ডিভিডেন্ড কি? কখন কিনলে পাওয়া যায়?ডিভিডেন্ড (Dividend) অর্থ লভ্যাংশ। এক বছরে একটি কোম্পানির তার মুনাফার বা (ইপিএসের) যে অংশ শেয়ারহোল্ডারদের (বিনিয়োগকারীদের) মধ্যে বিতরণ করে তাকেই লভ্যাংশ বা ডিভিডেন্ড বলে। কখনো কখনো রিজার্ভ (সংরক্ষিত তহবিল) থেকেও লভ্যাংশ বিতরণ করা হয়। কোম্পানির আয় বা ইপিএস নেগেটিভ থাকলে ক্যাশ লভ্যাংশ প্রদান করা যায় না তবে স্টক (বোনাস শেয়ার) লভ্যাংশ দেয়া যায়। লভ্যাংশের জন্য ঘোষিত রেকর্ড ডেটের (শেয়ারের মালিকানা নির্ধারণের দিনের) আগে শেয়ার কিনতে হয়।লভ্যাংশ দুই প্রকার। ক্যাশ (নিজেস্ব মুদ্রায়) বা নগত লভ্যাংশ এবং স্টক (বোনাস শেয়ার) লভ্যাংশ। আবার একটি কোম্পানি ইচ্ছা করলে, লভ্যাংশ হিসেবে নগদ টাকা বা স্টক (বোনাস শেয়ার) অথবা উভয় আকারে দিতে পারে। লভ্যাংশকে সাধারণত শতাংশের হিসাবে প্রকাশ করা হয়। লভ্যাংশ কোম্পানির ফেজভ্যালুর উপরে দেওয়া হয়। কোম্পানির সেকেন্ডারি মার্কেটে, কারেন্ট মার্কেট ভ্যালু যাই হোক না কেন?বাংলাদেশে বর্তমানে সব কোম্পানির ফেজভ্যালু ১০ টাকা। মানে কোম্পানির কারেন্ট মার্কেট ভ্যালু ২০০০ টাকা হোক বা ২০০ বা ২০ টাকা হোক বিনিয়োগকারী লভ্যাংশ পাবে ফেজভ্যালু অর্থাৎ ১০ টাকার উপর। উদাহরণ-এবিসি কোম্পানি ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। কোম্পানিটির বর্তমান মার্কেট ভ্যালু ২০০ টাকা । মানে ১০০টি শেয়ারে বিপরীতে বিনিয়োগকারী লভ্যাংশ ২৫০ টাকা পাবে। যদিও বর্তমান মার্কেট থেকে ১০০টি শেয়ার কিনতে তার খরচ হবে ২০০০০ টাকা।স্টক লভ্যাংশের বেলায় একইভাবে লভ্যাংশ দেওয়া হয়, শুধুমাত্র ক্যাশ টাকা জায়গায় শেয়ার দেওয়া হয়। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে এটি বোনাস লভ্যাংশ হিসেবে পরিচিত। বোনাস লভ্যাংশ দেওয়ার কোম্পানির দায় বাড়ে। কোম্পানির ব্যবসা না বাড়লে ইপিএস কমে যায়, ফলে শেয়ার প্রেইজও কমে যায়। তবে ভাল আয় সম্পন্ন ফান্ডমেন্টাল কোম্পানির বোনাস লাভ জনক হতে পারে।মিউচুয়াল ফান্ডের বেলায় বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ, বন্ড বা ডিবেঞ্চার থেকে প্রাপ্ত সুদ, ক্যাপিটাল গেইন থেকে অর্জিত মুনাফা, ব্যাংকে রাখা অর্থের সুদ ইত্যাদির সমন্বিত আয় থেকে লভ্যাংশ দেয়া হয়। মিউচুয়াল ফান্ডগুলো সাধারণত নগদ লভ্যাংশ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশে সংশোধিত মিউচুয়াল ফান্ড আইন অনুসারে স্টক বা বোনাস লভ্যাংশ দেওয়ার সুযোগ আছে।সতর্কীকরণঃ আজকের StockNow প্রশ্ন উত্তর পর্বে যে সমস্ত উদাহরন ব্যবহার করা হয়েছে কেবলমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্য এবং পাঠকের তথ্যের জন্য ।বিনিয়োগ সম্পর্কিত কোন সিদ্ধান্তে StockNow টিম দায়ি থাকবে না Dividend Policy (ডিভিডেন্ড পলিসি), Dividend yield (ডিভিডেন্ট ঈল্ড) নিয়ে পরবর্তী পোস্টে আলোচনা করা হবে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ
