Categories
জিজ্ঞাসা

শেয়ারবাজার থেকে সর্বোচ্চ মুনাফা করার উপায়?

কীভাবে শেয়ারে বিনিয়োগ করে মুনাফা করা যায়। তবে এজন্য বেশি পড়াশুনার দরকার নেই। তবে বুঝতে হবে কোম্পানির প্রোফাইল। কোম্পানির বর্তমান অবস্থা কী। সামনে কী আরো ভালো হবে না খারাপের দিকে যাবে।

এসব বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আপনাকে শেয়ার ব্যবসায় আগাতে হবে। তবে অদ্ভূত একটা ব্যাপার হলো, শেয়ার মার্কেটে অনেকেই এ গল্প জানা সত্ত্বেও সব টাকা দিয়ে একটা শেয়ার কিনে বসে থাকেন।

আপনি যত অভিজ্ঞ এবং জ্ঞানী হউন না কেন, কোনো একটা শেয়ার নিয়ে আপনার প্ল্যানিং বাস্তব রূপ দেখতে নাও পারেন। কী হবে তখন? এজন্যই একাধিক কোম্পানির শেয়ার যাচাই করে কেনা উচিৎ। ফলে একটাতে লস হলেও বাকিগুলোর লাভ আপনার বিনিয়োগের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।

প্রশ্ন হচ্ছে, কী ধরনের শেয়ার কিনবেন? কোন সেক্টরের শেয়ার কিনবেন? সব টাকা দিয়ে ব্যাংক সেক্টর? এনার্জি নাকি সিমেন্ট?  নাহ! তাহলে আবারও একই ঝুড়িতে ডিম রাখার মতো এক সেক্টরেই সব টাকা ঢেলে দিচ্ছেন।  বুঝতেই পারছেন, একাধিক সেক্টর থেকে একাধিক কোম্পানি বেছে নিতে হবে। কাজটা আসলে খুব সহজ। চলুন তাহলে দেখে নেই আপনার নিজের পোর্টফলিওটাকে সাজানোর জন্য সহজ উপায়গুলো।

পোর্টফলিও ম্যানেজমেন্ট গাইডঃ শেয়ারে বিনিয়োগ লাভ দুইভাবে সম্ভব। এক হচ্ছে ডিভিডেন্ড, আরেক হচ্ছে শেয়ারের দাম বাড়া। আপনার আসলে দুইটাই দরকার। কারণ প্রতিবছর কিছু শেয়ার থেকে ভাল ডিভিডেন্ড পেলে আপনার হাতে নগদ টাকা বা বোনাস শেয়ার আসবে। এ টাকা আপনি লাভ হিসেবে তুলে নিতে পারেন, খরচ করতে পারেন, আবার নতুন করে বিনিয়োগও করতে পারেন। এ শেয়ারগুলোর নাম ভ্যালু শেয়ার।

অন্যদিকে এমন কিছু শেয়ার দরকার যার দাম কয়েকগুণ বেড়ে গিয়ে আপনার পোর্টফলিওর চেহারাই পাল্টে দেবে। এ শেয়ার থেকে লাভ আপনি করবেন যখন শেয়ারটি বিক্রি করার সময় আসবে (অর্থাৎ শেয়ারটি Overpriced হয়ে যাবে)। এ শেয়ারগুলোর নাম গ্রোথ শেয়ার।

চলুন দেখে নেই ভ্যালু এবং গ্রোথ শেয়ার চেনার সহজ উপায়গুলো:  ভ্যালু শেয়ার খুঁজে বের করার জন্য দেখে নিন কোন কোম্পানিগুলোর PE Ratio কম কিন্তু প্রতিবছর ভালো ডিভিডেন্ড দিয়ে আসছে। এখন হিসেবে আনুন Dividend Yield. ফর্মুলা খুব সহজ।

মনে করুন একটি কোম্পানি ২০% ডিভিডেন্ড দিয়েছে। শেয়ারটির ফেসভ্যালু ১০ টাকা এবং মার্কেট প্রাইস ১৫ টাকা। তাহলে শেয়ারটির Dividend Yield হল (ডিভিডেন্ড % × ফেসভ্যালু) ÷ (মার্কেট প্রাইস × ১০০) = ১৩.৩৩%  অর্থাৎ প্রতিবছর আপনার বিনিয়োগ করা টাকার উপর ১৩.৩৩% হারে লাভ করছেন! একটু দেখে নিন ব্যাংকে টাকা রাখলে কত পারসেন্ট দেবে- গ্রোথ শেয়ার চেনার টেকনিকগুলোও অনেক সহজ।

