে নন-মার্জিন থেকে মার্জিনে এসেছে কিংবা পিই রেশিও উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে তাদের মার্জিনেবল শেয়ার বলে
Sir StockNow VIP সদস্যগণ তাদের যেকোনো Device এ login করে personal profile use করতে পারবে এছাড়া Apple store , Play store এ এপপ্সটি available রয়েছে এছাড়াও web ভার্সন এর জন্য ক্লিক করুন https://stocknow.com.bd/
Stochastic হচ্ছে একটি oscillator যেটা আপনাকে মার্কেট Overbought নাকি Oversold এটা বুঝতে সাহায্য করে। MACD এর মতন এই ইন্ডিকেটরও দুইটি লাইন দিয়ে গঠিত এবং একটি লাইন অন্য লাইনটির তুলনায় অনেক বেশী দ্রুত।
Stochastic Indicator এর ব্যবহার
Stochastic Indicator- আগেই বলছি Stochastic আমাদেরকে মার্কেট Overbought নাকি Oversold এর ধারনা দেয়। এটির একটি নির্দিষ্ট পরিমাপক স্কেল আছে যার ভ্যালু 0-100 এর মধ্যে থাকে।
এই চার্টটি ভালো করে লক্ষ্য করুন।
যখন Stochastic lines 80 এর উপরে থাকবে (লাল পয়েন্টের) তার মানে হচ্ছে, মার্কেট এখন Overbought আর যখন Stochastic lines 20 এর নিচে থাকবে (নীল পয়েন্টের), তার ময়ানে হচ্ছে মার্কেট এখন Oversold.
স্বর্ণসুত্র অনুযায়ী,
আমরা তখন বাই (Buy) দেব যখন মার্কেট Oversold থাকবে আর আমরা তখন সেল (Sell) দেব যখন মার্কেট Overbought থাকবে।
এই কারেন্সি চার্টের দিকে লক্ষ্য করুন, আপনি দেখবেন ইন্ডিকেটরটি আপনাকে দেখাচ্ছে মার্কেট কিছুক্ষণ ধরে Overbought কন্ডিশনে রয়েছে। সুত্র অনুযায়ী প্রাইস এখন কোথায় যেতে পারে?
আপনার উত্তর যদি হয় নিচে মানে সেল (Sell) তাহলে আপনি পরীক্ষায় পাশ করে গেছেন। এবার নিচের চার্টটি লক্ষ্য করুন, মার্কেটটি অনেক্ষন ধরে Overbought পজিশনে ছিল এবং মার্কেটটি বাধ্য হয়ে নিচে নেমে এসেছিল।এটাই হচ্ছে Stochastic Indicator এর বেসিক নির্দেশনা। অনেক ফরেক্স ট্রেডার Stochastic Indicator বিভিন্ন ভাবে ব্যাবহার করেন কিন্তু এটির প্রধান কাজ হচ্ছে আপনাকে মার্কেট কন্ডিশন কোথায় আছে এটা আপনাকে বলে দেয়া। Overbought নাকি Oversold?
মনে রাখবেন,
Overbought = 80+ = Sell
Oversold = -20 = Buy
Stochastic Indicator কিন্তু সবসময়ই যে এই ভাবে কাজ করবে তা কেউ আপনাকে বলতে পারবে না। একটা কথা মনে রাখবেন, সব ইনডিকেটোর গুলো একজন ট্রেডারকে তার আনুমানিক ভালো একটি পজিশন নিতে সাহায্য করে কিন্তু কখনই কোন ইন্ডিকেটর আপনাকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিবে না।
আপনি যখনি ট্রেড করবেন এইগুলো আপনার Assistant হিসাবে কাজ করবে কিন্তু আপনি কখনই এগুলোর Assistant হবেন না।
RSI Indicator কিভাবে ব্যবহার করবেন?
ট্রেডিং এর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ইন্ডিকেটর হচ্ছে RSI Indicator । যারা রিয়েল ট্রেড করছেন, তাদের মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগই এই ইন্ডিকেটর ব্যবহার করে ট্রেড করে থাকেন। আজকের আর্টিকেলে এই ইন্ডিকেটরটির বিস্তারিত তথ্য এবং কিভাবে এই ইন্ডিকেটর ব্যবহার করে ট্রেড করবেন সেটি, আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করবো।
অনুগ্রহ করে আর্টিকেলটি ভালো করে পড়ুন এবং বোঝার চেষ্টা করুন। যদি বিস্তারিত বুঝতে কোনও সমস্যা হয় তাহলে অনুগ্রহ করে নিচের কমেন্ট সেকশনে জানবেন কিংবা আমাদের ইমেইলও করতে পারেন।
RSI = Relative Strength Index
RSI Indicator- অনেকটা stochastic এর মতন কাজ করে অর্থাৎ এটিও মার্কেটের Overbought এবং Oversold কন্ডিশন নির্দেশ করে। এটিরও একটি পরিমাপক স্কেল রয়েছে যার ভেলু 0-100 পর্যন্ত হয়ে থাকে।
যখন রিডিং 30 এর নিচে চলে আসে তখন এটি আপনাকে Oversold এবং যখন রিডিং 70 এর উপরে চলে যায় তখন আপনাকে Overbought কন্ডিশন নির্দেশ করে।
RSI Indicator- ব্যাবহার করে কিভাবে ট্রেড করবেন?