অথরাইজড ক্যাপিটাল
অথরাইজড ক্যাপিটাল ও পেইড আপ ক্যাপিটাল কি? অথরাইজড ক্যাপিটালের বাংলা হচ্ছে অনুমোদিত মূলধন, অর্থাৎ যে মূলধন আপনি বিনিয়োগ করার জন্য বা ইনভেস্ট করার জন্য সরকারের কাছে অনুমতি পেয়েছেন। অন্যদিকে পেইড আপ ক্যাপিটাল হচ্ছে যেই মূলধন যা আপনি আপনার কোম্পানি খোলার সময় বিনিয়োগ করছেন।
মার্জীনেবল শেয়ার কোনগুলো
প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী যে সকল শেয়ারের আয় দ্বিতীয় প্রান্তিকের চেয়ে বৃদ্ধি পাওয়াতে নন-মার্জিন থেকে মার্জিনে এসেছে কিংবা পিই রেশিও উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে তাদের মার্জিনেবল শেয়ার বলে
Sir StockNow VIP সদস্যগণ তাদের যেকোনো Device এ login করে personal profile use করতে পারবে এছাড়া Apple store , Play store এ এপপ্সটি available রয়েছে এছাড়াও web ভার্সন এর জন্য ক্লিক করুন https://stocknow.com.bd/
Stochastic হচ্ছে একটি oscillator যেটা আপনাকে মার্কেট Overbought নাকি Oversold এটা বুঝতে সাহায্য করে। MACD এর মতন এই ইন্ডিকেটরও দুইটি লাইন দিয়ে গঠিত এবং একটি লাইন অন্য লাইনটির তুলনায় অনেক বেশী দ্রুত।
Stochastic Indicator এর ব্যবহার
Stochastic Indicator- আগেই বলছি Stochastic আমাদেরকে মার্কেট Overbought নাকি Oversold এর ধারনা দেয়। এটির একটি নির্দিষ্ট পরিমাপক স্কেল আছে যার ভ্যালু 0-100 এর মধ্যে থাকে।
এই চার্টটি ভালো করে লক্ষ্য করুন।
যখন Stochastic lines 80 এর উপরে থাকবে (লাল পয়েন্টের) তার মানে হচ্ছে, মার্কেট এখন Overbought আর যখন Stochastic lines 20 এর নিচে থাকবে (নীল পয়েন্টের), তার ময়ানে হচ্ছে মার্কেট এখন Oversold.
স্বর্ণসুত্র অনুযায়ী,
আমরা তখন বাই (Buy) দেব যখন মার্কেট Oversold থাকবে আর আমরা তখন সেল (Sell) দেব যখন মার্কেট Overbought থাকবে।
এই কারেন্সি চার্টের দিকে লক্ষ্য করুন, আপনি দেখবেন ইন্ডিকেটরটি আপনাকে দেখাচ্ছে মার্কেট কিছুক্ষণ ধরে Overbought কন্ডিশনে রয়েছে। সুত্র অনুযায়ী প্রাইস এখন কোথায় যেতে পারে?
আপনার উত্তর যদি হয় নিচে মানে সেল (Sell) তাহলে আপনি পরীক্ষায় পাশ করে গেছেন। এবার নিচের চার্টটি লক্ষ্য করুন, মার্কেটটি অনেক্ষন ধরে Overbought পজিশনে ছিল এবং মার্কেটটি বাধ্য হয়ে নিচে নেমে এসেছিল।এটাই হচ্ছে Stochastic Indicator এর বেসিক নির্দেশনা। অনেক ফরেক্স ট্রেডার Stochastic Indicator বিভিন্ন ভাবে ব্যাবহার করেন কিন্তু এটির প্রধান কাজ হচ্ছে আপনাকে মার্কেট কন্ডিশন কোথায় আছে এটা আপনাকে বলে দেয়া। Overbought নাকি Oversold?