আগেই দেখেছেন, গ্রোথ শেয়ার কেনার উদ্দেশ্য হল এর মার্কেট প্রাইস ভবিষ্যতে কয়েকগুণ হবে, আর তা বিক্রি করে আপনি লাভ তুলে নেবেন। শেয়ারের দাম কয়েকগুণ হতে গেলে কোম্পানির ব্যবসার সাইজ এবং নেট প্রফিট এই সবকিছুই কয়েকগুণ হতে হবে। আসুন দেখে নেই গ্রোথ কোম্পানিগুলো চেনার সহজ কিছু টেকনিক।

* কোম্পানির ব্যবসা ক্রমাগত বাড়ছে

* কোম্পানির EPS বাড়ছে

* কোম্পানির Net Profit Margin বাড়ছে

* কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট ভাল

* কোম্পানিটি প্রায় একচেটিয়া ব্যবসা করে (প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে অনেক ভাল)  তো আজকে ভ্যালু শেয়ার আর গ্রোথ শেয়ার চেনার প্রাথমিক ধারণা পেলেন।

তাই পোর্টফলিও সাজানোর বেস্ট উপায় এ দুই ধরনের শেয়ার একসঙ্গে মিলে করেই। এতে করে বিনিয়োগ নিরাপদ রেখেও লাভ করতে পারবেন।

Categories
জিজ্ঞাসা

কিভাবে আইপিওতে আবেদন করবো?

আইপিওতে অনলাইনে বা ব্রাঞ্চে এসে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদন করার জন্য আমাদের ওয়েব সাইটে(IPO Apply link) গিয়ে আবেদন করতে হবে। এর আগে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে আপনার বিও একাউন্ট পর্যাপ্ত পরিমান ব্যালেন্স রয়েছে কিনা। (মিউচুয়াল ফান্ড এবং বন্ড ব্যতীত)

Categories
জিজ্ঞাসা

আইপিও কি?

​IPO বা আইপিও এর পূর্ণরুপ Initial Public Offering বা প্রাথমিক গণপ্রস্তাব। লিমিটেড কোম্পানি সমূহ মূলধন সংগ্রহের জন্য প্রাইমারি মার্কেটে শেয়ার অফার করে, সর্বসাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সেই শেয়ার ক্রয়ের জন্য আবেদন করেন, এই প্রক্রিয়াকে আইপিও বলে। আইপিওর নতুন নিয়ম অনুযায়ী আবেদনকারীকে সেকন্ডারি মার্কেটে সর্বনিম্ন ২০,০০০ টাকা বিনিয়োগ ও আইপিও করার জন্য ১০,০০০ টাকা থাকতে হবে এবং  আইপিও লটারির পরিবর্তে আনুপাতিক হারে প্রত্যেক আবেদনকারীকে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হবে। আবেদনকারী যত গুলি শেয়ার পাবে সেই পরিমাণ টাকা গ্রহন করে বাকি টাকা আবেদনকারীকে রিফান্ড করে দেয়া হবে। আইপিও আবেদনের জন্য সার্ভিস চার্জ মাত্র ১০ টাকা।

আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, আইপিওর ক্ষেত্রে লটারি পদ্ধতি ১ লা এপ্রিল, ২০২১ থেকে বাতিল করা হয়েছিল। এই সিধান্ত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে বিএসইসি এর কমিশন সভায় গৃহীত হয়ে ছিল। এতেকরে প্রত্যেক আবেদনকারী শেয়ার পাবেন।  
​নতুন নিয়ম অনুযায়ি আইপিও আবেদন করার জন্য একজন বিনিয়োগকারিকে তার বিও অ্যাকাউন্ট  নাম্বারে ন্যূনতম ম্যাচিউর ৫০  হাজার টাকার  শেয়ার থাকতে হবে। আইপিও লটারির পরিবর্তে আনুপাতিক হারে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হবে। সেখেত্রে একজন বিনিয়োগকারি ১০ হাজার টাকার শেয়ারের জন্য চাঁদা জমা দিতে পারবেন।   

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ABC কম্পানি সাধারন বিনিয়োগকারীদের জন্য ১ কোটি শেয়ার নিয়ে পুজিবাজারে আসবে সেখানে যদি ১০ লক্ষ বিনিয়োগকারি ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে আবেদন করে তবে প্রত্যেক বিনিয়গকারি ১০টি করে শেয়ার পাবে।  