RSI Indicator কে অনেকটা Stochastic এর মতন করে ব্যাবহার করা যেতে পারে। ট্রেডাররা সবচেয়ে বেশী ব্যাবহার করে মার্কেটে কন্ডিশের উপর ভিত্তি করে সবচেয়ে ভালো পজিশনে ট্রেড এন্ট্রি নেয়ার জন্য।
RSI Indicator- ব্যবহার করে মার্কেট ট্রেন্ড নির্ধারণ:
RSI Indicator খুবই জনপ্রিয় একটি ইন্ডিকেটর যা ট্রেন্ড ফরমেশন কনফার্ম হবার জন্য ব্যাবহার করা হয়। মার্কেটে যদি আপনার কখনও মনে হয় নতুন কোন ট্রেন্ড তৈরি হচ্ছে তাহলে আপনার RSI Indicator এর রিডিংটা একবার দেখে নিতে হবে যে এটা 50 এর উপরে আছে নাকি 50 এর নিচে রয়েছে। যদি আপনার মনে হয় একটি পসিবল আপট্রেন্ডে্র (Buy) সম্ভাবনা রয়েছে তাহলে শিউর হয়ে নিবেন RSI এর রিডিং 50 এর উপরে রয়েছে কিনা।
আর যদি আপনার মনে হয় একটি পসিবল ডাউনট্রেন্ডের (Sell) সম্ভাবনা আছে তাহলে দেখে নিবেন RSI এর রিডিং 50 এর নিচে আছে নাকি।
চার্টের শুরুতে আমরা দেখেছিলাম একটি পসিবল ডাউনট্রেন্ডের (Sell) সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছিলো। Fake outs থেকে বাচার জন্য আমরা RSI Indicator এর রিডিং 50 এর নিচে নামার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারি। ভালো করে শিউর হবার জন্য আমরা দেখব RSI Indicator এর রিডিং 50 ক্রস করেছে কিনা, যদি করে থাকে তাহলে এটা আমদের একটা ভালো সেল (Sell) এর নির্দেশনা দিবে।
RSI Indicator দ্বারা কি বুঝায়।
Relative Strength Index (RSI):
এটি একটি মোমেন্টাম ইন্ডিকেটর যা মার্কেটের প্রাইস Overbought এবং Oversold অবস্থা বোঝায় এবং নির্দিষ্ট একটি সময়ের এভারেজ বাই এবং সেল এর সীমানা নির্দেশ করা পূর্বক ট্রেডিং এ সহায়তা করে থাকে। এই ইন্ডিকেটরটি 0 থেকে 100 রেঞ্জের মধ্যে এক একটি স্কেলে মার্কেটের এক একটি অবস্থার নির্দেশনা প্রদান করে থাকে। স্কেল লেভেল অনুসারে সিগন্যালঃ
৫০ স্কেল লেভেলের উপরে – মার্কেট আপট্রেন্ডে আছে বলে নিশ্চিত করা হচ্ছে।
৫০ স্কেল লেভেলের নিচে – মার্কেট ডাউনট্রেন্ডে আছে বলে নিশ্চিত করা হচ্ছে।
৭০ স্কেল লেভেলের শীর্ষে – মার্কেটে অতিরিক্ত বাই হয়েছে।
৩০ স্কেল লেভেলের নিম্নে – মার্কেটে অতিরিক্ত সেল হয়েছে।
বাই ট্রেডঃ যখন RSI Oversold লাইন ৩০ লেভেলের উপরের দিকে আড়াআড়ি (Cross) কেটে যাবে তখন বাই অর্ডার করতে পারেন।
সেল ট্রেডঃ যখন RSI Overbought লাইন ৭০ লেভেলের নিচের দিকে আড়াআড়ি (Cross) কেটে যাবে তখন সেল অর্ডার করতে পারেন।
RSI দিয়ে কিভাবে ট্রেড ক্লোজ করবেনঃ
RSI যেমন খুব ভালো একটি ইন্ডিকেটর ট্রেডে এন্টার করার জন্য আবার তেমনি ভালো একটি ইন্ডিকেটর ট্রেড থেকে বের হওয়ার জন্য। অর্থাৎ এই ইন্ডিকেটরটি আপনাকে ট্রেডে ঢুকতে এবং বের হওয়ার সিগন্যাল দিবে। লক্ষ্য করবেন প্রাইস মুভমেন্টের উপর RSI প্রতিনিয়ত আপডেট হয় অর্থাৎ প্রাইস্ ট্রেন্ড আপ হলে RSI লাইন আপ ইন্ডিকেট করে আবার ডাউনট্রেন্ড হলে ডাউন ইন্ডিকেট করে, আপনি যখন বাই ট্রেড করবেন তখন আপনার লক্ষ্য থাকবে যে RSI ৭০ লেভেল ক্রস বা টাচ করেছে কি না সেই ক্ষেত্রে বেশি লাভের আশায় না থেকে ট্রেডটি ক্লোজ করে দিতে পারেন আবার যখন সেল ট্রেড করবেন তখন লক্ষ্য রাখবেন RSI ৩০ লেভেল টাচ করছে কি না সেই ক্ষেত্রে আরও বেশি লাভের রিস্ক না নিয়ে সেল ট্রেডটি ক্লোজ করে দিতে পারেন।
বাউন্স ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে ট্রেড ক্লোজ করতে ৭০ বা ৩০ লেভেল পর্যন্ত অপেক্ষা করলে নেগেটিভ সুফল আসতে পারে সেই ক্ষেত্রে ৫০ লেভেলে ট্রেড ক্লোজ করে দিবেন। অর্থাৎ আপনার বাই ট্রেড হবে ৩০ লেভেল থেকে ৫০ লেভেল এবং সেল ট্রেড হবে ৭০ লেভেল থেকে ৫০ লেভেল।