মনে রাখবেন,
Overbought = 80+ = Sell
Oversold = -20 = Buy
Stochastic Indicator কিন্তু সবসময়ই যে এই ভাবে কাজ করবে তা কেউ আপনাকে বলতে পারবে না। একটা কথা মনে রাখবেন, সব ইনডিকেটোর গুলো একজন ট্রেডারকে তার আনুমানিক ভালো একটি পজিশন নিতে সাহায্য করে কিন্তু কখনই কোন ইন্ডিকেটর আপনাকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিবে না।
আপনি যখনি ট্রেড করবেন এইগুলো আপনার Assistant হিসাবে কাজ করবে কিন্তু আপনি কখনই এগুলোর Assistant হবেন না।
RSI Indicator কিভাবে ব্যবহার করবেন?
ট্রেডিং এর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ইন্ডিকেটর হচ্ছে RSI Indicator । যারা রিয়েল ট্রেড করছেন, তাদের মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগই এই ইন্ডিকেটর ব্যবহার করে ট্রেড করে থাকেন। আজকের আর্টিকেলে এই ইন্ডিকেটরটির বিস্তারিত তথ্য এবং কিভাবে এই ইন্ডিকেটর ব্যবহার করে ট্রেড করবেন সেটি, আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করবো।
অনুগ্রহ করে আর্টিকেলটি ভালো করে পড়ুন এবং বোঝার চেষ্টা করুন। যদি বিস্তারিত বুঝতে কোনও সমস্যা হয় তাহলে অনুগ্রহ করে নিচের কমেন্ট সেকশনে জানবেন কিংবা আমাদের ইমেইলও করতে পারেন।
RSI = Relative Strength Index
RSI Indicator- অনেকটা stochastic এর মতন কাজ করে অর্থাৎ এটিও মার্কেটের Overbought এবং Oversold কন্ডিশন নির্দেশ করে। এটিরও একটি পরিমাপক স্কেল রয়েছে যার ভেলু 0-100 পর্যন্ত হয়ে থাকে।
যখন রিডিং 30 এর নিচে চলে আসে তখন এটি আপনাকে Oversold এবং যখন রিডিং 70 এর উপরে চলে যায় তখন আপনাকে Overbought কন্ডিশন নির্দেশ করে।
RSI Indicator- ব্যাবহার করে কিভাবে ট্রেড করবেন?
RSI Indicator কে অনেকটা Stochastic এর মতন করে ব্যাবহার করা যেতে পারে। ট্রেডাররা সবচেয়ে বেশী ব্যাবহার করে মার্কেটে কন্ডিশের উপর ভিত্তি করে সবচেয়ে ভালো পজিশনে ট্রেড এন্ট্রি নেয়ার জন্য।
RSI Indicator- ব্যবহার করে মার্কেট ট্রেন্ড নির্ধারণ:
RSI Indicator খুবই জনপ্রিয় একটি ইন্ডিকেটর যা ট্রেন্ড ফরমেশন কনফার্ম হবার জন্য ব্যাবহার করা হয়। মার্কেটে যদি আপনার কখনও মনে হয় নতুন কোন ট্রেন্ড তৈরি হচ্ছে তাহলে আপনার RSI Indicator এর রিডিংটা একবার দেখে নিতে হবে যে এটা 50 এর উপরে আছে নাকি 50 এর নিচে রয়েছে। যদি আপনার মনে হয় একটি পসিবল আপট্রেন্ডে্র (Buy) সম্ভাবনা রয়েছে তাহলে শিউর হয়ে নিবেন RSI এর রিডিং 50 এর উপরে রয়েছে কিনা।
আর যদি আপনার মনে হয় একটি পসিবল ডাউনট্রেন্ডের (Sell) সম্ভাবনা আছে তাহলে দেখে নিবেন RSI এর রিডিং 50 এর নিচে আছে নাকি।
চার্টের শুরুতে আমরা দেখেছিলাম একটি পসিবল ডাউনট্রেন্ডের (Sell) সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছিলো। Fake outs থেকে বাচার জন্য আমরা RSI Indicator এর রিডিং 50 এর নিচে নামার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারি। ভালো করে শিউর হবার জন্য আমরা দেখব RSI Indicator এর রিডিং 50 ক্রস করেছে কিনা, যদি করে থাকে তাহলে এটা আমদের একটা ভালো সেল (Sell) এর নির্দেশনা দিবে।