আইপিও আবেদন শুরু হওয়ার ৫ কর্ম দিবস আগে যেহেতু শেয়ার ম্যাচিউরের কাটফ ডেট থাকে সেহেতু আপনি কাটফ ডেটের অন্তত ২ দিন আগে আপনার ৫০,০০০ টাকার শেয়ার কিনতে হবে, কারন A/B/N ক্যাটাগরির শেয়ার ম্যাচিউর হতে T+1  অর্থাৎ শেয়ার কেনার দিন ও তার পরের দিন মোট ২ কর্ম দিবস সময় লাগে এবং Z ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে T+3 অর্থাৎ শেয়ার কেনার দিন ও তার পরের তিন দিন মোট ৪ কর্ম দিবস সময় লাগে। 
আবার কেউ যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেয়ার না কিনতে পারেন তবে আপনি কাটফ ডেটের ১ কর্ম দিবস আগে স্পটে শেয়ার কিনতে পারেন। স্পটে থাকা শেয়ার গুলি ম্যাচিউর হতে ১ কর্ম দিবস সময় লাগে।
কাটফ ডেটে তার শেয়ারের বাজার মূল্য অবশ্যই ৫০,০০০ টাকা থাকতে হবে এর চেয়ে কম হলে তিনি আর আইপিও আবেদনের জন্য ইলিজেবল হবেনা।কাটফ ডেটের পরে আপনি চাইলে আপনার শেয়ার বিক্রয় করে দিতে পারেন। 

উদাহরণহিসেবেবলতেপারি,
ধরি, XYZ কম্পানির আইপিও আবেদন শুরু হবে কোন মাসের ১৩ তারিখে সুতরাং এই ক্ষেত্রে উক্ত আইপিওর জন্য কাটফ ডেট হবে ওই মাসের ৭ তারিখে অর্থাৎ ৫ কর্ম দিবসের আগ পর্যন্ত। এখন আইপিওর নতুন নিয়ম অনুযায়ী ৭ তারিখে ৫০,০০০ টাকার বাজার মূল্যে ম্যাচিউর শেয়ার আপনার কোডে থাকতে হবে। এখন আপনাকে ৭ তারিখে ম্যাচিউর শেয়ার রাখতে হলে অবশ্যই তার ২ কর্ম দিবস আগে ৫০,০০০ টাকার শেয়ার কেনা সম্পন্ন করতে হবে(A/B/N ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে)। যদি Z ক্যাটাগরির শেয়ার কেনা হয় তবে আপনাকে অন্তত কাটফ ডেটের ৪ কর্ম দিবস আগে শেয়ার কেনা সম্পন্ন করতে হবে। 
কিন্তু আপনি যদি স্পটে শেয়ার কিনেন তবে ৬ তারিখে যদি কর্ম দিবস থাকে সেই দিন শেয়ার কিনলে সেটা উল্লেখিত দিনে ম্যাচিউর হবে।

আমাদেরপরামর্শ,
যেহেতু কাটফ ডেটে বাজার মুল্যে ৫০,০০০ টাকার শেয়ার থাকতে হবে সুতরাং গ্রাহকগন সম্ভব হলে যেন ৫০,০০০ টাকা এর কিছু বেশি মূল্যের শেয়ার ক্রয় করে। যেন শেয়ারের দাম কমে গেলেও সেটা কাটফ ডেটে ৫০,০০০ টাকার কম না হয়।

Categories
জিজ্ঞাসা শেয়ার বাজার

কিভাবে আমি শেয়ার কিনবো বা বিক্রি করবো ?

আপনার বিও একাউন্টে টাকা জমা করার পর আপনি শেয়ার বেচা-কেনার জন্য তৈরি। আপনি বিভিন্ন ভাবে শেয়ার কেনা বেচা করতে পাড়বেন-

  • অনলাইন(মোবাইল এপ্স বা আমাদের ওয়েব সাইট লিংক)
  • অথোরাইজ রিপ্রেজেন্টেটিভকে ফোনের মাধ্যমে
  • সরাসরি ব্রাঞ্চে এসে
Categories
জিজ্ঞাসা

শেয়ার বাজারে সর্বনিম্ন কত টাকা বিনিয়োগ করা যায় ?