RSI Indicator দ্বারা কি বুঝায়।
Relative Strength Index (RSI):
এটি একটি মোমেন্টাম ইন্ডিকেটর যা মার্কেটের প্রাইস Overbought এবং Oversold অবস্থা বোঝায় এবং নির্দিষ্ট একটি সময়ের এভারেজ বাই এবং সেল এর সীমানা নির্দেশ করা পূর্বক ট্রেডিং এ সহায়তা করে থাকে। এই ইন্ডিকেটরটি 0 থেকে 100 রেঞ্জের মধ্যে এক একটি স্কেলে মার্কেটের এক একটি অবস্থার নির্দেশনা প্রদান করে থাকে। স্কেল লেভেল অনুসারে সিগন্যালঃ
৫০ স্কেল লেভেলের উপরে – মার্কেট আপট্রেন্ডে আছে বলে নিশ্চিত করা হচ্ছে।
৫০ স্কেল লেভেলের নিচে – মার্কেট ডাউনট্রেন্ডে আছে বলে নিশ্চিত করা হচ্ছে।
৭০ স্কেল লেভেলের শীর্ষে – মার্কেটে অতিরিক্ত বাই হয়েছে।
৩০ স্কেল লেভেলের নিম্নে – মার্কেটে অতিরিক্ত সেল হয়েছে।
বাই ট্রেডঃ যখন RSI Oversold লাইন ৩০ লেভেলের উপরের দিকে আড়াআড়ি (Cross) কেটে যাবে তখন বাই অর্ডার করতে পারেন।
সেল ট্রেডঃ যখন RSI Overbought লাইন ৭০ লেভেলের নিচের দিকে আড়াআড়ি (Cross) কেটে যাবে তখন সেল অর্ডার করতে পারেন।
RSI দিয়ে কিভাবে ট্রেড ক্লোজ করবেনঃ
RSI যেমন খুব ভালো একটি ইন্ডিকেটর ট্রেডে এন্টার করার জন্য আবার তেমনি ভালো একটি ইন্ডিকেটর ট্রেড থেকে বের হওয়ার জন্য। অর্থাৎ এই ইন্ডিকেটরটি আপনাকে ট্রেডে ঢুকতে এবং বের হওয়ার সিগন্যাল দিবে। লক্ষ্য করবেন প্রাইস মুভমেন্টের উপর RSI প্রতিনিয়ত আপডেট হয় অর্থাৎ প্রাইস্ ট্রেন্ড আপ হলে RSI লাইন আপ ইন্ডিকেট করে আবার ডাউনট্রেন্ড হলে ডাউন ইন্ডিকেট করে, আপনি যখন বাই ট্রেড করবেন তখন আপনার লক্ষ্য থাকবে যে RSI ৭০ লেভেল ক্রস বা টাচ করেছে কি না সেই ক্ষেত্রে বেশি লাভের আশায় না থেকে ট্রেডটি ক্লোজ করে দিতে পারেন আবার যখন সেল ট্রেড করবেন তখন লক্ষ্য রাখবেন RSI ৩০ লেভেল টাচ করছে কি না সেই ক্ষেত্রে আরও বেশি লাভের রিস্ক না নিয়ে সেল ট্রেডটি ক্লোজ করে দিতে পারেন।
বাউন্স ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে ট্রেড ক্লোজ করতে ৭০ বা ৩০ লেভেল পর্যন্ত অপেক্ষা করলে নেগেটিভ সুফল আসতে পারে সেই ক্ষেত্রে ৫০ লেভেলে ট্রেড ক্লোজ করে দিবেন। অর্থাৎ আপনার বাই ট্রেড হবে ৩০ লেভেল থেকে ৫০ লেভেল এবং সেল ট্রেড হবে ৭০ লেভেল থেকে ৫০ লেভেল।
নতুন কি কি আইপিও আসছে
StockNow apps মোর মেন্যুতে গিয়ে IPO তে ক্লিক করলেই দেখতে পাবেন নতুন কি কি এসেছে
শেয়ারবাজার ঝুঁকিপূর্ণ, তবুও আমরা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করি মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে। শেয়ারবাজারে দুইভাবে মুনাফা লাভ করা যায়।
- ক্যাপিটাল গেইন
- ডিভিডেন্ড
ক্যাপিটাল গেইন কি?/What is capital gain
একটি শেয়ার কম দামে বিক্রি করে বেশি দামে বিক্রি করলে যে লাভ হয় সেটি হচ্ছে ক্যাপিটাল গেইন। একটি শেয়ার 10 টাকা কিনে 20 টাকায় বিক্রি করলে যে 10 টাকা লাভ হয় এটিই হচ্ছে ক্যাপিটাল গেইন।
ডিভিডেন্ড কি?/What is dividend
কোম্পানি লাভের যে অংশ শেয়ারহোল্ডারদের প্রদান করে ওই অংশকে ডিভিডেন্ড বলে। কোম্পানি ব্যবসা করে যে লাভ করে ওই লাভ থেকে বা সংরক্ষিত মুনাফা থেকে তার শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দিতে পারে। শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড না দিয়ে কোম্পানি পুনঃবিনিয়োগের জন্য মুনাফা ব্যবহার করতে পারে। কোম্পানি সাধারণতঃ প্রতি বছরে একবার ডিভিডেন্ট প্রদান করে থাকে এছাড়াও কোম্পানি চাইলে বছরের মধ্যবর্তী সময়ে ডিভিডেন্ট প্রদান করতে পারে যেটাকে ইন্ট্রিম ডিভিডেন্ট বলা হয়।
ডিভিডেন্ড প্রদানের প্রক্রিয়া
- কোম্পানি ব্যবসার মাধ্যমে মুনাফা করে।
- কোম্পানি ব্যবস্থাপকরা নির্ধারণ করে মুনাফার কতটুকু শেয়ারহোল্ডারের মাঝে বিতরণ করবে এবং কতটুকু তারা ব্যবসায়ী পুনঃবিনিয়োগ করবে।
- কোম্পানির পরিচালকরা ডিভিডেন্ড প্ল্যান অনুমোদন প্রদান করে।
- কোম্পানি ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেন।
- রেকর্ড ডেট এ যারা শেয়ার হোল্ড করে তাদের মাঝে ডিভিডেন্ড বন্টন করা হয়।
ডিভিডেন্ট প্রদানের মাধ্যম
আমাদের দেশে সাধারণত দুইভাবে ডিভিডেন্ড বন্টন করা হয় ।
- নগদ অর্থ প্রদান
- বোনাস শেয়ার প্রদান
নগদ অর্থ প্রদান/Cash Dividend
কোম্পানি যখন নগদ অর্থ ডিভিডেন্ড হিসেবে প্রদান করে তখন একজন শেয়ারহোল্ডার যতটুকু ডিভিডেন্ট পাবে তা তার ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
Calculation of Cash Dividend
ধরুন আপনার কাছে এবিসি কোম্পানির 500 টি শেয়ার আছে আছে । প্রতিটি শেয়ার ক্রয় করেছিলেন 25 টাকা মূল্য। এবছর এবিসি কোম্পানি 20 পার্সেন্ট নগদ মুনাফা ঘোষণা করল তাহলে আপনি কত টাকা মুনাফা পাবেন।
আমাদের দেশে মুনাফা প্রদান করা হয় শেয়ারের face value উপর। এবং প্রতিটি শেয়ারের face value সাধারণত 10 টাকা হয়ে থাকে। আপনি শেয়ার যত দামে কিনুন না কেন শেয়ারটির face value 10 টাকা এবং ওই face value এর উপরে আপনি মুনাফা বা ডিভিডেন্ড পাবেন। সুতরাং এবিসি কোম্পানি যেহেতু 20 পার্সেন্ট মুনাফায় ঘোষণা করেছে তাহলে আপনি প্রতি শেয়ারে দুই টাকা করে মুনাফা পাবেন। আপনার যেহেতু 500 টি শেয়ার আছে তাহলে আপনি সর্বমোট 1000 টাকা মুনাফা পাবেন। এই 1000 টাকা থেকে সোর্স ট্যাক্স বা উৎস কর হিসেবে দশ পার্সেন্ট অর্থাৎ 100 টাকা কেটে রাখবে সুতরাং আপনার ব্যাংক একাউন্টে সর্বমোট 900 টাকা কোম্পানি পাঠিয়ে দিবে।
শেয়ার প্রতি মুনাফা ১০*২০% = ২.০০
সর্বমোট শেয়ারের সংখ্যা =৫০০
মোট প্রদেয় মুনাফার পরিমাণ =১০০০.০০
উৎস কর। ১০০০*১০%=১০০.০০
মোট প্রাপ্য মুনাফা। = ৯০০.০০
বোনাস শেয়ার প্রদান/Bonus Share
কোম্পানির চাইলে নগদ অর্থ না দিয়ে বোনাস শেয়ার দিতে পারে অথবা বোনাস শেয়ার ও নগদ অর্থ দুটোই প্রদান করতে পারে। বোনাস শেয়ার ইস্যু করলে কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। যেহেতু বোনাস শেয়ার পূর্ববর্তী মার্কেট প্রাইস এর সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করা হয় তাই কোম্পানির মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন পরিবর্তন হয় না।