আপনি যেকোন পরিমাণ টাকা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে শুরু করতে পারেন তবে প্রাথমিক বাজার বা ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং অর্থাৎ আইপিও তে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিও হিসাবে ন্যূনতম ২০,০০০ টাকা সেকন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ থাকতে হবে এবং আইপিও আবেদনের জন্য ১০,০০০ টাকা বিও অ্যাকাউন্ট নাম্বারে থাকতে হবে। সুতরাং সর্বনিম্ন ৩০,০০০ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করা উত্তম। 
সেকেন্ডারি মার্কেটে ব্যবসায় করতে পুঁজির পরিমান আসলে নির্ভর করে বিনিয়োগকারীর কাঙ্ক্ষীত লাভের হার বা ‘এক্সপেক্টেড রেট অফ রিটার্নের’ উপর। 

Categories
জিজ্ঞাসা

আমি কীভাবে আমার বিও অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা করব?

আপনার বিও একাউন্টে টাকা জমা করা খুবই সহজ। বাংলাদেশের যেকোন ব্যাংক একাউন্ট থেকে কোন রকম খরচ ছাড়াই টাকা জমা করতে পারবেন। আপনি অনলাইনে অথবা সরাসরি আমাদের যে কোন ব্রাঞ্চে এসেও টাকা জমা দিতে পারবেন অথবা আপনি চাইলে বিকাশ, রকেট, নগদ এর মাধ্যমেও টাকা জমা দিতে পারবেন ( সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য)

Categories
জিজ্ঞাসা

বিও একাউন্ট খোলার পর আমি কি করবো?

বিও একাউন্ট খোলার পর আপনি আপনার বিও একাউন্টে টাকা জমা করবেন। আমাদের ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি টাকা জমা দিয়ে জমা স্লিপটির স্ক্যাক/ছবি অথবা বিকাশ, রকেট, নগদ এর মাধ্যমে জমা দিয়ে (১% চার্জ প্রযোজ্য) করে তার স্ক্রিন সট অথবা অনলাইনে আমাদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করে তার ছবি/স্ক্রিন সট নিয়ে আমাদের ওয়েব সাইটের ডিপোজিট বা জমা(Deposit Link) ফর্ম পুরন করে টাকা আপনার বিও একাউন্টে জমা করার জন্য আবেদন করতে হবে।

Categories
জিজ্ঞাসা

কোন বিও একাউন্ট আমি খুলবো? প্রাইমারি নাকি সেকেন্ডারি?

​আসলে আমাদের স্টক মার্কেটে এক ধরনেরই বিও একাউন্ট রয়েছে। আপনি যে কোন বিও একাউন্ট দিয়ে আইপিও (প্রাইমারি) এবং শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় (সেকেন্ডারি) এর জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। সব বিও একাউন্টের  কার্যকারিতা একই।

Categories
জিজ্ঞাসা

প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি শেয়ার কি? তাদের মধ্যে পার্থক্য কি?

প্রাইমারি শেয়ার (বা বন্ড) হচ্ছে সম্পুর্ন নতুন শেয়ার যা জন সাধারণের জন্য তৈরি এবং উপস্থাপন  করা হয় ( উদাহরণ হিসেবেঃ প্রাথমিক গনপ্রস্তাব বা আইপিও এর মাধ্যমে যা লটারি আকারে ছাড়া হয়)

সেকেন্ডারি মার্কেট হচ্ছে আইপিও পরবর্তী মার্কেট, প্রস্তাবিত শেয়ার বা বন্ডের লেনদেন হয়, যেমন স্টক এক্সচেঞ্জ ( স্বাভাবিক ক্রয় বিক্রয়ের মাধ্যমে) 

Categories
জিজ্ঞাসা

নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশী(এনআরবি) বিও হিসাব খুলতে যা যা লাগবে?.

  • আবেদন কারীর ২ কপি passport size ছবি
  • জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/সামাজিক নিরাপত্তা কার্ড/রেসিডেন্স পারমিট ইত্যাদির সত্যায়িত কপি
  • ফরেন কারেন্সি ব্যাংক হিসাবের তথ্য
  • NRB হিসাবে আয় এর তথ্য বিবরনী বা সেলারি/ইনকাম বিবরনী
  • নমিনি জাতীয় পরিচয়পত্র কপি ও ছবি
  • হিসাব পরিচালনার জন্য নির্বাচিত প্রতিনিধিকে অথরাইজ করে POA (Power of Attorney) প্রতয্যনপত্রের কপি(যদি প্রয়োজন হয়)