Calculation of Bonus Share
বোনাস শেয়ার প্রদান করা হয় আপনার হোল্ড কৃত শেয়ার সংখ্যার উপর। আপনি যদি কোন কোম্পানির 1000 শেয়ার হোল্ড করেন এবং ওই কোম্পানিতে যদি 10 পার্সেন্ট বোনাস শেয়ার প্রদান করে তাহলে আপনি বোনাস শেয়ার হিসেবে পাবেন ১০০০*১০%=১০০ টি শেয়ার।
আইপিও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি প্রাইভেট কোম্পানি পাবলিক কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয়। আইপিও প্রক্রিয়া বিনিয়োগকারীদের জন্য নিরাপদ বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করে। আমাদের দেশের বাজারে আইপিও শেয়ারে বিনিয়োগ নিরাপদ এবং এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীর একটি ভালো রিটার্ন পেয়ে থাকে।
আইপিও কি?/ What is IPO?
Initial Public Offering (আইপিও) এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কোন প্রাইভেট কোম্পানি তার শেয়ারের একটি অংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করে পাবলিক কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয়ে থাকে। আইপিও শেয়ারগুলো প্রথমে প্রাইমারি মার্কেটে লেনদেন হয়। প্রাইভেট কোম্পানির ব্যবসায়ের মূলধন বৃদ্ধি করার জন্য আইপিও প্রক্রিয়া এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের নিকট নিজেদের শেয়ার বিক্রি করে থাকে। আইপিও শেয়ারগুলি বিনিয়োগকারীদের বন্টনের পর তা সেকেন্ডারি মার্কেটে লেনদেন করা হয়ে থাকে। আইপিও সাধারণত দুই ধরনের হয়।
- Fixed Price Method
- Book Building Method
Fixed Price Method
ফিক্স প্রাইস মেথড এ আইপিও শেয়ার গুলির মূল্য ফিক্সট হয়ে থাকে। অর্থাৎ সেই শেয়ারগুলোর মূল্য পরিবর্তন হয় না। আমাদের দেশে যে সকল কোম্পানির ফিক্স প্রাইস অফারিং এর মাধ্যমে শেয়ার মার্কেটে আসে সে কোম্পানির শেয়ার মূল্য 10 টাকা হয়ে থাকে। ফিক্স প্রাইস পদ্ধতিতে শেয়ার মূল্যের সাথে কোন প্রিমিয়াম যোগ হয় না।
Book Building Method
বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে বিডিং এর মাধ্যমে শেয়ারের মূল্য ঠিক করা হয়। এই পদ্ধতিতে যে সকল কোম্পানি শেয়ার বাজারে আসে সে কোম্পানির মূল্য বিবেচনা করে ইলিজিবল বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বিডিং করে থাকে। তাদের বিডিং এর মাধ্যমে শেয়ারের প্রাইস ঠিক করা হয়। বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে কোম্পানির শেয়ারের ফেইস ভ্যালু 10 টাকা থাকে এবং অতিরিক্ত টাকা শেয়ারের প্রিমিয়াম হিসেবে গণ্য হয়। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য বিডিং প্রাইসের থেকে 10% কমে শেয়ারের প্রাইস নির্ধারণ করা হয়। অর্থাৎ কোন শেয়ারের মূল্য বিডিং এর মাধ্যমে 50 টাকা ঠিক হয় সে শেয়ারের জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের 45 টাকা প্রদান করতে হবে।
কিভাবে আইপিও শেয়ারের জন্য আবেদন করবেন? How to Apply for IPO?
আইপিও শেয়ার আবেদন করতে হলে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয় এগুলো নিয়েই আমরা এখন আলোচনা করব।
বিও একাউন্ট খোলা
আইপিওতে আবেদন করতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে নিবন্ধিত ব্রোকারেজ হাউসে একটি বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। বিও অ্যাকাউন্ট কিভাবে খুলতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের এই পোস্টটি অনুসরণ করুন।
দেখুন : শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ শুরুর প্রক্রিয়া
সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ
আইপিওতে আবেদন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই সেকেন্ডারি মার্কেটে ২০,০০০ টাকার বিনিয়োগ থাকতে হবে। প্রতিটি আইপিও শেয়ার আবেদন শুরুর তারিখের ৫ কর্মদিবস আগে একটি কাট অফ ডেট নির্ধারণ করা হয়। ওই cut-off ডেটে আপনার বিও একাউন্টের ম্যাচিওর শেয়ারের মার্কেট প্রাইস সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা হলে আপনি আইপিওতে আবেদন করতে পারবেন। Cut-off ডেটের পরে আপনি আপনি চাইলে শেয়ার গুলো বিক্রি করে দিতে পারবেন। আপনি কোন শেয়ার কতদিন পর ম্যাচিওর হয় তা জেনে 20000 টাকার কিছু বেশি টাকার শেয়ার কিনুন যাতে শেয়ারের দাম কিছু কমে গেলেও আইপিও আবেদন করতে আপনার কোন সমস্যা না হয়।
অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম পূরণ ও টাকা জমা
এখন আপনাকে বোকারেজ হাউজ কর্তৃক নির্ধারিত আইপিও অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম পূরণ করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে ব্রোকারেজ হাউজকে জানালে তারা নিজেরাই আপনার হয়ে আইপিওর জন্য আবেদন করে দেয়। আপনি যত টাকার জন্য আইপিও আবেদন করবেন সেই টাকা আপনার বিও একাউন্টে থাকতে হবে। আপনি ১০/২০/৩০/৪০ বা সর্বোচ্চ 50 হাজার টাকার আইপিওর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আইপিও শেয়ার বন্টন
আইপিও শেয়ার আর আগের মত লটারির মাধ্যমে বন্টন করা হয় না। এখন যারা যারা আইপিওতে আবেদন করবেন তারা সকলেই কিছু না কিছু শেয়ার পাবেন আইপিও শেয়ার বন্টন হয় কোম্পানি কত টাকার শেয়ার বাজারে ছেড়েছে এবং বিনিয়োগকারীরা মোট কত টাকার শেয়ারের জন্য আবেদন এর অনুপাত এর ভিত্তিতে। সুতরাং আপনি যত টাকার শেয়ারের জন্য আবেদন করবেন সেই অনুপাতে আপনি শেয়ার পাবেন আপনি যত বেশি টাকার শেয়ার এর জন্য আবেদন করবেন ততবেশি শেয়ার পাবেন। অর্থাৎ আপনি যদি 10 হাজার টাকার শেয়ারের জন্য আবেদন করে 100 টি শেয়ার পান তাহলে 50000 টাকার শেয়ার এর জন্য আবেদন করলে 500 টি শেয়ার পাবেন।
IPO Share Distribution Quota
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী/ Institutional Investor — ৪০%
সাধারণ বিনিয়োগকারী/General Investor— ৪০%
ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী/ Affected Investor— ১০%
প্রবাসী বিনিয়োগকারী/Non resident Investor—- ১০%
অর্থাৎ কোন কোম্পানির যদি 100 টি শেয়ার ছাড়ে তাহলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে 40 টি, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে 40 টি ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে 10 টি এবং প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে 10 টি শেয়ার বন্টন করা হবে।